নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ফাহমিদা বারী

আমার ব্লগ মানে গল্প। গল্প পড়ার আমন্ত্রণ জানাই :)

ফাহমিদা বারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প- বানরের থাবা (২য় পর্ব)

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:১০





দুই

পরদিন সকালের ঝকঝকে রোদ এসে যখন ব্রেকফাস্টের টেবিলে উঁকি দিলো, তখন গতরাতের বিভীষিকার কথা মনে হতেই মনে মনে হাসি পেয়ে গেল হারবার্টের। সারা ঘরে এমন একটা স্বাস্থ্যকর সুখি বাতাস ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে, যার ছিটেফোঁটাও আগের রাতে ছিল না। আসলে সবই ঐ বানোয়াট উদ্ভট গল্পের কুফল। কী এক গাঁজাখুরি গল্পই না তাদের সবাইকে বিশ্বাস করিয়ে ছেড়েছেন মরিস আংকেল!

নোংরা বানরের থাবাটাকে পরম অযত্নে ক্যাবিনেটে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। বেশ বিশ্বাস হয়েছে যে, ওটার কাছ থেকে আদৌ ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব নয়।

মিসেস হোয়াইট তবু ক্ষোভ ঝাড়তে ছাড়লেন না। ‘আসলে সব বুড়ো সৈনিকরাই ওরকম! খালি মনগড়া গল্প শুনিয়ে ছাড়তে ওস্তাদ। আমরাই বা কেন যে এমন আষাঢ়ে গল্প শুনতে গেলাম কে জানে! আজকের দিনে এসেও কি এসব ইচ্ছাপূরণ সম্ভব নাকি? আর ইচ্ছা যদি পুরণই হবে সেটার জন্য আবার পস্তাতে হবে কেন? সেটা কীভাবে আঘাত করবে যে মানুষ পস্তাবে?’

‘আমার মনে হয় দুইশ পাউণ্ডের বিশাল এক তাড়া আকাশ থেকে ধপাস করে পড়বে আর মাথাটা ফেটে যাবে!’ হারবার্ট হাসতে হাসতে বলল।
‘মরিস বলেছিল যে ইচ্ছাগুলো খুব স্বাভাবিকভাবেই পূরণ হবে। এতটাই স্বাভাবিকভাবে সবকিছু ঘটবে যে, উইশ না করলে কেউ জানতেও পারবে না...আদৌ দুটোতে কোনোরকম সংযোগ ছিল!’ মিস্টার হোয়াইট বললেন।

নাশতা শেষ করে উঠতে উঠতে হারবার্ট বলল, ‘আচ্ছা আমাকে এখন কাজে বেরুতে হবে। আমার আসার আগে তুমি যেন টাকাটা খুলে ফেলো না বাবা। আমার জন্য অপেক্ষা করো। আমার ভয় হচ্ছে একসাথে এত টাকা পেয়ে তুমি হয়ত এমন লোভী মানুষে পরিণত হয়ে যাবে যে আমাদের বাধ্য হয়ে বলতে হবে, এই লোভী মানুষটাকে আমরা চাই না!’


মিসেস হোয়াইট হারবার্টের কথায় হেসে উঠলেন। মা ছেলে মিলে ভালোই হাসিঠাট্টা হলো গতরাতের ঘটনাটাকে নিয়ে। এমন গল্প বিশ্বাস করার জন্য নিজের স্বামীকেও দুটো কড়া শোনালেন তিনি।

কিন্তু যতই অবিশ্বাসের কথা বলুন না কেন, দরজার কড়া নড়ে উঠতেই একটু ব্যতিব্যস্ত হয়েই দরজা খুলে দিলেন। মনে মনে গল্পটাকে তিনিও যে বিশ্বাস করে বসে আছেন, এটা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি। তাই প্রতি মুহূর্তেই মনে হচ্ছে, এই বুঝি টাকা চলে এলো! কিন্তু দরজা খুলে নিজেই আবার নিজের নির্বুদ্ধিতায় মনে মনে লজ্জিত হলেন। কী কাণ্ড! পোস্টম্যান এসে একটা বিল ধরিয়ে দিয়ে গেছে। আর তিনি কী না কী ভেবে বসে আছেন!

‘নাহ হারবার্ট আজ ফিরে এসে আবারও এক দফা হাসাহাসি করবে এটা নিয়ে!’ মিসেস হোয়াইট বললেন।

‘কিন্তু একটা বিষয় কি জানো? জিনিসটা সত্যি সত্যি আমার হাতের মধ্যে নড়ে উঠেছিল!’

‘ওটা তোমার মনের ভুল! কিছুই নড়েনি! অমন শুকিয়ে কটকটি হয়ে যাওয়া জিনিস আবার নড়ে কীভাবে?’

মোটেও আমার মনের ভুল নয়! তুমি বিশ্বাস না করলে আমার কী করার...।’ মিস্টার হোয়াইটের মুখের কথা থেমে গেল। আচমকা দেখতে পেলেন তার স্ত্রী এক দৃষ্টিতে বাইরের কিছু একটা দেখছে। প্রশ্ন করলেন, ‘কী ব্যাপার? কী দেখছ অমন হা করে?’


মিসেস হোয়াইট উত্তর দিলেন না। তিনি তখন বাইরের রাস্তায় একজন রহস্যজনক মানুষকে দেখছিলেন। লোকটা যেন এই বাসার দিকেই তাকিয়ে আছে। দুই একবার মনে হলো ঢুকতে গিয়েও আবার একটু দোনোমোনো করে ফিরে গেল। যেন ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না যে ঢুকবে নাকি ঢুকবে না। লোকটা তিনবার ঢুকতে গিয়ে ফিরে গেল এবং শেষ পর্যন্ত চতুর্থবারে সে যেন অনেকটা সাহস সঞ্চয় করে সামনে এগুলো।

মিসেস হোয়াইট লক্ষ করলেন, লোকটার পরনে পরিপাটি বেশবাস। মাথায় সিল্কের বাহারি টুপি। সেটা একেবারে ঝাঁ চকচকে নতুন। মাথায় তখনো সেই দুইশ পাউণ্ডের বিষয়টা ঘুরছিল বুড়ির। এই লোকটাই সেই দুইশ পাউণ্ড নিয়ে আসছে না তো?


মিসেস হোয়াইট উঠে গিয়ে দরজা খুলে দিলেন। ভদ্রলোক অত্যন্ত অপ্রস্তুতভাবে ভেতরে ঢুকলেন। তিনি এমনভাবে তাদের দুজনের দিকে তাকাচ্ছিলেন যে, মনে হচ্ছিল যেন কিছু একটা লুকাতে চাইছেন। সেটা কী তা না বুঝতে পেরে মিসেস হোয়াইট এলোমেলো হয়ে থাকা ঘরের দিকে লজ্জিতমুখে তাকালেন। এমন একজন পরিপাটি বেশভূষার মানুষকে এমন অপরিচ্ছন্ন ঘরে ঢুকিয়ে তিনি যেন মরমে মরে যাচ্ছিলেন। ছেলে আর স্বামীকে এত করে বলেন, এখানে ওখানে জিনিসপত্র না ছড়িয়ে রাখার জন্য। অথচ দুজনের কেউই তার কথা শোনে না!

আগন্তুক ভদ্রলোক বারকয়েক ইতঃস্তত করে বলল, ‘আ…আমাকে আসলে ফোন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু...ভাবলাম... আমি নিজেই যাই!’ অবশেষে মুখ খুলতে পারল লোকটা। পকেট থেকে এক টুকরা কাপড় বের করে নিজের কপালটা একটু মুছে নিয়ে বলল, ‘আমি ম এন্ড মেগিংস’ থেকে এসেছি।’

‘সবকিছু ঠিক আছে তো?’ ছেলের কোম্পানির নাম শুনতেই মিসেস হোয়াইট লাফিয়ে উঠলেন। ‘হারবার্টের কি কিছু হয়েছে? কী হয়েছে? জলদি বলুন!’
লোকটা কিছু বলার আগেই মিস্টার হোয়াইট মুখ খুললেন এবারে। ‘ও হারবার্টের মা তো, সেজন্য একটু বেশি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে... তুমি বসো। কিছু না শুনেই একটা কিছু ভেবে বসো না! উনি নিশ্চয়ই খারাপ কোনো খবর নিয়ে আসেননি!’
যদিও লোকটার মুখের দিকে তাকিয়ে মিস্টার হোয়াইটের কাছে মনে হলো, তার এই আশা হয়ত খুব বেশি সত্যি নয়।


‘আমি দুঃখিত’ আগন্তুক বলল।
‘হারবার্ট কি ব্যথা পেয়েছে? খুব বেশি ব্যথা পেয়েছে?’ মিসেস হোয়াইট আর নিতে পারছিলেন না।

নিজের মাথাটাকে ওপর নিচে ওঠানামা করিয়ে আগন্তুক সেই কথাতে সম্মতি জানিয়ে বলল, ‘খুব বেশি ব্যথা পেয়েছে। কিন্তু...কিন্তু... এখন আর সে কোনো ব্যথা অনুভব করছে না।’

‘ওহ ঈশ্বরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ...’ নিজের হাতদুটো একত্র করে করজোড়ের ভঙ্গিতে কথাগুলো বলেই মিসেস হোয়াইট আচমকা থেমে গেলেন। কারণ ততক্ষণে তিনি আগন্তুকের শেষের কথাটার মর্মোদ্ধার করতে পেরেছেন। ভদ্রলোক নিজের মাথাটাকে নামিয়ে নিয়েছে যাতে এই বৃদ্ধার মুখের দিকে তাকে তাকাতে না হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে একজন মায়ের কাছ থেকে সে জঘন্য সত্যটাকে লুকাতে পারল না।

নিজের নিশ্বাস আটকে রেখে মিসেস হোয়াইট তার স্বামীর দিকে অসহায় চোখে তাকালেন।
মিস্টার হোয়াইট তখনও এই কথার অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে পারেননি। তিনি ফ্যাল ফ্যাল করে আগন্তুকের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। হাত দুটো থরথর করে কাঁপছিল। কী বলতে এসেছে লোকটা? উদ্দেশ্য কী তার? এই সুন্দর সকালটা কে তাকে নষ্ট করতে বলেছে?


ঘরের মধ্যে আশ্চর্য এক নীরবতা নেমে এলো সঙ্গোপনে।

‘হারবার্ট মেশিনের নিচে পড়ে গিয়েছিল।’ একটু থেমে খুব নিচু গলায় লোকটি বলল।

‘মেশিনের নিচে পড়ে গিয়েছিল!’ মিস্টার হোয়াইট একটু আগের কথাগুলোকেই পুনরাবৃত্তি করলেন মাত্র। শক তাকে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করতে পারার ক্ষমতাটাকেই নষ্ট করে ফেলেছে।

স্ত্রীর হাতদুটোকে নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে তিনি চুপ করে বসে রইলেন। চল্লিশ বছর আগে ঠিক এভাবেই স্ত্রীর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য বসে থাকতেন তিনি। আজ এতদিন পরে... জীবনের এত এত বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার পরে শীতল এই সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতেও একটুখানি উষ্ণতার খুব বেশি দরকার হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘ নীরবতার পরে অনেক কষ্টে টেনে টেনে শুধু বললেন, ‘ও আমাদের একমাত্র সন্তান ছিল! আমাদের আর কিছুই রইল না!’

আগন্তুকের চোখেমুখে গাঢ় বেদনার ছায়া নেমে এলো। জানালার পাশে সরে গিয়ে সে বলল, ‘কোম্পানি তাদের আন্তরিক সমবেদনা জানানোর জন্য আমাকে পাঠিয়েছে। আমি শুধুমাত্র কোম্পানির একজন সাধারণ কর্মচারি হিসেবে এখানে এসেছি। আমাকে ক্ষমা করবেন।’



কোনো জবাব এলো না। ঘরের বাকি দুজন সদস্য তখন উত্তর দেওয়ার অবস্থাতে নেই। মিসেস হোয়াইটের মুখ একেবারে বিবর্ণ হয়ে গেছে। তার চোখের পলক পড়ছে না। সময় যেন থমকে আছে ঘরটিতে।

‘আপনার ছেলে আমাদের কোম্পানির খুব দক্ষ একজন কর্মী ছিল। ‘ম এন্ড মেগিংস’ এই ঘটনার কোনো দায় বহন করবে না। কিন্তু তারা আপনাদের কিছু ক্ষতিপূরণ দিতে আগ্রহী। যদিও আপনাদের ছেলের জীবনের কাছে এটার মূল্য অতি সামান্য।’

মিস্টার হোয়াইটের চোখদুটো আচমকা জ্বলে উঠল। তিনি তার স্ত্রীর হাতদুটো ছেড়ে দিয়ে লাফিয়ে উঠে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কত টাকা?’

উত্তর ভেসে এলো, ‘দুইশ পাউন্ড!’

মিসেস হোয়াইট গগনবিদারী চিৎকার দিয়ে উঠলেন। আর মিস্টার হোয়াইটের মুখে মুখে ফুটে উঠল এক টুকরো শুকনো ম্লান হাসি। নিজের হাত দুটো সামনে বাড়িয়ে একজন অন্ধ মানুষের মতো হাতড়ে হাতড়ে কিছু একটা ধরতে চেষ্টা করলেন তিনি।
পারলেন না! ধপ করে মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেলেন। (ক্রমশ)



মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:১৯

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:




আপনার লেখা বেশ চমৎকার। গত পর্বেরটা মিস করেছি।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩

ফাহমিদা বারী বলেছেন: পড়ে ফেলেছেন দেখতে পেলাম :)

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮

দি এমপেরর বলেছেন: আপনার অনুবাদ খুবই ভালো। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। কর্মচারীটির আগমন আর কোম্পানীতে হারবার্ট চাকরি করে জানার পরই বুঝে ফেলেছিলাম কী হতে চলেছে।

তবে গল্পের একটি জায়গায় একটু খটকা রয়েই গেল। দুশো পাউন্ড এ যুগে খুব বড় একটা অ্যামাউন্ট নয়। অথচ হারবার্ট এই টাকাটাকে অনেক বড় করে উত্থাপন করেছে। যদি এটা ঊনবিংশ শতাব্দির শেষেরদিকের অথবা বিংশ শতাব্দীর শুরুরদিকের গল্প হয়ে থাকে তাহলে অবশ্য তখনকার সময়ে দুশো পাউন্ড অনেক বড় অংক বলেই প্রতীয়মান হয় কিন্তু যেহেতু কোম্পানীর পক্ষ থেকে টেলিফোন করার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কর্মচারীটির টেলিফোন না করে স্বশরীরে হাজির হওয়ার কথা এসেছে, তাই এই ব্যাপারটা আরেকটি খটকার জন্ম দিয়েছে। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে বা বিংশ শতাব্দীর শুরুরদিকে এমন পরিবারে টেলিফোন থাকাটা একটু আশ্চর্যের, যেখানে অলরেডি তাদের দুশো পাউন্ড দেনা ছিল এবং সেই দুশো পাউন্ডকে তারা খুব বড় অর্থ হিসেবে বিবেচনা করছিল।

অবশ্য ইংল্যান্ডের মতো সভ্য দেশে তখনকার যুগেও এমন সব পরিবারে টেলিফোন থাকা অসম্ভব না-ও হতে পারে। জাস্ট মনের খটকাটা প্রকাশ করলাম।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

ফাহমিদা বারী বলেছেন: ডাব্লিউ ডাব্লিউ জেকবসের লেখা 'দ্য মাংকিজ প' ১৯০২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। তখন ২০০ পাউণ্ড মানে অনেক টাকা। আর টেলিফোনের ব্যাপারে আপনার শেষের বক্তব্যটাই সঠিক মনে হচ্ছে।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৯

বিজন রয় বলেছেন: আপনি ব্লগে ফিরে আসায় ব্লগ অনেক সচল হয়েছে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

এমন মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম ভালো কিছু লিখে ব্লগের সঙ্গে থাকার।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: বিদেশি গল্পগুলোর একটা প্যাটার্ন আছে, তাদের ইমোশন, তাদের রিএকশন এসবে খুব স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড ভাব আছে যেখানে ইনিয়ে বিনিয়ে জটিল আচরণ বা মনঃস্তত্তের মিশ্রন ততটা নেই। অনুবাদ গল্পের এই বৈশিষ্ট আপনার গল্পেও লক্ষণীয়। তবে তাদের গল্পে চমক গুলো খুব ইন্টারেস্টিং! আপনার লেখায়ও তার প্রভাব আছে। বিশাল লেকচার দিয়ে ফেললাম। আপনার অনুবাদ উপভোগ্য।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

ফাহমিদা বারী বলেছেন: আমি চেষ্টা করেছি এই ব্যাপারটার দিকে লক্ষ রাখার। তবে বুঝতেই পারছেন ঠেকতে ঠেকতেই শিখতে হয়। কত কত অনুবাদক আছেন দেশে! তারাও এখনো শিখছেন। আমি প্রথম বইতেই ফাটিয়ে দিব এতটা আশা করিনি। তবে নানা জায়গা থেকে বেশ কিছু ভালো পাঠ প্রতিক্রিয়া পেয়েছিলাম।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:০৩

জনারণ্যে একজন বলেছেন: এই পর্বটা পড়তে বেশ লেগেছে। বেশ সাবলীল। অনুবাদ গল্প-উপন্যাস পড়তে যেয়ে যেমন হোঁচট খেতে হয়, তেমনটা হয়নি।

অনুবাদ করেছেন, কিন্তু নিজের মৌলিকতাও বজায় রেখেছেন। যেমন ধরুন এই লাইনটা - "‘ওটা তোমার মনের ভুল! কিছুই নড়েনি! অমন শুকিয়ে কটকটি হয়ে যাওয়া জিনিস আবার নড়ে কীভাবে?’ এখানে "কটকটি" শব্দটা বিশেষভাবে লক্ষণীয়।

তবে হ্যাঁ, আপনার মৌলিক গল্পের কোনো তুলনা নেই।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩৮

ফাহমিদা বারী বলেছেন: অনুপ্রাণিত হই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:১২

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: আমি বাংলার বিখ্যাত ঔপন্যসিকদের কথা বলছিলাম, যেমন ধরুন শরত বাবু। উনার গল্পের মূল বিষয়ই হয় জটিল মনস্তত্ব। আপনার অনুবাদ গল্পে মূল গল্পের বৈশিষ্ট টুকুকে কিছু জটিল মনস্তত্বে মাখামাখির চেষ্টা করেন নি। এতে গল্পের স্বকীয়তা বজায় আছে। গল্প সহজবোধ্য এবং উপভোগ্য হয়েছে। সে অর্থে আপনি একজন সফল অনুবাদক। এটাই বলতে চেয়েছি।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৪০

ফাহমিদা বারী বলেছেন: জি বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ প্রশংসার জন্য।

এই বইয়ের বেশিরভাগ গল্পই থ্রিলার ধর্মী। থ্রিলার গল্পে জীবনধর্মী লেখার মতো বিস্তারিত বর্ণনা কিংবা জটিল মনস্তত্ব আসলে মানায় না। গল্পের লেখকেরাই তাদের মূল কাজ করেছেন। আমি চেষ্টা করে গেছি সহজ ভাষায় ভাবানুবাদ করার।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ২:১০

রাজীব নুর বলেছেন: আগে তৃতীয় পর্ব পড়েছি। এখন ২য় পর্ব পড়লাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.