![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
হরতালের আগুন, পরাজিত খলনায়কেরা
ফকির ইলিয়াস
=======================================
এরা পরাজিত খলনায়ক। রাজনীতিতে এরা উচ্ছিষ্ট। তা না হলে এভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলে পড়তো না। এভাবে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারতো না। হরতাল দেয়া যেমন গণতান্ত্রিক অধিকার, রাস্তয় গাড়ি কিংবা রিকশা চালানোও গণতান্ত্রিক অধিকার। আমি এই দেশে থাকি। আমি এই দেশের নাগরিক। আমি রাস্তায় বেরিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে পারবো না কেন? কেন আমার পথরোধ করবে কতিপয় পিকেটার সন্ত্রাসী? হরতালের নামে বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তা খুবই অমানবিক। এর নেপথ্য নায়ক-নায়িকারা খুবই হীনমন্য। তা না হলে তারা গুলশান-বনানীতে আরামে ঘুমিয়ে, দাবা খেলে সময় কাটাবেন। আর সাধারণ মানুষকে নামাবেন রাস্তায়? এটা কোন রাজনৈতিক পাঠ?
চারদিকে হঠাৎ আগুন। শুরু হয় ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে পেছনে থাকা যাত্রীদের আর্তচিৎকার। চালক দ্রুত গাড়ি থামান। এরই মধ্যে গাড়ির অনেকটা অংশ আগুন গ্রাস করে ফেলেছে। হুড়াহুড়ি করে অনেক যাত্রী নামতে পারলেও আগুনে দগ্ধ হন ১০ যাত্রী। দগ্ধ এসব যাত্রীর কান্না-আহাজারিতে ছুটে আসে আশপাশের মানুষ। কারো কারো শরীরের অনেক স্থানে চামড়া ঝলসে উঠে গেছে। অসহনীয় যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন দগ্ধরা। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গান পাউডার দিয়ে বাসটিতে আগুন জ্বালিয়েছে হরতাল সমর্থকরা। এ বর্বরোচিত ঘটনা ছাড়াও বিএনপি নেতৃত্বধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা চার দিনের হরতালের তৃতীয় দিনে গেলো মঙ্গলবার হরতালের সমর্থনে রাজধানীজুড়ে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা চালিয়েছে হরতাল সমর্থকরা। এতে ককটেল বিস্ফোরণ, ঝটিকা মছিল ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর মাঝেও রাস্তায় যান চলাচল ছিল অন্য হরতালের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি। পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে দশজনকে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদ- দেয়া হয়েছে একজনের।
পত্রপত্রিকায় যে রিপোর্ট বেরিয়েছে তা খুবই মর্মান্তিক। এমন দৃশ্য দেখতে চাইবে না কোনো মানুষ। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন গৃহবধূ শিল্পী বেগম। কারণ তার রাজমিস্ত্রি স্বামী আবুল কালাম আজাদ আগুনে গুরুতর দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। কি হবে তার স্বামীর। তাদের জীবন সংসার কিভাবে চলবে তা নিয়ে দিশেহারা শিল্পী। একই বাসে দগ্ধ ইডেনছাত্রী রাবেয়ার বড় ভাই দৈনিক ডেইলি স্টারের সাংবাদিক রেফায়েত উল্লাহ মৃধা বলেন, জেবুন্নেছা হল থেকে বেরিয়ে ডেমরাগামী বাসে উঠে সানারপাড়ের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন রাবেয়া। রাবেয়া প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার তার যোগদানের দিন। এখন কী হবে তা বুঝতে পারছি না। একই সময়ে বার্ন ইউনিটের নিচতলায় দেয়ালের সঙ্গে মাথা ঠেকিয়ে গগনবিদারী কান্না-আর্তনাদ করছিলেন মাফিয়া বেগম নামে এক বৃদ্ধ মা। কারণ তার বড় সন্তান ভ্রাম্যমাণ ফুল বিক্রেতা আবদুর রহিম একই আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। রহিম তার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার রোজগারেই চলে সংসারের খরচ ও ভাইবোনদের লেখাপড়া। রহিমের এ অবস্থায় তার গোটা পরিবারের স্বপ্ন-আশা নিভে যেতে বসেছে। এভাবেই হরতালের নামে প্রতিনিয়ত সহিংস আগুনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা দামের গাড়ি। সেই আগুনে পুড়ে অঙ্গার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ সহিংস আগুনের শিকার হয়ে গত সপ্তাহে অকালে প্রাণ হারাতে হয়েছে স্কুলছাত্র মনির ও অটোরিকশার যাত্রী মুকুলকে। এখনো দগ্ধ ক্ষত শরীর নিয়ে হাসপাতালে অন্তত অর্ধশত নিরীহ গরিব মানুষ অসহনীয় যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তবু থামছে না এ তা-ব। গেলো মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আগুনে দগ্ধদের দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বললেন, ‘যারা মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে তারা মানুষের জাত নয়। সরকারের কর্মকা- খারাপ লাগতে পারে তাই বলে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে হবে? মানুষ মেরে এ কোন ধরনের রাজনীতি?’
প্রধানমন্ত্রীপুত্র বলেন- রাজনৈতিক দলতো দূরের কথা, বিএনপি মানুষের জাতই না। এটা একটা সন্ত্রাসী সংগঠন। আমার তো এখন বিএনপির প্রতি ঘৃণা হচ্ছে। জয় বলেন, বিএনপি হরতাল ঘোষণা করে আগুন দিয়ে ৮ বছরের শিশু সুমিকে পুড়িয়ে মেরেছে। আমারও ৭ বছরের একটি মেয়ে আছে। একজন বাবা হিসেবে এটা আমি কল্পনা করতে পারি না। এদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। এছাড়া আমার আর কিছু বলার নেই। সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কিনা এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ নয়। যারা হরতালে সহিংসতা সৃষ্টির করতে বোমা, ককটেল, গুলি ও আগুন দেয়ার সরঞ্জামের জোগান দেয়ার জন্য কাজ করছে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরো গ্রেপ্তার করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হকও এসব নিরীহ দগ্ধ মানুষকে দেখে মন্তব্য করেছেন, নরপিশাচ ছাড়া কোনো মানুষের পক্ষে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো অসম্ভব। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আবারো স্মরণ করেছেন সেই একাত্তরের কথা। বলেছেনÑ আর সংঘর্ষ নয়, দিলে একটু রহম আনুন। বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি এ আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। খালেদার উদ্দেশে তিনি বলেন, পোড়া রোগীদের হাসপাতালে আসার সুযোগ করে দিন। আসুন সংঘর্ষের রাজনীতি ছেড়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসন করি। গেলো মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ইনু বলেন, ৮৪ ঘণ্টার হরতালে বিরোধীদলীয় নেতার সন্ত্রাসী বাহিনী আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। এটা কোনো আন্দোলন বা রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। এটা খালেদা জিয়ার সন্ত্রাসী তা-বের তত্ত্ব। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা দেখেছি রাজাকার-আলবদররা একই ব্যবস্থা নিয়েছিল। তারা তখন নির্যাতন, হত্যা, খুন, ধর্ষণের তত্ত্ব নিয়েছিল। আজ আবার তাদের প্রেতাত্মারা বিরোধীদলীয় নেতার ছাতার তলে বসে এগুলো করছে। দেশ কি এভাবে পুড়ে যাবে? এভাবে পুড়বে মানুষ?
সহিংসতায় গত ৩ সপ্তাহে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫ জন। যাদের অধিকাংশই মারা গেছেন বোমা ও আগুনে পুড়ে। সংঘাত ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে জেলা থানা পর্যায়েও। সংশ্লিষ্টরা বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মারমুখী অবস্থান মোকাবেলায় বোমার বিকল্প নেই। হরতাল সফলে ভয়ভীতি আতঙ্ক সৃষ্টি করতে বোমাই তাদের ভরসা। আর এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে গান পাউডার ও পেট্রল বোমা। চোখের পলকেই পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে গাড়ি। প্রতিদিন পুড়ে মরছে মানুষ। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে যন্ত্রণায় ছটফট করছে অনেকেই। এদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ। পেটের টানে বাসাবাড়ি থেকে বের হয়ে সহিংসতার শিকার হয়েছে।
প্রবীণ কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সিএম শফি সামি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, গান পাউডার ও পেট্রল ছুড়ে আগুন দিনে মানুষ পুড়িয়ে মারা অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। আমরা হিংস্র জাতি হয়ে গেছি এটা বিশ্বাস করতে পারি না। আমাদের মধ্যে কোনো মানবতা বোধ আছে বলে মনে হয় না। তিনি বলেন, আমরা মানুষের পর্যায়ে রয়েছি বলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। এমন জঘন্য কর্মকা-ের কেউ আপত্তিও করে না। যাদের নির্দেশে এসব হচ্ছে তাদের ভাবা উচিত, তোমার ছেলে পুড়ে মারা গেলে কেমন লাগবে। রাজনীতিকদের দেশপ্রেম সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, মানবিক মূল্যবোধ নির্বাসনে পাঠিয়ে জঘন্য খেলায় আমরা মেতে উঠেছি। সাবেক এই পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দেশ আজ মহাসংকটের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যাপারে এর চেয়েও বহুগুণ কঠিন সমস্যার সমাধান হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে। আমাদের যে সমস্যা এটা বিরাট কিছু নয়। আমাদের রাজনীতিকরা কেন এটা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারছেন না তা বোধগম্য হয় না।
এই যে কোনো নিয়মনীতিই মানছে না- এরা কারা? এরা কি আদৌ বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছিল। যাদের পিতৃপুরুষেরা এখনো বলে- ‘পাকিস্তনই ভালো ছিল’ তাদের কাছ থেকে আর কি-ই বা আশা করা যায়? দেশের ভেতরে গড়ে উঠেছে হাতবোমা তৈরির কারখানা। হরতালকে কেন্দ্র করে বাসাবাড়িগুলোতে মজুদ করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। নগরীর কাঁঠালবাগান, লালবাগ, তিন নেতার মাজার ও আদাবর থেকে প্রায় ৪০০ বোমা ও বোমা তৈরির বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বিস্ফোরক মজুদের সঙ্গে শিবির ক্যাডাররা জড়িত বলে অভিযোগে রয়েছে।
গেলো সোমবার সকাল ৯টায় রাজধানীর লালবাগ থানাধীন আজিমপুর ১৫২/১, নিউপল্টন লাইন ইরাকি মাঠের কাছে একটি টিনশেড বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৬৭টি তাজা বোমা। এখানেও পাওয়া যায় শতাধিক বোমা তৈরির সরঞ্জাম। লালবাগ থানার ওসি নুরুল মুত্তাকিন জানিয়েছেন, বাড়ির মালিক গুলজার মিয়া প্রবাসী। বাড়িটি মূলত দারোয়ান কামাল হোসেন দেখভাল করেন। গত এপ্রিলে ওই কক্ষটি মাসিক আড়াই হাজার টাকায় ভাড়া নেয় কয়েকজন যুবক। পুলিশ বলেছে, বোমাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই মজুদকৃত অবস্থায় ছিল। অনেকদিনের মজুদ করা ছিল। বোমাগুলো সুদক্ষ হাতের তৈরি। অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের প্রধান ছানোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত বোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হয়েছে। উদ্ধারকৃত বোমাগুলো প্রশিক্ষিত হাতের তৈরি। এছাড়া বাড়ি থেকে অন্তত শতাধিক বোমা তৈরির কাঁচামাল উদ্ধার হয়েছে। কাঁচামালগুলো খুবই উন্নতমানের। ধারণা করা হচ্ছে, এসব ভালো কাঁচামাল দিয়ে শক্তিশালী বোমা তৈরির পরিকল্পনা ছিল। দেশে এই যে তা-বনৃত্য চলছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত। যারা তা করছেÑ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের জনসভায় বিরোধীদলীয় নেতার সমালোচনা করে বলেছেন, ‘মুসলমান হয়ে কিভাবে আরেক মুসলমানকে পুড়িয়ে মারতে পারে। এসব হত্যার দায় তাকেই নিতে হবে। কোনো না কোনো দিন এ হত্যার বিচারও আমরা করবো।’
এই বিচার এখনই শুরু করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আরো বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে। যারা এমন সহিংস জ্বালাও পোড়াও করবে তাদের দ- আরো বাড়াতে হবে। এসব কাজ কোনো সভ্য সমাজ মেনে নিতে পারে না।
আমরা এটা খুব ভালো করেই জানি, পরাজিত ঐ আলবদর-রাজাকার ও ডানপন্থী মৌলবাদীরা মানুষকে বাধা না দিলে এদেশে কেউই হরতাল মানবে না। জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবে চলবে। তাই তারা পরিকল্পিতভাবে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে। খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবেন না। তিনি আন্দোলন করবেন। কারণ ক্ষমতা তার চাই। তার দুইপুত্রকে দেশে আনতে হবে। এর জন্য মসনদের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কথা হচ্ছে, অন্য মানুষের পুত্র-কন্যাকে কেন তার চেলাচামুন্ডারা হত্যা করবে আগুনে পুড়িয়ে? আবারো বলি, এরা ইতিহাসের পরাজিত খলনায়ক। গণতন্ত্রের নামে তারা যা করছে, তা আমাদের আফগানিস্তন, পাকিস্তনের কথা মনে করিয়ে দেয়। না, আমরা এমন জালেমদের হাতে বন্দী হতে পারি না। দেশে আইন আছে। আইনের আওতায় এদের বিচার করা হোক, মানুষ সেটাই চাইছেন।
-------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ // ঢাকা // : শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০১৩
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
মোঃমোজাম হক বলেছেন: লিগ কানারা এভাবেই কথা বলে।
৯৬ সালে হয়তো নাবালক ছিলেন,কিন্তু ২০০৬ থেকে ২০০৮ সালে অব্যশ্যই সাবালক হয়েছেন।সেই সময়কালের হরতাল অবরোধ, বংগভবন ঘেড়াও লগি বৈঠা দিয়ে রাজপথে সাপের মতো মানুষ হত্যা আপনার পেয়ারে আওয়ামীলিগই করেছিল।তাকে কি বলবেন?
জবাব পাবো নাকি মন্তব্য ডিলিট করে মূখ লুকাবেন?