![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
প্রয়োজন এখন শাণিত তারুণ্যের ঐক্য
ফকির ইলিয়াস
========================================
ষাট ঘণ্টার হরতাল অতিক্রম করলো বাংলাদেশ। হরতালকারীরা বলছেন- আরো হরতাল আসছে সামনে। সব মিলিয়ে অবস্থা খুবই নাজুক। না- ২৫ অক্টোবর তেমন কিছুই ঘটে যায়নি বাংলাদেশে। বলা হচ্ছে, দেশে কোনো বৈধ সরকার নেই। কেন নেই। মহাজোট ক্ষমতায় এসেছিল ৫ বছরের জন্য। তাদের সময় তো এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তারপরও একটি কালোশক্তিকে উসকে দেয়া হচ্ছে কেন?
ষাট ঘণ্টার হরতালে কারা নেতৃত্ব দিয়েছে, তা দেশের মানুষ দেখেছেন। এরা খুবই চেনাজানা লোক। এরা মহাজোটের নেতাদের বাড়িতেও আক্রমণ করেছে। আক্রান্ত হয়েছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষী, প্রসিকিউটার। দেশের বরেণ্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, রাজনীতিকরা বোমা হামলার শিকার হয়েছেন। এটা বাংলার মানুষ একাত্তরেও দেখেছিল। আবার ২০১৩-তে দেখলো। এই পরাজিত রাজাকার শক্তিই রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে চায়। আর এদেরকে ম“ দিচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী একটি চক্র। এদেরই একজন ফরহাদ মজহার। এই লোকটি গণমাধ্যমগুলোর বিপক্ষে কথা বলেছেন, মৌলবাদী কিছু মিডিয়ার পক্ষ নিয়ে। তিনি বলেছেন, “আপনি তো (গণমাধ্যম) প্রথমে সন্ত্রাস শুরু করেছেন। পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে, আমি অনেকগুলো গণমাধ্যমকে ফোন করে বলেছি- আপনারা সন্ত্রাসী। দেশের এই পরিস্থিতির জন্য আপনারাই দায়ী।”
বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরের সামনে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা টেনে এনে তিনি বলেন, “আমি তো মনে করি পটকা ফোটানো খুবই কম হয়েছে, আরো বেশি হওয়া উচিত ছিল। অন্য যে কোনো দেশে এ ধরনের পরিস্থিতিতে আরো বেশি হয়। আর এটার পক্ষে একটা জনমত কাজ করে।” তার এই বক্তব্যের পর তাকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
দেশের দুই প্রধান নেত্রী ইতোমধ্যে ফোনে কথা বলেছেন। তা এখন দেশের আলোচিত বিষয়। এদিকে খবর বেরিয়েছে, আন্দোলন ও আলোচনা একসঙ্গে চালিয়ে নিয়ে সরকারকে চাপে রেখে দাবি আদায়ের কৌশলে এগোচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। এ লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে সামনের দিনগুলোতে ধারাবাহিক কর্মসূচি দিয়েছে তারা। ১৮ দলের অন্য শরিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সরকারের বাকিটা সময় রাজপথেই থাকবে বিএনপি। আর প্রয়োজনমাফিক আন্দোলন কর্মসূচিগুলো কঠোর থেকে কঠোরতর হবেÑ এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
এ ধারাবাহিকতায় আগামী ৪ থেকে ৬ নভেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশের রাজপথ, রেলপথ ও নৌ-পথ অবরোধ ও ৭ নভেম্বর গণসংহতি দিবস পালনের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
এছাড়া ৭ নভেম্বরের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাসভবন ও সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকার যদি এর মধ্যে দাবি মেনে না নেয় তাহলে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে অসহযোগ আন্দোলন। একই সঙ্গে সারা দেশের মানুষকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানাবেন খালেদা জিয়া। এদিকে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সরকার নির্বাচনের দিকেই এগুচ্ছে একতরফাভাবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ গেলো মঙ্গলবার বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের তারিখ ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে সিইসি বলেন, কমিশন বৈঠকে আমরা এই নিয়ে বসবো। আচরণবিধি চূড়ান্ত হয়ে গেলে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারবো। আশা করছি শিগগিরই আচরণবিধির খসড়া চূড়ান্ত করতে পারবো। রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে নির্বাচনকালীন প্রশাসনে বদলি হবে না। আমরা প্রয়োজন মনে করলে বদলি করতে পারি। তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনে খোঁজখবর রাখছি, বিতর্কিত কর্মকর্তাদের বিষয়টি দেখবো। ডিসি-এসপিসহ প্রশাসনে রদবদল করতে হবে এরকম কোনো কথা নেই। নির্বাচনকালীন বদলি করার ধারাবাহিক নিয়ম রয়েছে। তবে পূর্বে যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল সেটা ভিন্ন কথা এখন সেই রকম অবস্থা নেই। সরকার তার রুটিন দায়িত্ব পালন করছে। কথা হচ্ছে, নির্বাচন যে সুষ্ঠুভাবে করতে দেয়া হবে না, তা তো আওয়ামী লীগও জানে। ঐ সময়ে লাগাতার হরতাল দিয়ে বসলে তারা কী করবে? একটা কথা কারো অজানা নয়, এই সুযোগে বেশ কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী তাদের মনের মতো করে আগ্রাসী কর্মকা- চালাবার চেষ্টা চালাতে পারে। দেশকে চরম নৈরাজ্যে পরিণত করা হতে পারে। এ থেকে মুক্তির উপায় কীÑ তা এই তরুণ প্রজন্মকে ভাবতে হবে।
নির্বাচনী কাজে অংশ নিতে দেশে ফিরেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। জয় প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “বিএনপি সংলাপে আসতে চায় না বলেই নানা রকম ছুতা দেখিয়ে যাচ্ছে। তারা সংলাপে আসবে এমন আশা করলেও কোনো লক্ষণ তো দেখছি না।” হরতালে বোমা হামলার মাধ্যমে বিরোধী দলের ‘আসল চেহারা’ দেখা গেছে বলেও দাবি করেন জয়। তিনি বলেন, “যেভাবে বিচারপতি-সংবাদ মাধ্যম-পুলিশের ওপর বোমা হামলা করা হয়েছে সেটা ভয়ঙ্কর।”
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি থাইল্যান্ডের সমান হবে দাবি করে তিনি বলেন, “এর মধ্যেই আমরা নেক্সট মালয়েশিয়া হওয়ার পথে চলে এসেছি।” সন্দেহ নেই দেশ এখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই কঠিন প্রয়োজনে কিছু কাণ্ডারি দরকার। এই কা-ারি দেশের তরুণ প্রজন্ম। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে মহাজোটকে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছিল। দেশকে বাঁচাতে হবে। রক্ষা করতে হবে অজগরদের হাত থেকে। এরা মুখে “প্রতিহিংসার রাজনীতি” করে না- করবে না বললেও ষাট ঘণ্টার হরতালের সময় কী করেছে- তা দেশবাসী দেখেছেন। এদের চরিত্র যেমন ছিল, তেমনই আছে। তাই এদের খপ্পর থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। আর এজন্য শাণিত তারুণ্যের ঐক্য ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই।
----------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ // ঢাকা // : শনিবার, ২ নভেম্বর ২০১৩
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪
মাইবম সাধন বলেছেন: ভালো লেগেছে..।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৯
টিভি পাগলা বলেছেন: আপনার লিখা যে মানুষজন পড়ে না, সেটা কি আপনি বুঝেন না?