![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতা ও রাষ্ট্রীয় শপথ
ফকির ইলিয়াস
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। এজলাসে এসেছেন মাননীয় বিচারক। কাঠগড়ায় যিনি দাঁড়িয়ে আছেন তিনি একজন রাজনীতিক। অ্যাসেম্বলিম্যান ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সরকারি ফান্ডের বড় অংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ। মাননীয় বিচারক রায় দেবেন। তিনি তার পূর্বভাষণে বললেন, সম্মানিত রাজনীতিক, আপনি রাষ্ট্রীয় শপথ ভঙ্গ করেছেন। আপনি শপথ করে বলেছিলেন, আপনি স্বজনপ্রীতি করবেন না। আপনি দুর্নীতি করবেন না। কিন্তু আপনি তা করেছেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাই আপনাকে দ- দেয়া হচ্ছে। এটাই হলো বিচারিক নিয়ম। হ্যাঁ, আমি মার্কিন আদালতের কথা বলছি। আমার ভাবতে খুব অবাক লাগে, বাংলাদেশের মন্ত্রী, এমপিরা রাষ্ট্রীয় শপথ কিভাবে ভঙ্গ করেন। কিভাবে তারা ভুলে যান- তারা শপথ নিয়েছিলেন এই দেশের জানমাল রক্ষার জন্য। বাংলাদেশে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এরপরই নবম জাতীয় সংসদের কয়েকজন মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে চরম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে খোদ সরকার পক্ষ থেকেই। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী সাতজন মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারা হলেন- সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, সংসদ সদস্য আসলামুল হক, সংসদ সদস্য এনামুল হক, কক্সবাজার-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ জব্বার।
জানা গেছে, প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে পাঁচ বছরে এমপি আবদুর রহমান বদির আয় বাড়ে ৩৫১ গুণ। নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, তার নিট সম্পদ বেড়েছে ১৯ গুণের বেশি। বদির হলফনামায় শুধুমাত্র আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত অর্থ ও সম্পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
নির্বাচন কমিশনে দেয়া হলফনামায় সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করার পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক। দেখা করবেন দুদকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে। দুদক চেয়ারম্যানের কাছে চিঠির মাধ্যমে সময় চেয়ে কমিশনে আসার কথা জানান বলে নিশ্চিত করেন দুদকের সূত্র। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় আসলামুল হক উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী এখন ১৪৫ দশমিক ৬৭ একর জমির মালিক। জমির দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা। ৫ বছরে স্বামী-স্ত্রীর জমি বেড়েছে ১৪০ একরের বেশি। আর বাড়তি এ জমির মূল্য দেখিয়েছেন ১ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। হলফনামায় এভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন অনেক মন্ত্রী-এমপি। দুদক সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমানের দুর্নীতির খোঁজে নেমে পড়েছে। তারা ইতোমধ্যেই তার মালিকানাধীন গঙ্গামতি এন্টারপ্রাইজ ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার বিপুল হালদারের মালিকানাধীন আন্ধারমানিক ট্রেডার্স গত ৫ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে যেসব কাজের টেন্ডার নিয়েছে তার কাগজপত্রসহ নির্বাহী প্রকৌশলী কলাপাড়া সার্কেলকে ঢাকায় তলব করেছে। নির্বাহী প্রকৌশলী কলাপাড়া সার্কেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া দুদক পটুয়াখালী সদর পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস থেকেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে বলে অফিস সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে বিগত ৫ বছরে মাহবুবুর রহমানের লুটপাটের সাথী উপজেলার ৫ অনুগত আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক এ মন্ত্রীর সততার পক্ষে সাফাই গেয়ে, একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। আতঙ্কে আছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেলের কর্মকর্তারা। এদিকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর ধারণা দেশব্যাপী কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রী ও এমপির অবৈধ সম্পদের খোঁজে তদন্ত কমিটি করায় দুদক থেকে রেহাই পেতে মাহবুবুর রহমান দলীয় যেসব নেতাকর্মী দিয়ে অভিনব কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন, তাদেরও সম্পদের হিসাব নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর। বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য সাউদার্ন এরিয়ায়’ পরিণত হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপির অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে দুদকের সচিব মোঃ ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রচলিত আইনে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি যতোই প্রভাবশালী হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। কথা হচ্ছে, দুদক কি পারবে এদের আইনের আওতায় আনতে? নাকি সবই লোক দেখানো? প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যাচ্ছেÑ মহাজোট সরকারের সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমীন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারসহ ডজন খানেক এমপি-মন্ত্রীর অবৈধ সম্পদ যাচাই-বাছাই করছে দুদক। যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেবে। এই মন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই ক্ষমতায় থেকে বিপুল অর্থ-সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করলেও হলফনামায় তা অনেক কম করে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হলফনামার বাইরে প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ কতোটুকু, দুদক অনুসন্ধান করে সেটাও বের করবে বলে সূত্র জানায়।
এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান এম বদিউজ্জামান বলেছেন, ‘হলফনামা ধরেই সাবেক তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপির অস্বাভাবিক সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। আরো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এমন অস্বাভাবিক সম্পদের প্রাথমিক সত্যতা পেলেই তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান পরিচালনা করা হবে।’ ক্ষমতাসীন মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করতে গিয়ে দুদক কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই দুদক কাজ করছে। দুর্নীতিবাজরা যতো বড় ক্ষমতাশালী হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।’
এদিকে সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় এ বছর ১৬তম স্থান দখল করেছে বাংলাদেশ। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) দুর্নীতি ধারণাসূচক ২০১৩ অনুযায়ী বাংলাদেশের এ নতুন অবস্থান। আগের বছর এই অবস্থান ছিল ১৩তম। টিআইয়ের জরিপে দুর্নীতি প্রতিরোধে বাংলাদেশের ‘তাৎপর্যহীন’ অগ্রগতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। দুর্নীতিবিষয়ক বৈশ্বিক জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়। এই প্রতিবেদন বিশ্বের ১৭৭টি দেশে একযোগে প্রকাশ করা হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে দুর্নীতি প্রতিরোধে বাগাড়ম্বর যতোটুকু ছিল, দুর্নীতি দমনে কার্যকর দৃশ্যমান বিশ্বাসযোগ্য কার্যক্রম তেমন দেখা যায়নি।
জরিপ অনুযায়ী এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে একটি দেশ। তা হলো আফগানিস্তান। বাংলাদেশের স্কোর ২৭। টিআই বলছে, ২০১৩ সালে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ সোমালিয়া, উত্তর কোরিয়া ও আফগানিস্তান। সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ড। আমরা যদি পেছনে ফিরে তাকাই, তাহলে দেখবো কয়েকমাস আগেও এদেশের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ড. মহীউদ্দীন খান আলগগীর। তিনি ২০১৩ এর আগস্ট মাসে একটি সেমিনারে বলেছিলেন, ‘বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখল, বিচারকের আসনে থেকে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালানো ও প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করা রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি। এসব রাষ্ট্রীয় দুর্নীতির দিকে নজর না দিয়ে প্রান্তিক দুর্নীতি রোধ করে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়া যাবে না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক গবেষণা প্রতিবেদনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব ক্রিমিনোলজির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক কে এ এম সাদ’উদ্দীন। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি রোধ না করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছোটখাটো দুর্নীতিরোধের কার্যক্রমে ক্ষেত্রে বিশেষে হাততালি পেলে সমাজ উপকৃত হবে না।’ বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে তিন মাসের জন্য নিযুক্ত হয়েছেন। পরে জোর করে ক্ষমতায় গেছেন। দুই বছর ক্ষমতা দখল করে রেখেছিলেন। এটি সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি।’ খুব দুঃখজনক হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের এমন বড় বড় বুলি চার দশক থেকেই। তারপরও দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি সিকিভাগও- যে চেতনা নিয়ে এই দেশ বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। বাংলাদেশ বড় দুঃখী দেশ। এদেশে জননেতা জন্ম নিয়েছেন খুব কমই। একটা সংবাদ পড়ে আমার মনে হয়েছে- এটাও দেখতে হলো! ‘দুর্নীতির দায়ে দল থেকে বহিষ্কার হতে পারেন দীলিপ বড়ুয়া।’ খবরে প্রকাশ, সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা দীলিপ বড়ুয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সাম্যবাদী দলের (এমএল) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হারুন চৌধুরী। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দীলিপ বড়ুয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। শিল্পমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতি, দলের স্বেচ্ছাচারী নেতৃত্ব ও অঢেল সম্পত্তির মালিক হওয়ায় দলীয় ইমেজ সংকটে ফেলার অভিযোগে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। কী ভয়ানক খবর! এসব বিষয়ের প্রতিকার দরকার। আমরা দেখছি, অপেক্ষাকৃত নতুন ও কম অভিজ্ঞদের নিয়ে গত মেয়াদের সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু এবার আর সে পথে হাঁটেনি দলটি। নবগঠিত ৪৯ সদস্যের মন্ত্রিসভার ২৪ জনই নতুন। নতুনদের প্রায় সবাই পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অধিকারী। পুরোনো মন্ত্রীদের মধ্যে বিতর্কিত ও পাঁচ বছরে যাদের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক অর্থসম্পদ গড়াসহ নানা অভিযোগ আছে, তাদের অনেকেরই নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান হয়নি। তাদের বদলে এবার অভিজ্ঞ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রাজনীতিকরাই নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, ‘গত সরকারে যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি, প্রধানমন্ত্রী তাদের এই মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।’
বিতর্কিতরা এই মন্ত্রিসভায় নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের পর সবারই দৃষ্টি ছিল মন্ত্রিসভা কেমন হবে। আমার মনে হয়, মোটামুটি ক্লিন মন্ত্রিসভা হয়েছে। টেম্পটেডরা (বিতর্কিত) নেই বললেই চলে।’ আওয়ামী লীগ নতুন কাউন্সিল করার কথা ভাবছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পাশাপাশি দলেও চলবে শুদ্ধি অভিযান। দলকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর চিন্তাও করছেন সর্বোচ্চ মহল। এ জন্য চলতি বছরেই সংগঠনের বিশেষ কাউন্সিল ডাকা হবে। উপজেলা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বিশেষ কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হতে পারে। কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের পর জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সম্মেলন হবে। আমাদের দেশের মাননীয় মন্ত্রীরা দায়িত্বজ্ঞান ভুলে যান। কোথায় ধূমপান করতে হবে- আর কোথায় করা যাবে না- তাও বলে দেবেন তাদের এপিএসরা? এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি বাংলাদেশে খুবই দুর্লভ। সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকা দরকার সকল রাজনীতিকের, সকল মানুষের। মনে রাখা দরকার লিখিত শপথবাক্যই শুধু নয়, নৈতিক-মানসিক অবস্থার উন্নতি করতে না পারলে কোনো জাতি এগোতে পারে না।
আবারো বলি, যারা শপথ ভঙ্গ করেন তারা মূলত গণশত্রু। এদের চিনে রাখতে হবে সাধারণ মানুষকেই। বিশ্ব এখন তথ্যনির্ভর। তাই লুটপাট করে পার পাওয়া যাবে না। শুধু সজাগ থাকতে হবে এই প্রজন্মকে।
-------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
©somewhere in net ltd.