নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

..........অগ্রথিত অণির্বান আমার বংশানুক্রমিক ।।‌

কানিজ ফাতেমা

সময় আর ভৌগলিকত্ব ভেদে সকল তৃষিত যাযাবরই বৃষ্টি নির্ভর বর্ষার কাছে এক ফোঁটা জল চায় । .......................অগ্রথিত এ অণির্বান আমার বংশানুক্রমিক ।।‌

কানিজ ফাতেমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্বস্তির অর্ঘ্য

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্য্য আর বিশেষ মর্যাদায় পালিত বিজয় দিবসে বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনার সাথে ছিল আবেগ এবং আবেগের আতিশায্যের ঘনিষ্ট অনুসঙ্গ জাতীয় পতাকা; এবং এর ব্যবহারিক মূর্খতার তীব্রতা নি:সন্দেহে ছুয়েঁ ফেলেছে অপরাধের সীমারেখা ।
বিভিন্নভাবে যেসব পতাকা ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর আকার, আয়তন, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, রঙ কোনটিই ঠিক থাকেনা । কোথায়, কখন, কিভাবে, কি কারণে ব্যবহার করতে হয়; এর উচিৎ, অনুচিৎ ইত্যাদি সম্পর্কে থাকে না কোন খবর । জাতীয় পতাকা ব্যবহার অবশ্যই গভীর আবেগের সাথে জড়িত কিন্তু সেটা ব্যবহারের আগে নূন্যতম সচেতনতা অবশ্য পালনীয় । চলুন দেখে আসি নিম্নের বিষয়গুলো কি ভালবাসা, না অজ্ঞতা, না অবজ্ঞা?
সংবিধান অনুসারে
 মোটরযানে পতাকা ওড়ানোর সময় যান বাহনের সামনে থাকা দন্ডায়মান রেডিয়েটর ক্যাপে বেধেঁ ওড়াতে হবে । কোন অবস্থাতেই জাতীয় পতাকা পিছনে উত্তোলন করা যাবে না।

 পতাকার উপর কোন কিছু লিপিবদ্ধ করা যাইবে না বা ছাপানো যাইবে না । কোন অনুষ্ঠান বা অন্য কোন উপলক্ষ্যে পতাকার উপর কোন কিছু লিপিবদ্ধ করা যাইবে না ।
 জাতীয় পতাকা ইচ্ছে হলেই যেখানে সেখাবে যেমন- গাড়ীতে, ষ্টীমারে, নৌকাতে, রেলগাড়ীতে কোন দিকেই জড়িয়ে রাখা যাবে না । এটি সর্বদা ঊর্ধ্বমূখী থাকবে ।

বিধি মোতাবেক জাতীয় পতাকা গায়ে জড়ানো যাবে না, পতাকার উপর কিছু লেখা যাবে না বা অঙ্কন করা যাবে না, এটা নিয়ে ব্যবসা করা যাবেনা, অথচ......

 জাতীয় পতাকা কোন ব্যাক্তি বা জড় বস্তুর দিকে নিম্নমূখী করা যাবে না । এটা কোন পর্যায়ে পড়ে.................


 জাতীয় পতাকা কখনোই নিচের কোন বস্তু যেমন- মেঝে, পানি বা পণ্যদ্রব্য ষ্পর্শ করিবে না । জাতীয় পতাকা কখনোই আনুভূমিকভাবে বা সমতলে বহন করা যাইবে না, সর্বদাই ঊর্ধ্বে এবং মুক্তভাবে থাকিবে । আবেগ আর আবেগ...........


 জাতীয় পতাকা এমনভবে উত্তোলন, প্রদর্শন, ব্যবহার বা সংরক্ষণ করা যাইবে না, যাহাতে উহা সহজেই ছিঁড়িয়া যাইতে পারে বা যে কোনভাবে ময়লা বা নষ্ট হইতে পারে ।
 কোন কিছু গ্রহণ, ধারণ, বহন বিলি করিবার নিমিত্ত জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা যাইবে না ।


বি:দ্র: ২০১০ সালের ২০ জুলাই জাতীয় সংসদে একটি নতুন পাশ হওয়া বিল অনুযায়ী আইন অমান্যকারীদের জন্য ১ বছরের কারাদন্ড বা ৫০০০ টাকা জরিমানা বা উভয় শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ।

উপরোক্ত বিষয়গুলো আতিশায্যের অনিচ্ছায় অনভিপ্রেত এ অবমাননা । শুধুমাত্র সচেতনতা, শিক্ষা এবং বোঝাপড়ার জায়গায় স্বচ্ছতা দরকার । জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত হলে অন্তত আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এগুলো শিখে বড় হতো । শাস্তির চাইতে স্বস্তি অনেক বেশী প্রয়োজন ।

ছবি : গুগল ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
দিন দিন আমাদের মূল্যবোধের বড়ই অভাবে দিকে যাচ্ছে। এ কারণে যত সব সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে......
আইন আছে কিন্তু তার ব্যবহার নেই ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ।
পতাকা যেন একখন্ড কাপড় মাত্র । যারা বোঝেনা তারা বোঝেনা , কিন্তু যারা বোধের চর্চা করেন তাহাদের কি বলা যায় ?

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ঘুমান্ত লোকে জাগ্রত করা যায় কিন্তু জাগ্রত লোককে জাগ্রত করা যায় না। এটাই মুল কথা ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: ঠিক বলেছেন, শাহরিয়ার ভাই ।
ভাল থাকুন সতত

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: B-) শেষের ছবিটা অন্যরকম, সবগুলোর সাথে এইটার এক করলে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ হবে। ইহা দ্বারা আমাদের দৈন্যতা মানষিকতা, মানুষের অসহায়ত্ব প্রকাশ পায়। সরকারের গলাবাজির সাথে মানুষের যে যোজন যোজন দূরত্ব তাহা প্রমান করে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: মন্তব্যে একরাশ ভাললাগা ।
সহমত ।
শুভ কামনা ।

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমি শাহরিয়ার কবীর ভাই এর সাথে একমত, আইনের প্রয়োগ নেই।
এছাড়া যারা আইন করেন,আইন তারাই ভাঙেন।
তাই শাস্তি কে কাকে দেয়।

পোষ্টে অনেক অনেক ভাললাগা।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: মন্তব্যে অনেক অনেক ভাল লাগা ।
তবুও আশা রাখি একদিন আইন প্রয়োগে না হোক, ভালবাসা দিয়েই সব ঠিক হয়ে যাবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.