![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাম তার আশা। লম্বা,কাটাকাটা চেহারা,হালকা কোঁকড়া চুল। খুবই ব্যাক্তিত্ব সম্পন্য। আমার সাথে তার বন্ধুত্ব হয়ে গেছে কেমন করে তা আমি নিজেও বলতে পারি না। আজকের ব্লগ টা লেখার মূল উদ্দেশ্য সে যেন বহু বছর পর তার বাচ্চাকাচ্চা কে দেখিয়ে বলতে পারে,"এই দেখ আমার বান্ধবী আমাকে নিয়ে লিখছে" অথবা আমাদের বন্ধুত্বকে ফ্রেম এ বন্দি করার ক্ষুদ্র প্রয়াস।
১) ক্লাস এ আশার রোল এক আর আমার দুই ছিলো। রোল এক-দুই শুনেই আবার ভেবে বসবেন না আমরা খুব পড়ুয়া টাইপ মেয়ে,আমরা হচ্ছি পরীক্ষার আগের দিন পড়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়া স্টুডেন্ট। তো একবার ক্লাস ফাকি দেয়ার দুষ্টু বুদ্ধি মাথায় আসে। যেই ভাবা সেই কাজ । ঠিক করলাম গার্হস্থ ক্লাস ফাকি দিবো। সময়মত গার্হস্থ ক্লাস ফাকি দিয়ে আমরা ফুর্তি করছি কিন্তু অন্যদিকে টিচার এর কি মনে হলো পড়া ধরবেন। সবার আগে রোল এক কই? সবাই হয়তো খুব আয়েস করে জবাব দিয়েছিলো ক্লাসে নাই। টিচারের আবার তলফ পরে, তাহলে দুই কোথায়? আবারো সবাই হয়তো বলেছে দুই ও ক্লাসে নাই।এর মধ্যে কেউ হয়তো একফাকে বলে দিয়েছে ওরা ক্লাস পালিয়েছে। ফিরে এসে তো দেখি যাচ্ছে তাই অবস্থা। সে যাত্রায় মাফ টাফ চেয়ে কোনো রকমে বাঁচা গেছে। টিচারকে বলে দেওয়া সেই বাঁদড় গুলোকে মনে মনে খুবই গাল দিতাম কিন্তু এখন মনে হয় ওরা না বলে দিলে গার্হস্থ আর কোনোদিন ঠিক করে পড়াও হতো না।
২)আবারো একটি ফাকি দেবার কাহিনী তবে ক্লাস না অ্যাসেম্বলি। সবাইকে বাধ্যতামূলল যেতে হবে কিন্তু আমরা তো দুষ্টু মেয়ে। দুষ্টু মেয়েরা অ্যাসেম্বলিতে গেলে তো দুষ্টুমির প্রথম ধাপ টাই মিস হয়ে যাবে। অ্যাসেম্বলিতে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে ওয়াশরুমে গিয়ে লুকিয়ে ছিলাম। সমস্যাটা বাধলো ফেরত আসার সময়। বের হতে যাবো তখনই কেউ না কেউ পাশে দিয়ে ক্লাসে যাচ্ছে,দেখে ফেললে তো ঝামেলা হয়ে যাবে।সেবার ক্লাসে যেতে যেতে প্রথম পিরিয়ডের অর্ধেক শেষ হয়ে গিয়েছিলো। টিচারের অনেকগুলো বকুনি খেয়েছিলাম তাই কাহিনীটা মনে আছে এখনো।
৩)এইবারের কাহিনী অনেকটা নাটক বা সিনেমা টাইপ। বাংলা ক্লাসে আমি ভুলে বই নেই নাই আর আশা ঠিকই মনে করে নিয়েছে। ক্লাসে পাশাপাশি বসায় একই বই দিয়ে পড়ছিলাম। টিচার খেয়াল করায় রাগ হয়ে জিজ্ঞেস করলেন কে বই আনে নি। আমরা দুজনেই চুপ। টিচার তো আরো রাগ,শেষে তিনি বইয়ে কার নাম লেখা তা খুজতে গেলেন। এখানেই আসল মজা। বই এ নাম লেখা ছিলো না। বেচারা টিচার হতাশ হয়ে সেবার আমাদের মাফ করে দিলেন।
সবকয়টা কাহিনী আমার আর আশার ক্লাস সেভেনে পড়াকালীন। আমরা এখন আলাদা আলাদা জায়গায় পড়ি। আশার সাথে প্রায় ছয়মাসের মতো দেখা হয় না কিন্তু প্রতিদিন ফোনে কথা হয়। মেয়েটা আমার বকবকানি শুনে কখনো ধৈর্য হারায় না। আল্লাহ তোকে ভালো রাখুক আশা।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৫
রে-ইসম্যান বলেছেন: চমৎকার