নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা চুল।

গাই ফকস

আপনি যে পরিচয় আশা করেন।

গাই ফকস › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটা গল্প মাত্র

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

ভ্যাড়াগুলো আগের মতনই আছে, রাখাল ভাবলো।
ঘোলা চোখে ভ্যাড়া গোনায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো। আগে এভাবেই ঘুম আসতো। স্মৃতির শ্লেটের শিক্ষায় আছে- গোনাগুনির প্যাচে ক্লান্তি আসলেই ঘুম আসে। এই ঘটনায় অতি উচ্চমাত্রায় আসক্ত রাখাল।
কিন্তু গোনাগুনির মাহাত্ম্য ধীরে ধীরে চে- ত্যানা হয় বার বার আদর্শ মানা রাখালের; তখন থেকেই মৃত্যুর জন্ম হয়।

মৃত মানুষের ঘুম বলে কিসসু নেই। যা আছে তা আদতে স্বপ্ন। স্বপ্নের সবচে' জনপ্রিয় আকাঙখিত রূপে আছে ময়দান, বাগান, আগ্নেয়গিরি, জীবন, পরমাত্মা।
এবং সব ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত কাল ওরফে কালী। যদিও এইসব বাস্তব না। আকাঙখার পুষ্ট রূপমাত্র।

মৃত্যুও একটি স্বত্তা। মানুষের মতন। ছোট থেকে আস্তে আস্তে বড় হয়। মৃত্যু'র বোধগুলোও ধীরে ধীরে বড় হয়।
ছোট তো- তাই আদর চায়। কিন্তু বাবা 'ঘুম'কে মনে হয় একটু বেশী ভালোবাসে। মৃত্যু জানে বাবার বুকের একরাশ চামড়ার নীচে প্রচুর পরিমাণে দুঃখ, ভালোবাসা ঠাঁসা আছে। কিন্তু কেন জানি বাবা ঘুমকে বেশী ভালোবাসে। মৃত্যু যখন ঘুমের সাথে খেলতে যায় তখন জিজ্ঞেস করেছিল বাবাকে সে কতখানি ভালোবাসে বা আদৌ ভালোবাসে কি না। ঘুম বলল, "বাবাকে আমি খুউব ভালোবাসি।"
-কত ভালোবাসিস?
-এতটা ভালোবাসি যে বাবা যখন আমার কাছে যা চায় আমি তা দিই।
-কি চায় তোর কাছে?
-ভোলাবার কালো জাদু। বাবা এটা খুউব পছন্দ করে।
-বাবা কি ভুলতে চায়?

ঘুম একটু চিন্তা করলো।
-আআ আহ... ক্লান্তি।

মৃত্যু নিশ্চিত হলো। ঘুম বাবাকে মোটেও ভালোবাসে না। যাকে ভালোবাসা যায় তার সাথে প্রতারণা করা যায় না। ঘুম বাবাকে কালো জাদুতে ভুলিয়ে রাখে। এটা প্রতারণা নয়তো কি!
ছোট্ট মৃত্যু আর কিছু বললো না। মনে মনে ভাবলো, 'যাক! ভালোবাসা পাওয়ার একটা পথ তো পাওয়া গেলো'। যদিও প্রতারণা তবুও এটা ভালোবাসা।
কিন্তু বাবা বোধহয় মৃত্যু'কে ভয় পায়।

ধূমপানে রাখাল ক্লান্তির আমদানী করেছে। ঘোলা চোখ, অবসন্ন শরীর।

রাখাল ভ্যাড়া গুনছে। ভ্যাড়ার সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। ঘুমানোর শর্তের শতকরা হিসেবের মানদন্ড- শতকরা থেকে সহস্র'কড়ায় গিয়ে ঠেকছে- কিন্তু ঘুম আসছে না।
দুপুরবেলাকার এই সময়ে রাখালের ভালোবাসার ষোল আনা দুই ভাগে ভেঙে আট আনা ঘুম আর আট আনা মৃত্যুর কাছে তোলা আছে। ভ্যাড়া গোনা শেষ হয় না। রাখালের জীবনের প্রেক্ষিতে ভ্যাড়াগুলোর অষ্টম প্রজন্ম যাচ্ছে। তবুও রাখালের মনে হচ্ছে ভ্যাড়াগুলো আগের মতনই আছে। ভ্যাড়া নিয়ে রাখালের মনে কোন খেদ নেই। কিন্তু ঘুম তোহ আসছে না।

বাতাস বাড়ছে, সূর্যও আরোও একবার ডুবছে, ভ্যাড়া চরছে, মৃত্যু বড় হচ্ছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.