নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবারও তৎপর জঙ্গিবাদী শকুনেরা

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

আবারও তৎপর জঙ্গিবাদী শকুনেরা

ফকির ইলিয়াস

=======================================

বাংলাদেশের অবস্থা অনেকটা ২০০৩-২০০৫ এর মতোই। দেশে কোনো জঙ্গি নেই বলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা! আমাদের সবই মনে আছে। দেশে মৌলবাদী জঙ্গিরা তুফান তুলেছিল। আর বেগম জিয়া ও তার রাজাকার মন্ত্রীদ্বয় নিজামী-মুজাহিদ বলেছিল- দেশে কোনো জঙ্গি নেই। দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই। বাংলাদেশ আবারো কাঁপাতে চাইছে সেই পুরোনো শকুনেরা। খবর বেরিয়েছে, ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পণ্ডের পর প্রতিশোধের নেশায় মরিয়া হয়ে উঠেছে হেফাজতে ইসলামের একাংশ। এজন্য ২৫ অক্টোবরের পর সম্ভাব্য অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগে দেশজুড়ে বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল হেফাজতে ইসলাম।



ইতোমধ্যে হেফাজতের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলামের মাদ্রাসায় বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণের পর এসব পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে হেফাজতের কর্মকা- নিয়ে চলা গোয়েন্দা অনুসন্ধানে পাওয়া এসব তথ্যের বিষয়ে এখন পুরোপুরি নিশ্চিত রাষ্ট্রীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। মুফতি ইজহার ও তার ছেলে মুফতি হারুণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই তৈয়বার কানেকশন, মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ এবং মাদ্রাসায় রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত উঠতি বয়সের ছেলেদের জড়ো করার বিষয় খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় খবর বেরুচ্ছে।



এদিকে বর্তমান সরকারের শেষ সময়ে এসে মরিয়া হয়ে উঠেছে জামাত-শিবির। গত দুই মাসে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে অন্তত ছয়জন ছাত্রলীগ নেতার হাত ও পায়ের রগ কেটেছে শিবির ক্যাডাররা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তুহিনের রগকাটার পর ২৪ আগস্ট সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ছাত্রলীগ কর্মী রুহুল আমিনের পায়ের রগ কেটে দেয় শিবির ক্যাডাররা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা শরিফুল ইসলাম সাদ্দামের পায়ের রগ কেটেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় গোলাম রব্বানী তুফান নামে ছাত্রলীগের সাবেক এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গোটা দেশজুড়ে জঙ্গিবাদ আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এটা সবার জানা এবং বোঝা উচিত বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে মৌলবাদ চাপাতে চাইছে, তাদের জীবনাচার কিন্তু এর বিপরীত। তাদের ছেলেমেয়েরা পড়ছে বিদেশের দামি বিদ্যালয়ে। আর তারা বাংলাদেশে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার নামে চাঁদা তুলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। একই অবস্থা মধ্যপ্রাচ্যের সেইসব দেশগুলোতেও। যারা উপমহাদেশে তথা বাংলাদেশে কলোনিয়াল মৌলবাদ প্রতিষ্ঠার বর্তমান কারিগর। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের আধুনিক মেয়েরাই এখন ‘হিজাব’ ছুড়ে ফেলে দিয়ে সমকালের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পোশাক পরছে। অফিস, আদালত, ব্যাংক-বীমা, দপ্তর চালাচ্ছে। আর সেই হিজাবকে আরোপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বাংলাদেশে।



হেফাজতি হুজুরের ‘তেতুলতত্ত্ব’ শুনে লজ্জা পাচ্ছে এদেশের পশু-পাখিও। তাদের বক্তব্য হচ্ছেÑ নারীরা চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করবে। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে রিপোর্টে বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এই বলে যে, বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের উর্বর ভূমি বলে বিবেচনা করছে একটি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র। ইসলাম ধর্মে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। তারপরও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এসব জঙ্গিবাদের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের একটি ধর্মীয় লেবাস আছে। মূলত বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত এক শ্রেণীর লোক ধর্মের নাম ব্যবহার করে ধর্মীয় চরমপন্থা অবলম্বন করছে। সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের সৃষ্টি করছে। তারা প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও আর্থ-সামাজিক বাস্তবতাকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে হত্যা, নির্যাতন ও আত্মঘাতী বোমা হামলা করছে। নারী শিশুসহ সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই জঙ্গিবাদের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি বিষয় ছিল। মহাজোট সরকার নেপথ্যের নায়ক-নায়িকাদের বিরুদ্ধে জোরালো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা তো বটেই। বাংলাদেশে হরকাত-উল-জিহাদ বাংলাদেশ (হুজি-বি), জামা’আতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), শাহাদার-ই-আল হিকমা (এসএএইচ), হিজবুত তাওহীদ, ইসলামী সমাজ, ওলেমা আনজুমান আল বাইয়্যিনাত, হিযবুত তাহরীর, ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টি, তাওহীদ ট্রাস্ট, তামির-উদ-দীন এবং আল্লাহর দলÑ এরকম অনেকগুলো সংগঠনের নাম আমরা মিডিয়ায় দেখি। এরা মাঝে মাঝেই খোলস পাল্টায়। নতুন নামে মাঠে নামে।



নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দমনে সর্বাগ্রে প্রয়োজন ব্যাপক সামাজিক সচেতনতা ও সামাজিক প্রতিরোধ। পাশাপাশি জঙ্গিবাদী দল, সংগঠন ও ব্যক্তিদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। তাদের আর্থিক ও সাংগঠনিক কাঠামোকে ভেঙে দিতে হবে। অস্ত্র সরবরাহের উৎসগুলো চিহ্নিত করে তা বন্ধ করতে হবে। তাদের সামগ্রিক কার্যক্রমকে শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযোগী করে তুলতে হবে। অদূর অতীতের দিকে তাকালে আমরা দেখবো গত ৩০ আগস্ট ২০১১ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকস প্রায় দেড় লাখ নতুন কেবলের সঙ্গে একটি বার্তা প্রকাশ করেছে। আর বার্তাটি ছিল ‘জামাতে ইসলামী : দ্য টরটয়েজ, নট দ্য হেয়ার’। আর বার্তাটি গত ৩ জানুয়ারি ২০১০ ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নিকোলাস ডিন পাঠিয়েছিলেন। এমন অনেক উদাহরণ দেয়া যাবে। অনেক প্রমাণও আছে এদেশের মানুষের মননে। রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলছে। এ নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনাও নতুন কিছু নয়। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এই প্রবণতা মহামারি আকার ধারণ করে। অভিজ্ঞতার আলোকে ইতিহাসবিদরা বলেন, রাজনীতিতে ধর্মকে টেনে আনার ফল কখনো সুখকর হয়নি। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রকে আলাদা করেই দেখতে হবে। বাংলাদেশের মৌলবাদীরা একথা কখনই আমলে নেয়নি। বরং তারা নানা অপপ্রচার করে দেশের মানুষের উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে চেয়েছে।



বাংলাদেশে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে সামরিক জান্তাদের হাত ধরে। পরাজিত রাজাকার, স্বাধীনতাবিরোধী কিছু মুসলিম লীগের দালালকে পুনর্বাসন করে মূলত রাষ্ট্রের মূলনীতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পেরেক ঠুকেছিলেন জিয়াউর রহমান। স্বাধীন দেশে লুটপাট, সরকারগুলোর ব্যর্থতা, স্বৈরশাসন, সেনাবাহিনীর অন্তর্দ্বন্দ্ব ও তার ফলে ক্যু-পাল্টা ক্যু ঘটে। মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল আবু তাহেরসহ নেতৃস্থানীয় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকা- সংঘটিত হয়। মুক্তিযুদ্ধকে কোনো কোনো মুক্তিযোদ্ধার ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষাকে ম্লান করে দেয়।



সবচেয়ে বেদনাদায়ক কথা হলো, স্বাধীন বাংলাদেশে তারুণ্যের অপচয় ঘটেছে। মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রজন্ম অবহেলা, অভিভাবকত্বহীনতার মধ্যেই গড়ে উঠেছে। নানা নেতিবাচক ঘটনা তারুণ্যের বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীন দেশের নেতৃত্ব তারুণ্যের ভাবনাকে বুঝতে পারেনি, বুঝতে চায়নি। স্পর্ধিত তারুণ্যকে তারা বিকশিত হতে দেয়নি। ব্যর্থ নেতৃত্ব কখনই তারুণ্যের স্পর্ধাকে সহ্য করতে পারে না।



তারুণ্যের উত্থান ছাড়া দেশের অগ্রসরতা সম্ভব নয়। এর প্রমাণ আমরা শাহবাগের গণজাগরণে দেখেছি সর্বশেষ।



তারুণ্য স্বপ্ন দেখে সমাজ পরিবর্তনের। তারা অসম্ভবকে জয় করতে চায়। এটাই তারুণ্যের বৈশিষ্ট্য। স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে যদি স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন হয়, তবে নিশ্চিতভাবেই বলা চলে মুক্তিযুদ্ধোত্তর দেশে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা রক্ষায় যোগ্য-সামর্থ্যবান প্রজন্ম গড়ে তোলার কাজে গুরুত্ব দেননি। তরুণদের রাজনৈতিকভাবে, আদর্শিকভাবে গড়ে তোলা হয়নি। স্বাধীন দেশের তরুণরা সব বাধা পেরিয়ে নিজেদের গড়ে তুলেছে নিজস্ব তাগিদে, নিজস্ব প্রচেষ্টায়, নিজস্ব ঢঙে। যেখানে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যর্থতার শেষ, সেখানেই আমাদের তরুণদের সাফল্যের শুরু। এই যে ব্যর্থতার সারি পেরিয়ে তরুণরা এগোচ্ছে তা আরো উজ্জ্বল হতো যদি এদেশে কেউ কেউ জঙ্গিবাদীদের সরাসরি প্রশয় না দিতো। বাংলাদেশে কট্টরবাদীরা নিজেদের চেহারা অনেক সময়ই ঢেকে রেখেছে। বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরী কিংবা বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আলীম ছিল মূলত এই ধর্মীয় কট্টরবাদেরই প্রতীক। তারা একাত্তরে কী করেছে- তা ক্রমশই জানতে পারছেন দেশের মানুষ। আব্দুল আলীম ৭১ সালে কি অপরাধ করেছিলেন তার কিছু খ-চিত্র আমি এখানে পাঠককে মনে করিয়ে দিতে চাই। একাত্তরের ২০ এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে জয়পুরহাটের রাজাকার বাহিনীর একজন প্রভাবশালী নেতা এবং শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে পাকিস্তানি সেনা সদস্য এবং একদল সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার দমদমা গ্রামের মেহের উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে হামলা চালান আব্দুল আলীম। এরপর বাড়ির সব মালামাল লুট করে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। ওই ঘটনার পর মেহেরউদ্দিন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য হন।



১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজর আফজাল ও শান্তি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে জয়পুরহাট থানার অধীনে হিন্দু অধ্যুষিত কড়ই কাঁদিপুর, চকপাড়া, সোনাপাড়া, পালপাড়া, মুন্সীপাড়ায় আক্রমণ চালান আলীম। এরপর সেখানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের পর অনেককে আটক করেন তারা। পরে কাদিপুর আখের চুল্লির কাছে ৭০ জন, কাদিপুর ডোমপুকুরে ৯০ জন, চকপাড়ার কুড়ালপুরে ২৬ জন ও চকপাড়া কুড়ালপুরের কাছে রাস্তার উত্তর পাশে ৫ জনসহ মোট ৩৭০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৯০ বছর বয়সী কাঞ্চিরা মোহনকে জবাই করে হত্যা করে রাজাকার সদস্যরা। অশ্বিনী কুমার দেবনাথকে জীবন্ত কবর দেয়া হয়।



১৯৭১ সালের ১৮ জুন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে আলীমের দেয়া তালিকা অনুসারে এবং তার নির্দেশে শান্তি কমিটির সদস্য রিয়াজ, মৃধা ও ১১জন পাকিস্তানি সেনা সদস্য পাঁচশ সাধারণ মানুষকে আটক করে জনৈক আফাজের বাড়ির উঠানে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে ২৮ জনকে স্বাধীনতার পক্ষের এবং আওয়ামী লীগের পক্ষের লোক বলে চিহ্নিত করা হয়, বাকিদের ছেড়ে দেয়া হয়। ওই ২৮ জনকে হাত বেঁধে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়ার পর ২২ জনকে হত্যা করা হয়। বাকিরা কোনোক্রমে পালিয়ে যান। এই বেদনাদায়ক তালিকা আরো দীর্ঘ। এরাই এই দেশে মৌলবাদের গুরু। এরাই এই দেশে এখন তথাকথিত তমদ্দুনপন্থী রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক। বিএনপি কি তা অস্বীকার করতে পারবে ?



নির্বাচনকে সামনে রেখে সশস্ত্র জঙ্গিরা মরণকামড় দেবে এটাই স্বাভাবিক। এই অবস্থা মোকাবেলার জন্য সরকারকে সুদৃঢ় থাকতে হবে। যে কোনো প্রতিকূলতা মোকাবেলাই ক্ষমতাসীন সরকারের কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলছেন, রাষ্ট্র সংবিধান অনুযায়ীই চলবে। দেশের মানুষ রক্তাক্ত সহিংসতা চান না। সে কথা মনে রেখেই দেশের মানুষের জানমালের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। সময় এসেছে এই মহাজোট সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতাকে পরিমাপের। কথাটি সত্য। তারচেয়েও কঠিন সত্য দেশ যেন মৌলবাদী-জঙ্গিবাদীদের খপ্পরে আবার না পড়ে। তরুণ প্রজন্মকে এই সময়ে ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালনে সজাগ থাকতে হবে।

----------------------------------------------------------------

দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ : শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৩



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.