নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ফাহমিদা বারী

আমার ব্লগ মানে গল্প। গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানাই :)

ফাহমিদা বারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউ- রবীন্দ্রনাথ সিরিজ

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬


কোনো একটা বই পড়ার পরেই আমার রিভিউ দিতে ইচ্ছে করে। কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যদিও, কিন্তু বইটি পড়ে ইচ্ছে করে নিজের অনুভূতিটুকু শেয়ার করতে।
অবশ্য শুধুমাত্র যেসব বই পড়ে খুব ভালোলাগা কাজ করে আমি সাধারণত সেসব বইয়েরই রিভিউ দিতে চেষ্টা করি। অন্য যেসব বই তেমন টানে না, সেগুলো নিয়ে কিছু বলতে পারি না। অথবা বলতে চাই না। কারণ নেগেটিভ রিভিউ দিলে রিভিউকারের প্রতিও নেগেটিভ ধারণা জন্ম নেয়, যা পরিহার করা বাঞ্ছনীয়। তাই অনুরোধে ঢেঁকি গেলা নয়, শুধুমাত্র ভালো লেগেছে এমন বইগুলোতেই আমি দু’কথা বলার তাগিদ বোধ করি।

আজ যে দুটো বই নিয়ে বলতে এলাম, সেগুলো বহুল পঠিত এবং পাঠক সমাদৃত দুটো বই। রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি এবং রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি। রবীন্দ্রনাথ সিরিজ নামেও বইদুটো পরিচিত। ইতিমধ্যেই হাজার হাজার (নাকি আরো বেশি!) পাঠক বইদুটো পড়ে ফেলেছেন। বিশেষ করে যারা থ্রিলারের উঁইপোকা তারা তো বইদুটো প্রায় মুখস্থই করে ফেলেছে। মুশকান জুবেরিকে স্বপ্নেও বুঝি দেখে ফেলেছে অনেকে!
আমি মাত্রই শেষ করলাম। আর শেষ করে বিমোহিত হলাম। অকুন্ঠচিত্তে বলছি, বইদুটোতে আমার মনোযোগ পুরোপুরি আটকে ছিল। সরতে দেয়নি অন্য কোথাও। বহুদিন পড়ে থ্রিলার পড়ে আনন্দ পেয়েছি।

গল্পের শুরু এক অচেনা আগন্তুককে নিয়ে। খাবারের ঘ্রাণে আকৃষ্ট হয়ে সে নেমে পড়ে একটি ভাড়া করা ট্যাক্সি থেকে। ট্যাক্সি থামে সুন্দরপুর নামের প্রায় গ্রামসদৃশ একটি ছোট্ট শহরে। একটি রেস্টুরেন্টের সামনে। অদ্ভুত নাম সেই রেস্টুরেন্টের, ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’। খাবারের স্বাদ আস্বাদন করে চমকে ওঠে আগন্তুক। অভাবনীয় স্বাদ প্রতিটা আইটেমের। রেস্টুরেন্টের মালিকের নামটাও চোখে পড়ে কিছু আইটেমের নাম হিসেবে। ‘মুসকান’স স্পেশাল’। জানা গেল সেই রেস্টুরেন্টের মালিক একজন নারী, ভারী রহস্যময় নারী। অসাধারণ সুন্দরী। চালচলন বেশভূষা আর প্রতি পদক্ষেপেই যার আভিজাত্য।
আগন্তুক গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত একজন উচ্চপদস্থ অফিসার। তিনি এসেছেন একটি কেসের তদন্ত করতে। একটি মিসিং কেস। দেশের ক্ষমতাধর একজন ব্যক্তির ভাগ্নে হারিয়ে গেছে প্রায় কোনোরকম ক্লু না রেখে। বয়সে তরুণ সেই ছেলে কোনোরকম ঝামেলার সাথেই জড়িত নয়। অথচ পুরো দেশ থেকে সে যেন একেবারে কর্পুরের মতো উবে গেছে। কোথায় গেছে, কার কাছে গেছে অথবা কার সাথে গেছে...সবই অজানা।
বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অতি সূক্ষ্ণ সব সুতোকে একত্র করে করে অফিসারটি জানতে পারেন, ক্ষমতাধর ব্যক্তির সেই তরুণ ভাগ্নেটি পা রেখেছিল এখানে। এই সুন্দরপুরে, সম্ভবত এই রেস্টুরেন্টেও!

ডিবি অফিসার একজন চৌকষ পুলিশ। তিনি তার জীবনে কোনো কেসই অমীমাংসিত অবস্থায় রাখেননি। কিন্তু এই কেসের ভেতরে যত প্রবেশ করতে থাকেন, ততই বুঝতে পারেন এটিই সম্ভবত হতে যাচ্ছে তার জীবনের প্রথম অমীমাংসিত কেস!

গল্পের যাত্রা এখান থেকেই। একটি বাক্যও আর বেশি বলা সম্ভব নয়। তাহলেই স্পয়লার হয়ে যাবে। টানটান সাসপেন্স। শেষ না করে ওঠার উপায়ই নেই। বইটি দুটি পর্বে। প্রথম পর্ব, রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি এবং দ্বিতীয় পর্ব, রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি।
বইটির এডিটিং ভালো হয়নি। প্রচুর বানান ভুল চোখে পড়েছে। হ্যাজাক বাতি হয়ে গেছে হাইজ্যাক বাতি। বোরিং লাগছে না লিখে ’বোর লাগছে’ বলতে হতো না কি? এসব ভুল অনিচ্ছাকৃতও হতে পারে। কিন্তু এই চমৎকার বইটির সৌন্দর্য বিঘ্নিত হয়েছে নিঃসন্দেহে।
খুব শিগগিরই বইটি নিয়ে হইচইয়ে আসতে চলেছে একটি টিভি সিরিজ। সম্ভবত ১৩ই অগাস্টেই। বইটির লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। প্রকাশনী, বাতিঘর।


মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: পড়েছি। মন্দ নয়।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০০

ফাহমিদা বারী বলেছেন: জি ভাই। ভালো লেগেছে আমার। থ্রিলারের আনন্দটা উপভোগ্য ছিল।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার রিভিউ ভালো লাগলো। দুইটা বইই পড়তে হবে।
আমাদের ডিবি অফিসার সাকলায়েন সাহেবও চৌকস পুলিশ অফিসার।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৮

ফাহমিদা বারী বলেছেন: হা হা হা। আর বলিয়েন না! মান সম্মান ডুবায়ে দিলো আপনাদের পুরুষ জাতির!
আমরাও পরিমণির জ্বালায় সেফ থাকতে পারলাম কই?

বইদুটো পড়ে ফেলেন। টানটান থ্রিলার। ডুবে যাবেন একদম।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

সাজিদ! বলেছেন: সেই কবেই আমি মুশকান জুবেরীর প্রেমে পড়ে গেছি। জানেন কি? প্রথমটি নিয়ে সিনেমা হচ্ছে, ভারতীয় সৃজিতের, ট্রেলার ভালো লাগে নি। এক, আমাদের গল্প নিয়ে কলকাতার সিনেমা কিন্তু ভারতীয় পতাকা আর ওদের আবহ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০০

ফাহমিদা বারী বলেছেন: শুধু তাই নয়, নুরে শফার নামটাও পাল্টায়ে দিছে!! :( জানি না লেখক এটাকে এডমিট করলেন কেন? আমারও মন খারাপ হইছে।

পরিচালক হিসেবে সৃজিত মুখার্জি আমার পছন্দের ব্যক্তি নন। রে' দেখে আমি বেজায় নাখোশ!

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০২

ফাহমিদা বারী বলেছেন: সরি এডমিট না পারমিট বলতে চেয়েছি।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি মনে করি নারী আর পুরুষ আলাদা জাতি না। এতে বিভেদ বৃদ্ধি পায়। অপরাধীর কোন নারী আর পুরুষ নাই। মেয়ে আর ছেলে মিলেমিশে পৃথিবীকে বেহেশত বানানোর চেষ্টা করবে এই চেষ্টা সবাইকে করতে হবে।

টানটান থ্রিলার টানটান হয়ে শুয়ে পড়তে চাই। এখনই ফরমায়েশ করতে হবে। :)

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ফাহমিদা বারী বলেছেন: জি তা তো বটেই! অপরাধীর কোনো জাত নেই।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: সিরিজের প্রথম বইটা পড়েছি যখন মুক্তি পেয়েছিলো । সত্যি বলতে কি শেষটা পড়ে দারুন পুলকিত হয়েছিলাম ।

বই পড়লে বই সম্পর্কে টুকটাক লেখা উচিৎ সবারই । তাহলে অনেকের বই সম্পর্কে ধারনা জন্মে, অনেকের উপকার হয় !
রিভিউতে প্লাস রইলো ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ফাহমিদা বারী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ২য় খণ্ড পড়ে ফেলতে পারেন।
আমি বই পড়ে চেষ্টা করি রিভিউ দেওয়ার। পড়েই রিভিউ লিখতে শুরু করলে তেমন বেশি ভাবতেও হয় না। গল্পটা তখনো মাথায় ঘুরতে থাকে।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: বই দুখানি আমার সামনে পরে আছে, বেশ কয়েকবার পড়ার চেস্টা করেছি পড়তে গিয়ে থেমে যাচ্ছি, বইয়ের ভাষা আমার কাছে বড্ড খটমটে। মনে ভয় আমি হুমায়ুন জেনারেশান তাই!!

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩০

ফাহমিদা বারী বলেছেন: হায় আল্লাহ্‌! এই বই খটমট লাগলো!
আমিও তো হুমায়ুন জেনারেশন :)

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১৮

রানার ব্লগ বলেছেন: তাহলে বুঝতে হবে করোনার কারনে আমার ধৈর্য শক্তি কমে গেছে

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০০

আমি তুমি আমরা বলেছেন: প্রথম পর্বটা পড়েছিলাম প্রকাশের কিছুদিন পর। মুশকান জুবেরী আর নূরে সফার কাহিনী পড়ে বেশ ভালই লেগেছিল।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০১

ফাহমিদা বারী বলেছেন: জি বই পড়ে ভালোই লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.