![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
একাত্তরের গণহত্যায় বয়স কি কোনো ফ্যাক্টর ছিল?
ফকির ইলিয়াস
============================================
আমার এলাকায় কয়েকশ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। আমার এলাকার অনেক মুরুব্বি ছিলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তাদেরই একজন ইয়াকুব আলী। যাকে আমি ‘ইয়াকুব দাদা’ বলেই ডাকতাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল সত্তরেরও বেশি। সেই ‘ইয়াকুব দাদা’কে রাজাকার আলবদররা ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তার ওপর চালিয়েছিল অমানুষিক নির্যাতন। ভাগ্যিস বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। বাকি জীবন কাটিয়েছিলেন পঙ্গুত্ব বরণ করে। এটা একটা ঘটনা। এরকম লাখো ঘটনা ঘটেছে একাত্তরে বাংলাদেশে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, তরুণ, প্রৌঢ়- কোনো ভেদবিচার ছিল না গণহত্যায়। এসব কথা বাংলাদেশের মানুষ জানেন। একাত্তরের গণহত্যার অন্যতম বড়কর্তা গোলাম আযমের ৯০ বছরের জেল দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। তার নাকি বয়স বেশি, তাই এই সাজা!
আমার মনে পড়ছে, শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গণআদালতের কথা। সেই আদালত গোলাম আযমকে ফাঁসি দিয়েছিল প্রতীকী বিচারে। সে কথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অজানা নয়। সেই শেখ হাসিনা-ই কিনা রায় ঘোষণার পর জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষণে বলেছেন- ‘একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল সাজা দিয়েছে এতেই আমরা সন্তুষ্ট। সাজা কী হতে পারে, এটা আদালতের বিষয়। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। যে সাজা দিয়েছে, যে শাস্তি দিয়েছে- তাতে আমরা সন্তুষ্ট।’
প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, ‘আজ যুদ্ধাপরাধী হিসেবে যারা সাজা পেয়েছেÑ এটা দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা, দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের ফসল বাস্তবায়ন হয়েছে। আমাদের দল ক্ষমতায় থাকতে এই রায় কার্যকর শুরু করবো। কার্যকর হবে ইনশাল্লাহ।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে আওয়ামী লীগকে দোষী করতে চাচ্ছেন। কিন্তু জিয়া এই যুদ্ধাপরাধীদের যখন ফিরিয়ে এনেছিল- তখন তা প্রত্যখ্যান করলে আজ ৪২ বছর অপেক্ষা করতে হতো না।’ প্রধানমন্ত্রী যা ই বলুন না কেন- আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখেছি, গওহর রিজভী-সালমান রহমান ও জামাতের প্রধান আইনজীবী ব্যাঃ আবদুর রাজ্জাক মার্কিনি দূতের সহায়তায় ঢাকায় রুদ্ধদ্বার মিটিং করেছেন। সেই বৈঠকের এজেন্ডা কী ছিল? এর পরপরই গোলাম আযমের রায় লঘু হয়ে গেলো! এর মাজেজা কী?
একজন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে আমার এক সপ্তাহ আগেই জানা হয়ে গিয়েছিল, একাত্তরের নরঘাতক গো আযমের ফাঁসির রায় হচ্ছে না। যাবজ্জীবন কারাদ- হচ্ছে। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা গওহর রিজভী- সালমান রহমান-ও জামাতের ব্যাঃ রাজ্জাকের গোপন বৈঠকের পর তা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল! এখানে যে বিষয় অনুমান করা যায়, তা হলো জামাতকে টোপে ফেলে আগামী নির্বাচনে আনার মতলবও করতে পারে আওয়ামী লীগ। কিন্তু কথা হচ্ছে, জামাত কি বিএনপির সঙ্গে গাঁটছড়া ত্যাগ করবে? না, করবে না। এর প্রমাণ কওমি মাদ্রাসাপন্থী হেফাজতিদেরও নগর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করা। বলা দরকার এখন জামাত ও হেফাজত একই বৃন্তে দুটি সাপ। যারা একে অন্যের পরিপূরক হয়েই রাজনীতির মাঠে হাঁটছে।
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চরম ভরাডুবি হবে। আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে হারবে। বিএনপি-জামাত জিতে এসেই গোলাম আযমকে ছেড়ে দেবে। তেমনি একটি ক্ষেত্র তৈরির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে স্বয়ং বর্তমান সরকার পক্ষ। সরকারের অনেক নীতিনির্ধারক বলছেন, এই সরকারের মেয়াদেই কিছু রায় কার্যকর করা হবে। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, এই পাঁচ মাসে কোনো যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায়ই কার্যকর হবে না। যৌথভাবে জামাত-বিএনপি ক্ষমতায় এসেই এই ট্রাইব্যুনালের সকল কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করবে। নতুনভাবে ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে। এবং বিচারের মহড়া করবে আরো পাঁচবছর। ঐ মহড়ায় আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাকেও কারাগারে নিক্ষেপ করা হতে পারে। যে বিষয়টি আমাকে চরমভাবে হতাশ করছে তা হলো, আমার মনে হচ্ছে, এই দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায়ই কার্যকর হবে না। কারণ এটা ১৫ আগস্টের খুনিদের মতো বিষয় নয়। সরকার পরিবর্তন হলেই যুদ্ধাপরাধীরা বীরদর্পে বেরিয়ে আসবে। আর আওয়ামী লীগ বলবে- আমরা বিচার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু জনগণ আমাদেরকে ভোট দেয়নি। আমাদের কিছুই করার ছিল না। আমি চাই, আমার ধারণাগুলো ভুল প্রমাণিত হোক। আমি চাই এই দেশে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হোক। এটা জাতিকে দ্বিখন্ডিত করার কোনো বিষয় নয়। এটা হচ্ছে- একজন জঘন্য অপরাধীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রক্রিয়া। পবিত্র রমজান মাস চলছে। জামাত নিজেকে ধর্মীয় আদর্শবান দল বলে দাবি করে। সেই রমজান মাসেই তারা লাগাতার হরতাল দিয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় আদর্শের চেয়ে কতিপয় যুদ্ধাপরাধী দালালÑ আলবদর-রাজাকার-আলশামসই যে তাদের কাছে বড়, সেই প্রমাণই দিচ্ছে দলটি। তা দেশের মানুষের অনুধাবনের ব্যাপার। বলে রাখা দরকার, জামাত যদি সত্যিই নেতানির্ভর না হয়ে আদর্শনির্ভর হতো তবে অনেক আগেই এসব চিহ্নিত রাজাকারদের দল থেকে অবসর দিয়ে কলঙ্কমুক্ত দল গঠন করতে পারতো। তারা সেটা করেনি। কেন করেনি?
আমরা দেখেছি- গোলাম আযমের বিচারের রায় প্রকাশের পর পরই পাকিস্তান জামাতে ইসলামী, পাকিস্তানে গোলাম আযমের পক্ষে বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভ মিছিলের সামনে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল- ‘টু সেভ পাকিস্তান ইন নাইনটিন সেভেনটি ওয়ান ইজ নট ওয়ার ক্রাইম’। এ ছাড়া আরেকটি মিছিলের অগ্রভাগে থাকা ব্যানারে ‘উই কনডেম দ্য নাইনটি ইয়ার সেনটেন্স অব নাইনটি টু ইয়ার্স প্রফেসর গোলাম আযম’ লেখা ছিল। পাকিস্তান এখনো বাংলাদেশে তাদের প্রেতাত্মা চায়। এই মিছিল সেই সাক্ষ্য দিচ্ছে। পাশাপাশি আরেকটি ঘটনা বাংলাদেশের গণমানুষকে কিছুটা স্বস্থি দিয়েছে। আলবদর প্রধান আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির রায় হয়েছে। মুজাহিদ একাত্তরে কী করেছিলেন, তা বাংলাদেশের মানুষ আজো ভুলে যায়নি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদারদের সহযোগিতা, বুদ্ধিজীবী হত্যা ও গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামাতের বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ। তার বিরুদ্ধে একাত্তরে বাঙালি হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্ষণ-নির্যাতন, রাজাকার-আলবদর বাহিনীর নেতৃত্ব দানসহ নানা মানবতাবিরোধী অপকর্ম চালানোর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজাহিদের স্বাধীনতাবিরোধী এসব ভূমিকার কথা বহু দলিলে উল্লেখ রয়েছে। বিশেষ করে এসব যুদ্ধাপরাধের জ্বলন্ত প্রমাণ রয়েছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোপন দলিলে। এসব দলিল বলছে, ১৯৭১ সালে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিহত করতে জামাতের তৎকালীন ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের পূর্ব পাকিস্তান শাখার সভাপতি আলী আহসান মুজাহিদ কুখ্যাত আলবদর বাহিনী গড়ে তোলার নির্দেশ দেন তার দলের নেতাকর্মীদের।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিভাগ ১৯৭১ সালে এখানকার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রদেশ) পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াাহিয়ার সরকারকে মাসে দুবার গোপন প্রতিবেদন পাঠাতো। প্রতিবেদনের অফিসিয়াল শিরোনাম ছিল ‘ফোর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান’ (পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে পাক্ষিক গোপন রিপোর্ট)। এসব গোপন প্রতিবেদনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জামাতের শীর্ষ নেতা ও কর্মীদের মতোই মুজাহিদের ন্যক্কারজনক ভূমিকা বারবার উঠে এসেছে।
তৎকালীন সরকারের গোপন প্রতিবেদনে পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান শাখার সভাপতি আলী আহসান মুজাহিদ কিভাবে তখন পাকিস্তানকে রক্ষার কাজে ব্যস্ত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের শায়েস্তা করতে তৎপর ছিলেন তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। অক্টোবর দ্বিতীয় ভাগের সরকারি এক গোপন প্রতিবেদনে (১৩ নভেম্বর, ১৯৭১ তারিখে স্বরাষ্ট্র সচিব স্বাক্ষরিত) বলা হয়েছে, ১৭ অক্টোবর রংপুরে পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের এক সভায় আলী আহসান মুজাহিদ আলবদর বাহিনী গড়ে তুলতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেছিলেন, ইসলামবিরোধী শক্তি প্রতিহত করতে হবে। এ জন্য যুবকদের সংগঠিত করে আলবদর বাহিনীতে যোগ দেয়ার ওপর তিনি গুরুত্ব দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন এটিএম আজহারুল ইসলাম, যিনি বর্তমানে জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং যুদ্ধাপরাধ মামলায় আটক রয়েছেন। গোপন রিপোর্টে আরো বলা হয়, ৭ নভেম্বর জামাতে ইসলামী ‘আলবদর দিবস’ পালন করে। দলের নেতারা দিবসটি পালনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আলবদর বাহিনীতে জনগণকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা পাকিস্তান চায় না তারা আমাদের শত্রু। পাকিস্তানের অখ-তা রুখতে হবে ও শত্রুদের প্রতিহত করতে হবে। এসব কর্মসূচিতে মুজাহিদের সক্রিয় ভূমিকার উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে।
এসব অনেক তথ্যই এখন মিডিয়ায় আসছে। মুজাহিদের রায় প্রকাশের পর, সন্তেষ প্রকাশ করেছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী সিরাজুদ্দীন হোসেনের ছেলে শাহীন রেজা নূর। শাহীন রেজা নূর মুজাহিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলার অন্যতম সাক্ষী। রায়ে মুজাহিদের বিরুদ্ধে ইত্তেফাকের তৎকালীন নির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে ধরে নিয়ে হত্যার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। সিরাজুদ্দীন হোসেনের বড় ছেলে ও ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক শাহীন রেজা নূর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। ১০ ডিসেম্বর রাতের কথা খুব মনে পড়ছে এখন। আরো মনে পড়ছে আমার মায়ের কথা। উনি এ বিচার দেখে যেতে পারলেন না বলে খুব মনোকষ্টও হচ্ছে।’ শাহীন রেজা নূর বলেন, ‘মুজাহিদ যে বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল এ রায়ের মধ্য দিয়ে তার বিচার হলো। আর এতোদিন মুজাহিদরা যে বলে বেড়াতো একাত্তরে কিছুই হয়নি, সেই অপপ্রচারকারীদের মুখেও চপেটাঘাত হলো।’ বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, এসব রায় নিয়ে কোনো প্রশ্ন না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী। এর কারণ কী? বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানাতে অসুবিধা কোথায়? তারা রাজাকারদের পক্ষ নিতে পারছে না প্রকাশ্যে, আবার তা মানতেও পারছে না। এই হলো বিএনপির আসল চরিত্র।
বাংলাদেশের মানুষ মনে করেন ঘাতকদের বিচারের দ- নির্ধারণে বয়স কোনো ব্যাপার নয়। ফেসবুকে একজন মশকরা করে লিখেছেনÑ ‘ব্যাটা মুজাহিদের উকিল বেকুব! মুজাহিদের বয়স বাড়িয়ে লিখে দিলেই তার দ- একেবারে তরল হয়ে যেতো!’ এই হলো মানুষের প্রতিক্রিয়া। আইনের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটি থেকে শহীদের পাঁজর এখনো নিঃশেষ হয়ে যায়নি। কবর খুঁড়লে খুলি পাওয়া যাবে আরো শত বছর। তাই আমরা সেসব শহীদের সঙ্গে বেইমানি করতে পারি না। আবারো বলি, ঘাতকদের বিচারের ধারাবাহিকতা সম্পন্ন করে তা কার্যকর করা হোক। এটা প্রামাণিত হোকÑ এই দেশ মুক্তিযোদ্ধার। এই দেশ রাজাকারদের তালুক নয়।
-------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ : শনিবার, ২৭ জুলাই ২০১৩
©somewhere in net ltd.