নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ফাহমিদা বারী

আমার ব্লগ মানে গল্প। গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানাই :)

ফাহমিদা বারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মজৈবনিক স্মৃতিকথন- ল্যাভেণ্ডারের সুবাস

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৯



#পর্ব_২
একটু একটু করে আবার আশার আলো দেখতে শুরু করলাম। এখন একেবারে অসম্ভব মনে হচ্ছে না বিষয়টাকে। যদিও জানা গেল, গতবছর থেকেই নাকি এই স্কলারশীপে কোটা প্রথা চালু করা হয়েছে। ব্রাক্ষ্ণণশ্রেণীয় ‘এডমিন’ ক্যাডারের জন্য শতকরা ৭৫ ভাগ, আর আমরা যারা নমশুদ্র, ক্ষত্রীয়, কায়স্থ শ্রেণীয় ক্যাডার আছি তাদের ভাগে ২৫ ভাগ। এ প্রসঙ্গে কিছু বোধকরি না বলাই শ্রেয়। কে কীভাবে এতে ‘রিয়াক্ট’ করে বসবে তা বলা যায় না। যাক, কোটাই থাকুক আর যাই থাকুক...আমার সেটাকে হাসিল করতে পারা নিয়ে কথা। নিজের যোগ্যতাই এখানে একমাত্র মাপকাঠি।
ইউকে’তে থাকা খাওয়া, পড়াশুনা...এসব নিয়েও ঘাঁটাঘাটি করছি তখনো। আর এদিকে হয়েছে কী... বিষয়টা যেহেতু মিলিকে জানিয়েছি, সে দুনিয়ার সব তথ্য একত্র করে আমাকে দু’দিন পরে পরেই নক করে যাচ্ছে।
‘বিপু, কী খবর?... কতদূর কী হলো? আসছো তো?...কবে আসছো? আনিস কি আগে আসবে?...তাড়াতাড়ি আসো। কতদিন দেখা হয় না!...আশা করছি তাড়াতাড়িই দেখা হবে!’

মিলি আমার হলের বান্ধবী। সে হচ্ছে ঐ ধাতের মানুষ যারা মস্তিষ্ক দিয়ে নয়, মন দিয়ে সবকিছু বিবেচনা করে। অতীত থেকে এই সত্য আমরা জানতে পেরেছি।
নিজের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার সময়ে ও যেভাবে ক্লাসমেট কাম রুমমেট লুনার অসুস্থতায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেটা কীভাবে সম্ভব হয়েছিল তা আমার বোধে আসেনি। সেবার লেভেল থ্রি টার্ম টু’র ফাইনাল পরীক্ষার সময়ে ওর রুমমেট লুনার এপেণ্ডিসাইটিসের ব্যথা ওঠে। সেই ব্যথা... মানে যাকে বলে ভয়াবহ ব্যথা। বুয়েটের মহিলা ডাক্তার এসে মতামত দিলেন যে, অতি সত্বর অপারেশন করতে হবে। অবস্থা খুব খারাপ।
পুরো হল তখন টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি পিএলের (প্রিপারেশন লিভ) ঝড়ে বিপর্যস্ত। কে কার দিকে দেখে তখন! সেই সময়ে মিলি যেভাবে এগিয়ে এসেছিল তা অতুলনীয়।

মিলি ছিল টিচার ফাইটে। তার সিজিপিএ অনেক উঁচুতে। সে তার নিজের পড়াশুনাকে শিকেয় তুলে লুনাকে হসপিটালে ভর্তি করানো থেকে শুরু করে কীভাবে লুনার সামনের পরীক্ষার ক্ষতি অল্পতে পুষিয়ে দেওয়া সম্ভব...এসব ব্যাপারে শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করে। আমরা বিস্ময়ের সাথে মিলির এসব কর্মযজ্ঞ দেখেছি সেই সময়।
সেই টার্মে মিলি হয়ত তার মানবিকতার পুরষ্কার হিসেবেই সর্বোচ্চ জিপিএও পেয়েছিল, ৩.৯৬। যাকে বলে একেবারে মহা কামিয়াব মেয়ে। বুয়েটে তার অবস্থান ছিল প্রথম সারিতে। ইউকেতেও সে স্বমহিমায় নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করেছে। মিলি সহজেই একাডেমিক লাইনে আসতে পারতো। কিন্তু অনেকটা নিজের ইচ্ছাতেই একাডেমিকের বদলে ইন্ড্রাসট্রিয়াল চাকরিকেই সে বেছে নিয়েছে। কোনোকিছুতে একবার ঢুকে গেলে মিলি তো সেটাতে লেগে থাকে। কাজেই আমি যখন তাকে এই প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলেছি, তখন এটা অনেকটা ওর নিজেরই মাথাব্যথায় পরিণত হয়ে গেল।

মিলি একে একে সবার খোঁজ খবর সংগ্রহ করে দিলো। কারা কারা লীডসে থাকে, তাদের মধ্যে কাদের সাথে আমার পরিচয় থাকতে পারে...সবকিছু। একদিন আমাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
‘কারিশমাকে চিনো? জে আর সি (অধ্যাপক ড জামিলুর রেজা চৌধুরী) স্যারের মেয়ে! কারিশমা, জিয়া ভাই...উনারা কিন্তু লীডসে থাকেন!’
কারিশমা (ড কারিশমা চৌধুরী)’র সাথে বুয়েটে আমার ঠিক সেই অর্থে পরিচয় ছিল না। ও আমার এক বছরের জুনিয়র ছিল। ছোটখাট চেহারার হাসিখুশি একটা মেয়ে। দেখা হলেই মিষ্টি করে একটা হাসি দিত। সেই হাসি ছিল পরিচিতের হাসি, যা দেখে মনে হতো মেয়েটা হয়ত আমাকে চেনে। তবু আলাপ করা হয়ে ওঠেনি কখনো। আমি জানতাম সে জে আর সি স্যারের মেয়ে। এই পরিচয়টুকুই যথেষ্ট ছিল। একদিন জানলাম, সে নিজেও ভয়াবহ রেজাল্ট করা একজন। প্রায় প্রতি টার্মেই ফোর (৪.০০/৪.০০) পায়।
কারিশমা’র হাজবেণ্ড জিয়া ভাই আমাদের দুই ব্যাচ সিনিয়র ছিলেন। উনি আমাদের একটা সেশনাল ক্লাস নিয়েছিলেন। আমরা উনাকে বেশ ভয় পেতাম। দেখে খুব কড়া মনে হতো। আনিসের সাথে এই ইউকে যাওয়া সংক্রান্ত ব্যাপারে ইতিমধ্যেই জিয়া ভাইয়ের যোগাযোগ হয়েছে। সে তো জিয়া ভাইয়ের সাথে কথা বলে বেশ ইমপ্রেসড। আমাকে বারকয়েক তার শোনানো হয়ে গেছে,
‘জিয়া ভাই খুব হেল্পফুল। আমি উনাকে একটা মেইল করেছিলাম। উনি খুব আন্তরিকতা সহকারে উত্তর দিয়েছেন। বারদুয়েক ফোনও করেছেন।’
এভাবেই আস্তে আস্তে আমরা দেশে বসেই লীডসের বাংলাদেশী কমিউনিটিতে প্রবেশ করতে শুরু করে দিলাম। ইতিমধ্যেই আনিসের মারি কুরী রিসার্চ ফেলোশীপের রেজাল্ট চলে এসেছে। সে এই ফেলোশীপের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। খবরটা স্বস্তি দিলো। সেখানে ফ্যামিলি নিয়ে গিয়ে একটু ভালোভাবে থাকার জন্য এটার দরকার ছিল।

মিলির কাছ থেকেই আরো জানতে পারলাম, আমার বুয়েটের ক্লাসমেট তিতাসও লীডসেই থাকে। তিতাসও আমার সেকশনেই ছিল। শুনলাম ও নাকি আবার লীডস ইউনিভার্সিটি থেকেই ট্রান্সপোর্টেশনে মাস্টার্স করেছে। দারুণ ব্যাপার! আমি তিতাসকেও একটা মেসেজ পাঠালাম। হয়ত ব্যস্ততার কারণে মেসেজটা সে দেখতে পারেনি। তিতাসের কাছ থেকে উত্তর পেতে আমাকে বেশ অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল, যখন আমার এই ইউকে যাত্রার মধ্যবর্তীকালীন প্রক্রিয়া প্রায় শেষের পথে। দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস লিখেছিল,
‘হ্যাঁ রে, আমি লীডসেই থাকি। আর বলিস না...দুই পিচ্চি আর চাকরিবাকরি নিয়ে মহা ব্যস্ত থাকতে হয়... সরি, উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল! তোরা আসছিস নাকি লীডসে? আয়...দেখা হবে...’
ইতিমধ্যে আমার স্কলারশীপ সংক্রান্ত খোঁজখবর অব্যাহত রইলো। ততদিনে আমি বিষয়ের গভীরে বেশ ভালোভাবেই ঢুকে গেছি। তবু ক্রসচেকিং করার জন্য এবার নক করলাম দীপকে। আমার খালাতো ভাই দীপ (শাফকাত হাসান) হচ্ছে ছোটখাট এক তথ্য ভাণ্ডার। দীপও রোডস এণ্ড হাইওয়েজেই আছে। ওকে ফোন করে বললাম,
‘আচ্ছা কী নাকি স্কলারশীপের ব্যবস্থা আছে সরকারী চাকরীজীবিদের জন্য...ঘটনা সত্যি নাকি?’
দীপ মশামাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে বললো,
‘হ্যাঁ, আছেই তো! ক্যান আপনে জানেন না? ও, আপনে তো জানবেনই না! আপনে তো আবার ভাবের দুনিয়ায় থাকেন! এইসব খবর তো আপনার রাখার কথা না!’
ছোটভাইয়ের কাছে মৃদু তিরস্কার শুনে একটু খারাপই লাগলো। আসলেই তো, আমি কী একটা যা তা! আমাদের সরকারী চাকরিতে এমন সুবিধা পাওয়া যায়, আর আমি কিছু জানিই না! মনে মনে ঠিক করলাম, এখন থেকে খুব মন দিয়ে চাকরি করবো।

এরপরে চলতে লাগলো চিরুনি অফিযান। কারা কারা এই স্কলারশীপে গিয়েছে...স্কলারশীপ পাওয়ার পূর্বশর্ত কী...আবেদন কীভাবে করতে হবে...কী কী কোয়ালিফিকেশন থাকলে স্কলারশীপ পাওয়ার নিশ্চিত সম্ভাবনা...এসব জিনিস ঝামা ঝামা করে ফেললাম কিছুদিনে।
দেখতে দেখতে দিন পার হতে লাগলো। আমি আই ই এল টি এস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে লাগলাম। এতদিন এসব পরীক্ষার ধারে কাছেও আসিনি। অনেকদিন ভেবেছি, টোফেল বা আই ই এল টি এস’ টা দিতে হবে। কোথাও যাই বা না যাই, এটা দিয়ে রাখা যেতে পারে। নিজেকে কিছুটা আপডেট রাখা। অনেকের ধারণা, সরকারী চাকরি যারা করে তারা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢুকে যায়। সেই প্রক্রিয়াতে নিজেকে উন্নীতকরনের আর বুঝি কোনো সুযোগ নেই। তাদের অবগতির জন্য জানিয়ে রাখা দরকার, আজ থেকে দশ বা পনেরো বছর আগেও হয়ত এটা অনেকখানি সত্যি ছিল। যারা এসব চাকরিতে একবার ঢুকত, তারা ন’টা পাঁচটা অফিস করা কিংবা সাইটে যাওয়া আর চাকরি শেষে পেনশনের পিছনে দৌঁড়ঝাপ করা...এসব ছাড়া আর কোনোকিছুর সাথেই জড়িত থাকত না। লেখাপড়ার সাথে আবার মোলাকাত করার কথা তারা আর কল্পনাতেও আনত না। আমার বাবাও বলত সবসময়, ‘সরকারী চাকরিতে ঢুকলে আর কিছু করা হবে না। অনেকটা টাইপড হয়ে যাবা!’

কিন্তু যুগ পাল্টেছে। নতুন যারা আসছে, তাদের চিন্তাধারা অন্যরকম। একই জাতীয় কাজ নিয়ে তারা পড়ে থাকছে না। নিজেদের প্রতিমুহূর্তে ভাঙতে আর গড়তে এরা সদাসর্বদা প্রস্তুত। আর তাদের জন্য পাইওনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন কিছু উদ্যমী, সৎ ও মেধাবী অফিসার। যারা নিজ যুগের চেয়ে আধুনিক ছিলেন সবসময়। যুগের চাহিদা মেনে নিজেদের সব সময়ই আপডেট রেখেছেন।
আর এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারও সরকারী কর্মকর্তাদের উচ্চশিক্ষা বা প্রয়োজনীয় ট্রেনিং সুবিধার ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। সরকারী চাকরিজীবীদের জন্য সরকার প্রদত্ত প্রচুর সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এখন। প্রচুর ফান্ডিং এর সুবিধা পাই আমরা এখন। সরকার দেশের বাইরে থেকে পড়াশুনা করে আসার জন্য ৩০ লাখ টাকা দিবে, এটা কিছুদিন আগেও কি কেউ ভাবতে পেরেছে?

আমি বাইরে পড়তে যাওয়ার আয়োজন করছি শুনে আমার এস,ই (সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার) স্যার আগ্রহ নিয়ে বললেন,
‘খুব ভালো কথা। আমাদের সময়ে এত সুযোগ তো ছিল না! আমার এ আই টি (এশিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, থাইল্যাণ্ড) তে পড়তে যাওয়ার একটা সুযোগ এসেছিল। নানা কারণে হয়ে ওঠেনি। মনের মধ্যে দুঃখটা এখনো রয়ে গেছে। হয়ত যাওয়া হলে সবকিছু অন্যরকম হতে পারত!’
হয়ত কিছুই অন্যরকম হতো না। পড়া শেষ করে উনি ফিরে এসে আবার হয়ত এই কাজেই ঢুকতেন। তবু মানুষের মন বলে কথা! কিছু কিছু অপ্রাপ্তি মনের কোথায় যেন ঘাঁপ্টি মেরে লুকিয়ে থাকে। কিছু একটা ছুতো পেলেই তা সুড়সুড় করে বাইরে বেরিয়ে আসে।
আমি জানতাম স্যার বেশ মেধাবী। হয়ত পারিবারিক বিভিন্ন হিসাব নিকাশ মেলাতে গিয়ে তার বিদেশযাত্রা হয়ে ওঠেনি।

আই ই এল টি এস পরীক্ষার জন্য নীলক্ষেত ঘুরে ঘুরে বই কিনলাম। হাতে আছে তিনমাস। এর মধ্যে পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্ট হাতে আসতে হবে। এছাড়াও রিকোমেণ্ডেশন লেটার, পারসোনাল স্টেটমেন্ট, প্রতিটি পাসকৃত পরীক্ষার সার্টিফিকেট, আই ই এল টি এসের স্কোর, ইউনিভার্সিটির অফার লেটার...সবকিছু সহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বরাবরে আবেদন করতে হবে।
কিন্তু তার আগে ইউনিভার্সিটিতে আবেদন পর্বটাও সেরে ফেলতে হবে। তাদের অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে। কাজেই সময়ের একটা ব্যাপক টানাটানির ব্যাপার আছে। যদিও সালটা তখন ২০১৫, আর আমি আবেদন করবো ২০১৬’র সেপ্টেম্বর একাডেমিক সেশনের জন্য। তবুও খুব বেশি আস্তে ধীরে এগুনোর আর সময় নেই। কারণ এই স্কলারশীপ সংক্রান্ত প্রক্রিয়াতেই প্রায় বছরখানেক পার হয়ে যাবে।
কোথা থেকে সেই সময়ে এত এনার্জি পেয়েছিলাম, সেটা চিন্তা করে নিজেও এখন অবাক হয়ে যাই! কারণ বয়সের সাথে সাথে অনেক কিছুই আর নতুন করে শুরু করতে ইচ্ছে করে না। বুয়েটে পড়ার সময়ে আমাদের এক স্যার বলেছিলেন, ‘চল্লিশ বছর বয়স পর্যন্ত পড়ালেখা করা যায়। জীবনের পরের অংশে এই চল্লিশ পর্যন্ত অংশের ভাগটুকু ভেঙ্গেচুরেই পার করতে হয়!’

সেখানে আমি তো চল্লিশ পার করে ফেলেছি! তবু আমি আমি মোটামুটি আদাজল খেয়েই নেমে গেলাম। যদিও সারাদিন অফিস করে, বাসায় এসে ছেলের পড়াশুনা দেখিয়ে দিয়ে আর গৃহস্থালীর কাজকর্ম শেষ করে খুব বেশি সময় হাতে থাকে না। তবু জীবনের এই অবস্থানে এসে এর চেয়ে বেশি সময় যে ম্যানেজ করা যাবে না, সেই বাস্তবতাটাকেও মেনে নিলাম।
একটা সুবিধা এই যে, বর্তমানে সবকিছু অনলাইনেই পাওয়া যায়। আগে ফুলসেট গাইড আর ক্যাসেট কিনে স্পোকেন ইংলিশের প্রিপারেশন নিতে হতো। সেই গাইড বেশ ব্যয়বহুলও ছিল। একাধিক কেনা সম্ভব হয়ে উঠত না। আবার মাত্র একটা গাইড থেকে শিখে প্রিপারেশনটাও তেমন মজবুত হতো না। কিন্তু এখন সবকিছু ইউটিউবেই আপলোড করা থাকে। কত কত টেস্ট আর কত রকম গাইড চাও! খালি কানে একটা হেডফোন গুঁজে নিয়ে কাগজ কলম হাতে নিয়ে বসে পড়তে পারলেই হলো। (ক্রমশঃ)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪০

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: ভালো লাগা ++

আমারও বাইরে পড়তে যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো। নানা কারনে হয়নি। আপনি সেদিক দিয়ে ভাগ্যবতী। লিখে যান আপা, উপভোগ্য হচ্ছে :#)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৬

ফাহমিদা বারী বলেছেন: অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত তার কাছ থেকে প্রাপ্ত সকল নেয়ামতই আমরা ভাগ্যগুণেই পাই। তাই সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। তিনি না দিলে কিছুতেই প্রাপ্তিযোগ ঘটে না।
আপনারা লেখাটা পড়ছেন এজন্য আমি কৃতজ্ঞ।

২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৩

সাদীদ তনয় বলেছেন: বেশ ভালো লাগছে আপনার লেখা। একই সাথে নিজের অপ্রাপ্তির কথাও মনে পড়ছে।
আমার অনেক ইচ্ছে ছিলো ইংল্যান্ডে পড়ালেখা করার। আপনার মতো একাডেমিকভাবে ভালো স্টুডেন্ট না হলেও সেখানে মোটামুটি মানের কলেজে ভর্তি হবার মতো যোগ্যতা ছিলো। কিন্তু কপালে না থাকলে যা হয় আরকি।
কখনো যদি সন্তান হয় তাহলে চেষ্টা করবো তাকে ইংল্যান্ডে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠানোর।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৩৯

ফাহমিদা বারী বলেছেন: দোয়া করি আপনার সন্তান যেন ইংল্যাণ্ডে গিয়ে পড়ালেখা করে আসতে পারে।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কমবেশি আফসোস আছে। না থাকাটা অস্বাভাবিক। তবু কিছু পাওয়া আর কিছু না পাওয়াকে নিয়েই আমাদের বাঁচতে হয়। এটাই জীবন!

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:০১

*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: সরকার দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে যাওয়ার জন্য ৩০ লাখ দিচ্ছে - এইটা খুবই ভালো সংবাদ।

আপনার জীবনস্মৃতিতে একাডেমিক জ্ঞান আছে যা খুবই দরকারি একজন উচ্চশিক্ষা গ্রহনে আগ্রহীর জন্য।

পড়তে থাকলাম।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪০

ফাহমিদা বারী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। আপনার নামটাতে বার বার চোখ আটকে যায় :) নামের কী যাদু দেখেন দেখি!

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: এপর্বও ভাল লাগল- আশা করি সফলকাম হয়েছেন।
অপেক্ষায় রইলাম

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪১

ফাহমিদা বারী বলেছেন: লেখাটা পড়ছেন এজন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
প্রতিদিন অল্প করে করে দিচ্ছি। কারণ ব্লগে বড়লেখা দিলে কেউ পড়তে পারে না। তাই যতটুকু লিখেছি তা শেষ হতে সময় লাগবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.