নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

..........অগ্রথিত অণির্বান আমার বংশানুক্রমিক ।।‌

কানিজ ফাতেমা

সময় আর ভৌগলিকত্ব ভেদে সকল তৃষিত যাযাবরই বৃষ্টি নির্ভর বর্ষার কাছে এক ফোঁটা জল চায় । .......................অগ্রথিত এ অণির্বান আমার বংশানুক্রমিক ।।‌

কানিজ ফাতেমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই মুহুর্তে সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না ।

২৬ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

শ্যামল কন্যা নীরা তার কলিগদের সাথে কেবলমাত্র লাঞ্চে বসেছে । মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল।
কেমন আছো ?
ফোন নম্বরটা তার মনে থাকার কথা নয় । হয়তো ছয়মাস অথবা তার কিছু বেশী বা কম । কখনো কখনো পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সময়ের রহস্যময় প্রলেপে স্বাভাবিক হয়ে যায় এমনকি কিছুদিন অতিক্রান্ত হবার পর একই ঘটনা ততটাই গুরুত্বহীন হয়ে ওঠে ।
ভুলে গেলে ?
সরি, চিনতে পারছিনা ।
মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে যাচ্ছিলাম, তোমার প্রিয় কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে, সামনের রাস্তায় মনে হয় যেন কৃষ্ণচূড়া বনে আগুন লেগেছে । আজ আসবে নাকি সময় করে এদিকটায় ।
সরি আপনি কাকে ফোন করেছেন? ডায়ালিং নম্বর টা ভালভাবে চেক করুন ।
নীরা তোমাকেই ফোন করেছি । আজ তুমি লাল শাড়িটা পড়ে এস, সেদিন যেটা পড়েছিলে । আমি আমার কৃষ্ণচূড়াকে মন ভরে দেখবো আর তুমি তোমার কৃষ্ণচূড়া দেখবে।

নীরা কন্ঠস্বরটা ধরতে পেরেছে । ধাতস্থ হতে কিছু সময় নিয়ে সে শুধু এতটুকু বলতে পারলো । আমি ব্যস্ত আছি । আপনি পরে ফোন করবেন ।

সেরাতে নীরা অনেকক্ষণ ধরে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে খুটিযে খুটিয়ে দেখলো, অদ্ভুদ এক অনুভূতি জীবনানন্দ দাসের কবিতার মত। অর্থ নয় কীর্তি নয়, আরো এক বিপন্ন বিস্ময় খেলা করে অন্তর্গত সত্বায়, এ কবিতার প্রতিটি উচ্চারন ভীষন সত্যময় একান্ত হয়ে ওঠে রাত্রির গভীর নির্জনতায় ।

তৃতীয় বা চতুর্থবারের মতো সাক্ষাত ছিল সেটা । পুরো এরেঞ্জটাই পারিবারিক । তাই নিজের মত করে যাচাই করার আবশ্যকতা বা সুযোগ কোনটাই ছিলনা । সামনে বসে থাকা মানুষটার তথাকথিত ভদ্রলোকের (ওয়েল ড্রেসড, ওয়েল এডুকেটেড, ওয়েল পোষ্টেড) ফোনে টেক্সট আসছিল আর প্রতিটি টেক্স পড়ার সময় তার চেহারার অভিব্যক্তি লক্ষনীয় মাত্রায় বদলে যাচ্ছিল ।রিংগারটি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে বেজে যাচ্ছিল। বোকারা মাঝে মাঝে অপার্থিব সাহায্য পেয়ে থাকে । অত্যন্ত আশ্চর্য্যের সাথে নীরা আবিস্কার করলো ঠিক একই সময়ে তার ড্রয়িংরূম ঘেষে থাকা পাশের রূম থেকে ম্যসেজ রিংগার বেজে উঠছিল । রিংগারগুলো যেন একে অপরের পরিপূরক । মেরুদন্ডের শিড়দাঁড়া বেয়ে হিমশীতল স্রোত বেয়ে যায় । এ কিসের আভাস! এ আভাসকে সে অস্বীকার করতে চায় কিন্তু পারে না ।

অবশেষে নিজেকে অতিক্রম করে নীরা বেলার মোবাইলে ইনবক্স চেক করে এবং শিহরিত হয় আরো শিহরিত হয় তুলনামূলক আলোচনা দেখে । বেলাকে মানুষটার অথবা বেলা মানুষটাকে পছন্দ করতেই পারে কিন্তু তুলনামূলক বিষয়টি নীরা কিছুতেই মানতে পারে না। এরেঞ্জটা বেলার বাবা-মা করেছেন তাই অনেক কথাই আর বলা হয়ে উঠবে না । তাছাড়া নীরা তার এই কাজিনকে যথেষ্ট স্নেহ করে ।

তারপর বহুবার মিসডকলের একনিষ্ঠতা থেকে মুক্তি মিলতে নীরার সীমকার্ডটি আপাতত: বন্ধ আছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

রক্তাক্তর প্রান্তর বলেছেন: ভালই ছিল

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: মাঝে মাঝে আমার নোটিফিকেশনে ঠিকঠাক মত মন্তব্য দেখা যায় না । এটা বেশ বিব্রতকর । দেরীতে হলেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি মন্তব্য প্রদানের জন্য । ভাল থাকবেন ।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:১৬

কালনী নদী বলেছেন: লেখকদের মোবাইল ব্যবহার না করাই ভালো। সুন্দর গল্প লিখেছেন বোন।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা । কেন যেন আপনার মন্তব্যটি দেখা যাচ্ছিল না । আবারো ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি ।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: কখনো কখনো পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সময়ের রহস্যময় প্রলেপে স্বাভাবিক হয়ে যায় এমনকি কিছুদিন অতিক্রান্ত হবার পর একই ঘটনা ততটাই গুরুত্বহীন হয়ে ওঠে। -- খুব সুন্দর কথা বলেছেন, সত্য!
ভাল গল্প, ছোট গল্প। + +

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: স্যার আপনাদের মন্তব্যে উদ্দীপ্ত হই ।
অশেষ ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.