নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

কী হচ্ছে, কী হতে পারে?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২৯

কী হচ্ছে, কী হতে পারে?

ফকির ইলিয়াস


===========================================

চলে গেলো ২০১৩ সাল। নতুন বছর এলো নতুন বারতা নিয়ে। কেমন হবে ২০১৪ সাল। কেমন হবে বাংলাদেশের রাজনীতি। অনেক কথা। দেশ একটি নতুন রাজনৈতিক মোড় নিয়ে এগিয়ে যাবে। কি সেই মোড়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন আসছে। সেটা হচ্ছে ২৪ জানুয়ারি ২০১৪-এর পর বদলে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল। জাতীয় পার্টির কেউ বিরোধীদলীয় নেতা হচ্ছেনÑ এটা প্রায় নিশ্চিত। কে আসছেন ঐ পদে? হু মু এরশাদ, নাকি বেগম রওশন এরশাদ? এটাই এখন দেখার বিষয়। এরশাদ কি নির্বাচন করছেন? তিনি এখন হাসপাতালে। কিন্তু তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে। নির্বাচনের আগে ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতের পর প্রায় ৫ কোটি মানুষ ভোটদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারের দাবি নির্বাচন ফেয়ার এন্ড ফ্রি হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের লোকজন প্রচার করছেন নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট হু মু এরশাদকে কেন আটক করা হয়েছে সে খবর কি নির্বাচন কমিশন নিয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। নির্বাচনে অংশ নেয়া দ্বিতীয় বৃহৎ দলের প্রধানকে আটক রাখা কী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের নমুনা কী নাÑ সেটাও বিবেচনার বিষয়।

তফসিল ঘোষণার পর ৫ জানুয়ারির ভোটে অংশ নেয়ার জন্য ২ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু এর পরদিনই এরশাদ এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন বিরোধী দল বিএনপিসহ সব দল না আসায় এবং ‘পরিবেশ না থাকায়’ জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দেন। এরশাদ কোনো প্রার্থীকে লাঙ্গল প্রতীক না দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেন। তারপরও নির্বাচন কমিশন লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন। এখানে সবকিছুই হয়েছে বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে সরকারের বোঝাপড়ার পর। অনেক কিছুই এখন চাপা পড়ে গেছে। এরশাদের দলের মন্ত্রীরা কাজ করছেন কিনা, তারা কোথায় আছেন, কেমন আছেন, অনেক কিছুই এখন মানুষের অজানা। এরশাদের পক্ষেও প্রচারণা চলছে রংপুরে। এরশাদের নির্দেশেই, রওশন এরশাদের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জাতীয় পার্টি। এ কথা জানিয়েছেন, দলটির দপ্তর সম্পাদক তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরাসহ দলটির ৬৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে আছেন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো এরশাদের পক্ষেও রংপুরে চলছে প্রচার। এবারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মোট ২৯৯ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর অনেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে ২১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবার অপেক্ষায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ না পাওয়ায় আরো ৪৩ জন কিছুটা ক্ষুব্ধ হলেও এখন তারা পুরোদমে আছেন নির্বাচনের মাঠে, নিজ নিজ এলাকায় চালাচ্ছেন গণসংযোগ। এরশাদের নির্দেশেই রওশন এরশাদ পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি তদারকি করছেন বলে জানিয়েছেন তাজুল ইসলাম চৌধুরী। এরশাদের নামেও রংপুরে প্রচারণা চলছে জানিয়ে জাতীয় পার্টির এই নেতা। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাওয়া আরেক প্রার্থী লিয়াকত হোসেন, বলেছেন একই কথা। জাতীয় পার্টিতে যে সব নাটকীয়তা হচ্ছে তা এরশাদ এবং রওশন এরশাদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতেই হচ্ছে- তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে এই ধারণা ক্রমেই প্রবল হচ্ছে। তবে এই নাটকের শেষ অঙ্ক ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরই মঞ্চস্থ হবেÑ এমনটাও বলছেন তারা।

অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ডাক দেয়া ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ পুরোটাই ফ্লপ করেছে। এখন ডাক দেয়া হয়েছে লাগাতর অবরোধ। খালেদা জিয়া পারলে বাংলাদেশের নামই বদলে দেবেন। এই কথাটিই এখন বলছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেক দায়িত্বশীল নেতা। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও গোপালগঞ্জের নাম ধরে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা রাজনীতিকদের জন্য লজ্জাজনক। প্রকৃতপক্ষে গোপালগঞ্জ নয়, তিনি সুযোগ পেলে বাংলাদেশের নামই বদলে দেবেন। গোপালগঞ্জের নাম পাল্টে দেয়ার যে উদ্ভট বক্তব্য দিয়েছেন খালেদা জিয়াÑ তাতে ফুঁসে উঠছেন দেশ-বিদেশের মানুষ। কারণ একটা এলাকা নিয়ে খালেদা জিয়া এমন কটাক্ষ কোনোমতেই করতে পারেন না। এমন ভাষায় কথা বলা উচিত ছিল না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর।

ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিডিআর হত্যাকা-ে বিরোধীদলীয় নেতা ও তার দলের নেতাকর্মীরা প্রকৃতপক্ষে জড়িত। তিনি বেলা ১২টার আগে ঘুম থেকে ওঠেন না। বিডিআর হত্যাকা-ের দিন সকাল ৮টায় তিনি বাসভবন ত্যাগ করে কোথায় গেলেন? তিনি জানতেন এমন ঘটনা ঘটবে, যে কারণে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে গেছেন। এ হত্যাকা-ের বিচার হয়েছে। যারা তদন্ত করেছেন তাদের উদ্দেশ আমি বলবো, যারা কলকাঠি নেড়েছেন তাদেরও বিচার হওয়া উচিত।

বাংলাদেশের এই পরিস্থিতে গভীর উদ্বেগ দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশের চলমান সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ বের করাই রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জরুরি বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেড় ঘণ্টা বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা লিখিত বক্তব্যে এই প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর গেলো মঙ্গলবার মার্কিন রাষ্টদূত যান খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়িতে। মঙ্গলবার বিরোধীদলীয় নেতার বাসভবনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিছুটা শিথিল করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি কিছুটা কমানো হয়েছে। সরিয়ে নেয়া হয়েছে র‌্যাব সদস্যদের। লিখিত বিবৃতিতে ড্যান মজিনা বলেছেন, ‘আমি ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি।’ বাংলাদেশের জন্য ব্যবসাক্ষেত্রে ২০১৪ সাল কেমন যাবে? এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

খবর বেরিয়েছে, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর হিসাবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে গত এক বছরে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে বিরূপ প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানেও। টানা হরতাল-অবরোধে অর্থনীতির বিভিন্ন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বেড়েছে বেকারত্ব। বিশেষ করে গত অক্টোবর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রকট হওয়ায় এ সময়ে নতুন কর্মসংস্থান তো হয়ইনি, বরং চাকরিচ্যুত হয়েছেন বিপুলসংখ্যক শ্রমিক। জানা গেছে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামার প্রেক্ষিতে সেবা ও শিল্পের বিভিন্ন খাতে ১০ লাখেরও বেশি শ্রমিক এরই মধ্যে বেকার হয়ে পড়েছেন। নানা জটিলতার কারণে খেলাপি ঋণের বোঝা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। বছরজুড়েই নানা সমস্যার কারণে বেশির ভাগ ব্যবসা সংকুচিত করেছেন উদ্যোক্তারা। অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। ক্যালেন্ডারের পাতা খুললেই দেখা যাবে এ বছরই রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১ হাজার ১৩৪ জন। ২০ দিন ধরে চলা উদ্ধার কাজে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে ২ হাজার ৪৩৮ জন। এখনো নিখোঁজ আছেন ২শর বেশি শ্রমিক। এসব একটি দেশের জন্য ভয়াবহ খবর। একটি দেশ তো এভাবে চলতে পারে না।

রাজনৈতিক অস্থিরতায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এতে লোকসানে পড়েছে পরিবহন খাত। গত এক বছরে এ খাতে দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি। পরিবহন বন্ধ থাকায় দেশের ৬০০ সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ ছিল। এতে বছরের শুরুতে তেমন প্রভাব না পড়লেও গত এক মাসে টানা অবরোধে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ বছরই বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ২০টি পাটকল। লোকসানের কারণে বন্ধ হয়েছে ৩০ শতাংশের বেশি পোল্ট্রি খামার। পোল্ট্রি খাতে বছরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। একইভাবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে মজুদ নিয়ে বিপাকে ট্যানারি মালিকরা। এ খাতে বছরে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে অপদ্রব্যের ব্যবহার রোধে সক্ষমতা অর্জন করলেও শেষ সময়ে বড়দিনের বাজার ধরতে পারেনি। এতে বছরের শেষ ভাগে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪ শতাংশ রপ্তানি কমেছে। আবাসন খাতের ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এ খাতের বড় বেচাকেনার আসর রিহ্যাব ফেয়ার এবার হচ্ছে না। এতে ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছে রিহ্যাব। প্লাস্টিক শিল্পে বছরের শেষ ছয় মাসে অস্থিরতার কারণে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি কমেছে ৬ শতাংশ। একইভাবে পেট্রোলিয়াম বাইপ্রডাক্ট ৪৫ শতাংশ এবং প্রসাধনী ৫৭ শতাংশ রপ্তানি কমেছে। এছাড়া সিরামিকস, আয়রন-স্টিল, রাবার, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের মজুদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের পর্যটন শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। ভরা এ মৌসুমে দেশের প্রধান পর্যটন স্পট কক্সবাজারসহ সারা দেশ পর্যটনশূন্য হয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এ শিল্পের সঙ্গে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখের বেশি লোক জড়িত। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের দাবি, লোকসান এড়াতে গত তিন মাসে এ খাতে ৩০ শতাংশ জনবল ছাঁটাই করা হয়েছে। ব্যবসায় ধস নামায় কক্সবাজারের চার শতাধিক হোটেলের মধ্যে ১০০টি ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। গার্মেন্টস শিল্পের বাংলাদেশের যে সুনাম ছিল, তাতে ধস নেমেছে মারাত্মকভাবে। এর থেকে উত্তরণের কোনো পথ কি খুঁজছেন রাজনীতিবিদরা? আমার মনে হয় না, নির্বাচন বাতিল হবে। নির্বাচন হবেই, এটাই আমার মনে হচ্ছে। যা হবার তা হবে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে দুবছর। এমন একটা ধারণা করছেন অনেকেই। সেটা নাও হতে পারে। আওয়ামী লীগকে এর আগেই ক্ষমতা ছাড়তে হতে পারে। এরপর কি হবে? ক্ষমতা হারালে অবস্থা কেমন হয় তা তো বর্তমান ক্ষমতাসীনরা কম জানেন না। ২০১৪ সবার জন্য মঙ্গলময় হোক। এই দেশের মানুষ শান্তি চান। তা যে কোনো মূল্যে হোক। বাংলাদেশের রাজনীতিকরা যদি বিষয়টি অনুধাবন করেন, তবেই কল্যাণ।

------------------------------------------------------------

দৈনিক ভোরের কাগজ // ঢাকা // : শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০১৪

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.