![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেকদিন থেকে ইচ্ছা ভাইয়াকে জন্মদিনে মুরগীর বাচ্চা গিফট দিবো।সেটা আর হয়ে উঠে নাই কারণ ছোট ছোট বাচ্চাদের মায়ের থেকে আলাদা করতে কষ্ট লাগে।এই মুরগীর বাচ্চার পিছনে অনেক লম্বা কাহিনী।
সাল ২০০৯।আমি সবে মাত্র নার্সারিতে পড়ি আর ভাইয়া ক্লাস সিক্স এ।আমি নতুন নতুন স্কুল এ যাই আবার বাবার হাত ধরে আশেপাশের জিনিস দেখতে দেখতে বাসায় ফিরি।প্রতিদিন যেটার দিকে চোখ পড়তো তা হলো মুরগীর বাচ্চা।বাবার কাছে বায়না করলাম মুরগীর বাচ্চা কিনে দিতে হবে,বাবা কতো বোঝালেন ওদের কে মায়ের থেকে আলাদা করতে নাই কিন্তু কে শোনে কার কথা।শেষমেষ আমার কান্নাকাটি আর জেদ এর কাছে হার মেনে বাবা আমায় দুটো মুরগীর বাচ্চা কিনে দিলেন।আহা!!! আমার খুশী আর দেখে কে।
বাসায় মুরগীর বাচ্চা আনার পর ভাইয়াই সবচেয়ে বেশী খুশি হলো।আর মুরগীর বাচ্চা দুটোও ভাইয়াকে আপন করে নিছে।ভাইয়ার হাতে খায় ,ভাইয়ার হাতে ঘুমায় আবার ভাইয়ার হাতে পটি ও করে ।বেচারা ভাই আমার ক্যাডেট এ ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিতে নিতে মুরগীর দিকে অত খেয়াল করতে পারে না তবুও সময় পেলেই উঁকিঝুকি দিয়ে মুরগীর খোঁজ খবর নেয় আর মুরগী গুলোও যেন সবসময় ভাইয়ার অপেক্ষাতেই থাকে।এভাবেই বছর ঘুরে ভাইয়া সেভেন এ উঠল আর আমি কেজিতে।ক্যাডেট এ যথারীতি পরীক্ষা দিলো আর চান্স ও পেলো।এবার তো ভাইয়ার বিদায় বেলা ঘনিয়ে আসে।
ভাইয়াকে বিদায় দেওয়ার জন্য আমরা ঠিক করলাম পরিবারের সবাই যাবো কিন্তু মুরগীর কি হবে?অনেক আলোচনা সমালোচনার পর ঠিক হলো আমাদের বাসার বুয়াকে মুরগী কয়েকদিন দেখাশোনার জন্য দেওয়া হবে।বাসা ছেড়ে যেতে হবে এইজন্য তো ভাইয়ার মন খারাপ আবার এতদিনে মুরগী দুটোর জন্যও অনেক মায়া জমে গিয়েছে।যাওয়ার দিন ঘনিয়ে এলো,পরিকল্পনা মাফিক বুয়াকে মুরগী দিয়ে আমরা ভাইয়াকে বিদায় দিতে গেলাম।এদিকে বুয়ার বাসায় আরেক কাহিনী ঘটে গেছে।তিনি মুরগী রেখে এক বাসায় কাজ করতে গেছেন,তার হাসবেন্ড ভাবে মুরগী গুলো তাদের খাওয়ার জন্য আনা হয়েছে।যেই ভাবা সেই কাজ ,জবাই দেন মুরগী দুটো।
আমরা কয়েকদিন পর ফিরে আসলে বুয়া অনেক কান্নাকাটি করে,আম্মু মাফ করে দেয়।সপ্তাহে সপ্তাহে ভাইয়া কল দেয় ,সবার কথা জিজ্ঞেস করে সেই সাথে মুরগীর কথাও।আম্মু বলে হ্যা ভালো আছে।তিনমাস চলে যায় ,ভাইয়ার ছুটিতে আসার সময় হয়।আসার পর মুরগী না দেখে আম্মুকে জিজ্ঞেস করলে বলে মরে গিয়েছে।আসলে আম্মু চাচ্ছিলো না বুয়ার উপর ভাইয়ার খারাপ ধারণা হোক।ভাইয়া আজ তোমায় বলতে ইচ্ছা করে মুরগী দুটো মরে নি।
আমার ব্লগে আসার জন্য নাস্তা
ছবিঃআমার আঁকা
০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১১
প্রেক্ষা বলেছেন: মূল্যবান পরামর্শ এর জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রেক্ষা, আমার পোস্টে আপনার কমেন্টের প্রেক্ষিতে এলাম। খুব ভালো লিখেছেন। একদিকে ঘটনাটা করুণ, অন্যদিকে আপনার মায়ের একটা মানবিক বোধ সম্পন্ন মন, এই লেখাতে এই দুটো জিনিস খুব বেশি ফুটে উঠেছে। মুরগীর বাচ্চার প্রতি আপনাদের আন্তরিকতা তো আছেই।
আপনার লেখার হাত খুব ভালো।
একটা ব্যাপারে খুব অবাক হলাম। হুবহু একই গল্পের উপর একটা নাটক দেখেছি বিগত মাস-দেড়েকের মধ্যেই।
শুভ কামনা রইল।
০৫ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৮
প্রেক্ষা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।আমি ছোট মানুষ,ভুল ত্রুটি হলে দেখিয়ে দিবেন।
আর নাটক এর ব্যাপার টা শুনে খুব ইন্টারেস্টিং মনে হলো,নাটকের নাম টা বলা যাবে কি??
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
পড়লাম। বেশ অনুভূতি জড়ো করে চমৎকার গোছালো লেখা। আপনার লেখার হাত ভালো। অন্য কোথাও লেখেন নিশ্চয় ?
শুভকামনা থাকবে। পোস্টের অপেক্ষায় রইবো।
০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:০৯
প্রেক্ষা বলেছেন: মন্তব্যে পুলকিত হলুম।
নাহ অন্য কোথাও লিখি না,ডাইরীর পাতাই আমার ভরসা
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
এখন ব্লগে লিখবেন। ব্লগ আপনার ডায়েরি হোক ! শুভকামনা।
আর হ্যাঁ , ছবিটা সুন্দর হয়েছে।
০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬
প্রেক্ষা বলেছেন: ধন্যবাদ।ছবির কথা বলে লজ্জা দিবেন না,আমার আঁকাবুকি অতো ভালো না।
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০০
খায়রুল আহসান বলেছেন: সহজ সরলভাবে বলে যাওয়া একটি গল্প, কিন্তু পাঠককে ধরে রাখতে সক্ষম।
ভাইয়া কোন ক্যাডেট কলেজে পড়ে? ছুটিতে এসে কি আবার নতুন করে মুরগী কিনেছিল?
পোস্টে প্লাস +।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪২
প্রেক্ষা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া বরিশাল ক্যাডেট এ পড়তো,২০১৬ সাল পর্যন্ত।
নাহ ,আর আমাদের মুরগী কেনা হয় নি
৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৯
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাইয়া ফিরে আসার পর শেষ পর্যন্ত তাকে কি জবাব দিয়েছিলেন মুরগীর ব্যাপারে?
১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৫
প্রেক্ষা বলেছেন: এখন পর্যন্ত সত্যি বলি নাই,ভাইয়া হয়তো ভুলেই গেছে
৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৩
বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: মুরগীর বাচ্চা আমারও খুব প্রিয়।
এদেশের অধিকাংশ গরীব মানুষেরা শুধু টাকায় গরীব না, এদের মনও গরীব, চিন্তা-ভাবনাও গরীব। এদের পেটে সবসময় ক্ষুধা বেশি, নীতি কম, এরা মধ্যবিত্তের মত চক্ষুলজ্জাহীন। তাই দারিদ্রের দুষ্টচক্র থেকে বের হতে পারেনা।।
আমি নিজেও গরীব, কিন্তু চক্ষুলজ্জা আছে।।
১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
প্রেক্ষা বলেছেন: টাকাপয়সা বড় বিষয় না,যার মন বড় সেই আসলে বড়।
হলুদ হলুদ কিউট মুরগীর বাচ্চা সবারই প্রিয়।
৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৩৫
রাফা বলেছেন: নাস্তার জন্য ধন্যবাদ,প্রেক্ষা। সবার মত বলতেই হবে খুব গুছিয়ে লেখার হাত।ডাইরির পাশপাশি ব্লগের পাতাতেও যেনো সচল থাকে লেখার হাতটি।
ভাইয়া যদি ব্লগটি দেখে ফেলে তা'হলে কিন্তু জেনে যাবে ,প্রিয় মুরগির কথা।ভালো থেকে ভালো রাখতে হবে সবাইকে।
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৫
প্রেক্ষা বলেছেন: পরীক্ষা,পড়ালেখা এইসব করে লেখার সময় হয়ে উঠে না,তবে প্রতিদিন ব্লগে এসে ঘুরে যাই.....
লেখার চেষ্টা করব,পাশে থাকবেন।
সমস্যা নাই,ভাইয়া ব্লগটি দেখে ফেলবে না।সে আমার ল্যাপটপ চেক করে না
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ২:১৪
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পড়লাম! জীবনের ছোট ছোট ঘটনাগুলোতেও একেকটি গল্প/অনুভূতি লুকিয়ে থাকে!
তোমার লেখাগুলো নিজের সাথে কথা বলার মতো, চেষ্টা করো পাঠককে এডরেস করে বা পাঠকের কথা মাথায় রেখে লেখার।
লিখতে থাকো, পোস্টে লাইক!