![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
মানুষের জন্য মানুষ, জীবনের জন্য জীবন-এর বন্দনা গাইতে গাইতে
আমাদের জাহাজ যখন 'বন্দর আল হাইফা'-এ পৌঁছলো, তখন রক্তাক্ত
দুহাত নিয়ে এগিয়ে এলেন একজন নারী। তার হাতে নিজ কন্যার রক্ত।
ছয় বছরের না'দিয়া কে ওরা হত্যা করেছে!বলতে বলতে হাসতে থাকলেন
তিনি।আমরাও কান্না ভুলে গিয়ে অট্টহাসিতে বন্দর মাতিয়ে মরুভূমির দিকে
হাঁটতে শুরু করলাম।
আমাদের আস্তিনের ভেতরে লুকিয়ে রাখা ওষুধ-পথ্য যাতে হায়েনারা
দেখতে না পারে- সেভাবে পরিচয় গোপন করে আমরা পৌঁছে গেলাম
শত শত আহত মানুষের তাঁবুতে। আমাদের দলনেতা ডাক্তার অমিতেশ
বললেন, আপনারা ভয় পাবেন না। আমরা আর্ত মানবতার সেবা দিতে
সুদূর মার্কিন মুল্লুক থেকে ছুটে এসেছি।
পঙ্গু,আহত শিশু-কিশোরদের কান্না ভারী করে তুললো গাজার বাতাস।
শাদা পতাকা উড়ানো আমাদের ভ্যান গাড়িটি যখন রামাল্লাহ'র দিকে
ছুটতে শুরু করলো, তখনই একটি আগ্রাসী যুদ্ধ বিমান উড়ে গেল
আমাদের মাথার উপর দিয়ে।
আমরা বোমাক্রান্ত হয়েছি ! বলেই যে যুবকটি লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে,
তিনি ট্যাক্সাস অঙ্গরাজ্যের 'সিটি অব প্যালেস্টাইন' থেকে আমাদের
সহযাত্রী হয়েছিলেন। আমরা অবাক হয়ে দেখলাম আমাদের চিকিৎসক,
সেবক-সেবিকাদের বিক্ষত দেহ !
এ কোন খানে-দাজ্জালদের রাজত্ব ! এ কেমন হত্যা উৎসব !
আমরা পালাতে চাইলাম।
আমাদের মনে হলো—
হত্যার বদলে হত্যা কিংবা পাপের বদলে পাপ-ই আজ মানুষের
পরিত্রাণের পথ। যে পথ একদিন দেখিয়ে দেবে ফিলিস্তিনি প্রজন্মকে
অবশিষ্ট অপরাধগুচ্ছের আলোরেখা।একটি বিশাল যুদ্ধের ভার বহন
করেই এই বিশ্ব দেখবে নতুন করে বাঁচার স্বপ্নসম্ভার।
[ নিউইয়র্ক/ ২২ জুলাই মঙ্গলবার, ভোররাত ১২:২০ ]
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫০
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগলো।
নিরপরাধ মানুষ কবে যে নিরাপদ হবে।