নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৈকত চৌধুরীকে যিনি প্রশ্ন তুলেছেন - কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ?

১০ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৫৩

খৈয়ামের সায়রগুলির (রূবাইয়্যাৎ) বাংলা উচ্চারন খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ করে বাংলা ভার্সনের ব্লগ চলে এলো । আপনার লেখাটি দেখলাম, পাশাপাশি বিভিন্নজনের মন্তব্যও ।

আপনি আপনার “নিজ”কে খোঁজেন কিনা জানিনে । তবে লেখাপড়া (জ্ঞান নয়)কিছু যে করেন, বুঝতে পেরে ভালো লাগলো ।

আলেক্স হ্যালীর “রুট্স্” বইটির কথা আপনি হয়তো শুনে থাকবেন । মানুষ তার নিজের শেকড়কে খোঁজে, এবং একদিন না একদিন তাকে তা খুঁজতেই হয় । এই ই উপজীব্য বইটির ।

আপনি কি কখোনও নিজেকে খুঁজেছেন, না কি আমরাই বা কেউ খুঁজি ? না, আমি পার্থিব জীবনে রক্তমাংশের ব্যক্তি মানুষের অতীত খুঁজতে বলছিনা । ওটি খুব ছোট প্রেক্ষাপট । সৃষ্টির মূল খোঁজার কথা বলছি । এই বিশাল ব্রম্মান্ডে (য়্যু’নিভার্স) আমার সৃষ্টিটুকুর পেছনে এতো কষ্ট করাই বা কেন আর এই অতিজটিল মহাবিশ্বের মাঝে আমার অস্তিত্বটাই বা কতোখানি, কতোটুকু মূল্যবান, কতোটাই বা মূল্যহীন, প্রয়োজনই বা কি ছিলো ; এইটুকু খোঁজার চেষ্টা করেছি কি আমি কিম্বা আপনি ? করা হয়ে ওঠেনি । প্রোথিত শেকড়ের খোঁজে সাধারন মানুষ মোটেও আগ্রহী নয় কারন তা খুঁজতে গেলে যে হাতিয়ার দরকার, তার নাম হলো – জ্ঞান এবং বিশ্লেষনী ক্ষমতা । এগুলো যোগাড় করা সবার জন্যে সহজ নয় । এর জন্যে থাকতে হবে যুক্তির ধার, অংকে পারদর্শীতা, গভীর চিন্তাশীলতা, পরমত সহিষ্ণুতা এবং গ্রহনের মানসিকতা, বিচার করার বিচক্ষনতা, ধৈর্য্যের গভীরতা এবং সবার উপরে দাগহীন নিমোর্ক একটি হৃদয়, লাইক অ্যা ক্লিন শ্লেট ।

আপনার মাঝে এর বেশ কিছুর অসম্পূর্ণ দেখা মিললেও একটা কথা শুরুতেই বলে রাখি – যুক্তি বা লজিক অনেক রকমের । সুযুক্তি – কুযুক্তি – অযুক্তি । যুক্তির খাতিরে এই বিভাজন আপনাকে মানতেই হবে । বিশ্বাস করি, আপনার সেই সৎ-সাহস আছে ।(উদাহরন দিতে গেলাম না, অনেক লিখতে হবে তাই । কিন্তু ‘সমঝ্দার আদ্মীকো ঈশারা-ই কাফী হোঁতা হ্যাঁয়’)



যে কোনও কারনেই হোক, আপনার মনে একটি প্রশ্নের উদয় হয়েছে যা আপনি “কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ?” এভাবে ইন্টারনেটে তুলে ধরেছেন।

দ্বান্দিক বস্তুবাদ (ডায়ালেকটিকস্)যদি আপনার জানা থাকে তবে আপনি নিশ্চয়ই জানেন, দৃশ্যমান জগতে কোনও এক বা একাধিক কারন ব্যতিরেকে কিছুই ঘটেনা বলে বলা হয়েছে । আবার কারনের ও কার্যকরন থাকে । তাই আপনার প্রশ্নের উত্তর [***] দেয়ার আগে জানা দরকার আপনার এই প্রশ্ন তোলার পেছনের কারন বা কারনগুলি কি ।“মোটিভ” সম্পর্কে ধারনা থাকলে “অপরাধ” কিম্বা “নিরাপরাধ” কোনও সংঘটন সনাক্তকরন সহজতর হয়, বিচার প্রক্রিয়াটি ত্রুটিমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এটি অপরাধ বিজ্ঞানের কথা । ধারনা করা যাক্ -কারনগুলি হতে পারে, আপনার প্রতিদিনকার পরিবেশ থেকে পাওয়া কোন না কোনও ধারনা, আপনার বুদ্ধিমত্তার স্তর থেকে উৎসারিত কোনও না কোনও সংশয়, আপনার পঠিত বিষয়গুলো থেকে প্রাপ্ত ধারনা, নিজস্ব অভিজ্ঞতা বা নিদেন পক্ষে মৌচাকে ঢিল ছুঁড়ে দুষ্টু-ছেলেদের মতো দেখা মৌমাছিতে কামড়ায় কিনা ইত্যাদি । খেয়াল করবেন, যে কোনও কারনের উপর আমি আপনার জন্যে নেতিবাচক কিছু আরোপ করিনি । সুবিচারের স্বার্থে ধরে নিতেই হবে আপনার কারনগুলি (যদি থাকে) মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত যথার্থ ।

[*** “উত্তর” না লিখে আমার লেখা উচিৎ ছিলো, আপনার উত্থাপিত প্রশ্নের বিশদ বিশ্লেষন করার খাতিরে ।]

আমাকে ক্ষমা করবেন, তর্কের খাতিরে নয় যুক্তির খাতিরে যদি আমাকে কখোনো রূঢ় যুক্তি তুলে ধরতে হয় । বিশ্বাস করতে ভালো লাগবে, সে পরিমিতিবোধ আপনার আছে ।

বিশ্লেষনে যাবার আগে জিজ্ঞেস করি আপনি ঠিক কি জানতে চান-

১) কেবল প্রশ্নটির উত্তর ? না কি-

২) আসল সত্যটি কি ? কিম্বা-

৩) একটি সারগর্ভ আলোচনা যা থেকে উভয়পক্ষের ভেবে দেখার বা চিন্তার খোরাক যোগানো যায় ।



আপনি যদি বিশ্লেষনধর্মী বলে নিজেকে মনে করেন তবে জানবেন, প্রথম দু’টি প্রশ্নের ধাঁচ একই রকম হলেও উত্তরটির প্রেক্ষাপট হবে ভিন্ন । সেখানে পক্ষে বিপক্ষে নানা যুক্তির অবতারনা হবে । এরকমের “বাহাস” অনেক হয়েছে । কেউই কাউকে বোঝাতে পারেনি, মানেনি, কেবল নিজের ধারনাটাকেই আগলে রেখেছে ।ফল যা হবার তাই ই হয়েছে ।

প্রথমটির (১) বেলায়(আপনার উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তর) দু’টো জিনিষ হতে পারে ।

এক – এককথায় বিষয়টির নিষ্পত্তি । অর্থাৎ প্রশ্নটি খারিজ করা ।অবশ্যই যুক্তি সহকারে ।

দুই – যুক্তির ব্যবহার, তথ্য ও তত্ত্ব সমাহারে আপনার ধারনার (অনেক ধারনার কথাই দেখলাম আপনি লিখেছেন) জবাব দেয়া ।



আর আপনি যদি তৃতীয়টি (৩) তে যেতে চান তবে তাও হতে পারে । আমার ব্যক্তিগত মতামত, এটি ই সবার জন্যে মঙ্গলকর ।



আমি সবকিছু মিলিয়ে আপনার জিজ্ঞাসার জবাবে সত্যটি তুলে ধরার চেষ্টা করবো এবং আপনার কাছ থেকেও অধিকতর যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা আশা করবো ।



আপনি লিখেছেন “অলৌকিক”। অলৌকিক শব্দটি একটি বিশেষন পদ । অলৌকিক শব্দের আভিধানিক অর্থ - …..

১)মনুষ্যের পক্ষে বা মনুষ্যলোকে অসম্ভব ।

২) যাহা পৃথিবীর নয় এমোন ।

৩)লোকাতীত ।

[সংসদ বাংলা অভিধান / সাহিত্য সংসদ / কোলকাতা]

১) ইহলোকের নয় এমোন ।

২)মনুষ্যের পক্ষে বা মনুষ্যলোকে অসম্ভব ।

৩)লোকাতীত ।

[ব্যবহারিক বাংলা অভিধান / বাংলা একাডেমী / ঢাকা]

আমরা এর মূল ধাতু কিম্বা এর উৎপত্তি, ব্যবহার ইত্যাদি আলোচনায় গেলাম না ।



উপরের অর্থগুলো বিবেচনায় নিলে একথাই বোঝা যায় যে আপনার প্রশ্নের অর্ন্তনিহিত অর্থ হোল- কোরান নামের ধর্মগ্রন্থটি মানুষ সৃষ্ট, তাইতো ? যদি তাই ধরে নিই, তবে আমরা এভাবে আলোচনাটি এগিয়ে নিতে পারি –

মানুষ কি নিজেই ধর্ম সৃষ্টি করে না কি সে ক্ষমতা সে রাখে ? বলবেন, হ্যা করে । ক্ষেত্র বিশেষে করে হয়তো (ভুরি ভুরি উদাহরন আছে)।একটি অতীব ক্ষুদ্র গন্ডীর মধ্যে তার বিচরন এবং তা আয়ুহীন । তা নিজেরই স্বার্থে ।একথা নিশ্চয়ই এতোদিনে বুঝেছেন । ধর্ম সৃষ্টির প্রয়োজন হয় সমাজের বিভিন্ন উপাদানের মিথোস্ক্রিয়ার ফলে । কে বা কারা করেন, এ প্রসংগে ধীরে ধীরে আসা যাবে । প্রচলিত বড় বড় ধর্মগুলি কিন্তু একজন নিরাকার সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভর করেই গড়ে উঠেছে । সব ধর্মের ইতিহাস বা তাদের মূল গ্রন্থগুলো পড়লেই জানা যাবে যে, কোন ধর্ম কোন প্রেক্ষাপটে হাজির করা হয়েছে । সব ধর্মাবলম্বীরাই মনে করেন তাদের কাছে যে বাণী রয়েছে তা সেই একজন সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত ।



আপনি যেহেতু প্রকারন্তরে নিজেকে নাস্তিক যার অর্থ সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসী এমোন দাবী করছেন(অথচ তাও পরিষ্কার নয়, যেহেতু আবার ধর্মালোচনাও করতে চাচ্ছেন) তাই আপনার কাছে সৃষ্টিকর্তা নামের কারো প্রেরিত কোনও বাণীর অস্তিত্বই থাকার কথা নয় ।অথচ আপনি এরকম একটি অস্তিত্বের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন । এর মানে- নিজের অজান্তে, নিজের অবিচল বিশ্বাসের বাইরে পা ফেলেছেন ভাবনা চিন্তা না করে অথবা কিছু না বুঝে নিছক অজ্ঞতার কারনে ।

কারন নীতিগত ভাবে যে অস্তিত্বে আপনার বিশ্বাসই নেই তার অস্তিত্ব আছে কি নেই এমোন প্রশ্ন তুলে স্ববিরোধীতা করলেন কিনা, এই আশংকা থেকেই গেল ।যার অস্তিত্ব নেই বলে মনে করেন আবার পাশাপাশি দেখতে চান- তা আছে কি নেই, এটি আপনার মনের দোদুল্যমানতা প্রমান করে । এতে আপনি যে নিজের বিশ্বাসেও অটল থাকতে পারলেন না তা প্রমানিত হোল ।

যাই হোক্ – আপনি এমোন একটি একপেশে ক্ষুদ্র প্রশ্ন তুললেন কেন ? অন্যান্য প্রধান প্রধান ধর্মগুলো কি অলৌকিক নয় ? আপনার এই প্রশ্নটি কোরআন এর ভেতর সীমাবদ্ধ রেখেছেন কেবল ।এর একটি মনস্তাত্বিক ব্যাখ্যা দেয়া যেতে পারে যা সময়মতো দেয়া যাবে ।

ইন্জিল (বর্তমানের বাইবেল) বা তাওরীৎ (বর্তমানের তোরাহ্) এবং যবুর (সম্ভবত বিলুপ্ত)এই ধর্মগ্রন্থগুলো কি লৌকিক বা মনুষ্য সৃষ্টি আপনার দৃষ্টিতে ? উত্তরটি যে আপনার কাছে ‘হ্যা’ তা নিষ্চিত বোঝা যায় এদের সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন আপনি তোলেননি বিধায় । না তোলার পেছনে কারন কি এটাই যে, ওগুলো মানুষের তৈরী ? তাই ই যদি হয় তবে বুঝতে হবে, খ্রীষ্টান এবং ইহুদীধর্মাবলম্বীরা নিজেরাই এক একটি ধর্ম বানিয়ে নিয়েছে । আপনার প্রশ্ন না তোলার জণ্যে যা পরিষ্কার ।এখোন প্রশ্ন হোল- ওরা যদি নিজেরাই ধর্ম বানিয়ে থাকে তবে উপাসনালয়ে অদৃশ্য কারো কাছে হাটু গেড়ে বসে কেন ? এগুলো কি আপনি কখোনও দেখেন নি, না-কি জানেন না ? যদি দেখে থাকেন এবং জানেন তবে কেবল মাত্র ‘কোরআন’ অনুসারীদের প্রশ্নবিদ্ধ করলেন কেন ? যখোন করেই ফেলেছেন তখোন আপনার নিরপেক্ষতাকে লক্ষকোটি প্রশ্নবোধক চিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেন নিজেই । বোঝা গেল আপনি পক্ষপাতদুষ্ট বা একটি বিশেষ ধর্মের প্রতি ক্ষোভাক্রান্ত । আর পক্ষপাতদুষ্ট প্রশ্নের পেছনে থাকে সৎ কিম্বা অসৎ উদ্দেশ্যের যে কোনও একটি । কোনটি, একমাত্র আপনিই তা ভালো বলতে পারবেন ।

কারন আপনি “হোমো স্যাপিয়েন্স” গোত্রের প্রানী । আপনার মগজের নিউরোনে নিউরোনে যে লক্ষকোটি খেলা চলে তা অন্য কোনও প্রাণীর বেলায় তেমন খেলে যায় না । তাই আপনি “সৃষ্টির শ্রেষ্ট” । নাকি এতেও আপনার আপত্তি আছে ? কারন এটিও কিন্তু কোরআনের একটি বাণী।



যদি আপনি “অলৌকিক” শব্দটি দ্বারা “ঐশ্বরিক” এর অর্থটি বোঝাতে চান তবে বলবো, গোড়াতেই ভুল ।

“অলৌকিক” আর “ঐশ্বরিক” শব্দদু’টি সমার্থক নয় । যদিও প্রচলিত ভাবে আমরা লোকজ ব্যাখ্যার বাইরের কিছুকেই ঐশ্বরিক বলে ধরে নিই। এটা আমাদের অবহেলা, অজ্ঞতা তো বটেই। ঐশ্বরিক শব্দটির মধ্যে একজন ঈশ্বরের অস্তিত্ব থাকতেই হবে ।(আভিধানিক অর্থ জ্ঞানতই বাদ দিলাম) আর অলৌকিক শব্দটির ভেতর থাকে মানুষের ধারনার অতীত বা ব্যাখ্যাতীত কিছুর প্রতি ঈংগিত, ঈশ্বরের অস্তিত্ব না থাকলেও চলে সেখানে ।



মূল বিষয়ে যাবার আগে আপনার কয়েকটি মন্তব্যের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি যাতে করে আপনি ভবিষ্যতে সতর্ক হতে পারেন ।

আপনি লিখেছেন – কোরান বুঝার জন্য আরবি শিখি, হিন্দুদের বেদ বুঝার জন্য সংস্কৃত শিখি, ইহুদিদের ওল্ড টেস্টামেন্ট বুঝার জন্য হিব্রু শিখি, খ্রিস্টানদের নিউ টেস্টামেন্ট বুঝার জন্য গ্রীক শিখি, বৌদ্ধদের ত্রিপিটক বুঝার জন্য পালি শিখি - এভাবে কতদূর চলবে?

এতো অধৈর্য্য হলে চলবে কি করে? একজন নিরীক্ষককে যদি নিরীক্ষার খাতিরে প্রস্তরযুগের শীলালিপিও পড়ে দেখতে হয় তবে সে জ্ঞানটুকুও তার অবশ্যই থাকা উচিৎ নতুবা ঐ জ্ঞানে পারদর্শী কারো সাহায্য নিতে হয় । নতুবা তার ঐ ব্যবসা ছেড়ে দেয়া উচিৎ । আপনার কথাতে মনে হচ্ছে আপনার এসবের দরকার নেই, আপনি নিজেই সব জানেন-এর বাইরে জানার প্রয়োজনও নেই । এরকম ধারনা থাকা ঠিক নয় ।এটা আপনার বিদ্যাবুদ্ধি যে নীম্নস্তরের এমোন ইঙ্গিত দেয় । আমার ধারনা ছিলো, আমার কেনো অনেকেরই ধারনা, অবিশ্বাসীরা প্রচন্ড বুদ্ধি রাখে, যুক্তিতে ধার থাকে, বিচার-বুদ্ধিতে অসাধারন হয় । কিন্ত আপনার ভেতরে এসবের অভাব দেখে আবারো কষ্ট পেলাম । আপনি কি খাঁটি মাছ শিকারী দেখেছেন যারা পানিতে ছিপ্‌ ফেলে ঘন্টার পর ঘন্টা চুপচাপ বসে থাকে, হুশ্ থাকেনা চারপাশের, কখোন একটি বড় মাছ ফাৎনায় টান দেবে এই আশায় ? দিন যায় ফাৎনায় টান পরেনা । আবার পরের দিন সেই একই ধৈর্য্যের পরীক্ষা । আর আপনি শখের মাছ শিকারীও দেখতে পাবেন, যারা ধুপধাপ করে জল ছিটিয়ে, ঘোলা করে হুস-হাস করে খানকয়েক পুঁটিমাছ ধরে মনের আনন্দে বাড়ী ফেরে এই ভেবে যে অনেক হয়েছে ।

আপনি কি ঐ হীরক রাজার দেশে আছেন যেখানে সবার মগজ ধোলাই হয়েছে এই কথা দিয়ে –‘জানার কোনও শেষ নাই, জানার ইচ্ছা বৃথা তাই” ? আপনার এই পলায়নী মনোবৃত্তি মানা গেলনা বলে দুঃখিত ।



আপনি আরো লিখেছেন – মানুষ নবী ও রাসূল হতে পারে ……………..আরো প্রমাণ করতে হবে- মুহাম্মদ দীর্ঘ ২৩ বছর পুরো মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন এবং কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে বা বাধ্য হয়ে বা পরিস্থিতির শিকার হয়েও নিজের বা অন্য কারো রচনাকে ওহী বা প্রত্যাদেশ বলে ঘোষণা দেন নি।

- সুতরাং কেউ যদি কিছু বলতে (ঘোষনা দিতে) চায় তবে আপনার সূত্র অনুযায়ী তার সুস্থতার সার্টিফিকেট দরকার, এইতো ?

অথচ আপনি এখানে নিজেই ঘোষনা দিয়েছেন – “কোরানের অলৌকিকতাঃ প্রমাণের দায়িত্ব কার” এবং অনেক কথা বলেছেন এবং আগামীতে বলবেন মনে হচ্ছে ।

একই কারনে আপনারও একটি সুস্থতার সার্টিফিকেট থাকলে ভালো হোত, আপনি ঐ কথাটি বলার যোগ্যতা রাখতেন বা আপনার ম্যরালিটি থাকতো । আপনার বিপক্ষদল আঙ্গুল তুলতে পারতোনা আপনার মানসিক সুস্থ্যতার উপর । যেহেতু প্রশ্নটির অবতারনা আপনিই করেছেন তাই সবদিক থেকে এটিই ভালো যে, আগামী সময়গুলো থেকে আপনি আপনার “মানসিক সুস্থ্যতার” একটি সার্টিফিকেট সবার জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করবেন ।একটা প্রবাদ আছে “আপনি আচরী ধর্ম, পর কো শেখাও”। নিজের দেয়া যুক্তির প্রতি আস্থা থাকলে আপনার তাই ই করা উচিৎ । নাকি, এমোন যুক্তি আপনার নিজের বেলায় খাটবেনা, এই রকম একটি ফতোয়া দিয়ে বসবেন ?



আপনি আরো লিখেছেন – মোট কথা, কেউ যদি কোরানকে আল্লাহর দ্বারা রচিত বলে দাবি করেন তবে-

১। এ দাবি প্রমাণ করার দায়িত্ব সম্পূর্ণ তারই । তাকে কোরানের সব বাক্য ও শব্দ আল্লাহ রচিত এবং কোরানের সাথে অন্য কিছুর সামান্যতম মিশ্রণও ঘটে নি বলে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করতে হবে।


আপনি নিশ্চয়ই জানেন, মানুষের ( মানুষের উদাহরন দিলাম বা বললাম এই কারনে যে, আপনি একজন মানুষ তাই ) আদালতে কি প্রক্রিয়ায় বিচার চলে ? সরাসরি অভিজ্ঞতা না থাকলেও টিভি কিম্বা সিনেমায় দেখে থাকবেন । সেখানে উভয় পক্ষকে ( বাদী এবং আসামী) জেরা বা প্রশ্ন করা হয় । কে করেন ? উভয় পক্ষের উকিলই তা করে থাকেন । কাকে করেন ? বাদীর উকিল যেমন আসামীকে জেরা করেন তেমনি বাদীকেও করেন ।আবার আসামীপক্ষের উকিলও তাই করে থাকেন । বাদীকেও জবাব দিতে হয় । বাদী কখোনও এটা বলার অধিকার রাখেননা, যেহেতু তিনি অভিযোগকারী তাই তার জবাব দেয়ার কথা নয়, সব আসামীকেই বলতে হবে এবং আসামীকেই খন্ডন করতে হবে ।

তাহলে দেখা যাচ্ছে - আপনার ভেতর সহিষ্ণুতা, কোন কিছু বুঝে ওঠার জ্ঞানের ঘাটতি ইত্যাদি আছে যথেষ্ট । (অসমাপ্ত । চলবে..)



আজ এ পর্যন্তই । পরবর্তীতে নিজের হালকা একটু পরিচয় সহ বাকী আলোচনায় যেতে ইচ্ছে রাখি যদি আপনি সম্মতি দেন ।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:১৭

নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: ভাইয়া, খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে, তবে পুরোটা পড়তে হবে। অ্যালেক্স হেইলী আর খৈয়াম, দুজনের লেখারই ভক্ত আমি। আইনের একটা প্রিন্সিপল (principle) আছে যাকে বলে Ei incumbit probatio qui dicit, non qui negat । এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করা যেতে পারে বলে আমার অভিমত।

অবশ্য 'সৈকত চৌধুরী' ভদ্রলোকের পরিচয় আমার কাছে অজানা। না পড়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। একটু দৌড়ের উপর আছি এখন। পুরোটা পড়বার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। :)

০৯ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাইফা,
ধন্যবাদ, ঘটনাচক্রে এই ব্লগে ঢুকে প্রথমেই এমন সংবেদনশীল একটি বিষয়ে আমার লেখার উপরে আপনার মন্তব্যটি পেয়ে । যদিও যাকে উদ্দেশ্য করে এই লেখা তার দৃষ্টিগোচরে আসেনি লেখাটি কিম্বা তিনি হয়তো এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন বিষয়টাকে । আমিও 'সৈকত চৌধুরী'কে চিনিনে ।
তবে আপনার, "Ei incumbit probatio qui dicit, non qui negat ।" এই বাক্যটি ( সম্ভবত ইটালিয়ান)র তর্জমা করে দিলে বুঝতে আমার সুবিধে হতো ।
পড়বেন বলে কথা দিয়েছেন, পড়বেন বিশ্বাস করি । এরপরে আপনার মতামতও চাইলে দোষনীয় হবে কি ?
ভালো থাকবেন ।

২| ১০ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩৯

নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: আহমেদ, লেখাটি সামুতে প্রকাশ করে আমাদের সাথে শেয়ার করবার জন্য অজস্র ধন্যবাদ। :)

খুব দ্রুত পড়লাম। সৈকত চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট ব্লগারদের লেখাগুলোর রেফারেন্স না থাকায় এই বিষয়ে অভিমত দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

তবে শেষের দুটো প্যারাগ্রাফ নজর কাড়ল। "সুস্থতার সার্টিফিকেট" এবং "আদালত" এই দুটি প্রসঙ্গে আমার দুই পয়সা উপরের মন্তব্যেই লিখেছি।

টার্মটা ল্যাটিন ভাষায়। সাথে লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছিলাম। আইনের নীতিটা হল যে - আইনের চোখে সকলে নিরাপরাধ , যতক্ষণ না কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। উল্টোটা নয়। আপনি লিঙ্কটা অনুসরণ করলে আরও বিস্তারিত পড়তে পারবেন।

কুরআনে 'প্রমাণ' বিষয়ক অনেক আয়াত রয়েছে। যাই হোক, আমি আর সে প্রসঙ্গে আসছি না।

আপনার চোখের কোণে যত্ন করে জমিয়ে রাখা স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত হোক - এই শুভকামনা রইল। :)

১০ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈফা,

উত্তর পেয়ে ভালো লাগলো । বুঝতে পারছি, বেশ লেখাপড়া জানা বুদ্ধিমতি মেয়ে আপনি । বাঙালী মহিলারা জ্ঞানী হলে আমি খুব গর্ব বোধ করি । কারন একমাত্র শিক্ষিত, উদার একজন "মা" ই পারেন জাতিকে সুস্থ্য, চিন্তাশীল-ধীমান সন্তান উপহার দিতে ।

যাই হোক, আপনার জানার জন্যে বলছি, সৈকত চৌধুরীর লেখার মূল বক্তব্য আমি আমার এই পোষ্টেই তুলে ধরেছি । ওনার টি না পেলেও ক্ষতি নেই । উনি কোরআন যে অলৌকিক গ্রন্থ নয় এ কথাই বলতে চেয়েছেন । আমি শুধু ওনার মতো সব নাস্তিক এবং আস্তিকদেরও কিছু মেসেজ দিতে চেয়েছি মাত্র । কারন উভয় পক্ষেরই বেশ কিছু ত্রুটি আছে ধর্ম নিয়ে । ( আমার চোখে )

মানুষ যতোক্ষন পর্য্যন্ত না তার নিজেকে জানতে পারছে ততোক্ষন পর্য্যন্ত সে এ জাতীয় কঠিন বিষয়ে বিভ্রান্তিতে থাকবে । নাস্তিক এবং আস্তিক উভয়েই । আমি সে দিকেই ঈঙ্গিত করতে চেয়েছি ।
( এ প্রসঙ্গে আমার একটি ধারাবাহিক পোষ্ট " নিজেকে জানা.... " দেখার অনুরোধ রইলো । )

সম্ভবত ( যদি ভুলে গিয়ে না থাকি) আপনি উচ্চতর ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন । কোথায় আছেন আর এখোন কি করছেন ?

আর আমার সম্পর্কে বলি, আমি একজন চিকিৎসক । বয়সে আপনার বড় । লেখালেখি নেশার মতো । বুদ্ধিমান এবং যুক্তিবাদী কাউকে পেলে ঘর-সংসারের বাইরে যে অসংখ্য জ্ঞান ছড়িয়ে আছে তাকে ঘিরে জম্পেশ আড্ডা দিতে ভালো লাগে ।
আর চুপিচুপি বলি, কম্প্যিউটারে আমি ব'কলম । লিংক করতে পারিনে । তাই....

আপনার দু 'দুটো মন্তব্যের জবাব এই একটিতেই দিলুম ।
ভালো থাকবেন ।

৩| ১০ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪০

নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: যতক্ষণ না কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় = যতক্ষণ পর্যন্ত না কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

৪| ১১ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:২২

নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: :)
না ভাই, "বেশ লেখাপড়া জানা মেয়ে" আমি নই। 'ভাষা' নিয়ে কখনোই উচ্চতর পড়াশোনা করি নি। আমার সাহিত্যচর্চার দৌড় ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত। আমার লেখা গল্প স্মৃতিকথন নয়, অধিকাংশই বানোয়াট। :)

উচ্চতর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের পরও অনেকই জ্ঞানী হবার যোগ্যতা রাখেন না, আর আমার তো সেই অবধি পৌঁছাবার প্রশ্নই ওঠে না।

আমার নিবাস এখনও অস্ট্রেলিয়াতেই। পেশা মানুষ গড়ার কারিগরি। শিষ্য সংখ্যা মোটে একজন - আমার শিশুকন্যা। আর কি বলব?

লিঙ্ক করা খুব সহজ। যে বাক্যে আপনি লিঙ্ক সংযুক্ত করতে চান, সেই বাক্যটি প্রথমে 'মাউস'-এর সাহায্যে হাইলাইট/ সিলেক্ট করুন। তারপর স্মাইলি'র যে চিহ্ন দেখতে পাচ্ছেন তার দু'ঘর বাঁয়ে একটা চিহ্ন আছে, তার উপর মাউস রাখলে দেখবেন লেখা "লিঙ্ক বিবরণ"। সেখানে দু'বার ক্লিক করে যেই লিঙ্ক সংযুক্ত করতে চান, তার web address টাইপ করুন। ব্যাস, হয়ে গেল। এতটাই অনায়াসসাধ্য।

শুভকামনা রইল।

১১ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈফা,
খুব ভালো লাগলো আপনার নিঃসংকোচ উত্তর ।
"উচ্চতর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের পরও অনেকই জ্ঞানী হবার যোগ্যতা রাখেন না.." খুবই খাটি কথা লিখেছেন । আমিও আমার লেখাটিতে এই কথাই বলতে চেয়েছি ।
একজন নিরক্ষর কৃষক পিতা যিনি মাঠে ফসল ফলিয়ে তার অর্থে যে ছেলেটিকে এমএজি পড়িয়েছেন, তিনি কি ঐ বিষয়ে তার সেই এমএজি পাশ করা ছেলেটির চেয়ে কম জ্ঞানী ? নিশ্চয়ই নয় ।
এ কথাটিই সবাই বোঝেননা বা বুঝে উঠতে পারেননা ।

আপনাকে তো আমি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিতের (?) কাতারে দাঁড় করাইনি । আমার মনে হলো, আপনি অনেক পড়াশোনা করেছেন । এই উপলব্ধিটুকুই কেবল জানিয়েছি আপনাকে ।

আপনার একমাত্র শিষ্যাটি যে একজন ভালো মা'য়ের হাতে পড়েছে এই কথাটুকু জেনে খুশি হলাম ।

আপনার লিংকিং সাজেশানের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

ভালো কথা... আমার লেখা, " নিজেকে খোজা..." পড়ছেন তো ? সব কিস্তিগুলি পড়ুন । আগে যে প্রসঙ্গটি তুলতে গিয়েও তোলেননি মনে হলো তার কাছাকাছি কিছু উত্তর পেলেও পেয়ে যেতে পারেন সেখানে।

আপনার পরিবারের সবার জন্যে শুভেচ্ছা রইলো ।

৫| ১৬ ই মে, ২০১২ দুপুর ২:২৪

বাংলার ছেলে আমি বলেছেন: আহমেদ ভাই আপনার এই বিষেয়র উপর লেখা সবগুলো পোস্টের লিংক এই পোস্টে দেন । আমি এই বিষয়ে পড়তে খুবই আগ্রহী । ধন্যবাদ ।

১৬ ই মে, ২০১২ রাত ৮:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: বাংলার ছেলে আমি,
খুব ভালো লাগলো আপনার আগ্রহের কথা জেনে । কিন্তু এর পরে লেখাটির আর কোনও পর্ব দিতে পারিনি কারন যার জন্যে এই লেখা তিনি তার মুখটি আর দেখান নি , যা এই পোষ্টে পরিষ্কার ভাবে আপনি দেখতে পাচ্ছেন । লেখার পরিসর সেজন্যে আর বাড়েনি ।তাই দুঃখ প্রকাশ করতে পারি শুধু ।
তবে আমি প্রচলিত অর্থে ধর্মপ্রান নই । না বুঝে কোন কিছুতে অন্ধের মতো বিশ্বাস স্থাপন করে বসিনে । সে কথা হয়তো আমার এই পোষ্ট থেকে আপনি বুঝতে পারবেন ।
আপনার আগ্রহকে সম্মান করেই বলছি - জানুন কিন্তু অন্ধ হবেন না । জ্ঞানী হোন, তবেই সব কিছুর অর্থ আপনার কাছে ধরা পড়বে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রোথিত শেকড়ের খোঁজে সাধারন মানুষ মোটেও আগ্রহী নয় কারন তা খুঁজতে গেলে যে হাতিয়ার দরকার, তার নাম হলো – জ্ঞান এবং বিশ্লেষনী ক্ষমতা । এগুলো যোগাড় করা সবার জন্যে সহজ নয় । এর জন্যে থাকতে হবে যুক্তির ধার, অংকে পারদর্শীতা, গভীর চিন্তাশীলতা, পরমত সহিষ্ণুতা এবং গ্রহনের মানসিকতা, বিচার করার বিচক্ষনতা, ধৈর্য্যের গভীরতা এবং সবার উপরে দাগহীন নিমোর্ক একটি হৃদয়, লাইক অ্যা ক্লিন শ্লেট । -- খুব চমৎকার কথা বলেছেন, সম্পূর্ণ একমত।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,



ভালো লাগলো দেখে যে আমার এই প্রথম পোষ্টটিতে আপনার চরণধূলি পড়লো । স্বাগতম আমার প্রথম লেখাটিতে । হোক দেরীতে আমি এটি দেখেছি তবুও দেখা তো মিললো !

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,



ভালো লাগলো দেখে যে আমার এই প্রথম পোষ্টটিতে আপনার চরণধূলি পড়লো । স্বাগতম আমার প্রথম লেখাটিতে । হোক দেরীতে আমি এটি দেখেছি তবুও দেখা তো মিললো !

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: হোক দেরীতে আমি এটি দেখেছি তবুও দেখা তো মিললো --জ্বী, সেটাই বড় কথা। ব্লগের লেখকদের পুরনো লেখায় ঢুঁ মারা আমার অভ্যেসে পরিণত হয়েছে।

৯| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৪৬

বিজয় নিশান ৯০ বলেছেন: আপনাদের আলোচনা কতদূর হয়েছিল । দুই বাংলার যুক্তিবাদিদের চোখে ধর্ম নামক বইয়ে সৈকত চৌধুরী নামক একজনের লেখা পড়েছিলাম । উনি কি সেই ব্যক্তি ?

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজয় নিশান ৯০,




এতো পুরোনো একটি পোস্টে আপনাকে দেখে চমকিত ।
এই লেখাটি ব্লগে আমার প্রথম পোস্ট। সৈকত চৌধুরী নামের কাউকে আমি চিনিনে। আপনার কথা মতো উনি সেই ব্যক্তি কিনা তাও জানিনে। কেন যে এই লেখাটি লিখেছি তা লেখাটি পড়লেই যে কেউ বুঝতে পারবেন।
তবে সবাই তো আর যুক্তিবাদী হয়না, খোঁড়া একটা গাধার কান আকড়ে ধরে ভাবে ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে দুর্দম বেগে ছোটানো গেছে। আসলে গাধা ও ঘোড়ার পার্থক্যটা তাদের জানা থাকেনা। থাকেনা বলেই গাধাকে ঘোড়া বলার "ছাগইল্লা খামি" থেকে বেরুতে পারেনা।
সৈকত চৌধুরী কোনও সাড়া না দিয়ে এটাই প্রমান করে গেছেন।

১০| ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১২:২২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পোস্ট টা পড়া হয়নি।

এখন পড়লাম। পোস্টের একটা অংশ পড়ে মনে হলো এতসব কিছুরই দরকার হতো না যদি উভয়েই বিবর্তনটা ভালো করে পড়তো। নিয়েনডার্থালদের ব্রেনের গঠন এমন ছিলো যে পঞ্চইন্দ্রিয়ের সাথে ইন্টারফেস এিরা বেশ বড় থাকায় তাদের জ্ঞান শক্তি ক্ষিপ্রতা ভালো ছিলো। এজন্য তারা বেশ ভালো শিকারী হতে পেরেছিলো। কিন্তু বিবর্তনের ধারায় তাদের পঞ্চইন্দ্রিয়ের এই অংশ ছোট হতে থাকে এবং মাঝখানে যে ভ্যাকুয়ামের সৃষ্টি হয় সেখানে জন্ম নেয় নতুন একটা লোব যার কারনে মানুষ কিছুটা ভীত হয়, দুর্বল ও শিকারে কম দক্ষ হয়। ফলে মানুষ অদৃষ্টে বিশ্বাস করতে শেখে যার বড় প্রমান প্রায় ৪০০০০ বছর আগে গুহায় পাওয়া কিছু টোটেম। এটা শুধু জার্মানীতে পাওয়া যায়নি, অস্ট্রেলিয়াতেও পাওয়া গেছে।

সেহেতু মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস করবে এটা একটা বিবর্তন গত ব্যাপার। যদিও প্রশ্ন আসতে পারে নিয়েনডারথালরা এত উন্নত হবার পরও তারা হারিয়ে কেন গেলা।? তাদের ব্রেনও মানুষ অপেক্ষা বড় ছিলো এবং ফসিল বা নিদর্শন থেকে দেখা যায় তারা কাপড়ও বুনতো, গননাও করতে শিখেছিলো। এটার পেছনে বেশ কিছু হাইপোথিসিস এবং সেগুলো নিয়ে ইয়োহান হারিরির একটা বই য়ের প্রীলুড এক ব্লগার শুরু করেছিলেন। সেটা অন্য ইস্যু।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে কেন শুধু ইসলাম? এটা একটা খেলো এবং ইম্যাচিউর প্রশ্ন। এটার জন্য সামান্য একটা উদাহরন দেয়া যেতে পারে। আপনি যদি পেশাগত ভাবে ডাক্তার হন তাহলে আপনি সবকিছুর ব্যাখ্যা দর্শন দিয়ে দিতে পারবেন না। আলোচনা যদি ডাক্তারী এরিয়ার হয় তাহলে তিনি তাতেই অংশগ্রহন করবেন। তিনি কখনোই প্রকৌশল বা জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলবেন না। যারা নাস্তিক বা মুক্তমনা বলে আগে দাবী করতেন তারা ছিলেন পলিম্যাথ। এবং এজন্যই এরিস্ট টলের বইগুলো পড়ে দেখবেন কখনো দর্শন, কখনো জ্যোতির্বিজ্ঞান কখনো অন্য বিষয়। খিজিরকে অনুসরন করা তাদের ধর্ম ছিলো এবং খিজিরের রূপকথার মূল সুমেরিয়ানদের ধর্মগ্রন্থ এমনকি গিলগামেশেও পাবেন। জুরুস্থ্রুর নবীর মধ্যে পাবেন। স্বভাবতই বাংলাদেশে যারা রিদ্ধা করেন তারা পর্থমে ইসলাম নিয়েই পড়বেন কারন এটা তিনি জন্ম থেকে প্রাপ্ত হন এবং এ বিষয়ের ব্যাসিক জ্ঞান তার আছে। তার কাছে এটা স হজলভ্য যে ইসলাম সম্পর্কে সামগ্রীক জ্ঞান নিতে হলে তাকে কোন বইগুলো পড়তে হবে। আর মুসলমান ধর্মে যারাই জন্ম হয় তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই শেখানো হয় ইসলাম ভিন্ন অন্য ধর্ম সমুহের দুর্বল দিক গুলো এবং কেন তার এই ধর্ম অন্যান্য ধর্মগুলো থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ। স্বভাবতই তার আর ওসব ধর্মের দুর্বলতা কোজার দরকার পড়ে না কারন ছোটবেলা থেকেই সে জানে ওগুলো ভূয়া এবং তার ধর্ম শ্রেষ্ঠ। কিন্তু জিজ্ঞাসু মন যখন দেখে তার শ্রেষ্ঠ ধর্মের কি হাল, তখন দৌড়ে পালায় রামগোপাল।

যাই হোউক এত বড় পোস্টের এতটুকু পড়েই আগ্রহ হারিয়ে ফেলি কারন এত লুপ হোলস থাকলে সেটা আর পড়তে ভালো লাগে না। অর্থহীন সব।

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,




বুঝতে পেরেছি, এতো পুরোনো একটি লেখাতে আপনি কেন এসেছেন। মন্তব্য করার আগে “সাম্প্রতিক মন্তব্য” ঘরে “সৈকত চৌধুরীকে যিনি প্রশ্ন তুলেছেন - কোরান কি অলৌকিক গ্রন্থ?” এই শিরোনামটির বিশেষ কিছু শব্দ দেখেই আপনার আসা। স্বাগতম।

সবিনয়ে বলি, এই লেখাটি নাস্তিক বা আস্তিকের বাদানুবাদ নয়।
আস্তিক-নাস্তিক নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই, ছিলোনা কোনওকালে । লেখাটি অন্য আরেকজন লেখকের বক্তব্যের কাঁটাচেরা।দূর্ভাগ্যবশতঃ লেখাটি একটি বিশেষ ধর্ম সংক্রান্ত। লেখাটি ভালো করে পড়ে অনুধাবন করলে দেখতেন, আমি কোথাও আস্তিক্যবাদের নিশান উড়াইনি। নাস্তিক্যবাদকেও টেনে নামিয়ে আনিনি। তার কাছে জানতে চেয়েছি, তার তোলা প্রশ্নের জবাবটি তিনি কোন আঙিকে চান। এও বলেছি -“সুবিচারের স্বার্থে ধরে নিতেই হবে আপনার কারনগুলি (যদি থাকে) মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত যথার্থ ।”
আমি জানতে চেয়েছি ঐ লেখকের প্রশ্নের মীমাংসা কিভাবে হবে। জানতে পারিনি। যদিও জানি ধর্ম সম্পর্কে কারোপক্ষে সঠিক মীমাংসায় আসা সম্ভব নয়। কারন ওটা যার যার জ্ঞান ও বিদ্যাবুদ্ধি অথবা পর্য্যবেক্ষন ও বিশ্লেষণের ক্ষমতা,গানিতিক জ্ঞান ইত্যাদির উপর ভিত্তি করা একটি বিশ্বাস, হোক তা অন্ধ বা চক্ষুষ্মান। তাই খেয়াল করলে দেখবেন প্রায়ই ব্লগের সিংহভাগ জুড়ে থাকা এই জাতীয় লেখাতে আমি পারতপক্ষে কোনও মন্তব্য করিনে।
তাহলে এই লেখাটিই বা আমি লিখলুম কেন ? লিখেছি, কারন একটা জিনিষ খুঁজতে এসে এই ব্লগের দেখা, দেখা আলোচ্য লেখকের লেখাটিও একদম চোখের সামনেই। এইরকম করে যে লেখা যায় সেই সুযোগটা সহজেই হাতের কাছে পেয়ে গেছি বলে লিখে ফেলেছি। তাই প্রথম প্রথম ধারনা ছিলোনা মানুষ তার লেখার সমালোচনা কিম্বা যৌক্তিকতার প্রশ্নে এতো অসহিষ্ণু হতে পারে। ব্লগে সময় গড়িয়েছে, দেখেছি এই অসহিষ্ণুতা, অশালীন কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতেই ব্যাপ্ত। কি আস্তিক, কি নাস্তিক সবাই-ই মারমুখী,সবাই-ই প্রচন্ড অধৈর্য্য আর একগুঁয়ে। তাই আর ওমুখো হইনে।

এই পোস্টের বিষয়ের সাথে মানুষের মস্তিষ্কের বিবর্তণের মনে হয় সরাসরি কোন যোগাযোগ নেই। তাই এই বিবর্তনটা জানা খুব জরূরী নয় যে, বিবর্তন না জানলে এ জাতীয় বিষয়ে কারো কোনও প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও যুক্তি ( সু কিম্বা কু) তোলাটা বালখিল্য হবে। বরং একথা বলে আপনি অনমনীয় পান্ডিত্যের বড়াই করলেন কিনা ভেবে দেখতে বলি।
সাত মিলিয়ন বছর আগে মানুষের বিবর্তনের শুরু। শিম্পাঞ্জীকে বর্তমান মানুষের নিকট অতীতের পূর্বসুরী ধরে নিয়ে এ্যানথ্রোপলোজিষ্টরা বিবর্তনের মানচিত্রটি এঁকেছেন। যদিও আরো কাছের “ হোমিনিস” এখন আর বেঁচে বর্তে নেই আর মানুষের বিবর্তনের ঐতিহাসসিক রেকর্ডও বেশ ছড়ানো ছিটানো। তবুও অনুমান করা হয়, চার মিলিয়ন বছর আগে হোমিনিস প্রজাতি বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে গাছ থেকে মাটিতে হাটা শিখে যায় কারন তাদের পায়ের গঠন বিবর্তিত হয়ে মাটিতে হাটার উপযোগী হয়ে ওঠে সে সময়টাতে। আরো মিলিয়ন বছর লেগে যায় তাদের “হোমো ইরেক্টাস” হয়ে উঠতে। সেখান থেকে নিয়ান্ডারথাল মানুষ বেড়িয়ে আসে প্রায় দুই মিলিয়ন বছর থেকে আড়াই লক্ষ বছর আগে। সে সময়ের ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মগজ বিবর্তিত হয়ে বর্তমান সভ্য (?) মানুষের মগজ এখন ১.৫ কেজির মতো। মাথার আকৃতি আমাদের চেয়ে তাদেরটা বড় হলেও কিন্তু মগজের ঘাটতি ছিলো অনেক। তাই আধুনিক মানুষের মস্তিষ্ক তার পূর্বপুরুষদের চেয়ে আরো উন্নত আরো বুদ্ধিবৃত্তিক হবারই কথা। নইলে আপনার নিজেরই তো এতো উন্নত মস্তিষ্ক থাকার কথা নয়!

যাক, বলেছেন - “আমাদের এই নিয়ান্ডারথাল মানুষের জ্ঞান শক্তি সম্পন্ন মস্তিষ্ক বিবর্তিত হয়ে সেখানে কম বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটেছে আর তারা অজানাতে বিশ্বাস করতে শুরু করেছে”
তার মানে এই যে, তাদের জ্ঞান বুদ্ধি তারা ইচ্ছে করেই গুলে খেয়ে ফেলেনি। ওটা বিবর্তনেরই ধারা । যার থাবা থেকে মনে হয় আপনার-আমারও রেহাই মেলেনি। কারন এই বিবর্তনের ধারার একটি সময়কালের লেটেষ্ট প্রোডাক্ট আমরা। সুতরাং মানুষের মনে ঈশ্বর ভীতি যদি থেকেই থাকে তবে সে দোষ মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির ঘাড়ে চাপাবো কেন ? কেনই বা তাদেরকে বুদ্ধিসুদ্ধির ঠুঠো জগন্নাথ বলে ধরে নিতে হবে? সব দায় তো আপনার কথামতো নিয়ান্ডারথাল মস্তিষ্ক থেকে মানুষের হোমো স্যাপিয়েন্স মস্তিষ্কে বিবর্তনের দায়। বিবর্তনই এই সিষ্টেমটা ঢুকিয়ে দিয়েছে মানুষের মাথায়। যে কথা আপনিও বলেছেন মন্তব্যে। আর নিয়ান্ডারথালদের হারিয়ে যাওয়ার পেছনে মনে হয় ঈশ্বর ভীতির কোনও হাত নেই। এর কারন অন্য, প্রধানত আবহাওয়া।

বলেছেন - “এখন প্রশ্ন আসতে পারে কেন শুধু ইসলাম? এটা একটা খেলো এবং ইম্যাচিউর প্রশ্ন……….আলোচনা যদি ডাক্তারী এরিয়ার হয় তাহলে তিনি তাতেই অংশগ্রহন করবেন। তিনি কখনোই প্রকৌশল বা জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলবেন না।”
তাই কি ? যদি তাই-ই হয় তাহলে যে কারো সবজান্তা শমসের হবার কোনও কারন নেই,যৌক্তিকতা নেই, সম্ভাবনা নেই, প্রয়োজনও নেই । আপনারও না। তাই এরিষ্টোটল, সক্রেটিসদের নাম আমাদের যে কোনও আলোচনা থেকে বাদ দিতেই পারি কারন তারা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। বলবেন, তারা পন্ডিত বলেই সব বিষয়ে কথা বলেছেন। তাহলে আপনি-আমিও যে পন্ডিত নই তা মাপা হবে কোন যন্ত্রে ?
সম্ভবত আপনি ছেলেবেলায় মাদ্রাসার শিক্ষা, পরে প্রকৌশল বিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন (আমি সঠিক নই)। আপনার উপরের কথামতো তাহলে তো আপনারও সব বিষয়ে কথা বলার এক্তিয়ার নেই, থাকা উচিৎ নয়। অথচ তাও আপনি করে থাকেন। দর্শন নিয়ে করেন, মহাকাশ বিদ্যা নিয়ে করেন, রাজনীতি নিয়েও করেন। এখন আপনি বলতে পারেন, ছোটকাল থেকেই আপনি জ্ঞান অন্বেষনের চেষ্টা করেছেন তাই সব বিষয়েই জ্ঞান আছে আপনার। একাডেমিক শিক্ষার বাইরে এ জ্ঞান তাই আপনার পূর্নাঙ্গ নয়, নয় পর্যাপ্তও (আপনার ধারনা মতে)। তাই আপনারও দার্শনিক না হয়ে দর্শন, ফিজিসিষ্ট না হয়ে মহাকাশ বিজ্ঞান, পলিটিক্যাল সাইন্সের লোক না হয়েও রাজনীতির উপর মতামত দিয়ে কথা বলার কথা নয়।

বলেছেন- “আর মুসলমান ধর্মে যারাই জন্ম হয় তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই শেখানো হয় ইসলাম ভিন্ন অন্য ধর্ম সমুহের দুর্বল দিক গুলো এবং কেন তার এই ধর্ম অন্যান্য ধর্মগুলো থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ ।”
শুধু ইসলাম কেন সব ধর্মই, ঐশ্বরিক বা অলৌকিক বা মানবসৃষ্ট (যেমন জরথুস্ত্রবাদ) শিখিয়ে থাকে, সে-ই একমাত্র সাচ্চা বাকী সব ঝুঁটা। আপনার কি মনে হয়, সনাতনধর্ম এটা শেখায় যে, ইসলাম বা খ্রীষ্টান বলেও ধর্ম আছে তারাও আমাদের মতো শ্রেষ্ঠ ? আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে মুসলমানরা ছাড়া আর কেউই তাদের ধর্ম যে শ্রেষ্ঠ তা শেখায় না। সেটা মনেও করেনা মনে হয়। একমাত্র তারাই উদার, পরমত সহিষ্ণু! তারা কি এটাই প্রচার করে, তাদের ধর্মের মতো অন্য ধর্মগুলোও শ্রেষ্ঠ ?

জিজ্ঞাসু মনই যদি থাকে কারো তবে সে বেছে বেছে বিশেষ কিছু জ্ঞানের পেছনে দৌঁড়োয় না। দৌঁড়ায় ভালো মন্দ সব জ্ঞানের পেছনেই, নইলে তার “জিজ্ঞাসু” হওয়ার তকমা গায়ে দেয়া অবান্তর। বড় পোস্ট আর তাতে “লুপ হোল” থাকার কারনে আপনি নাকি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এতো সহজেই আগ্রহ হারিয়ে ফেললে আপনাকে কি তাহলে জ্ঞানসন্ধানী জিজ্ঞাসু বলা যাবে?

আসলে এ্যাবসোলিউট বা পরম বা চরম বলতে বিজ্ঞানেও কিছু নেই সম্ভবত ধর্মেও নেই। কারন যতোদূর জানি, মদ একসময় “হালাল” বলে কোরআনে লেখা থাকলেও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আরেক সুরায় তাকে “হারাম” করা হয়েছে। এই রকম হয়তো আরও অনেক আছে, আপনি আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন। অন্যান্য ধর্মেও মনে হয় এরকম কিছু আছে। নইলে সব ধর্মেরই একাধিক সংস্করণ, কিম্বা ব্যাখ্যা থাকার কথা নয়। তাই আমার কথাটিই যে চরম বা পরম এমন ধারনায় আমিও অটল নই কখনই। অটল থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয় বরং একগুয়েমীর হটকারীতা।
দেখবেন, কোনও তথ্য বা তত্ত্ব দেয়ার সময় আমি তাই “ সম্ভবত” বা “মনে হয়” এই জাতীয় শব্দ ব্যবহার করি। নিজেকে শুধু জ্ঞানের আলোকশিখা ভাবার মতো অজ্ঞতা এবং ধৃষ্টতার কোনটাই আমার নেই।

যাক, লেখা লম্বা হয়ে যাচ্ছে। লম্বা বলে আবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন, অনেক লুপহোলও খুঁজে পেতে পারেন। কিন্তু বলেছিই তো, আমার কথাই চরম নয়। এর বাইরেও কথা থাকতে পারে। সেগুলো নিয়ে আর বাহাস করা ভালো লাগবেনা। আপনার পরিমিতিবোধের উপর আস্থা রেখেই বলি, এখানেই সব কিছুর ইতি হোক।

এতো পুরোনো পোস্টে আপনার আসাতে আমারও তো কিছু জানা হোল। এটুকুই লাভ।
ভালো থাকুন।

১১| ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ওয়েল এই জার্নাল অনুসারে নিয়েনডারথালদের ব্রেন আমাদের চাইতে বড় এবং তা কত বড় সেটা ওখানে আছে বিধায় সেটার বর্ননায় গেলাম না। তবে এটা ঠিক ব্রেন বড় থাকলেই যে তারা আমাদের চে বুদ্ধি বা সৃজনশীলতায় ভালো হবে তাতে কোনো যুক্তি নেই তাহলে হাতি আমাদের চেয়ে অনেক বুদ্ধিমান হতো। সৃজনশীলতা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে এবং সেটা অকামস রেজরের মতো করে বলা যায় নিয়েনডারথাল বুদ্ধিমান হতে পারে নাও হতে পারে। তবে তারা আমাদের থেকে বেশ ভালো শিকারী ছিলো, তাদের কগনেটিভ সেন্স যে বেশ তীক্ষ্ণ সেটার প্রমান বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া ফসিল ও তাদের চারপাশে থাকা ব্যাবহার্য জিনিসপত্র দেখে ধারনা করা যায়। শিম্পান্জির সাথে আমাদের যে মিল সেটা ডিএনএ গত। এছাড়া অন্য কিছুতে আছে বলে মনে হয় না। আর দ্বিতীয় কথা মগজের ওজন তো আরো কিছু জিনিসের ওপর নির্ভর করে।আর ব্রেনের ওজন দেহ কত বড় তার ওপর নির্ভর করে সে হিসেবে বিবর্তনের ধারায় মানুষ দীর্ঘদেহী হচ্ছে। তবে ইয়োহান হারিরীর হাইপো অনুযায়ী মানুষ সামাজিক হলেও সে ধীরে সুস্থে নৃশংস ও নিষ্ঠুর হতে পেরেছিলো। এটাই তাদের বিজয়ের কারন। আর তারা ছড়িয়ে পড়েছিলেন পুরো ইউরোপ এশিয়া জুড়ে যেখানে নিয়েনজারথালরা গোষ্ঠিগত ভাবে তাদের উতপত্তিস্থল আফ্রিকাতেই থেকে যায়।

দ্বিতীয় কথায় আমি জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলি কারন মিডসুইডেনে মাস্টার্স করার সময় সায়েন্টিলিশন নিয়ে কাজ করকে হয়েছে। রেডিয়েশন ও তার ডিটেকশনের ওপর বেশ ডিটেইলে সিস্টেম বানাতে হয়েছে। আর আপনি হয়তো জানেন যে ২০০০ এর দিকেও প্রি ইন্জিনিয়ারিং কোর্স হিসেবে অর্থনীতি সোশিওলজি একাউন্টিং সহ নানা বিষয়ে পড়ানো হয়। আর এর জন্যই সরকারী থেকে ইইই ম্যাকা বা সিভিল যে কেউ একসময় ম্যানেজমেন্টে কাজ করতে পারে। একটা পাওয়ার স্টেশন বানাতে গেলে আপনাকে সোশিওলজিক্যাল সার্ভে থেকে শুরু করে তার অডিট সহ নানা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এবং বাংলাদেশের সরকারীগুলোতে প্রায় ছমাসে আমাদের মাস্টার্স লেভেলের সিলেবাস শেষ করানো হয় এসব বিষয়ের। ইদানিং অনেক বই পড়ার সুবাদে এবং দেশে জিপিতে ম্যানেজমেন্ট লেভেলের সাথে কাজ করার কারনে এগুলোর ওপর বেশ কিছু কোর্সও করাতে হয়। তখনি ইথিকস ফিথিকস পড়ানো হয়। আর ইইই হলো মূলত পার্টিক্যাল ফিজিক্সের ব্যাবহারিক রূপ আর আমাদের সরকারী ইউনিতে যেহেতু ইনস্ট্রুমেন্ট কম ছিলো সেহেতু আমাদের শিক্ষক গন আমাদেরকে হাতে ধরে প্রতিটা ডেরিভেশন থিওরী মুখে তুলে শিখিয়েছেন। যদিও ফাঁকিবাজ থাকায় আমার অবস্থান ক্লাসে ৫৭ তম ৬৫ জনের মধ্যে এবং আমাদের প্রথম দিককার পুলাপান যদিও কেউ উচ্চশিক্ষায় যায়নি, বেশীর ভাগ কেউ অসে গিয়ে ডেভেলপার হয়েছে, কেউ হয়েছে ম্যানেজম্যান্টে, আবার কেউ হয়েছে শ্রেফ ডিজাইনার। অনিল স্যার আমাদের বলেছিলেন সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারনে আমাদের জন্য এমন সিলেবাস বানিয়েছেন যাতে আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে সবকিছু পিক করতে পারি। আমি যেহেতু এখনো পড়ালেখা নিয়েই আছি, সেহেতু আমার কাছে এখন সবকিছুই সহজ মনে হয়। তবে তারপরও আমি সবকিছু বিজ্ঞান দিয়েই ব্যাখ্যা করি এবং দর্শন নিয়ে কথা বললেও ওখানে হালজামানার বিজ্ঞান ঢুকে যায় যেটা খুব হাস্যকর

এখন দর্শন নিয়ে এই জন্য পড়ছি যে আপনার একটা কথা সঠিক ছিলো যে পরম সত্য বের করা মুস্কিল যখন আপনি তাতে বিশ্বাস মিক্সড করেন। বিশ্বাস হলো গরুর চনা আর পরম সত্য হলো দুধ। আর দুধ নস্ট করার জন্য একটু চনাই যথেস্ট। সমস্যা হলো আমার ছোটবেলার যে বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তি বা শিক্ষাগত বা যৌক্তিক ব্যাপারটা পুরোপুরি বিশ্বাস নির্ভর। আমার পক্ষে পরমসত্য আবিস্কার করা যে অসম্ভব সেটা ভ্যান ডায়াগ্রাম দিয়েই বলা যায়। সেক্ষেত্রে নীশের এপ্রোচ যেটা কিনা অনেকটা রেনে দেকার্তের ওপর বেজ করা কিন্তু বেশ পরিশীলিত সেটাকে অনুসরন করছি।

সুপারডুপার আমাকে মেডিটেশন করতে বলেছেন যেটা কিনা স্টয়িসিজমে অরিলিয়াস সেনেকাও বলে গেছেন কিন্তু আমি মনে করি আমাকে যদি অতীত সম্পর্কিত অভিজ্ঞতালব্ধ গুলো আনবায়াসড হিসেবে বিচার করতে হয় তাহলে আমার যৌক্তিক কাঠামোতে জারা পরিমান চনা বা বিশ্বাস রাখা যাবে না।

কিন্তু ওদিকে বিজ্ঞান আমাকে নাস্তিক হতে বাঁধা দেয় এ কারনে যে কোয়েন্টেসেন্ট বা ফিফথ ফোর্স(এটা ফিজিক্সের একটা হাইপো, বছর খানেক আগে ব্লগে এটা নিয়ে আমার ভাবনা শেয়ার করেছিলাম) হতে পারে এটাই সেই শক্তি যেটা কিনা স্বতঃস্ফুর্ততার জন্য দায়ী তবে হকিং বা আইনস্টাইন বা সুসকিন্ডের মতো আমিও এ্যাগোনিস্ট, তবে নাস্তিক নই।

তারপরও আমি আমার মতামতগুলো আরও জানার বোঝার জন্য এসবে পেছনে ছুটি কারন ব্লগে বিজ্ঞান নিয়ে কেউ লেখেন না বা প্রোগ্রামিং বা সার্কিট ডিজাইন (এগুলো এখন আমার এরিয়া, এগুলোই আমার পেশা এখন) নিয়ে কথা বলেননা। আর ব্লগে সময় দেই যখন একটানা ৮-১২ ঘন্টা বসে থেকে সব অন্ধকার লাগে তখন এদিক ওদিক ঘুরে ফ্রেশ হই। দ্যাটস ইট।

আমি বুঝি না আপনারা এসব স্পোর্টিংলি কেন নেন না।

এখানে অফেন্ড হবার কিছু নাই। যদিও ব্লগে একাডেমিক ডিবেট যে কেউ করতে পারে এরকম পাবলিক কেউ নিয়মিত নন। তাই আমিও খেই হারাই।

তবে বাংলাদেশে যারা আস্তিক নাস্তিক নিয়ে পোস্ট লেখেন তারা আসলে কি পয়েন্টে পোস্ট লিখলে একটা জম্পেশ আলোচনা হতে পারে সেটা তারা বোঝেন না। আস্তিক নাস্তিক নিয়ে আমারও অনেক লেখা আছে, বলছি না যে সেগুলো এখন আর নির্ভুল আছে কারন এখন অনেক কিছু আবিস্কার হয়েছে সেসব নিয়ে কথা বলা উচিত।

দর্শনে আগ্রহ জন্মাবার আরেকটা কারন আমি আমার বিশ্বাসী যে সত্বাটা যতটুকুই আছে তাকে আমি পুরোপুরি এমন একটা জায়গায় নিতে চাই যেখানে এটা আনবায়াসড থাকবে। অনেকটা সাত্রের মতো। সাত্রের ভাবনাগুলোকে স্পর্শ করাই আমার মূল লক্ষ্য। এটা বলবো না যে দর্শন নির্ভুল, আমার মতে এটা পিস অব শিট। কিন্তু এটা আপনার যৌক্তিক অংশকে সংঘবদ্ধ করে। ছোটবেলায় আমার মধ্যে তৈরী হওয়া যে বিশ্বাসের ভীত, এই দুর্গন্ধময় জিনিসটারে শাবল দিয়ে সাত্রের মতো কিছু একটা করতে চাইছি। এর ফলে জানার নেশা বাড়ছে।

এখন আপনিই বলেন জানার পরিধিকে বাউন্ডারী তে বাঁধবো না কি শৈশবে প্রোথিত বিশ্বাসের মতো মজা পুতিময় ভিত্তিকে ছাড় দিয়ে পরম সত্যকে আরো কলুষিত করবো!!!

ফুড ফর থট

নো হার্ড ফিলিংস।

যেহেতু আমি শেষ পর্যন্ত পড়িনি সেহেতু আমি বুঝুনি যে ফাস্ট পার্সন আপনি ছিলেন।

দুঃখিত

৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,




ধন্যবাদ এই পরিশীলিত মন্তব্যের জন্যে। জানার পরিধিকে বাউন্ডারীতে কেন বাঁধবেন। সেটাতো স্যাপিয়েন্সের লক্ষন নয়। যে কোনও বিষয়ে পক্ষপাত দোষ থেকে মুক্ত থাকা খুব সহজ কাজ নয় একটা। তাই বলে তাকে এড়িয়ে না যাওয়াও কোনও জ্ঞান পিপাসুর লক্ষন নয়। সতত পক্ষপাতহীন থাকা সম্ভব হলে সত্যের চরম দিকটি উদ্ভাসিত হতে পারে বলে আমার মনে হয়।

আমি স্পোর্টিংলিই নেই সবকিছু। যে যেমন আঙিকে বল ছোড়েন তাকে সেই আঙিকেই ব্যাটিং করতে চেষ্টা করি। ব্যাটিং এর ধারটা অনেকে বুঝতে পারেন না বলে, নন স্পোর্টিং ভেবে বসেন। অফেন্ডেড হয়েছি বলে ভাবেন। আমি নিরাসক্ত ভাবেই সব কিছু হ্যান্ডেল করতে ভালোবাসি শুধু " ভালোবাসা"র জায়গাটি ছাড়া।

একথা ঠিক বলেছেন -তবে বাংলাদেশে যারা আস্তিক নাস্তিক নিয়ে পোস্ট লেখেন তারা আসলে কি পয়েন্টে পোস্ট লিখলে একটা জম্পেশ আলোচনা হতে পারে সেটা তারা বোঝেন না। সে কারনেই আমার এই লেখাটি তেমন আলোচনার জায়গাটিতে আসার জন্যেই দেয়া, পুরো লেখাটি পড়লেই আপনি তা বুঝতে পারতেন।

আর "নিয়েনজারথালরা গোষ্ঠিগত ভাবে তাদের উতপত্তিস্থল আফ্রিকাতেই থেকে যায়।" এটা মনে হয় সঠিক নয় কারন নিয়ান্ডারথালদের আগেই হোমিনিস গোত্রের হোমো এরেক্টাসরা আফ্রিকা থেকে বাইরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ২ মিলিয়ন বছর আগে। এ সময়টাতেই কিন্তু নিয়ান্ডারথালদের আবির্ভাব। সুতরাং তারাও ঐ ছড়িয়ে পড়ার দলে থাকতে পারে। এ মূহুর্তে আমি
কিন্তু শিওর নই।

আপনার সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে ভালো লাগলো। কিন্তু কিছু জানা আর বোঝার জন্যে যে ছোটেন তা ঠিক আছে তবে আপনার ব্যবহৃত ভাষা অনেক সময় গ্রহনযোগ্য হয়ে ওঠেনা যার কারনে আপনাকে বুঝতে অনেকেই ভুল করেন আর আপনার জানার বিশাল পরিধিটা মূল্যহীন হয়ে পড়ে তখন। এটা নিশ্চয়ই আপনি চান না।

আমিও পড়তে, জানতে ভালোবাসি। তবে এখন আর আগের মতো উচ্ছাস তাতে থাকেনা বলেই অনেক কিছুই আবার ভুলে যাই। কারন পড়ার বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্যে আমার পাশে এখন আর কাউকে পাইনে। তাই ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। ভালো লাগে এ্যাষ্ট্রো ফিজিক্স, যদিও এখন অনেক কিছুই মাথার মধ্যে ধরে রাখতে পারিনে। কিছু মনে করার জন্যে বই বা নেট ঘাটতে হয়। :(

ভালো থাকুন।

১২| ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন,




ধন্যবাদ এই পরিশীলিত মন্তব্যের জন্যে। জানার পরিধিকে বাউন্ডারীতে কেন বাঁধবেন। সেটাতো স্যাপিয়েন্সের লক্ষন নয়। যে কোনও বিষয়ে পক্ষপাত দোষ থেকে মুক্ত থাকা খুব সহজ কাজ নয় একটা। তাই বলে তাকে এড়িয়ে না যাওয়াও কোনও জ্ঞান পিপাসুর লক্ষন নয়। সতত পক্ষপাতহীন থাকা সম্ভব হলে সত্যের চরম দিকটি উদ্ভাসিত হতে পারে বলে আমার মনে হয়।

আমি স্পোর্টিংলিই নেই সবকিছু। যে যেমন আঙিকে বল ছোড়েন তাকে সেই আঙিকেই ব্যাটিং করতে চেষ্টা করি। ব্যাটিং এর ধারটা অনেকে বুঝতে পারেন না বলে, নন স্পোর্টিং ভেবে বসেন। অফেন্ডেড হয়েছি বলে ভাবেন। আমি নিরাসক্ত ভাবেই সব কিছু হ্যান্ডেল করতে ভালোবাসি শুধু " ভালোবাসা"র জায়গাটি ছাড়া।

একথা ঠিক বলেছেন -তবে বাংলাদেশে যারা আস্তিক নাস্তিক নিয়ে পোস্ট লেখেন তারা আসলে কি পয়েন্টে পোস্ট লিখলে একটা জম্পেশ আলোচনা হতে পারে সেটা তারা বোঝেন না। সে কারনেই আমার এই লেখাটি তেমন আলোচনার জায়গাটিতে আসার জন্যেই দেয়া, পুরো লেখাটি পড়লেই আপনি তা বুঝতে পারতেন।

আর "নিয়েনজারথালরা গোষ্ঠিগত ভাবে তাদের উতপত্তিস্থল আফ্রিকাতেই থেকে যায়।" এটা মনে হয় সঠিক নয় কারন নিয়ান্ডারথালদের আগেই হোমিনিস গোত্রের হোমো এরেক্টাসরা আফ্রিকা থেকে বাইরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ২ মিলিয়ন বছর আগে। এ সময়টাতেই কিন্তু নিয়ান্ডারথালদের আবির্ভাব। সুতরাং তারাও ঐ ছড়িয়ে পড়ার দলে থাকতে পারে। এ মূহুর্তে আমি
কিন্তু শিওর নই।

আপনার সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে ভালো লাগলো। কিন্তু কিছু জানা আর বোঝার জন্যে যে ছোটেন তা ঠিক আছে তবে আপনার ব্যবহৃত ভাষা অনেক সময় গ্রহনযোগ্য হয়ে ওঠেনা যার কারনে আপনাকে বুঝতে অনেকেই ভুল করেন আর আপনার জানার বিশাল পরিধিটা মূল্যহীন হয়ে পড়ে তখন। এটা নিশ্চয়ই আপনি চান না।

আমিও পড়তে, জানতে ভালোবাসি। তবে এখন আর আগের মতো উচ্ছাস তাতে থাকেনা বলেই অনেক কিছুই আবার ভুলে যাই। কারন পড়ার বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্যে আমার পাশে এখন আর কাউকে পাইনে। তাই ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। ভালো লাগে এ্যাষ্ট্রো ফিজিক্স, যদিও এখন অনেক কিছুই মাথার মধ্যে ধরে রাখতে পারিনে। কিছু মনে করার জন্যে বই বা নেট ঘাটতে হয়। :(

ভালো থাকুন।

১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমান লেখায় পোষ্ট টির লিংক দেওয়াতে এই পোষ্টি দেখার সুযোগ পেলাম।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,







ধন্যবাদ এখানে আসার জন্যে। তবে লেখাটি ঠিক হয়েছে কিনা কিম্বা বক্তব্যে কিছু ঘাটতি আছে কিনা তা বলে যাননি।

১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী,
কোন লাভ নেই। এরা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে না। ধর্ম হচ্ছে পরিপূর্ণ বিশ্বাস।
আপনি কাউকে জোর করে বিশ্বাস করাতে পারবেন না।
নাস্তিক থাকতেই পারে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এরা বাকিদের অজ্ঞ মনে করে যখন সেটা বিরক্তকর।
এদের সাথে তর্ক বা যুক্তি দিয়ে কিছু বলা আমি অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি।
কারণ একটাই, প্রত্যককেই তার নিজের কাজের জন্য জবাবদিহী করতে হবে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,





লিংক ধরে এখানে আসার জন্যে ধন্যবাদ ।
যে কোন বিষয়ে চিন্তার জগতকে কোথায় কোথায় , কতোটুকু , কিভাবে ধাবিত করতে হবে মূলত এসব নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত করেছি।
কারো বক্তব্যকে উড়িয়ে দেয়ার আগে তার বক্তব্যের অসাড়তা যৌক্তিক ভাবে তুলে ধরার মানসিকতা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা যেমন সকলেরই থাকা উচিৎ তেমনি বক্তব্য প্রদানকারীকেও তার অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ দেয়া উচিৎ। তাতে " ফিতনা-ফ্যাসাদ" তৈরী হওয়ার পরিবেশ তৈরী হয়না। এটাই ছিলো এই লেখার আড়ালে আমার উদ্দেশ্য।

১৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আহমেদ জিএস ভাই,
প্রথম লেখা পরেই মনে হলো, সবারই বোঝা উছিলা ছিল তখনি " A star is born" I পরে ব্লগে এসে আমাদের সুবিধে হলো যে আমাদের অতো চিন্তা ভাবনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়নি । আমরা ব্লগে মধ্য আকাশের তারাকে পূর্ণ ঔজ্জ্বল্যেই দেখলাম । লেখাটার যোক্তিক আলোচনাটা ভালো লেগেছে ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মলাসইলমুইনা,




নোটিফিকেশানের কেরামতিতে এইমাত্র নজরে এলো আপনার এই মন্তব্য।
যে ভাবে আপনি বললেন তাতে আপনার প্রতি ভালোবাসা - শ্রদ্ধা আরও বাড়লো। কেবল নিরহংকারী কেউই এমন করে বলতে পারেন।
আমি যৌক্তিকতায় আস্থা রাখি বলেই সৈকত চৌধুরীকে যুক্তি দিয়ে আলোচনায় টেনে আনতে চেয়েছি। যদিও তা হয়নি শেষ পর্যন্ত।

১৬| ০১ লা মার্চ, ২০২১ রাত ৮:৩৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রথম প্রথম সবকিছুতেই কৌতুহল থাকে। আপনার প্রথম পোস্টটা কেমন দেখতে এলাম।
আপনার প্রথম পোস্টটাই হিট। খারাপ লাগছে, তিন মাস পর একটা মন্তব্য!


০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: তারেক ফাহিম,




নোটিফিকেশানের কেরামতিতে বোঝার উপায় নেই, কেউ কোনও পোস্টে ( পুরোনো ) মন্তব্য করলেন কিনা। এইমাত্র নজরে এলো আপনার এই মন্তব্য।

"প্রথম পোস্টটাই হিট" !!!! কি করে হলো ? কেউই তো তিন মাসেও একটা মন্তব্য করেন নি!

শুভেচ্ছান্তে।

১৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারা সবসময়ই তারা :)

উরি বাপস!!! সেকি ধার! যুক্তির শানিত ঝিলিক!
উপস্থাপনার নির্মোহ ধারা, ন্যায় দন্ডের স্থিতিস্থাপকতার মতো ঠিক মধ্য পথাবলম্বন!!
দারুন !

নাইমুল আসলাম ভায়ার সাথে সহমত! :)

+++++++

০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,




মুগ্ধ মন্তব্যের ধারে।

১৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪২

কলাবাগান১ বলেছেন: "বাঙালী মহিলারা জ্ঞানী হলে আমি খুব গর্ব বোধ করি"- একটু ভালভাবে পড়লেই এর অন্তর্নিহিত অর্থ কিন্তু নেগেটিভ হিসাবে প্রতীয়মান হয়। "হলে" শব্দটাই বাক্যের অর্থ টা কে .....

০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কলাবাগান১,



"বাঙালী মহিলারা জ্ঞানী হলে আমি খুব গর্ব বোধ করি"- একটু ভালভাবে পড়লেই এর অন্তর্নিহিত অর্থ কিন্তু নেগেটিভ হিসাবে প্রতীয়মান হয়।
তাই কি ?
যদি লিখতুম - "বাঙালী মহিলাদের জ্ঞানী দেখলে আমি খুব গর্ব বোধ করি" ? কিম্বা - "জ্ঞানী বাঙালী মহিলাদের দেখলে আমি খুব গর্ব বোধ করি" ? এগুলোও তো আপনি ইচ্ছে করলেই নেগেটিভ হিসাবে নিতে পারেন।
সমস্যাটি মনে হয় ঐ - ইচ্ছার।

১৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: "বাঙালী মহিলারা জ্ঞানী হলে" তারা জ্ঞানী হওয়াটা 'যদির' উপর নির্ভর করে..সচারচর জ্ঞানী হয় না। "মেয়েটা কালো কিন্তু কিউট আছে"

আপাতত এখানেই থাক... আমি জানি আপনি অনেক উদার মনের মানুষ.....আমার কাছে মনে হওয়াতে বললাম....

০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: কলাবাগান১ ,




আবার এসেছেন বলে ধন্যবাদ।
কিন্তু আসল সত্যটা তো এটাই যে, সব বাঙালী মহিলারাই জ্ঞানী নন, সচারচর হনও না। এই সত্যটাকে মেনে নিতে আপত্তি কোথায়? আমি এই সত্যটা মেনে নিয়েই অমনটা বলেছি, এর মানে সব সময় এই নয় যে - বাঙালী মহিলাদের আবমাননা করেছি । হয়তো বলতে পারেন , সব সত্য বলতে নেই।
আপনি ঐ লাইনটির পরের লাইনটি মনে হয় পড়েন নি। যেখানে লেখা আছে - " বাঙালী মহিলারা জ্ঞানী হলে আমি খুব গর্ব বোধ করি । কারন একমাত্র শিক্ষিত, উদার একজন "মা" ই পারেন জাতিকে সুস্থ্য, চিন্তাশীল-ধীমান সন্তান উপহার দিতে ।"
যেহেতু জাতির সন্তানেরা আর "সুস্থ্য, চিন্তাশীল-ধীমান" নন সে দুঃখবোধ থেকেই "বাঙালী মহিলারা জ্ঞানী হলে আমি খুব গর্ব বোধ করি " বাক্যটির জন্ম। খুব অপরাধ করেছি কি ?

আপনার মতোই বলি - আপাতত এখানেই থাক। কারন আসল সমস্যাটি ঐ - ইচ্ছার বা "যদি" জাতীয় ভাবনার।
শুভেচ্ছান্তে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.