![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিলেটের রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট এর নাম ও ছবি অনেক দেখেছি। এবার টার্গেট ছিল এটা দেখতে হবেই। সবাই বলে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট আর আমি বলি পানির উপর বন। আবার অনেকে বলে জলাবন। যেহেতু পুরা বনটাই পানির উপর তাই পানির উপর বন বা জলাবনই উপযুক্ত নাম।
এটা বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন এবং বন্যপ্রাণী অভ্যারণ্য, যা সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত।বনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১একর। আর এরমধ্যে ৫০৪ একর বনকে ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এটি পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি জলাবনের মধ্যে অন্যতম একটি বন।
মেইন রাস্তা পার হয়ে আমরা এই গ্রামের রাস্তায় চললাম রাতারগুলের দিকে
চিরসবুজ এই বন গুয়াইন নদীর তীরে অবস্থিত এবং চেঙ্গিস খালের সাথে একে সংযুক্ত করেছে। এখানে সবচেয়ে বেশি জন্মায় করচ গাছ। বর্ষাকালে এই বন ২০/৩০ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে। বাকি সারাবছর পানির উচ্চতা ১০ ফিটের মত থাকে। বর্ষাকালে এই বনে অথৈ পানি থাকে চার মাস। তারপর ছোট ছোট খালগুলো হয়ে যায় পায়ে চলা পথ। আর তখন পানির আশ্রয় হয় বন বিভাগের খোঁড়া বিলগুলোতে। সেখানেই আশ্রয় নেয় জলজ প্রাণীকুল।
ঐ দেখা যাই গুয়াইন নদী
নদীর পাড়ে এসে আমরা নৌকা ভাড়া নিলাম।
আমরা মেইন রোড পার হয়ে একটা গ্রামের ভেতর ঢুকে গেলাম। রাস্তা খুবই খারাপ, সেই খারাপ রাস্তা দিয়ে চললাম গোয়াইনঘাট নদীর পাড়ে। নদীর পাড় আসার সাথে সাথেই নৌকার দালাল আমাদের ধরলো, তার অনুমতি ছাড়া এবং তার ঠিক করে দেওয়া দাম ছাড়া নাকি কেউ নৌকা দিবেনা। প্রথমে ভাড়া তিন হাজার চাইলেও পরে আমরা দেড় হাজারে ঠিক করে নৌকা নিলাম। নদীর পাড়ে ছোট ছোট বাচ্চারা রোদ থেকে মাথা বাচানোর জন্য এক রকম ক্যাপ আর লাইফ জ্যাকেট ভাড়া দেয়, তাদের থেকে আমরা প্রতিটা ২০ টাকা করে ভাড়া নিলাম।
এই পিচ্চিরা মাথায় দেওয়ার ক্যাপ আর লাইফ জ্যাকেট ভাড়া দেয়, সারাদিনের জন্য একেকটা ২০ টাকা।
এই আমাদের নৌকা
আমাদের মাঝির নাম মজনু। মজনু মিয়া আমাদের নিয়ে চললো রাতারগুল পানির বনে। আমরা যে পাশ থেকে নৌকায় উঠলাম সেখান থেকে বন খুবই কাছে। এখানকার নৌকার সবচেয়ে যা ভালো লেগেছে তা হচ্ছে নৌকায় ইঞ্জিন নাই, হাতে চালিত সব নৌকা।
আমরা রাতারগুলে নৌকা নিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম কেউ কেউ নদী থেকে তাজা মাছ ধরে বিক্রি করছে।
সবগুলি মাছ মাত্র দেড় হাজার টাকায় আমাদের দিতে চাইলো কিন্তু আমরা ঘুরতে গিয়ে মাছ দিয়ে কি করবো, তাই আর কেনা হয়নি।
আমাদের সাথে ছিল নিয়াজ ভাই, উনি আগেও এই রাতারগুল ঘুরেছেন তাই সব কিছু জানা উনার। উনি মাঝিকে বললেন প্রথমে আমাদের বনের ভেতর যে ওয়াচ টাউয়ার আছে সেখানে নিয়ে যেতে, ওয়াচ টাওয়ার থেকে নাকি পুরা রাতারগুল মন দেখা যায়। আমরা নৌকা ওয়াচ টাওয়ারের কাছে রেখে সিঁড়ি দিয়ে একদম উপরে উঠলাম। উপর থেকে পুরাটা বন দেখতে একদম ডিমের আকৃতির মত লাগছিল।
ওয়াচ টাওয়ার
ওয়াচ টাওয়ার থেকে দেখা বন
এই ছেলে বনের মধ্যেই নৌকায় বসে চা, বিস্কিত, ঝাল মুড়ি সহ আরো অনেক কিছু বিক্রি করে। আমরা চা আর বিস্কিত কিনে খেয়েছি। চা বেশ মজার।
আমাদের নৌকার মাঝি। সে খালি গলায় আমাদের চমৎকার একটা গান শুনিয়েছে।
আমরা অনেকক্ষণ ছিলাম উপরে, অনেক ছবি তুললাম।তিন বা চার তলা উচ্চতার সমান হবে ওয়াচ টাওয়ার। টাওয়ার থেকে নেমে দেখি বনের মধ্যে নৌকায় এক মাঝি চা,ঝালমুড়ি, বিস্কিত বিক্রি করছে। আমাদের মাঝিকে বললাম আমাদের নৌকা ওখানে নিয়ে যেতে। রাতারগুল পানির বনে নৌকায় বসে আরেক নৌকা থেকে আমরা চা বিস্কিত খেলাম। পুরা বন ঘুরে দেখার মত সময় ছিলনা আমাদের, তাই অল্প একটু ঘুরেই আমরা চলে এসেছি।
আমরা যখন রাতারগুল বনে গেলাম তখন ভরা বর্ষা, পুরা বন পানির নিচে, শুধু গাছের মাথা উপরে জেগে আছে। আমরা যখন ঘুরছিলাম মনে হচ্ছিল আমরা গাছের মাথার উপর দিয়ে নৌকায় ঘুরছিলাম।
আমরা যখন রাতারগুল থেকে বের হয়ে আসি, তখন দেখি আরো অনেকেই নৌকা নিয়ে বন ঘুরতে যাচ্ছে।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সামনের বছরও দেশে যাওয়ার ইচ্ছা আছে ইনশাআল্লাহ্।
তখনো সিলেটের অন্য আরেক এলাকায় যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
আমাদের নিজের দেশও কিন্তু সুন্দর। আসলে ঘুরার জন্য ভালো ব্যবস্থা নাই এটাই সমস্যা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৬:৩৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: মনে করেছিলাম ঘুমিয়ে পরবো- আপনি নাছোড়বান্দার মতো গাড়িতে চড়িয়ে, নৌকা বাইয়ে রাতারগুল নিয়েই গেলেন | তাজা বিলের মাছগুলোর ভুনা খাওয়া হলো না বলে একটু খারাপ লাগছে নইলে বাদবাকিটা ফ্যান্টাস্টিক | ফটোগুলো খুব সুন্দর লাগছে | অনেক ধন্যবাদ ঘুমুতে না দিয়ে রাতারগুলে নিয়ে যাবার জন্য |
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ঘুমিয়ে না গিয়ে পোস্ট দেখে ভালো করেছেন। নিজের দেশে যে একটা সোয়াম্প ফরেস্ট আছে তা ঘুরে এলেন।
সিলেটে দুইটা কারনে গিয়েছিলাম। এই বন দেখা তার মধ্যে একটা।
তাজা মাছ গুলি দেখে আমাদেরও লোভ হচ্ছিল কিন্তু আমরা পর্যটক, মাছ কিনে কোথায় রান্না করবো তাই আর কেনা হয়নি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:১২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: চমৎকার জায়গা, তবে আমি যখন গিয়েছিলাম তখন ওয়াট টাওয়ারটা ছিল না।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:০৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে।
পানি বেশি থাকাতে পুরা বন ডুবে ছিল।
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:১০
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার যতসব ছবি।
ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:১৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ছবি দেখে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন।
৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:২৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি গেছিলাম ড্রাই সিজনে, ২০০৮ এর দিকে।
তখনো এটা টুরিষ্ট স্পট হিসেবে তেমন পরিচিতি পায় নি।
আমি গেছিলাম ড্রাই সিজনে, ২০০৮ এর দিকে।
তখনো এটা টুরিষ্ট স্পট হিসেবে তেমন পরিচিতি পায় নি।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমি এই প্রথম গেলাম।
পানির উপর পুরা একটা বন দাঁড়িয়ে আছে দেখতে ভালোই লাগে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩২
দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: সুন্দর পরিবেশ। ভাল লাগল।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৪
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১৪
চিন্তক মাস্টারদা বলেছেন:
চমৎকার জায়গা, দয়ালের অপরূপ নিদর্শন।
তারচেয়ে ইনজয়ের জায়গা হচ্ছে 'হামহাম', তবে শক্তিশালী মহিলা ছাড়া দুর্বলরা গেলে খবর আছে :p
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩৭
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হামহামের কথা শুনেছি। ছবিও দেখেছি অনেক।
কিন্তু আমি ভীতু মানুষ তাই ওখানে আমার কখনোই যাওয়া হবেনা চিন্তক মাস্টরদা।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
নতুন নকিব বলেছেন:
চমৎকার এবং অসম্ভব সুন্দর মায়াময় জায়গা, দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়।
ভাল থাকুন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৩৯
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এই রাতারগুল দেখার আমার খুব ইচ্ছে ছিল, এবার ইচ্ছে পূরণ করে নিলাম।
আসলেই সুন্দর।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৫
পার্থ তালুকদার বলেছেন: আহ ! আমাদের সিলেটের রাতারগুল !!
ছবি ও কথায় দারুণ পোষ্ট । ভাল থাকবেন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৪১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অহ আপনি সিলেটের মানুষ, আগে জানলে আপনার বাড়ি বেড়াতে যেতাম।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১২
করুণাধারা বলেছেন: ছবি ও বর্ণনা দুইই ভাল, খুব ভাল। কিছু কিছু ছবি উপর থেকে তোলা। কিভাবে তুল্লেন?
চমৎকার ছবি ব্লগের জন্য ধন্যবাদ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৩১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: রাতারগুল বনে ওয়াচ টাওয়ার আছে যা চারতলা বিল্ডিং এর সমান উঁচু।
পুরা বন দেখতে হলে ওয়াচ টাওয়ারে উঠতে হয়। আমরাও উঠেছিলাম, ওখান থেকেই তোলা।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫
গ্রীনলাভার বলেছেন: চমৎকার। ভাবছিলাম এই শীতে যাব। কিন্তু আপনার বর্ননা পড়ে মনে হচ্ছে বর্ষা কালে গেলে মজা হবে বেশী।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৩৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: দুই সিজনে মনে হয় দুই রকম সৌন্দর্য্য। যারা দুই সিজনেই গিয়েছে তারা ভালো বলতে পারবে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি ও বর্ননায় অনেক ভাল লাগল।
আপনার সাথে আমরাও ঘুরে এলাম রাতারগুল!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৩৪
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমার সাথে রাতারগুল ঘুরে আসার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো থাকবেন।
১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুন লেখা ও ছবি রুহীপু !!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৩৫
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু সব সময় মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
ছবি আর বর্ণনা তুলনাহীন!!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৩৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনিও ঘুরে আসুন আপা কোন এক ফাঁকে।
অনেক ধন্যবাদ আপা মন্তব্যের জন্য।
১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২০
খালিদ আহসান বলেছেন: চমৎকার সব ছবি এবং বর্ণনা। প্রথম ছবিগুলো দেখে আমি ভাবছিলাম ছবিগুলো কিভাবে তোলা হল, ড্রোন দিয়ে নাকি! পড়ে বুঝতে পারলাম ছবিগুলো ওয়াচ টাওয়ার থেকে তোলা।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৩৮
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: জি ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরা বন দেখা যায়।
চারতলা বিল্ডিং এর সমান উঁচু এই ওয়াচ টাওয়ার।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭
জাহিদ হাসান বলেছেন: আগামী বছর অবশ্যই যাবো। পুরো সিলেট এক চক্কর দিবো।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৪০
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সিলেট অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে। অবশ্যই দেখা উচিত একবার।
আপনার সিলেট ভ্রমণ আনন্দের হোক, অগ্রিম শুভকামনা রইলো।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মনোমুগ্ধকর ছবিগুলো ও বর্ণনা মুগ্ধ করলো,
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৪২
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: মুগ্ধ করার মতই জায়গা, সময় করে ঘুরে আসুন, ভালো লাগবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০
প্রামানিক বলেছেন: ছবি বর্ণনা খুবই ভালো লাগল। ধন্যবাদ
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই মন্তব্যের জন্য।
১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সুমন কর বলেছেন: বাহ....আমরাও ঘুরে নিলাম, আপনার পোস্টের সাথে।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৪
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পোস্টের সাথে ঘুরলে হবেনা, যদি রাতারগুল না দেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই যাবেন দেখতে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
২০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৩৫
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: গতবার যখন দেশে গিয়েছিলাম তখন রাতারগুল যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু ভয়ে যাইনি
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৭
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার এলাকাতে আপনি ভয় পান কিন্তু আমি পাইনি।
অনেক ধন্যবাদ হাক ভাই মন্তব্যের জন্য।
২১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৫৭
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি যে চেয়ারে বসা ছিলাম ৭ সপ্তা, আপনি হলেও আপনিও ভয় পেতেন।
আমিতো ভয়ে গেটের বাইরে যেতাম না। হয়তো তা আমার ভয় ছিল। তবে আবার দেশে গেলে, এক্কেবারে গ্রাম থেকে নৌকায় উঠে রাতারগুল যাব। ডাহুকা নদী থেকে শুরু করব।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:০০
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আচ্ছা এবার বীরের বেশে ঘুরে আসুন। আমিও আরো ঘুরতাম কিন্তু সময় পাইনি।
২২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:০৪
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি প্রথম কালাগুল ভেবেছিলাম। দেশে যখন ছিলাম তখন রাতারগুল নামে গন্ধ ছিল না।
কালাগুলে ভূত আছে, তা আমরা বিশ্বাস করতা। চা বাগানে গেলে বান্দর এবং ভূতে আমাদেরকে দৌড়াত।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: হাক ভাই ভুত দেখতে চাই
২৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৪০
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
আব্দুলহাক ভাই, দেশে আসেন, আমরা সবাই আপনার বাড়ীও যাব, রাতারগুলও দেখব!!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:২৯
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপা হাক ভাই দেশে আসলেই যাইয়েন রাতারগুল দেখতে।
তাহলে রাতারগুলও দেখা হবে সাথে হাক ভাইয়ের লাউতলাও দেখা হবে।
২৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
শুনেছি অনেক, কিন্তু এখনো যাওয়া হয়নি। ইনশাআল্লাহ আমাদের নেক্সট ভ্রমণের জন্য এর নাম উত্তাপন করবো।
ধন্যবাদ পূর্বেই পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য, সুবিধা হল বটে। শুভকামনা জানবেন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ফেইসবুক ব্লগে এই রাতারগুলের অনেক ছবি দেখেছি।
তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল দেখার। এবার সেই ইচ্ছা পূরণ করলাম।
ঘুরে আসুন, আশা করি ভালো লাগবে।
২৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১০
আমি ইহতিব বলেছেন: পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন। আমার ছোট কন্যার তিন মাস বয়সের সময় ওকে নিয়েই চলে গিয়েছিলাম রাতারগুল। পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশনে আমার অবস্থা তখন ভয়াবহ। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমার জামাই এই ট্যুর প্ল্যান করে। খুব ভালো লেগেছিলো জায়গাটা। তবে রাস্তার দূর্দশার কথা ভেবে আর কখনো যাওয়ার কথা ভাবা হয়নি।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার ছবি দেখে মনে হচ্ছে আপনি ও ভরা বর্ষাতেই গিয়েছিলেন।
বর্ষা আর শীতে মনে হয় রাতারগুল দুই রকমের সুন্দর। আমি বর্ষার সৌন্দর্য দেখেছি, ভালো লেগেছে খুব।
পানির উপর পুরা একটা বন দাঁড়িয়ে আছে এটাই সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার।
অনেক ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
২৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ফেরদৌসা রুহী ,
কি অপূর্ব একটি জায়গা অথচ রাস্তার যা শ্রী দেখলুম তাতে ভ্রমনের আনন্দই তো মাটি হয়ে যাবার কথা । আমাদের পর্যটন বিভাগ এতো এতো বড় কথা বলে অথচ উন্নত আর সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা যে পর্যটনের মূল - "উৎসাহ" কেই জাগিয়ে রাখে সেদিকে কারো নজর নেই কেন ? ভাবতেই অবাক লাগে , কর্তাব্যক্তিরা হেন করেঙ্গা .. তেন করেঙ্গা বলে লাফায় কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার তিল পরিমান উন্নয়নই তো দেখলুম না এ পর্যন্ত। অথচ হাযার হাযার লোক রাতারগুল ভ্রমনে যায় প্রতি বছর ।
পর্যটন না হয় আমাদের রাতারগুলে নিয়ে যেতে পারলোনা কিন্তু চমৎকার সব ছবিতে আপনার সাথে রাতারগুল ভ্রমন হয়ে গেলো ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ।
আমাদের দেশের পর্যটন বিভাগের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নাই পর্যটকদের জন্য একটু ভালো চিন্তা করার।
শুধু মাত্র এই সমস্ত ভাংগাচোরা রাস্তাঘাট, নিরাপত্তার অভাব, ট্রান্সপোর্ট এর অভাবের জন্য অনেক পর্যটক আমাদের দেশে ঘুরতে আসেনা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৩
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এটার কথা জানলামই কিছুদিন আগে।
ছবি দেখা হলো।
যাবো হয়তো কোন একদিন। টু-ভিজিট লিস্টে আগেই যুক্ত ছিল। আপনি আগ্রহ বাড়িয়ে দিলেন।
ছবিগুলো সুন্দর।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: যাওয়া দরকার। নিজের দেশে পানির উপর একটা আস্ত বন জেগে আছে এটা সবারই দেখা দরকার।
আমার আগ্রহ ছিল খুব দেখার, সেই ইচ্ছা পূরণ করলাম।
২৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:০১
অ্যালেন সাইফুল বলেছেন: যেতে ইচ্ছা করছে। যাবো একদিন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: অবশ্যই যাবেন।
বনের এই সৌন্দর্য দেখা উচিত সবারই।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঐদিকে গেলেও রাতারগুলটা দেখা হয়ে উঠেনি।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনি তো অনেক ঘুরেন।
কোন এক ফাঁকে দেখে নিবেন।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৭
নিয়াজ সুমন বলেছেন: আপু, আপনার ছবি গুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। যাওয়ার তীব্রতা আরো বেড়ে গেল । বছরের যে কোন সময় কি ঐ বন দেখতে যাওয়া যায়? উপযুক্ত সময় কখন?
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এই বন সারা বছরই উন্মুক্ত। যেকোন সময় বন দেখতে যেতে পারেন।
বর্ষায় এক রকম আর শীতে আরেক রকম সৌন্দর্য। এখন আপনার ইচ্ছা আপনি কখন যেতে চান।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৪০
উম্মে সায়মা বলেছেন: চমৎকার সব ছবি আর বর্ণনা। কোন একদিন যাবার ইচ্ছে....
০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: সময় করে একবার ঘুরে আসুন।
আশা করি ভালো লাগবে।
৩২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ছবি আর বর্ননা পড়ে মনে হচ্ছে আপনার সাথে আমিও ছিলাম।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৩
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: যাক বাস্তবে না হোক ছবির মাধ্যমে হলেও আপনাকে রাতারগুল দেখাতে পেরে আমিও আনন্দিত।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
৩৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯
ফয়সাল রকি বলেছেন: রাতারগুল যাইতে মঞ্চায়
০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৭
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: চলে যান একদিন, ঘুরে আসুন।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
৩৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে ছবি ও বর্ণনা । রাতারগুলে যাওয়া হয়ে উঠেনি কোনদিন যদিও এর নাম ও গুণের কথা শুনেছি । আজ আপনার এ পোষ্টের সুবাদে জানা হল বাংলাদেশের এই বৃহত্তম জলাভুমিটির সৌন্দর্য ও জীব বৈচিত্রের কথা । মনে হল সুন্দরবন নয়, নয় কুয়াকাটা কিংবা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এ যে সমুদ্র হতে অনেক দুরে মিঠা পানিতে গজিয়ে উঠা এক বিশালাকার জীব বৈচিত্র্য ,সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি দিগন্ত জোড়া । আপনার এ পোষ্টে উঠে আসা ভাসমান সবুজ বেষ্টনীর সমারোহ দেখে মনে হল প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ের ওপারে এ যেন আরেক সুন্দর বনেরই হাতছানি। দেখে যেন একে অবিকল সুন্দর বনের মতই মনে হয়।
পোষ্টের ছবি দেখে ও বিবরণ পাঠে মনে হল আপনার মতই ছোট ডিঙ্গি নৌকায় বসে বনের ভেতরটাই যেন দেখছি । জলাভুমির ভিতরে নিঃস্তব্ধ চারপাশ, পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যরশ্মি এসে পানিতে হচ্ছে প্রতিফলিত, মনে হল কিছু কিছু জায়গায় সূর্যের আলো পর্যন্ত করতে পারছে না প্রবেশ । বনের ভেতরে পানির উপরে ভেসে থাকা গাছগুলোর আকৃতি একটু অদ্ভুত ধরনের বলেই মনে হল , কোন গাছ্ই সোজা নয়, সব গাছই অদ্ভুত রকমের আঁকাবাঁকা, মনে হয় বর্ষার মৌসুমে পানির নিচে থাকার ফলে গাছগুলো পানির ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়ে উঠায় তাদের গড়ন হয়েছে একটু আঁকাবাঁকা । সত্যিই জীববৈচিত্রে ভরপুর এ জলাভুমি । অনেক আগে কোন এক লেখায় দেখেছিলাম দেশের সবচেয়ে বড় গলা বগ থাকে নাকি এ জলাবনেই বেশী। গুগল মামাবাড়ী হতে তার একটি ছবি এনে তুলে দিলাম নীচে ।
পানির বুকে ভেসে থাকা বন বৃক্ষ হিজল, কদম, বেত, করচ, মুত্রাসহ সকল জলোপযোগী গাছগুলোর পাতা পড়ার কোন শব্দ মনে হয় পাওয়া যায়না এখানে, তবে মাছের হঠাৎ সরে যাওয়ার ছলাত ছলাত শব্দ নিষ্চয়ই বাজবে কানে । দেশের বিলুপ্ত প্রায় স্বুসাদু কালী বাউস মাছটি নাকি বেশি পাওয়া যায় এই জলাবনের পানিতেই । জীববৈচিত্র দেখার মানসে তা্ই ইচ্ছে করছে বনের সবচেয়ে গহিন অংশে একটা ডিঙ্গি নৌকায় একা বসে বাতাসের ঝির ঝির শব্দ শুনি , হাওয়ায় নৌকার দুলুনির সাথে উপভোগ করি পাখির কিচিরমিচির, বানরের লাফালাফি, দেখি স্বচ্ছতোয়া জলের অতলে সহস্র মাছের ঝাঁক আর মাথার উপরে শুনি পাখিদের কলতান। জানিনা কবে এ ইচ্ছা পুর্ণ হবে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২৯
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমি এত কিছু জানতাম না। আপনার মন্তব্য তথ্য আমার পোস্টকে সমৃদ্ধি করেছে।
গাছ গুলি আসলেই একদম সোজা না, কিছুটা আঁকাবাঁকায় মনে হয়।
ঘুরে আসুন একবার, অবশ্যই ভালো লাগবে।
৩৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪২
নীহার দত্ত বলেছেন:
ছবিগুলো মনে হচ্ছে কয়েকটা অনেক উঁচু স্থান থেকে নেয়া।
ভাল লাগলো ।
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩২
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বনের ভেতর ওয়াচ টাওয়ার আছে। সেও টাওয়ারের উপর থেকে তোলা।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ভরা বর্ষায় ছাড়া এখানে বেড়িয়ে আনন্দ তেমন পাওয়া যায় না।।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ভরা বর্ষায় এক রকম সুন্দর, বর্ষা ছাড়া আরেক রকম সুন্দর।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৫:০৩
এম এ কাশেম বলেছেন: বাহ , চমৎকার ছবি আর বর্ণনা।
চলেন আবার যাই। সামনেরবার দেশে গেলে বলেন।
ধন্যবাদ।