![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-আমি বিশ্বাস করি না।
-বিশ্বাস কর বা না কর। আমরা দু'জন কেবলই একটা গল্পের ক্যারেক্টার। কেউ একজন আমাদের লিখছে।
-আহ! আমাদের অনুভূতিগুলোর দিকে একটু তাঁকাও। আগের পৃষ্ঠায় দেখো কত সুন্দর আবহাওয়ার কথা বলা আছে।
-জিউশা বিশ্বাস করো, কেবলই একটা বইয়ের মলাটের ভেতর আমরা ক্যারেক্টার মাত্র!
-প্রমাণ করতে পারবা?
-আরেহ পাগল! 'আজকের আবহাওয়ার তথ্য আরেক পৃষ্ঠায়' এই জিনিসটিই তো প্রমাণ!
-তুমি ব্যাপারটা বুঝছো না! আমরা আছি কোথায়?
-২০১৫ পৃষ্ঠায়।
-আমার নস্টালজিক মেমরী আছে ৮ পৃষ্ঠায়। আমি প্রথম পৃষ্ঠায় জানলাম আমার নাম জিউশা, এরপর তৃতীয় পৃষ্ঠায় বাবা-মা'কে চিনলাম। দিদা-দাদুকেও ওই পৃষ্ঠাতেই চিনেছি। অষ্টম পৃষ্ঠায় প্রথম স্কুলে যাই! সেই ঘটনা আমি এখনোও মনে করতে পারি।
-জিউশা বিশ্বাস করো এইসবই আমাদের প্রমাণ যে আমরা ফিকশনাল চরিত্র মাত্র।
-তুমি পাগল হয়ে গেছো মামুন।
-তুমি বললে অষ্টম পৃষ্ঠায় তুমি তোমার নস্টালজিক মেমরী মনে করতে পারো। এর আশপাশের পৃষ্ঠার ঘটনা, মানে তোমার ডেইলী রুটিন তুমি একের পর এক বর্ণনা করো।
-বাচ্চাদের রুটিন তুমি বুঝি বোঝ না! স্কুলে যেতাম, দুষ্টুমি করতাম, বকুনি খেতাম, অল্পতেই হাসতাম আবার কাঁদতাম.....
-ওহ! জিউশা আমি বুঝি। আমি বুঝি কারণ এইসব কেবলই সাধারণ ঘটনা। আমাদের সকলের জীবনেই এইসব ফালতু কমন ঘটনা আছে। ওই বকুনি, বোকামি, কান্নার রুটিন সবারই আছে। কেবল দু'একটি আলাদা ঘটনা তোমার মনে আছে। যা আমারও আছে।
-কিন্তু আমার আর তোমার গল্প একই নয়।
-প্রায়ঃশই নয় কথা সত্য। এবং এই কারণেই আমি একটা ইউনিক ক্যারেক্টার তাই আমাকে আলাদা লিখা হলো। তোমাকে আলাদা লিখা হলো কারণ তুমিও আরেকটা ক্যারেক্টার। তোমার নিজস্ব ঘটনার জন্যই তুমি অরিজিনালিটি পেয়েছো। মানে মৌলিকতা পেয়েছো।
-মামুন প্লিজ! আচ্ছা যাও, কেউ যদি লিখেই থাকে তবে লিখুক না! তোমার মনে আছে তোমার সাথে আমার কোন পৃষ্ঠায় দেখা হয়েছে?
-হুম আছে। ৭৩৪ পৃষ্ঠায়। কলেজের প্রথম দিন ছিলো।
-আর সেই আমরাই এখন ২০১৫ পৃষ্ঠায়! আমরা এখন যে যার সামাজিকতা, কাজ নিয়ে ডুবে আছি। বেঁচে আছি। ভালোবাসছি!
-জিউশা! আমরা কেবল একটা মলাটের ভেতরই না, আমরা এই পৃষ্ঠার ২৪ নাম্বার লাইনে আটকে আছি। ধীরে ধীরে আমরা ২৫ নাম্বার লাইনে চলে আসছি! এরপর ২৬-২৭ এ যাবো।
আমরা কেন ১৭ নাম্বার বা ৩৬ নাম্বার লাইনে যেতে পারছি না? কেন আমরা ৮ নাম্বার পৃষ্ঠায় যেতে পারছি না!? এক লাফে কেনই বা ২০১৫ পৃষ্ঠা থেকে ২০৯৮ পৃষ্ঠায় যেতে পারছি না জিউশা!?
-একটা কথার উত্তর দিবে মামুন?
-কি?
-আমাদের এই ৩০ নাম্বার লাইন; যেখানে আমি আছি, সেখানে তোমার ভালো লাগছে না?
-হুঁ!
-তবে আর এই বই বা লেখকের কথা আসছে কোথা থেকে। এই লাইনটার আবেগ নিংড়ায় নিয়ে নাও।
-মানে?
-মানে ভালোবাসো।
-কিন্তু তুমি আমার কথা বিশ্বাস করো, আমি টের পাচ্ছি কোন এক সত্তা আমাদের একটা কী-বোর্ডের মাধ্যমে টাইপ করছে। এমনকি আমার এই কথাটাও তার অবদান। আসলে আমি যাই বলছি তা সে লিখছে বলেই বলছি!
-আমারটাও?
-হুঁ!
-তবে শুনে রাখো, আমি যদি তোমাকে এই পর্যন্ত রেখে চলে যাই তবে তাও হবে লেখকের ইচ্ছায়। পরে কিন্তু আমায় দুষতে পারবে না।
-আহ জিউশা....
-বেশ করেছে লিখেছে। এবার থাম; ব্যাটা এখন কি লিখছে জানিস?
-কি লিখছে?
-শশশশশ! ই.লু!!!
টাইপরাইটারের চকচকে চোখ, পাঠকের খুঁতখুঁতে চোখ!
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭
গাই ফকস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। নিরাবতা কিছু না কিছুর লক্ষণ।
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: শশশশশ! ই.লু!!! মানে কী?
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১০
গাই ফকস বলেছেন: Shhhhhhhgh ILU (I love You)... বাঙলা সাহিত্যের তথাকথিত আবেগীয় এন্ডিং, যার কারণে অনেক কিছুই অসমাপ্ত থেকে যায়।
ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২০
আয়রোন বাবা বলেছেন: Nothing to say