![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা জীবন শুধু পথের সন্ধানে ছুটে চলেছি আমি, সত্যের সন্ধান আর মেলেনা। পথ অনেক দূরের। মানুষের দেয়া কষ্টগুলো জমিয়ে এখন ভীষণ একলা চলি আমি। অন্যের কাছে আশা করি না। শুধু বিশ্বাস করি নিজের বাবা-মাকে। পৃথিবীর মানুষগুলো শুধু কষ্ট দেয় আমায়। তাই এখন আর অন্যের ওপর ভরসা না করে নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে চলা। আসলেই কি যোগ্য আমি। কোথাও কোন বন্ধু নেই। সহযোগীর চেয়ে শত্রু বেশী। যেখানে যাই শত্রু কুড়াই। কর্মক্ষেত্রে, নিজ জীবনে সব জায়গায়। মানুষের মুখ দেখে মানুষ সত্যি চেনা দায়। মানুষ ক্ষণে ক্ষণে গিরগিটির মতো রং বদলায়। আমি মানুষকে সত্যি বিশ্বাস করতে চাই। কিন্তু বিশ্বাস করা বড়ো দায় হয়ে দাড়ায়। পিছন থেকে ছুরি মারা সদা প্রস্তুত মানুষগুলো বড়ো ভাবায়। একটু আগের সবচেয়ে বড় বন্ধু ক্ষণিকের মাঝে অচেনা হয়ে যায়। সবাই যার যার মতো আখের গোছায়। আর আমি চেয়ে থাকি। নাকি ওরাই ঠিক। আর আমি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জানি না। চোখের পলকে নিজের চেহারা পাল্টাতে পারি না। আমি আসলে বোকার দলে। সময় থেকে পিছিয়ে পড়েছি। আমার মধ্যে আজকাল অবিশ্বাস গুলো আনাগোনা করে। অথচ মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।তারপরও মনে হয় আলোর সন্ধান আমি পাবোই।ফারজানা
৮ই মার্চ নাকি নারী দিবস!! এটা কি জিনিষ? খায় না মাথায় দেয়?
আজ পর্যন্ত পুরুষ দিবস নামে কোন দিবস আছে শুনলাম না, অথচ কয়েকবছর ধরে দেখি ফেয়ার এ্যান্ড লাভলী নারী দিবস বা কিউট নারী দিবস পালন করা হয়।
পৃথিবীতে তিন শ্রেনীর মনুষ্য প্রজাতি বসবাস করে : নারী, পুরুষ আর নপুংসক। নপুংসকদের তো আমাদের সুশীল সমাজ মানুষের শ্রেণীতে ফেলতে ভুলে গেছেন। মাঝে মাঝে তাদের জন্য কবরের জমিও খুঁজে পাওয়া দায় হয়। তাই তাদের জন্য কোন দিবস হবে ভাবাই বোকামী। কিন্তু নারী দিবস? আমার ব্যাক্তিগত অভিমতে, ''মেয়েরাও মানুষ'', ''সতী নারীর পতি'' এই ধরনের সিনেমার মতো কোন বিষয় হলো এই নারী দিবস। আমার এই কথা গুলো অনেকেরই ভালো লাগবে না। সত্যি কথা সব সময় তেতোই হয়।
নারীকে যেমন কখনো পুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত করা যাবে না, তেমনি পুরুষকেও নারীর জায়গায় নিয়ে আসা সম্ভব নয়। প্রত্যেকটি মানুষের নিজ নিজ দায়িত্ব আছে। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যাবে, পৃথিবীকে একসময় প্রতিনিধিত্ব করতো আসলে নারীরা। এখনো খুঁজলে হয়তো কিছু মাতৃপ্রধান দেশ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে। নারীদের কাছ থেকে এক সময় ক্ষমতা এমনভাবে দখল করা হলো, দেখা গেলো একসময় মানুষ হিসেবে তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা দায় হয়ে দাড়ালো।
নারীবাদ আর পুরুষবাদের থিওরীতে দলিত হলো যাদের অস্তিত্ব তারা কেবল নারী। বইয়ের পাতায় নারীরা কেবল কোমলমতি, মা কখনো বেহুলা, বা সীতা অথবা মা ফাতিমা আর আমিনা আর লক্ষী, স্বরস্বতী, কালী বা দূর্গা। আব্রাহামিক ধর্ম মতে পৃথিবীতে কোন নারী নবী নাই। নারীরা শুধু একজন মহাপুরুষের জন্ম দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে। সেখানেও নারীদের বোঝানো হয়, আহা তিনি এত বড় মহা পুরুষের মা, এরচেয়ে বড় উপাধি আর কিই বা থাকতে পারে। অর্থ্যাৎ গর্ভধারণের গুরু দায়িত্ব পালন করার পর নারীর আর কোন অধিকার থাকেনা। অথবা অসুর দমন করার পর মা স্বামীর গায়ে পা দিয়ে বিশাল জ্বিহবা বের করে ফেলেন আর সেভাবেই তার পূজা করা হয়। কখনো বা মা ফিরে আসেন বাপের বাড়ী, তখন পুজোর ফুল আর বেল পাতায় সাঁজিয়ে আবার জলের তলে ডুবিয়ে সম্মান দেয়া হয় নারীকে। আর নারীরাও কি আনন্দিত !! এর চেয়ে ভাল আর কি ই বা হতে পারে।
আসলে নারী স্বাধীনতা কি আমরা বিশেষ করে এশিয়া বা আফ্রিকার নারীরা সত্যিকার অর্থে জানি না।এখনো আফ্রিকার অনেক মুসলিম রাষ্ট্রে পুরুষদের খৎনার মতো মেয়েদের যৌনাঙ্গ ছেদ করা হয়, যাতে নারী তার যৌনতা উপভোগ করতে না পারেন। আমরা ভাল স্কুল, কলেজে পড়লাম, চাকরী করলাম, সন্ধ্যার মধ্যে ঘরে ঢুকলাম আর বাবা-মার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করলাম এবং সন্তানের জননী হলাম। এই হলো আদর্শ নারীর সংঙ্গা। এর বাইরে কোন মেয়ে দামিনীর মতো ছেলে বন্ধুর সঙ্গে রাতে ঘুরতে বের হলে আর সেই সঙ্গে কিছু পশুর দ্বারা আক্রমণিত বা ধর্ষিত হলে দোষটা দামিনীর উপরেই আসে। ''এত রাতে বের হওয়ার কি দরকার ছিলো, স্বল্প বসনা পতিতা, যা হয়েছে একদম ঠিক হয়েছে তোর সঙ্গে''।
নারীবাদ এই শব্দটি আসলে নারীকে আজীবন বন্চ্ঞিত করার একটি প্রতিষ্ঠিত কৌশল মাত্র। কেউ কেউ বলে উঠতে পারেন, আমার ধর্ম নারীকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছে। ভুল কেউ দেয়নি। মোহরানা দিয়ে বরং নারীকে ছোট করেছে, বিক্রি করেছে। কোন ধর্ম মতে তো নারীরা
বিয়ের পরে বাবার সম্পত্তি থেকে সমস্ত অধিকারই হারায়। আর রাহুলরাও একা মানুষ করা মাকে ছেড়ে বাবার দেখানো পথ অনুসরণ করে, মায়ের কোল খালি করে।
নারীবাদ টার্ম্সটি আসলে অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও কুসংস্কারের শিকলে বাঁধা। এটি পুরুষ শাসিত সমাজেরই তৈরি একটা আধুনিক শব্দ ছাড়া আর কিছুই না। এখনো পর্যন্ত অনেক নারীরকই চাকুরী করে ঘরে বেতন আনার পর তা শাশুড়ীর হাতে তুলে দিতে হয়। নিজের টাকা কিভাবে কোথায় খরচ করলো তার হিসেব দিতে হয়, এমনকি আমার টাকাতো আমার, সঙ্গে তোমার আয়েও আমার অধিকার থিওরী চলে অনেক পরিবারেই।
এবার অনেকেই বলবেন, অমুক মেয়ে চাকুরীর জন্য অমুকের সঙ্গে ঘুমিয়েছে, নায়িকা হওয়ার জন্য কত খারাপ কিছু করেছে আরও অনেক কিছু। একবারো কি ভেবে দেখেছেন, নারীকে এই ভয়াবহ পরিণামের দিকে নিয়ে আসে কে? নারীর এই অবস্থার সুযোগ নেয় কে? বিশ্বের যে বড় বড় পতিতালয় গুলো আছে সেগুলো কারা তৈরি করেছে আর কারাই বা যায় পতিতালয়ে? এমন কোন সাধু পুরুষতো দেখিনি যে বলে, মাগো তুমি পেটের দায়ে এসেছো, নাও টাকাটা, আমার তোমার কাছ থেকে কিছু চাওয়ার নাই।
আর এতো কিছু ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। নারীর সবচেয়ে বড় শত্রু হলো নারী। আমার পরিচিত কিছু নারী আছেন, যারা লম্পট স্বামীর দ্বারা মানসিক এবং শারীরিকভাবে নির্যাতিত হবার পরও সেই স্বামীর ঘর করেন। এমনকি স্বামী একটি টাকাও উপার্জন করে না আর স্ত্রীর উপার্জিত টাকা দিয়ে পতিতালয়ে যায়। তারপরও সেই স্বামীর ঘর করেন তারা। কারন, যদিও পরিবার থেকে প্রথমে বলা হয় তুই তালাক দে, আমরা আছি তোর সঙ্গে। আবার পরবর্তী মুহূর্তে বলা হয়, সকল নষ্টের গোড়া আসলে তুই। আর নাইলে সংসার করতে পারিস না!! অনেক বিখ্যাত লেখকদের দেখেছি, নারীকে অবলম্বন করে বহু বড় কথা লিখে দিন শেষে নিজের লেখা কথার বিপরীতটাই করেন ব্যাক্তিগত জীবনে।
পরিশেষে আমার এক ফেসবুক বন্ধুর প্রিয়াংসু চাকমার একটা স্ট্যাটাস তুলে দিয়ে লেখার সমাপ্তি টানতে চাই, ''সারাবছর নারী নির্যাতন, ধর্ষন করার পর আন্তর্জাতিক ভাবে নারী জাতিকে নারী (মানুষ নয়) হিসেবে পুরুষতন্ত্র কতৃক চাপিয়ে দেয়া শান্তনা বা সহানুভুতি মূলক একটি দিন এই নারী দিবস। যে দিনে নারীকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মনে করিয়ে দেয়া হয় " আমি নারী, মানুষ নই"! আর আমি যে এই ধরনের নারী দিবসের বিপক্ষে এটাও আপনাদের জানাতে চাই। আমার সারাজীবনে মানুষ হবার প্রয়াস এই নারী দিবসে এসে অবদলিত হয়।
ফারজানা কবীর খান (স্নিগ্ধা)
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৩
ফারজানা৯৯ বলেছেন: হতেই পারে অনেকের কাছে। আমি আমার মতামত জানেয়েছি। সবার আমার সঙ্গে একমত হতে হবে কেন?
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫০
অণুষ বলেছেন: আপনি নারী দিবসের পক্ষে না বিপক্ষে তা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। হয়ত বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার কারনে আপনার মনে এত ক্ষোভ। আপনার দেখানো সমস্যা গুলো থেকে উত্তরণের জন্য হয়তোবা এটা একটা রাস্তা।
এই পথ ধরে সামনে এগিয়ে দেখুন না নারী মুক্তির মশাল জ্বলতেও পারে।
এই পথের কাঁটা সরানোর দায়িত্ব্যতো আপনাদেরই। কেউতো নিজ ইচ্ছায় সরিয়ে দিবেনা।
নারী তার প্রাপ্য সম্মান ফিরে পাক এই কামনাই করি।
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:০৪
ফারজানা৯৯ বলেছেন: আজ ৮ মার্চ, বিশ্ব নারী দিবস। হুমায়ূন আজাদের নারী বইয়ে পড়েছিলাম, নারী কখনো নারী হয়ে জন্মায় না, নারী হয়ে ওঠে। আমি কখনো নারী হয়ে ওঠার চেষ্টা করিনি। মা-বাবা অবশ্য চেয়েছিল (সবার মা-বাবা যেমন চায়) আমি নারী হই। একটু বুঝতে যখন শিখেছি আমি পুরুষের মতো হতে চাইতাম। পুরুষের মতো চৌকষ, বুদ্ধি, হৈ হৈ, ছুটাছুটি, আড্ডাবাজি সবই পছন্দ। সত্যি বলছি, নারী হতে চাই নি আমি। আরও বড় হলাম যখন, তখন আমি মানুষ হতে চাইলাম। মানুষের মতো চিন্তা, ভাবনা, কাজ-কর্ম, মানসিকতা সবই টানে আমায়...নারী কখনো হতে চাই নি। আমি প্রথমতঃ একজন মানুষ, এরপর আমি নারী লিঙ্গীয়ভাবে। আমাদের চারপাশটা যেমন, নারী হতে কেউ বাঁধা দেয় না, হাত-পা ছেড়ে রাখলেও অনায়াসে নারী হয়ে ওঠা যায়। তাই আমার কাছে নারী দিবস কোন আলাদা বিশেষত্ত্ব বহন করে না। একজন নারী জন্মের পর থেকে যেমন নারী হয়ে ওঠে আপনা আপনি, পুরুষও জন্মের পর থেকে পুরুষ হয়ে ওঠে অনায়াসে। কাঠ-খড় পোড়াতে হয় মানুষ হতে গেলে। প্রয়োজন অনুভব করি মানুষ দিবসের। কারন, মানুষ হওয়ার অবসরই কারও মেলে না।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
তারেক বলেছেন: নারী তো মানুষই , এতে দ্বিমতের কি আছে। হয়ত তার শারীরিক গঠন পুরুষের চেয়ে আলাদা , এই যা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০৬
কল্পলোকের রাজপুত্র বলেছেন: কিছু কিছু ক্ষেত্রে একমত কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে দ্বিমত পোষন করলাম ।