![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে প্রায় চারমাস আগে দুইটি খরগোশ উপহার দিয়েছিলাম। সেই খরগোশ পেয়ে তার সেকি আনন্দ। খরগোশের জন্য ঘর বানানো হল। সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে সে নিজের হাতে তাদের খাবার দিয়ে যায়। দারুয়ান মাইকেলকে খুব করে বলে যায় যাতে একটু পর পর তাদের খাবার দেয়। স্কুল থেকে এসে গাড়ি থেকে নেমেই আগে তাদের কোলে নিয়ে আদর করে। সন্ধ্যার আগে বাসার নিচে নেমেই খরগোশকে ঘর থেকে বের করে আমাদের সবজি বাগানে নিয়ে যায়। তাদের সাথে ঘন্টা খানেক দৌড়াদৌড়ি করে, খরগোশ মনের আনন্দে ঘাস খায়,লাফায়। তারপর অন্ধকার হওয়ার আগেই খরগোশ নিজেই তাদের ঘরে চলে আসে।
মাস খানেক আগে মাইকেল ফোন দিয়ে বলে খরগোশের বাচ্চা হয়েছে। আকিফ দুপুরের খাবার খাচ্ছে তখন। খাবার ফেলে দৌড়ে নিচে নেমে গেল বাচ্চা দেখতে। ছবি তুলে নিয়ে এল, তার খুশি তখন আরো বেড়ে গেল। আমি বাচ্চা দেখতে যায়নি। পরদিন সকালে আকিফকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার আগে বাচ্চা দেখতে গেলাম, কিন্তু খরগোশের ঘরে বাচ্চা নেই। সবাই মিলে অনেক খুঁজেও বাচ্চা পাইনি। বাচ্চা কোথায় গেল কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। আকিফের স্কুলের সময় হয়ে গেল তাই তাকে স্কুলে নামাতে গেলাম, বললাম যে ফিরে এসে বাচ্চা খুঁজে বের করব।
স্কুল থেকে এসেই শুরু হল বাচ্চা খোঁজার অভিযান। আমার পুরা বাহিনী বাসার সমস্ত কম্পাউন্ডে বাচ্চা খুঁজে বেড়াচ্ছে কিন্তু কিসের কি, বাচ্চার পাত্তাও নেই। মাইকেল নাকি অনেক আগে খরগোশের ঘরে তাদের গর্ত খুঁড়তে দেখেছিল, কিন্তু এখন সেই গর্তও নাই। মাইকেল কি মনে করে তাদের ঘরের যেখানে গর্ত ছিল সেখানে মাটি সরাতে লাগলো। কিছু মাটি সরানোর পর গর্তের মুখ বের হল, মাইকেল আরো বেশি করে মাটি সরিয়ে দেখে অনেক বড় গর্ত, আর উঁকি দিয়ে দেখে ভেতরে বাচ্চা। আমি বাচ্চা দেখার আগেই মা আর বাবা খরগোশ মিলে মাইকেলের হাতের উপর বসেই তাদের পা দিয়ে আবার গর্ত ঢেকে দিল। গর্তের ভেতর কয়টা বাচ্চা, কত বড়, দেখতে কেমন কিছুই জানা হলনা। খরগোশ খাবার খেয়ে গর্তের মুখের কাছেই শুয়ে থাকে, পাহারা দেয়, যাতে আমরা গর্তের মুখ খুলে বাচ্চা বের করতে না পারি।
সেই যে গর্তের মুখ বন্ধ করেছে বাবা, মা আর খুলে না। তারা খাবার খায়, বাইরে এসে বাগানে ঘাস খায় কিন্তু বাচ্চার কোন খবর নাই। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি কখন বাচ্চা দেখতে পাব। অবশেষে অনেকদিন পর দেখি খরগোশ নিজেই গর্তের মুখ খুলে দিয়েছে আর বাচ্চারা গর্তের মুখে বসে থাকে, আমাদের দেখলেই আবার গর্তের ভেতর চলে যায়।কয়টা বাচ্চা আছে তা আর জানা হয়না।একদিন দেখি সব বাচ্চা গর্তের বাইরে চলে এসেছে, সবাই মিলে খাবার খাচ্ছে। মোট তিনটা বাচ্চা। এখন তারা আর গর্তের ভেতর যায় না, আমাদের দেখে ভয়ও পায়না। এখন আমাদের খরগোশের ৫ জনের বিশাল পরিবার।
সামান্য পশুও যেখানে নিজের বাচ্চাকে বাইরের সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষার জন্য সর্তক থাকে আর সেখানে আমরা মানুষ হয়েও নিজের সন্তানকে নিজেই হত্যা করি।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমি আগে বিড়াল পোষতাম।
আর এখন ছেলে খরগোশ পুষে। আগে খরগোশের সাথে সময় দেইনি , এখন দিচ্ছি, ভালই লাগছে।
আর খরগোশগুলি বিকালে আমাদের সারা বাড়ি দৌড়ে দৌড়ে ঘাস খায়, যা দেখতে খুবই ভালো লাগে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৭
এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: মনের পশু, বনের পশুর চেয়েও ভয়ঙ্কর। এজন্যই মানুষকে নৈতিকতার শিক্ষায় জীবনকে অর্থবহ করতে হয়,নইলে--------যা বলার মতো নয়। এখন বলুন- এ শিক্ষা আমরা কোথা হতে গ্রহন করবো।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:২০
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মনের পশু, বনের পশুর চেয়েও ভয়ঙ্কর। এজন্যই মানুষকে নৈতিকতার শিক্ষায় জীবনকে অর্থবহ করতে হয়,নইলে--------যা বলার মতো নয়।
নৈতিক শিক্ষার একমাত্র পরিবার আর ধর্মীয় জ্ঞান থেকেই সম্ভব।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫১
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: সামান্য পশুও যেখানে
নিজের বাচ্চাকে
বাইরের সমস্ত বিপদ
থেকে রক্ষার জন্য
সর্তক থাকে আর
সেখানে আমরা মানুষ
হয়েও নিজের
সন্তানকে নিজেই
হত্যা করি।
আমাদের মনুষ্যত্ব দিন দিন হাওয়া হয়ে যাচ্ছে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমাদের মনুষ্যত্ব দিন দিন হাওয়া হয়ে যাচ্ছে
হুম, দিনে দিনে এইঅবস্থা আরো খারাপই হবে।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
কল্লোল পথিক বলেছেন:
আপনার শেষের লাইনটি
আমাদের সমাজের বাস্তবতা
ধন্যবাদ চমৎকার পোস্ট।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৪
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সমাজের বাস্তবতা আরো খারাপ। কেউ কারো কাছেই নিরাপদ না এখন আমাদের দেশে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:০৬
আমিই মিসির আলী বলেছেন: সামান্য পশুও যেখানে নিজের বাচ্চাকে বাইরের সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষার জন্য সর্তক থাকে আর সেখানে আমরা মানুষ হয়েও নিজের সন্তানকে নিজেই হত্যা করি।
বাহ্!
+
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পশুদের মায়া আছে তাদের সন্তানের জন্য কিন্তু আমাদের নেই।
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২২
উল্টা দূরবীন বলেছেন: বাহ!! খুব কিউট লাগছে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হুম এত সুন্দর লাগে দেখতে যে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।
এরা খুব নিরীহ প্রাণী, আপনিও পালা শুরু করে দিন।
৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
প্রামানিক বলেছেন: সামান্য পশুও যেখানে নিজের বাচ্চাকে বাইরের সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষার জন্য সর্তক থাকে আর সেখানে আমরা মানুষ হয়েও নিজের সন্তানকে নিজেই হত্যা করি।
চরম সত্য কথা। ধন্যবাদ
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হুম এখন আর আমাদের দেশের মায়েদের ও বিশ্বাস নেই।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০০
দূরত্ব বলেছেন: খরগোষ কে ছেড়ে দিয়ে পুষবেন না বিসাল এরিয়াতে। খরগোষকে ইনডোর প্রাণী। বড় এরিয়াতে ছেডে দিলে আপনার সাথে সখ্যতা হ্রাস পাবে। আর পেডাটর আক্রমন করতে পারে। তাই খরগোষ নির্দিষ্ট এরিয়াতে থাকলেই আনেক দিন বাচে। আপনি খরঘোষ এর জন্য ফুট হিসেব তারের জালি কিনে৫টা খরগোষের জন্য ৬ ফিট বর্গাকার খাচা করে ঔটার ভেতর খরগোষ ছেড়ে দিবেন তবে অবশ্যই উপরে প্লাস্টিক এর টিন দিবেন, রোদ বৃষ্টি ও আলোর জজন্য
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনি মনে হয় খরগোশ পালেন তাই ভালো অভিজ্ঞতা আছে আপনার।
আমাদের খরগোশের ঘর আছে আলাদা। সব সময় তারা তাদের ঘরেই থাকে। শুধু বিকালে তাদের ছাড়া হয় আমাদের বাগানের ঘাস খাওয়ার জন্য।
ঘাস খেয়ে তারা আবার তাদের ঘরে চলে আসে।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৬
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বাচ্চাগুলা দেখে আমারও পোষার ইচ্ছা করছে!
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: খরগোশ খুবই শান্ত প্রাণী। বাসায় জায়গা থাকলে পুষতে পারেন।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৭
সুমন কর বলেছেন: খরগোশের কাহিনী শেয়ারটা ভাল লাগল। শেষে এসে সমসাময়িক বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমার বাড়ি ছোটঘাট চিড়িয়াখানা। আরো অনেক কিছু আমরা পুষি।
মানুষ হয়ে মানুষ হত্যা এখন আমাদের প্রতিদিনের রুটিন মাফিক কাজ হয়ে গেছে এবং দিনে দিনে তা বেড়েই চলেছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২২
দূরত্ব বলেছেন: খরগোষ অনেক সোসাল প্রাণী, আমিও পুষি
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমরা আগে অন্য অনেক পাখি পুষতাম, বিড়াল পুষতাম কিন্তু খরগোশ এই প্রথম।
আবারো মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
খরগোশ গুলো অনেক কিউট।
মানুষ খরগোশ হয়ে উঠুক
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হুম অনেক কিউট। খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে এত্ত কিউট
দিনে দিনে মানুষের নৈতিক অধপতন হতেই থাকবে, এ থেকে ফেরার উপায় নেই।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সুন্দর ভাবনা।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: নানা রকম প্রানীতে ভরা আমার বাড়ি।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো থাকুক খরগোশ, বিড়াল এবং মানবশিশুরা। তারা আরো কাছাকাছি আসুক। জয় হোক নিষ্পাপ সৌন্দর্যের।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভালো থাকুক খরগোশ, বিড়াল এবং মানবশিশুরা। তারা আরো কাছাকাছি আসুক। জয় হোক নিষ্পাপ সৌন্দর্যের।
খুব সুন্দর কথা বলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
১৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮
বিজন রয় বলেছেন: মানুষ ভাল হোক।
বাচ্চারা ভাল থাকুক।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মানুষের বিবেক জাগ্রত হোক। বাচ্চারা নিরাপদ থাকুক সবখানে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮
দূরত্ব বলেছেন: আমার ১৫টি খরগোষ আছে, বাচ্চা থেকে পুষলে, খরগোষ আপনার ডাকে সাড়া দিবে। প্রতিদিন একই সময়ে খাবার দিবেন আর খাবার দেয়ার সময় নির্দষ্ট নামে ডাক দিবেন তাহলে ওরা বুজবে। তবে ছোট বাচ্চা কাক বিড়াল কুকুর থেকে সাবধান। নখ বড় হলে তাওয়েল দিয়ে পুরো খরগোষকে পেচিয়ে ধরে নেইল ক্লিপ করবেন।তবে অবশ্যই এর আগে লাইটের আলোতে ধরে লাল সিমানা দেখে নিবেন। খরগোষ যদি দেখেন অপিষ্কার তাহলে বুজবেন খরগোষের অসুখ হয়েছে। রেনামাইসিন গুড়ো করে খরগোষকে খেতে দিবেন ভাতের সাথে।
০৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ওয়াও আপনার দেখি অনেক অভিজ্ঞতা। ফেসবুক আইডি থাকলে দেন, এড করে রাখি তাহলে অনেক পরামর্শ পাব।
কি কি খাবার দেন আপনার খরগোশদের? গোসল করাতে হয় কি? আমরা এখনো গোসল করাইনি।
১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭
তানজির খান বলেছেন: আপনার খরগোশের গল্পটি পড়লাম। খুব ভাল লাগল। মা মানেই মহৎ প্রাণ। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য
১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মায়ের তুলনা কারো সাথেই হয়না।
কিন্তু আজকাল মানুষ মায়েরা মায়ের আসন থেকে সরে যাচ্ছে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
১৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সামান্য পশুও যেখানে নিজের বাচ্চাকে বাইরের সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষার জন্য সর্তক থাকে আর সেখানে আমরা মানুষ হয়েও নিজের সন্তানকে নিজেই হত্যা করি। তো বটেই সাথে শত্রুরও।। শিশুহত্যার হারই তার প্রমান।।
২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মায়ের মমতা থাকুক অটুট।
মানুষের বোধ জাগ্রত হোক।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: খরগোশের গল্পটি পড়লাম। খুব ভাল লাগল।
২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত।
২০| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দু'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য মায়ের স্নেহ ভালোবাসার অকৃত্রিম অনুভূতির প্রতি আমি আস্থা হারাতে চাই না। মায়ের মমত্ববোধ নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সবচে' দুর্লভ বস্তু।
আকিফের জন্য স্নেহ রইল। ধন্যবাদ বোন ফেরদৌসা।
২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: দু'একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য মায়ের স্নেহ ভালোবাসার অকৃত্রিম অনুভূতির প্রতি আমি আস্থা হারাতে চাই না। মায়ের মমত্ববোধ নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সবচে' দুর্লভ বস্তু।
ঠিক কথা বলেছেন।
দুয়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারন বের করে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নিলে অনেক বিচ্ছিন্ন ঘটনা কমে যেত।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুক সব সময়।
২১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
নেক্সাস বলেছেন: দারুন ব্যাপারতো।
২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হুম। আগে খরগোশ পালিনি তাই তাদের সব আচরণই আমাদের অবাক করে।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: খরগোশের ছবিগুলো খুব সুন্দর। পুরো গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো, তবে একেবারে শেষে এসে মনটা খারাপ হয়ে গেল। মাতৃত্ববোধ পশুতে মানুষে সমান, এটা আল্লাহ প্রদত্ত। তা না হলে জগতে মানুষ কিংবা পশুপ্রাণীর বংশ বিস্তার করাটা খুব কঠিন হয়ে পড়তো।
গল্পের মাধ্যমে একটা নৃশংস ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে পাঠকের বিবেককে নাড়া দিয়ে গেলেন।
২০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১২
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মাতৃত্ববোধ পশুতে মানুষে সমান, এটা আল্লাহ প্রদত্ত। তা না হলে জগতে মানুষ কিংবা পশুপ্রাণীর বংশ বিস্তার করাটা খুব কঠিন হয়ে পড়তো।
তাতো অবশ্যই। কিন্তু দুয়েকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা মন খারাপ করে দেয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাচ্চা গুলো যখন গর্তে ছিলো তখন ওদেরকে খাবার দিতো কিভাবে?
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৭
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমরা তো গর্তের মুখ খুলতেই দেখিনি। হয়ত রাতে দিত।আমরা গর্তের মুখ খুলতে গেলে মা খরগোশ হাতের উপর এসে বসে থাকতো যাতে মুখ খুলতে না পারি। একটু খোলার পর মা পা দিয়ে মাটি দিয়ে আবার মুখ বন্ধ করে দিত। এটাই হয়ত তাদের বাচ্চা দেওয়ার সিস্টেম। বাচ্চা যখন নিজে নিজে ঘাস খেতে পারে তখন গর্তের ভেতর থেকে বের করে। আর ছোট অবস্থায় বাচ্চারা মায়ের দুধ খায়। কয়দিন হল আরো দুইটা বাচ্চা গর্ত থেকে বের হয়েছে।
২৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১৮
শায়মা বলেছেন: পৃথিবীর সব বাচ্চারাই ভালো থাকুক!
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভালো থাকুক পৃথিবীর সব বাচ্চারা এই হোক আমাদের চেষ্টা।
২৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫
বিজন রয় বলেছেন: নতুন লেখা দিন।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৪
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হুম
২৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫২
রাজসোহান বলেছেন: একমাসের জন্য খরগোশের বাচ্চা পালছিলাম একবার। হেব্বি মজা হইতো!
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমার বাসায় খরগোশের খামার করব ভাবছি। ছোট ছোট বাচ্চা দেখতে দারুন লাগে।
২৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০২
এহসান সাবির বলেছেন: তারা এখন কেমন আছে?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৮
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: তারা ভালো আছে, আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। তাদের জন্য এখন অনেক বড় ঘর বানিয়েছি। আমাদের সবজি বাগান পুরাটা তাদের দিয়ে দিয়েছি, ওখানেই এখন তাদের নতুন ঘর। সবজি বাগানে সারাদিন ঘুরেফিরে, ঘাস খায়, সন্ধ্যার আগে ঘরে চলে যায়। আরো দুইটা নতুন বাচ্চা হয়েছে। এখন ওরা ৭ জন।
২৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: সামান্য পশুও যেখানে নিজের বাচ্চাকে বাইরের সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষার জন্য সর্তক থাকে আর সেখানে আমরা মানুষ হয়েও নিজের সন্তানকে নিজেই হত্যা করি।
পুরো খরগোশ পরিবারের কোন ছবি নেই একসাথে?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:০৯
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সবার ছবি তো একসাথে তুলতে পারিনা। দেখা যায় কেউ ঘুমায়, কেউ গর্তের ভেতর বসে থাকে, কেউ খাবার খায়, আবার ছবি তুলতে গেলে কেউ দৌড় দিয়ে পালায়।
২৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খরগেশের বাচ্চাগুলি দেখে খুব ভাল লাগল ।
বিবরণীটাও সুন্দর । মনে পড়ে ছোট বেলায়
শিকারীরা বনের একপাশে জাল ফেলে
অপর প্রান্ত থেকে ধাওয়া করে খরগোশকে
জালে আটকিয়ে ধরত । সেগুলি ছিল
খোড় ওয়ালা খড়গোশ । এখন খুরওয়ালা
খেগোশ নাই বললেই চলে । এখন বেশীর
ভাগই নখর বিশিস্ট খরগোশ । যাহোক
খুরওয়ালাই হোক অার নখরওয়ালাই
হোক খুরগোশ দেখতে খুব সুন্দর
বাচ্চাদের খুব পছন্দ ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমাদের দুইটা খরগোশ থেকে এখন হয়েছে ১২ টা খরগোশ। এত ভালো লাগে যখন সবগুলি দৌড়ায়, আমার ছেলের সাথে খেলা করে
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল লাগল শুনে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪১
তার আর পর নেই… বলেছেন: শেষের লাইনে গিয়ে বললেন, মানুষ আর মানুষ নাই … খরগোশের ছবিগুলো সুন্দর! আমার কাছে খরগোশ ভাল লাগে না, বিড়াল বিড়াল লাগে।