নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার চাই

ফারজানা৯৯

সারা জীবন শুধু পথের সন্ধানে ছুটে চলেছি আমি, সত্যের সন্ধান আর মেলেনা। পথ অনেক দূরের। মানুষের দেয়া কষ্টগুলো জমিয়ে এখন ভীষণ একলা চলি আমি। অন্যের কাছে আশা করি না। শুধু বিশ্বাস করি নিজের বাবা-মাকে। পৃথিবীর মানুষগুলো শুধু কষ্ট দেয় আমায়। তাই এখন আর অন্যের ওপর ভরসা না করে নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে চলা। আসলেই কি যোগ্য আমি। কোথাও কোন বন্ধু নেই। সহযোগীর চেয়ে শত্রু বেশী। যেখানে যাই শত্রু কুড়াই। কর্মক্ষেত্রে, নিজ জীবনে সব জায়গায়। মানুষের মুখ দেখে মানুষ সত্যি চেনা দায়। মানুষ ক্ষণে ক্ষণে গিরগিটির মতো রং বদলায়। আমি মানুষকে সত্যি বিশ্বাস করতে চাই। কিন্তু বিশ্বাস করা বড়ো দায় হয়ে দাড়ায়। পিছন থেকে ছুরি মারা সদা প্রস্তুত মানুষগুলো বড়ো ভাবায়। একটু আগের সবচেয়ে বড় বন্ধু ক্ষণিকের মাঝে অচেনা হয়ে যায়। সবাই যার যার মতো আখের গোছায়। আর আমি চেয়ে থাকি। নাকি ওরাই ঠিক। আর আমি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জানি না। চোখের পলকে নিজের চেহারা পাল্টাতে পারি না। আমি আসলে বোকার দলে। সময় থেকে পিছিয়ে পড়েছি। আমার মধ্যে আজকাল অবিশ্বাস গুলো আনাগোনা করে। অথচ মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।তারপরও মনে হয় আলোর সন্ধান আমি পাবোই।ফারজানা

ফারজানা৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গৃহবধূর ডায়েরি

৩০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

বইয়ের নাম "পাতার পোশাক''



গৃহবধূর ডায়েরি { জয় গোস্বামীর এই কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলাম ১৯৯৮-৯৯ সালে দল ছুট কবিতার কংকাল আবৃত্তিনুষ্ঠানে (এর আগে ৯৭-৯৮ এর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত স্বরকল্পন নামে একটি আবৃত্তি সংগঠনে কাজ করতাম আমি), সেই থেকে শুরু। আবৃত্তিনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন কামরুল হাসান মঞ্জু। আমরা এক দল ছেলে মেয়ে তার পাশে দাড়িয়েছিলাম কবিতার জয়ধ্বনি করার জন্য। একটা দলও ছিল আমাদের, পাঠশালা। সে থেকেই জয়ের কবিতার প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণ আমার। কেন এত ভাল লাগা, আবেশ জড়িয়ে থাকে এই কবির প্রতিটি লেখার সঙ্গে আমার তা জানা নেই। শুধু জানি, জয় গোস্বামীর কবিতা আমার কাছে পবিত্র কোন গ্রন্থের মতো। প্রতিটি কবিতায় নতুন এক ছন্দ, নতুন এক গল্প। কিভাবে যেন আমার হৃদয়ের সব কথা নিংড়ে বেরিয়ে আসে। হ্যা, আমি কবিতা ভালবাসি, কবিতাই আমার প্রথম এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লালন করা প্রেম। ধন্যবাদ জয় গোস্বামীকে অমন করে হৃদয়টা জয় করবার জন্য}



আমার সবচেয়ে ভয় হয় ঐ পাগলদের জন্যে

ঐ রাস্তার পাগলদের জন্যে ঐ চটপরাদের জন্যে

ঐ জটপড়া চুলদাড়ি কিংবা ন্যাড়ামাথাদের জন্যে

আমার সবচেয়ে ভয় হয় ওরা প্রত্যেক মুহূর্তে কত কত দূরে চলে যাচ্ছে বাড়ি ছেড়ে দেশ ছেড়ে

ওদের কি বাপ-মা নেই ভাইবোন নেই

কোন মেয়ে কি ওদের ভালোবাসল না

ওরা কাকে চড় মেরে কার হাত ছাড়িয়ে কোন শিকল তোলা ঘরের জানলা টপকে একদিন দিগ্বিদিকে পালিয়ে যায়

যেভাবে উল্কা যায় আকাশে এক ঝলকমাত্র দেখা দেবার পর কিন্তু তারপরেও তো পড়তেই থাকে পড়তেই থাকে কালো আকাশের মধ্যে দিয়ে অদৃশ্য তেমনি ওরা কোন পানদোকানের নীচে কোন বটতলায় কোন পার্কের বেঞ্চিতে নিঝুমপুর কোন প্ল্যাটফর্মে এক ঝলক দেখা দিয়েও আসলে তো পালাতেই থাকে, পালাতেই... আমার সবচেয়ে ভয় হয় আমার ঘরের মানুষটাও যখন বলে এবার পাগল হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে যাবো,

একদিন যদি সত্যিসত্যিই বেরিয়ে যায় মাথাগরম লোকটা

যদি কোন একটা পাগলের মধ্যে ঢুকে পড়ে

রাগের মাথায় যদি ওর বদলে ওর পোশাক আর শরীর পরে সেই পাগলটা বাড়ি এসে বলে ভাত দাও, বলে চান করবো তোমার সঙ্গে বলে ঘুম পাড়াও আমাকে তার শরীর চেনা কিন্তু নি: শ্বাস অপরিচিত, তাকানো অপরের ধক ধক অচেনা কোন বুনোর যদি ঐসময় ঐ অত ভালোলাগার মধ্যেও আমার হঠাৎ মনে হয়, এ কে? এ কে? যদি বুকের ওপর থেকে চুল খামচে মাথা উঠিয়ে বলতে হয় তুমি কে? তুমি কে? কিংবা যদি ভালো লাগতে লাগতে ভুলেই যাই এ অন্য কেউ তখন আমার লোকটা কোথায় শীতের মধ্যে ঘুরে বেড়াবে কোন প্ল্যাটফর্মে কোন বটগাছতলায় কোন বন্ধ দোকানের নীচে কিংবা কোন অভাগিনীর ঝুপড়ির মুখে এসে খসে পড়বে আর পড়তেই থাকবে পড়তে কালো আকাশের মধ্যে দিয়ে যেমন উল্কা যায় সারা শরীর ভরা ঘুম নিয়ে তার কিছুই তো জানতে পারব না আমি এই ভয়ে এই সবচেয়ে ভয়ে ঘামে ভিজে গিয়ে ঘুম ভেঙে মাঝরাত্তিরে আমি উঠে বসি বিছানায় .... '

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.