নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অত্যন্ত সহজ কিসিমের মানুষ...জীবনটাকে সহজভাবে দেখতেই পছন্দ করি...

ফুয়াদের বাপ

সাদা মনের মানুষ...

ফুয়াদের বাপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড়ত্ব-অহংকার

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৯

আমাদের চারপাশে বড়ত্বের অহংকারটা ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। জীবন চলার পথে পাওয়া এমনই কিছু বড়ত্বের অহংকারের মুখোমুখি হওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে আমরা অনেকেই। তারই কয়েকটি ঘটনা প্রবাহ গল্পের ছলে বলার চেষ্টা করছি -

১) কোন এক ধনী আত্বীয় দাওয়াত করেছে। সামর্থ্যমতো গিফট (মিষ্টি/ফল) কিনে পরিবার নিয়ে দাওয়াতে গেল জনাব "ক"। যথারিতি খাবার পরিবেশন করা হলো। অনেক আয়োজন-অনেক পদের খাবার রান্না করা হয়েছে। পাতে খাবার দিতে দিতে ঐ আত্বীয় বলছে "দেখেন আপনার কি করছে, আপনাদের জন্য ৩,৫০০ টাকা দিয়ে ইলিশ, ১,৪০০ টাকা কেজি চিংড়ি, খাসির মাংস (মুরগী/গরু তো সবাই খাওয়ায়), কাটারিভোগ চালের ভাত।" নেন বেশি বেশি করে খান।

নোট-এরা দাওয়াত দিয়ে মূলত খাওয়ানোর চাইতে বেশি বড়ত্ব প্রকাশ করতে চায়। চোখে আঙুল দিয়ে জনাব "ক" কে বুঝায়,"এতো দামি খাবার তো তোমার কিনার তৌফিক নাই তাই খেয়ে দিল ঠান্ডা করো?।" কিন্তু এটা বুঝে না তাদের ঐ বড়ত্বের ব্যাবহারে কতোটা কষ্ট পায়।

টুইষ্ট -তিন বেলা পোলাও-কোড়মা খেয়ে রাতে ঘুমের অসুধ ছাড়া ঘুম হয়না ওদের আর জনাব "ক" পরিবার নিয়ে শুটকির ভর্তা-ডাল-ভাত খেয়ে সুখের ঘুম দেয় প্রতিদিন।

২) শিক্ষার বড়ত্ব অন্ধ করে দেয় অনেককে। বুয়েট বা ঢাবির ছাত্ররা জাবি/প্রাইভেটের ছাত্রদের ছোট করে দেখে। অনেকে প্রকাশ্যেই বলে জাবির সার্টিফিকেটের কোন দাম নাই। প্রাইভেটে তো টাকা দিয়ে সনদ বেচে। জাবি থেকে পাশ করা কেউ যদি প্রশাসনের বড় পদেও কাজ করে তাকে সম্মান করতে মন চায় না।

নোট-এরা শিক্ষার চাইতে প্রতিষ্ঠানের বড়ত্ব বড় করে দেখে। অথচ ভাবে না যে পুরো পৃথিবীটাই একটা পাঠশালা। যে কেউ চাইলেই তার মেধা মার্জিত করতে পারে শিক্ষার আলোয়।

টুইষ্ট-ছাত্র জীবনে জাবির ছাত্রদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আর কর্মজীবনে গিয়ে দেখে বস হয়তো জাবি থেকে পাশ করা কেউ।

৩) সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায় এই সহজ সমীকরনটা বড়ত্বে রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বুঝেনা। মসজিদের হুজুর থেকে শুরু করে পাড়ার মুরব্বী/অফিসের বস সবাই শুধু সালাম পেতে চায়, দিতে চায়না। এক্ষেত্রে জাপানীদের সংষ্কৃতি ভালো লাগে। সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত এই সম্মান দেওয়া-পাওয়া অভ্যাসটা। ধরুন কিছু বাচ্চা রাস্তা পার হতে রাস্তার একপাশে দাঁড়ালো, গাড়িগুলো সব এক এক করে থেমে যাচ্ছে বাচ্চাদের রাস্তা পার হবার সুযোগ দিতে। রাস্তা পার হতে হতে বাচ্চারা মাথা ঝুঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে, অনুরোপ গাড়িতে থাকা সবাই মাথা ঝুঁকে একটা হাসি দিয়ে প্রতিত্তোর দিচ্ছে।

নোট-অন্যকে সম্মান না দিতে দিতে বড়ত্বের অহংকার রোগটা ক্যান্সারে রুপ নেয়। কাউকে সম্মান করলে নিজে কখনোই ছোট হয়ে যায় না বরং ব্যাবহারের সুনাম বৃদ্ধি পায়।

টুইষ্ট-শুধু সালাম প্রাপ্তির প্রত্যাশায় থাকলে দেখবেন না দেখার ভান করে সম্মান না করে পাশ কাটিয়ে আপনাকে এড়িয়ে যাচ্ছে অনেকেই।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: superiority complex আর inferiority complex দুটারই মূল কারন হচ্ছে low self-esteem, যার মানে হচ্ছে নিজের গুরুত্ব/মর্যাদা না বুঝতে পারা, মানে আপনি আপনার নিজের প্রাপ্য মর্যাদা যখন নিজেকে মনে মনে দিতে পারবেন না। মজার না ব্যাপারটা!!??

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৪

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: হুম, ভিন্ন একটা মনজগত প্রেক্ষাপট। নিজেকে চিনতে না পারা/গুরুত্ব-মর্যাদা দিতে না পারা অনেকেই হীনমন্যতায় ভোগে। দিনের পর দিন বড়ত্ব চর্চা কিংবা হীনমন্যতায় ভোগা দুইটাই মানসিক রোগ।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: সামাজিক বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ। +

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৯

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: নিজেও এমন বড়ত্ব-অহংকারীর আচরনের মুখোমুখি হবার তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪০

অক্পটে বলেছেন: মহত্বে যে যত ছোট তার অহংবোধ ততো বেশি। আজকের সমাজে অহংবোধের প্যারামিটার হলো ক্ষমতা এবং অর্থ যা কখনোই স্থায়ী নয়। একজন ক্ষমতাধরকে দেখলাম গরীবদের মাঝে বস্র বিতরণ করছে। সেই গরিব লোকটি তাকে দেয়া কাপড়টি সেখানেই রেখে তার বদলে অন্য রঙ এর একটি নিতে হাত বাড়িয়েছিল! এটা ক্ষমতাধরের সহ্য হয়নি, সাথে সাথে ঐ ছিন্নমূলের বুকে ঘুষি মেরে দিলেন!
ক্ষমতা/অর্থ আজকে আছে কালকে নেই! মনে এবং মননে যারা কুৎসিত, সময়ে সুযোগে তারাই কেবল অহংবোধে লিপ্ত হয়। একজন বিজ্ঞের কখনো অহংবোধ থাকেনা। মানুষের জন্য কিছু করতে পারার মাঝেই তার আনন্দ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৬

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: ঘুষিমারা সেই ভিডিওটি দেখেছি। এইরকম অর্থ-অহংকারীরা সমাজের কীট। এরা কেবল সমাজে দূগন্ধই ছড়ায়।

প্রকৃত শিক্ষা মানুষকে মহান করে, নম্র-বিনয়ী করে।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৪

অঙ্গনা বলেছেন: নোট-অন্যকে সম্মান না দিতে দিতে বড়ত্বের অহংকার রোগটা ক্যান্সারে রুপ নেয়। কাউকে সম্মান করলে নিজে কখনোই ছোট হয়ে যায় না বরং ব্যাবহারের সুনাম বৃদ্ধি পায়।

টুইষ্ট-শুধু সালাম প্রাপ্তির প্রত্যাশায় থাকলে দেখবেন না দেখার ভান করে সম্মান না করে পাশ কাটিয়ে আপনাকে এড়িয়ে যাচ্ছে অনেকেই।

কথা গুলি বাস্তব। রিয়েল লাইফে ও অনেক এমন এক্সপেরিয়েন্স হয়।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০০

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: আমার দেখা একজন ব্যাবসায়ী যিনি অহংকার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। কেউ একজন তাকে তাবলীগে নিয়ে গিয়েছিলেন। ধর্মীয় বোধ তাকে মহান করেছে। সে তার মনের অর্থ-অহংকার দূরীকরনে মসজিদের টয়লেট-অজুখানা পরিষ্কার করতেন সুযোগ পেলেই। নামাজে আসা লোকদের জুতাগুলো সারি করে সাজাতেন। কেউ কিছু বললে মুখে মিষ্টি একটা হাসি ঝুলিয়ে উত্তর দিতেন।

মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫১

অপ্‌সরা বলেছেন: কোন ছোটলোক আবার খাইয়ে দাইয়ে এত খানা দানার হিসাব দিলো!!! :|

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৩

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: ঘটনাটা আমার সাথেই ঘটেছে। আমি আর আমার সহধর্মীনী লজ্জায় তেমন কিছু খাইনি। তবে এর পর থেকে সতর্ক থাকি কে আমন্ত্রন করলো, কার কাছে গেলে সম্মান ঠিক থাকবে।

মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের প্রথম বাক্যটাই মূল কথা এবং সেটা সত্য কথা। বাকিগুলো ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ হিসেবে এসেছে।
১ ও ৫ নং মন্তব্যদুটো ভালো লেগেছে।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: পাঠ পরবর্তী মূল্যবান মন্তব্যর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ নিবেন।

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সমাজে এই ধরনের লোকের সংখ্যা বেড়ে গেছে শুধু বড়লোকি ভাব দেখানো মানুষকে তাচ্ছিল্য করা সম্মান না করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.