নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা চুল।

গাই ফকস

আপনি যে পরিচয় আশা করেন।

গাই ফকস › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটা গল্প মাত্র

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

ঝকঝকে আকাশ, জ্বলজ্বলে তারা।

সারা রাত হিম করা বাতাসের কল্যাণে- ঝুলে থাকা মৃত পাতাগুলির সৎকার হয় ভূমিতে।
রাখাল চোখ মেলে। চোখ খুললে যা চোখে পড়ে তা নেহাৎ ছাই রঙা ভোর।
চোখ থেকে ঘুমের রেশ ঝেড়ে ফেলে রাখালের বোধ আরেকটু চনমনে হলে রাখালের কথাটি দাঁড়ায়,
"ভোরটা ছাই রাঙা নয়, জলপাই রঙের।"

অনেক দিন বাদে তৃপ্তির ঘুম পেয়ে রাখাল প্রচুর তৃপ্ত। ভ্যাড়াগুলোও আগের মতন দেখাচ্ছে না মোটেও। এরা আগেরচে' আরোও সুশৃঙখল, নীরব এবং অচেনা।

তৃপ্ত ঘুম হলেও রাখালের অস্বস্তি লাগলো। শেষ ঘুমে কোন স্বপ্ন ছিল না। যা ছিল পুরোটাই অন্ধকার। এবং অন্ধকারের উপর আরোও প্রকট'কটে অন্ধকার। ভ্যাড়াগুলোও আর ডাকছে না। সারা রাত শীতের দাপটে রাখালের শরীরও হিম।
অস্বস্তি আরোও বাড়ে যখন রাখালের কান চুবিয়ে হিমের থকথকে বাতাস যায়। শব্দটা আদৌ বাতাসের নয়- বাঁশির।


ঘুম ব্যতিব্যস্ত হয়ে 'মৃত্যুর' কাছে এসে জানালো বাবার কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। সমস্যাটা কি- জানতে চাইলে ঘুম জানায়, "গত রাতে বাবা ঘুমিয়েছে ঠিকই- কিন্তু, গতকাল রাতে ঘুম বাবার চোখে ছিল না। ছিল ভ্যাড়ার চোখে।
ভোরবেলায় ফিরে এসে দেখে বাবা ঘুমুচ্ছে!
- তো আমি কি করবো?
- আমি জানি না, বাবার শরীরও হিম হয়ে আছে।

মৃত্যু ঘুমকে সান্ত্বনা দিল, আরোও জানালো চিন্তা না করে ঘুমিয়ে পড়তে। ঘুম অবাক, সে জানে না কীভাবে ঘুমুতে হয় বা এটা ক্যামন (!) কেবল জানে 'ঘুম' কি জিনিস, এবং তাঁর ক্ষমতা। ঘুমের ভ্যাবাচেকা মুখ দেখে মৃত্যু বলল, "সারা রাত ভ্যাড়ার চোখে ছিলি। তোরও তো ক্লান্তি আছে।"
-কিন্তু আমি তো কখনোও ঘুমাইনি!
-কারণ তোকে কেউ ঘুম পাড়ায়নি। তুই আয় আমার কাছে আয় ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি।
ঘুমের ঘুম সন্দেহতীতভাবে মৃত্যু।


রাখাল টের পাচ্ছে কিছু নিঃশেষ হচ্ছে। কিন্তু কি নিঃশেষ হচ্ছে তা জানার আগেই আবার ঘুম চেপে বসলো রাখালের চোখে। ঘুমোনোর আগে রাখাল চ্যাঁচালো, "এটা তো ঘুম নাহ!"

মৃত্যু 'ঘুম'কে ঘুম পাড়িয়ে দিল। কালো জাদুতে (?) ঘুম ময়দান, বাগান, আগ্নেয়গিরি, শূন্য দেখছে। জগতে এগুলো ঘুমের বিশ্বাস (তথ্য) ছিল। কাল খুশি, নিজের জয়ের মূহুর্ত সে সবসময় উপভোগ করে। ঘুম মারা গেল, রাখাল চোখ মেলল।

খোলা চোখে রাখাল চারপাশে আলোর ঝালরওয়ালা লাল রঙে বিমুগ্ধ হয়। সূর্যালোকের এই জাঁকজমকতার খটমটতায় রাখাল বিভ্রান্ত। চারিপাশের এই লোহিত পরিবেশের রঙ চিড়ে আরোও লাল কিংবা জলপাই কিংবা ধূসর রঙের আরেক অবয়বের আবির্ভাবে রাখালের চোখ বড় হয়ে ওঠে।

মৃত্যুঃ বাবা!
রাখালঃ ঈশ্বর!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: :||

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.