![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
আলোচিত অস্ত্র চালান ও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির বলয়
ফকির ইলিয়াস
==========================================
বাংলাদেশে বহুল আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় হয়েছে। এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। কারণ একটি রাজনৈতিক দল ও তাদেরই সরকারি ছত্রছায়ায় এমন একটি অস্ত্র পাচার মামলার রায় দেখার জন্য দেশের মানুষ ছিলেন উন্মুখ। দেখা যাক এই বিচারের রায়ে মাননীয় বিচারক সংক্ষিপ্তসারে কী বলেছেন। চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ের একটি সারসংক্ষেপ পড়ে শোনান চট্টগ্রাম স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মজিবর রহমান। বিচারক বলেন, এটা একটি ট্রায়াল কোর্ট। সাক্ষ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সাক্ষ্যপ্রমাণের বাইরে যাওয়ার সুযোগ আমার নেই। বিচারক বলেন এটি একটি বড় মামলা। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি গোয়েন্দা সংস্থা এসএসআই ও ডিজিএফআই-এ কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা এই মামলায় আসামি হিসেবে আছেন। সাক্ষ্যপ্রমাণে দেখা গেছে তারা একে অপরকে জড়িয়ে কথা বলেছেন। তাতে বোঝা গেছে উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়া ও অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে তাদের গভীর সম্পর্ক ছিল। পরেশ বড়ুয়ার সঙ্গে এনএসআইয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালকের সম্পর্ক থাকার বিষয়টি সাক্ষ্যপ্রমাণে উঠে এসেছে। তারা বিভিন্ন সময়ে মিটিং করেছেন। পরেশ ও অনুপের সঙ্গে একই ফ্লাইটে দুবাই গেছেন এনএসআইয়ের ডিজি। বিচারক তার পর্যবেক্ষণে আরো বলেন, রায়ের সারাংশে মতিউর রহমান নিজামীর বিষয়টি উল্লেখ করতে গিয়ে বিচারক বলেন, চট্টগ্রামে সিইউএফএল জেটিঘাট তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। সাক্ষ্যপ্রমাণে বিষয়টি উঠে এসেছে। বিসিআইসি ও সিইউএফএল জেটিঘাট নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা মতিউর রহমান নিজামী নিজেই স্বীকার করেছেন।
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের বিষয়ে বিচারক বলেন, বাবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন, তার নির্দেশে ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। অস্ত্র আটকের পর বাবর চট্টগ্রাম এসে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছিলেন, ‘এটা একটা সেনসেটিভ মামলা, তোমরা কেউ মুখ খুলবে না’। চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় রাজনৈতিক হয়রানির প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে বিচারক বলেন, লুৎফুজ্জামান বাবর ও মতিউর রহমান নিজামী বারবার অভিযোগ করেছিলেন তাদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। কিন্তু সাক্ষীদের সাক্ষ্যে এ ধরনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ মামলায় কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি সাক্ষ্য দেননি। নিজামী ও বাবরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদাতা কেউ তাদের প্রতিপক্ষ দলের ছিলেন না। তাই নিজামী ও বাবরের যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। আমরা পেছন ফিরে তাকালে দেখবো এই ঘটনা ও মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জঘন্য চেষ্টা করেছিল তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার। সেই রাতের ঘটনাটি ছিল এরকম। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল রাতে সিইউএফএল জেটিঘাটে ইঞ্জিন বোট থেকে ট্রাকে বোঝাইকালে অবৈধ অস্ত্রের চালানটি ধরা পড়ে যায় পুলিশের দুই সার্জেন্টের হাতে। ঘটনার রাত ১০টার দিকে তৎকালীন বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির হাবিলদার গোপন সূত্রে টেলিফোন পেয়ে বিষয়টি জানান ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ও কয়লা ডিপো ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতা সার্জেন্ট হেলাল উদ্দীন ভূঁইয়াকে। টেলিফোন পাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ঘটনাস্থলের পাশের ঘাট থেকে নৌকাযোগে কয়লা ডিপো হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। ঘাটে নামার পর তিনি টেলিফোন পান হাবিলদার গোলাম রসুলের কাছ থেকে।
গোলাম রসুল তাকে জানান সিইউএফএল জেটি ঘাটে অস্ত্র নামছে বলে এক ব্যক্তি তাকে টেলিফোনে জানিয়েছেন। দ্রুততম সময়ে ২ দফায় টেলিফোন পেয়ে সার্জেন্ট আলাউদ্দীন সার্জেন্ট হেলাল উদ্দীনকে নিয়ে ছুটে যান সিইউএফএল জেটি ঘাটে। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন ঘাটে দুটি ইঞ্জিন বোট নোঙর করা আছে। এর একটি থেকে ক্রেনের সাহায্যে কাঠের বাক্স উঠানো হচ্ছে অপেক্ষমাণ ট্রাকে। সার্জেন্ট হেলাল উদ্দীন সেখানে পরিচিত কিছু শ্রমিককে দেখতে পেয়ে জানতে চান- এ সব কী হচ্ছে। তখন উলফা নেতা পরিচয়ের আবুল হোসেন (মেজর লিয়াকত) জানান, তারা এসব মালের মালিক। এগুলো অস্ত্র। প্রশাসনের সবাই এ বিষয়ে জানে। তখন দুই সার্জেন্ট এসব অস্ত্রের বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে চোরাচালানি হাফিজ ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, কিসের কাগজ? বাধা দিলে আপনাদের ক্ষতি হবে। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি বেড়ে যেতে থাকলে খালাস কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা ধীরে ধীরে সরে যেতে থাকেন। কারণ তাদের জানানো হয়েছিল এসব অস্ত্র খালাসে সরকারের তদারকি থাকবে। কিন্তু দুই পুলিশ সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ও হেলাল উদ্দীন নাছোড় বান্দা থাকায় এক পর্যায়ে অস্ত্র খালাস কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে পুলিশ দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান হাবিলদার গোলাম রসুল। তারপর পৌঁছেন কর্ণফুলী থানার ওসি আহাদুর রহমানও। পরিস্থিতি হয়ে যায় জটিল। এ সময় চোরাচালানি হাফিজ ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে থাকেন- তোদের বাপ ডিজিএফআইয়ের বড়কর্তার সঙ্গে কথা বল। তিনি লাইনে আছেন। এতে সার্জেন্ট আলাউদ্দীন ভয় পেয়ে যান। কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরই মধ্যে ঘটনার খবর পৌঁছে যায় সিএমপির ডিসি পোর্টসহ পুলিশের অনেক কর্মকর্তার কাছে। অবস্থা বেগতিক দেখে চোরাচালানি হাফিজ উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের মোটা অংকের টাকা দিতে তৎপর হলেও পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় পুলিশ এতে সায় দেয়নি। এরই মাঝে আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলে চোরাচালানি হাফিজসহ জড়িত সবাই সটকে পড়ে। আর এতেই ধরা পড়ে যায় দেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ অবৈধ অস্ত্রের চালানটি।
স্মরণ করা দরকার, এ ঘটনার পর ওই দুই সার্জেন্টকে অস্ত্র খোয়া যাওয়ায় সাসপেন্ড ও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য দিয়ে নিরপরাধ প্রমাণিত হন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা চাকরি ফিরে পান। ঘটনার সরকারি তৎপরতা এতোই নির্মম ছিল, দশ ট্রাক অস্ত্র আটকের রাতে হেলাল উদ্দিন ও আলাউদ্দিনদের সাহসিকতায় ধরা পড়ে দেশ-বিদেশে সাড়া জাগানো অস্ত্রের চোরাচালান। পরে আবার এই দুই সার্জেন্টকেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বানানো হয়েছিল ‘খলনায়ক’, আটক অস্ত্রের চালান থেকে একে-৪৭ রাইফেল চুরি করে অন্যের কাছে বিক্রির মিথ্যা অভিযোগে তাদের করা হয়েছিল চাকরিচ্যুত। অস্ত্র মামলায় প্রায় ২৭ মাস কারাগারে রাখা হয়েছিল তাদের। র্যাব কার্যালয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে দুজনের পা ভেঙে দেয়া হয়েছিল দুজনের ভূমিকা ও সাহসের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) এডভোকেট কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, সার্জেন্ট হেলাল উদ্দিন ও আলাউদ্দিনের কারণে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এ জন্য তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার ও প্রভাবশালী আসামিদের ইন্ধনে তাদের অস্ত্র মামলার আসামি করে, পায়ে ডা-াবেড়ি পরিয়ে আদালতে এনে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। হয়রানির কারণে বাধ্য হয়ে তারা আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। কিন্তু সর্বশেষ ২০১২ সালে তারা নির্ভয়ে আদালতে সত্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের সাহসী ভূমিকার কারণেই অস্ত্র মামলায় আসামিদের দোষ প্রমাণ করা রাষ্ট্রপক্ষের জন্য সহজ হয়েছে। আর অধিকতর তদন্তে নিয়োজিত কর্মকর্তাও তদন্তে গতি পেয়েছিলেন।
পিপি কামাল উদ্দিন আহাম্মদ আরো বলেন, ২০০৪ সালে আটক অস্ত্রের চালান থেকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল চুরির অভিযোগে দুই সার্জেন্টকে ২০০৫ সালে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। পরে তাদের নোয়াখালী থানার সুধারামপুর থানার একটি অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই সময় র্যাব কার্যালয়ে তাদের মারধরও করা হয়। পরে সিআইডির তদন্তে প্রমাণিত হয়, ২০০৪ সালে আটক অস্ত্রের চালানের মধ্যে একে-৪৭ অস্ত্রের অস্তিত্ব ছিল। অথচ তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। তাদের অপরাধ ছিল, তারা অস্ত্র আটকের ঘটনায় সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন।
২০১২ সালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে সার্জেন্ট হেলাল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, বদলি সূত্রে আমি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০০৫ সালের ১৯ আগস্ট আমাকে ডিএমপির দক্ষিণ বিভাগে ডেকে নেয়া হয়। পরে তুলে দেয়া হয় র্যাবের হাতে। র্যাবের উত্তরা কার্যালয়ে নেয়ার পর র্যাব কর্মকর্তা লে. কর্নেল গুলজার ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় বেশ কিছু তথ্য জানতে চান। একপর্যায়ে সার্জেন্ট আলাউদ্দিনকে আমার সামনে আনা হয়। পরে দুজনকে র্যাব পাহারায় চট্টগ্রামে র্যাব ৭-এর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। ২০ আগস্ট চট্টগ্রামে র্যাব কার্যালয়ে আনার পর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমদাদের কক্ষে নেয়া হয়। সেখানে অধিনায়ক জানতে চান সার্জেন্ট হেলালকে। আমি পরিচয় দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে থাপ্পড় মেরে মাটিতে ফেলে দেন এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাম পা ভেঙে দেন।
এসব ঘটনা ঘটেছিল সেই সময়ের প্রভাবশালীদের ইচ্ছেমতে। মামলার রায়ে মাননীয় বিচারক বলেছেন, চট্টগ্রামের সিইউএফএল জেটি ঘাটে দশ ট্রাক অস্ত্র জব্দের পর এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিষয়টি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানালেও তিনি নীরব ছিলেন। বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন মহাপরিচালক সাদিক হাসান রুমী সাক্ষ্য দেয়ার সময় জানিয়েছিলেন, তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অস্ত্র আটকের ঘটনা জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এ কথায় তখন নীরব ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী একটি তদন্ত কমিটি করবেন বলে রুমীকে জানান। এ ঘটনাও মামলায় এসেছে। এমনকি হাওয়া ভবনের জড়িত থাকার কথাও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে।
এছাড়া বিভিন্নজনের জবাববন্দির ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের। আর এসব অস্ত্র আনা হয়েছিল ভারতের আসাম রাজ্যের বিছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার জন্য। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, বাংলাদেশে একটি কালোশক্তি সবসময়ই সহিংস অস্ত্রের রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা করেছে এবং করে যাচ্ছে। এরা কারা তা এই প্রজন্মের অজানা নয়। এরা নানাভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও এর ধারাবাহিকতার বিরোধিতা করে যাচ্ছে। দেশে তাদের টাকাকড়ির শক্তিও কম নয়। তারপরও আমরা দেখছি এদেশের মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলধারাকেই সমর্থন করে যাচ্ছেন। সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই জেতার সম্ভাবনা ছিল বলে একটি মার্কিন সংস্থার জরিপের ফলাফলে বেরিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অর্থায়নে মার্কিন নীতি-প্রচারক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পুরো বাংলাদেশে জরিপটি চালায়। বহু স্তরভিত্তিতে দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপটি চালানো হয়। জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ নিলে আওয়ামী লীগ ৪২.৭% ভোট পেতো। আওয়ামী লীগের প্রধান সমস্যা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এই কোন্দল মিটিয়ে ফেলতে পারলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তারা ভালো ফল করতে পারতো। বাংলাদেশের উন্নয়নের এখনো প্রধান শত্রু সেই পরাজিতরা, যারা একাত্তরে হেরে গিয়েছিল। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে ডানপন্থী সুবিধাবাদীরা। এরা এখনো মনে করে ভারতই বাংলাদেশের প্রধান শত্রু, পাকিস্তান নয়। কারণে-অকারণে এরা ভারতের বিরুদ্ধে জিগির তোলে। অথচ তারা ভুলে যায়, বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ। তাই ভারতের কোন ‘হরিনাথ পোদ্দার’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে কী বললো না বললো তাতে কি বাংলাদেশের মানুষের কিছু যায় আসে?
---------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ : শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫০
ব্লাক উড বলেছেন: ইহা একটি "ফকিরীয় ভাব" প্রকাশ!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২২
বিষক্ষয় বলেছেন: ৩০ লাখ শহিদের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়------- পরাধীনতার জ্বালা বাংলাদেশিদের থেকে বেশি কেউ বোঝে বলে মনে হয় না-------তাই পৃথিবীর সকল স্বাধীনতাকামিদের বাংলাদেশের সাহায্য করা উচিত ---- তা হোক রোহিংগা বা আসামের মানুষ