নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসপাতালে, শহীদ কাদরীর পাশে

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

হাসপাতালে, শহীদ কাদরীর পাশে

=======================================

ডাঃ আবু জাফর ওসমান। ঢাকায় একসময় কবি শহীদ কাদরীর দরবারে আড্ডা দিতেন নিয়মিত। সেটা ১৯৭৩ সাল।এরপর সেই ডাক্তার পাড়ি জমান আমেরিকায়। পড়াশোনা, তারপর আমেরিকায়ই ডাক্তারী পেশায় নিয়োজিত হন। ষ্টনি ব্রোক ইউনিভার্সিটিতে এখন ডাক্তারী পড়ান। ভিজিটিং চিকিৎসক হিসেবে আসেন নিউইয়র্কের প্রখ্যাত লং আইল্যান্ড জুইশ হাসপাতালের নর্থ শোর ক্যাম্পাসেও।

তেমনি প্রফেশনাল কাজে ১০ নভেম্বর ২০১৩ রোববারও আসেন নর্থ শোর ক্যাম্পাসে।

রোগীদের নামের তালিকা পর্যবেক্ষণ করছিলেন। দেখেন একটি নাম- শহীদ কাদরী।

ভাবেন, শহীদ কাদরী তো একজনই। আমাদের কাদরী ভাই ! এই কি সেই মানুষ !!

এ্যাপ্রন পরে ঢুকে পড়েন শহীদ কাদরীর রুমে।

আরে কাদরী ভাই ! আপনি !!!!!!

তারপর অনেক কথা ।

*************************************

শহীদ কাদরী অসুস্থ। ডায়ালসিস করার জন্য গাড়ীতে যাবার পথে ঘটে দুর্ঘটনা।

কৃষ্ণাঙ্গ ড্রাইভারের গাফিলতির কারণে তিনি হুইল চেয়ার থেকে হুমড়ি খেয়ে পড়েন

গাড়ির ভে‌তরেই। বা পায়ে প্রচন্ড আঘাত পান। ভেতরে হাড় ফেটে গেছে।

এখন প্লাস্টার লাগানো।ব্যথা ছিল খুব । এখন কমছে ক্রমশঃ। সেটা প্রায় তিন সপ্তাহ

আগের ঘটনা।

**************************************

১০ নভেম্বর ২০১৩ রোববার সন্ধ্যা সাতটায় নীরা কাদরীর সাথে আমি ও ফারহানা

ইলিয়াস তুলি যখন হাসপাতালে পৌঁছলাম, তখন শহীদ কাদরী শুয়ে আছেন শাদা ধবধবে বিছানায়। কথা শুরু করলাম তাঁর সাথে। সাহিত্য-রাজনীতি-স্বদেশ-পরবাস কিছুই বাদ গেল না কথাপর্বে।

কিছুক্ষণ পরই আবার এলেন ডাঃ আবু জাফর ওসমান। তাঁর সাথে আমার এই প্রথম

দেখা। জানালেন শহীদ ভাইয়ের সাথে তার সেই ছাত্রজীবনের আড্ডার কথা।

বললেন, দীর্ঘদিন পর শহীদ ভাইয়ের সেবা করতে পেরে তিনি আনন্দিত।

আনন্দে আর গর্বে আমার বুকটা ভরে উঠলো। এই পরবাসেও আমাদের ডাক্তার !

আমাদের স্বজন সেবা করছেন কবি শহীদ কাদরীকে।

বারবার বেজে উঠছে ডাঃ ওসমানের বীপার। যেতে হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর আবার আসছেন শহীদ কাদরীর শিয়রে।

আমরা বসলাম প্রায় তিন ঘন্টা। শহীদ ভাই ডিনার খেলেন। সিলেটের সাতকরা তাঁর

খুব প্রিয়। সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস আর সাদা ভাত। খুব কমই খেলেন কবি।

বললেন- 'মুখে মোটেই রুচি নেই- ইলিয়াস'।

আমরা চলে এলাম। শহীদ ভাই এখন ঘুমোবেন। অনেক ঔষধ খেতে হয় তাঁকে।

এই রিহ্যাব সেন্টারে তাঁকে থাকতে হবে আরও ছয় সপ্তাহ।

তিনি যথাশীঘ্র বাড়ীতে ফিরে আসবেন। আমরা আবারও জমাবো তাঁকে ঘিরে আমাদের

' একটি কবিতা সন্ধ্যা '।

মহান আল্লাহ আপনাকে শীঘ্র সুস্থ করে তুলুন। এই কামনা আমাদের সকলের, প্রিয় কবি।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

আসফি আজাদ বলেছেন: ওনার সুস্থ্যতা কামনা করছি।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

আমিনুর রহমান বলেছেন:




প্রিয় কবি'র সুস্থতা কামনা করছি।

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: কবি'র সুস্থতা কামনা করছি।

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন, আমীন।

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১

এহসান সাবির বলেছেন: মহান আল্লাহ কবিকে শীঘ্র সুস্থ করে তুলুন। এই কামনা আমাদের সকলের।

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০১

আফসিন তৃষা বলেছেন: ইদানীং খুব শহীদ কাদরীর কবিতা পড়ছি। উনি অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। দোয়া করছি তাঁর জন্য।

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:১৩

প্রিন্স মাহমু দ বলেছেন: এই মানুষটার কবিতা আমি ভয়ঙ্কর পছন্দ করি । কবি'র সুস্থতা কামনা করছি।

৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৫২

উপপাদ্য বলেছেন: প্রিয় কবি'র সুস্থতা কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.