নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
তোমার কাছ থেকে দশটা টাকা চেয়ে নিলাম
সিগারেট ফুরিয়েছে বলে,
এই রৌদ্র মাথায় নিয়ে আমরা ছিলাম
এতোক্ষন চুপচাপ ।
অনেকক্ষন কথা বলিনি কেউ আর তখনই
সিগারেটের কথা মনে হলে
তোমার কাছ থেকে দশটা টাকা চেয়ে নিলাম ।
তোমার বিন্দু বিন্দু ঘাম লেগে থাকা মুখ
বেশ খানিকটা হেটে আসায় ফুলে ফুলে ওঠা বুক,
স্যান্ডেলের ষ্ট্রাপে ওটা কি কোনও ফুল ?
ঠিক ঠাহর হয়না কোন শাড়ী তোমাকে মানায়
অথচ এইবেলা, আধবেলা অফিস শেষে
ঘরে ফেরা লোক,চোখের কোনায় তাকায় উৎসুক ।
তোমাকেই দ্যাখে, এক নারী
কিছুটা বিবর্ণ শাড়ী, লেবাস কমদামী, স্যান্ডেলও তাই
ঘেমে ওঠা মুখ, শক্ত চোয়াল
প্রসাধনের কোনও ব্যাপার স্যাপার নাই।
অথচ প্রসাধনহীন তোমার শরীর অটুট এখনও,স্থির ।
যেখানে যেমন থাকার আছে ঠিকঠিক
নাহ্, তাও নয়। আরো যেন বেশী কিছু কোথাও আছে,
বোঝা যায় কি যায়না
অন্তত আমি বুঝিনা ।
বোঝে ঐ লোকগুলো, আধবেলা অফিস শেষে
ঘরে ফেরা লোক তাকায় উৎসুক
দ্যাখে, যেন তুমি ঠিক ‘ম্যাডোনা’।
তুমি একটু বিরক্ত বিরক্ত মনে হয়,
সিগারেটের ধোঁয়ায় ?
নাকি লোকেদের চোখের ভয়!
আসলে ভেবে দ্যাখো, কি ভীষন খেটেখুটে এখন
সারাদিন পর ফিরছো ঘরে
সাথে মলিন পুরুষ একজন । যে তোমার কিছু নয়
আবার অনেক কিছু, এমন ভাব ধরে
রৌদ্র আড়াল করে
তোমারই গায়ে ছায়া ফেলে পাশাপাশি
এমন একটা ঘনিষ্ঠ সান্যিধ্যে বিলাসী
বাবুর মতো হাটছে।
আমি তো জানি, টাইপিষ্ট কাম কেরানী
এমন একটা চাকরী । কতোই বা বেতন তোমার !
সারাদিন আঙ্গুলে তোলা খট্খট্ শব্দের মতোন
বাড়ীতেও লেগে আছে খট্খট্, মায়ের অসুখ
বাবার হার্টের রোগ, দু’দুটো ভাইবোন ।
তার উপর আমি বেকার একজন
তবুও শৈশবের সেই ভালোবাসার মন
এখনও রেখেছো মনে
কে জানে, এ কেমনতরো খেয়াল তোমার!
তুমি তো জানো, যে টাকাটা নিলাম সিগারেটের
ওরকম কতোই তো নিয়েছি কতোদিন। ফেরৎ এর
আশা করোনি কখনও, জানতে
কিছু একটা রোজগারপাতি ছাড়া পারবোনা দিতে
ফিরিয়ে সে ঋন, যেমন নিত্যদিন
এভাবেই পাশাপাশি হেটে যাওয়া ছাড়া
অন্য নিয়তি নেই আমাদের।
মনে আছে, একবার আমিও একজন কবির মতোন
কবিতা লিখেছিলাম, সুখের সংজ্ঞা নিয়ে ?
“ সুখ মানেই যাবতীয় অসভ্য শয়ন
কারুকার্যময় স্তনের মিনার।
সুখ মানেই ভালোবাসা –
তোমার আমার। ”
পড়তে গিয়ে লজ্জায় লাল, বলেছিলে ডেকে
‘যাহ্, কি অসভ্য তুমি। এইসব ছাইপাশ কেউ ল্যাখে ?’
আসলে কোনও সুখের মতোনই কোনও একটু সুখ
হাতের নাগালে অনায়াস হয়না কখনও
কারন, বিপ্রতীপ সময় দিয়ে আছে মুখ
আমাদের সময়ে ।
এবার তুমি বা’হাতি রাস্তা নেবে, আমি সোজা ।
প্রতিদিন যেমন হেটে আসি অগনিত লোক ঠেলে
অফিস-দালানকোঠা,দোকানের আলো, রিকসার ঠুন্ঠুন্
পিছে ফেলে
বেয়ারা কুকুর আর বিষন্ন দিন, তাও পিছে পড়ে যাবে
শুধু তোমার চোখ নিত্যকার মতো থম্কাবে ।
কিছু বলতে গিয়েও বলবেনা
আসলে আমাদের বলার কিইবা আছে !
শুধু দু’টি ভিন্ন রাস্তা
তুমি বা’হাতি – আমি সোজা ।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,
ভালোবাসারই শুধু নয়, বাংলার আটপৌরে জীবনের নিত্য উপখ্যানও বটে!
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩২
একাল-সেকাল বলেছেন: বুঝলাম, কবিতার নায়ক গোল্ডলিফ আসক্ত।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: একাল-সেকাল,
কবিতাটি যে সময়কালে লেখা সে সময় গোল্ডলিফ ছিলোনা। ছিলো ধনীদের ক্যাপষ্টান, মধ্যবিত্তের ষ্টার, নিম্নবিত্তদের কিংষ্টর্ক ইত্যাদি। কবিতায় ছিলো -".... একটা টাকা চেয়ে নিলাম"। ষ্টার সিগারেট মিলতো তাতে। কবিতার প্রথম পুরুষটিও ছিলো ষ্টারের মতো নিভু নিভু!
"একটা টাকা"র কথা লিখলে এ যুগের পাঠকেরা মাথা ঘুরে পড়ে যেতো। তাই নবায়ন করা হয়েছে টাকার অংক।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৫
লাবনী আক্তার বলেছেন: আমাদের সমাজের খুব কমন একটা চিত্র ফুটে উঠেছে।
প্রতিদান ছাড়াও কিছু কিছু ভালোবাসা হয়।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: লাবনী আক্তার,
আমাদের আটপৌরে সমাজেরই এককালের চিত্র ।
দারিদ্রতা ছিলো বটে কিন্তু নির্লোভ ভালোবাসাও ছিলো।
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয় ভাই ,
থাক-না অর্থের টানাপোড়েন , থাক না সংগ্রামী জীবন তবুও
অমলিন থাকুক ভালোবাসা কারণ প্রথম ভালোবাসা কখনো ভূলা যায় না অটুট থাকুক সারা জীবন ।
তৈল,চাল, নুনের সংসার যদি নাও হয় তবুও ভালোবাসাটা
থেকেই যায় ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কবিতা দেয়ার জন্য।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,
প্রথম ভালোবাসা আষাঢ়ের প্রথম বৃষ্টি ভেজা শাড়ীর আঁচলের মতোই আদ্র। দারিদ্রে, হতাশায়, শঙ্কায়, না পাওয়ায়ও শুকোয় না কখনও।
মন্তব্য ভালো লাগলো।
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
রাস্তা হোক যেথায় কিন্তু চাওয়া হোক খাঁটি। স্মৃতিকথা অমর হয়ে থাকুক দুই ভিন্ন পথের যাত্রী কিন্তু অভিন্ন হৃদয়ে।
রবীন্দ্রনাথের ছড়া পড়তে গিয়ে শৈশবে ইস্কুল বানানের সাথে পরিচিত হই। জানিনা সেই ধাঁচে আপনার আজকের,
এতক্ষণ, অনেকক্ষণ, ভীষণ, সান্নিধ্য, প্রভৃতি শব্দগুলো এসেছে কিনা।
সুন্দর পোস্টে লাইক।
শুভকামনা জানবেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,
আপনার জানতে চাওয়ার সূত্র ধরে জীবনানন্দের বলা কথা দিয়ে বলি - " একজন কবির পশ্চাৎপটে ক্রীয়াশীল থাকবে ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক কবিদের বিভিন্ন কাব্যপ্রয়াস।"
যার হৃদয়ে কল্পনার বাস নেই, না আবাস গেড়েছে চিন্তা ও অভিজ্ঞতার স্বাতন্ত্রিক নির্যাস, তাকে জীবনানন্দ "কবি" বলতে অসম্মত।
আমিও হয়তো সেরকম হয়ে উঠতে চেয়েছি বিভিন্ন কবিদের বিভিন্ন কাব্যপ্রয়াসের ছায়ায় হেঁটে হেঁটে।
মন্তব্য লাইকড।
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,
ধন্যবাদ।
মন্তব্যে এমন কৃপন কেন ! যিনি মাটির গহন খুঁড়ে মনিমুক্তো তোলেন তার তো যে কোনও লেখার গভীর থেকে কিছু তুলে এনে মন্তব্যের মুক্তোচ্ছটা ছড়িয়ে দেবার কথা...............
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৩১
সোহানী বলেছেন: একজন বা' হাতের রাস্তা আর আরেকজন সোজা রাস্তা ধরাই ঠিক, অন্তত প্রেমটা বেচেঁ বর্তে থাকবে দু'জনের মনে । নতুবা পিয়াজ রসুন আর নিত্য টানাপোড়ের ভীড়ে প্রেম ঘরের ছোট ছিদ্র দিয়ে পালায়ে বাঁচবে.......... (আমার নয় মনীষীদের কথা )
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
এ হোল জীবনের গল্প। কঠিন বাস্তবতা অমন দরিদ্র প্রেমগুলোকে কখনও সোজা, কখনও বা'হাতি রাস্তাটি ধরিয়ে দেয়।
"পিয়াজ রসুন আর নিত্য টানাপোড়ের ভীড়ে প্রেম ঘরের ছোট ছিদ্র দিয়ে পালায়ে বাঁচবে.......... (আমার নয় মনীষীদের কথা)"
আপনিও বা মনীষীদের চেয়ে কম কিসে ?
৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর ,
ধন্যবাদ কবিতাটিকে "সুন্দর" বলাতে।
৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৭
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কর্ম , কর্মহীন, অভাব এবং সিগারেট সমর্থক শব্দ। ভালোবাসা এসে মাঝখানে অম্ল এবং মধুরতা সৃষ্টি করে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া),
অনেকটা ঠিকই বলেছেন। সব অপ্রাপ্তি সিগারেটের ধোঁয়া করে উড়িয়ে দেয়া যায় খুব সহজেই। ঝেড়ে ফেলা যায় না পাওয়া ভালোবাসার অম্ল-মধুর ছাই।
১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উফ্ কী সুন্দর লিখা। মন ভরে গেলো
কবিতার ভেতর কবিতা। দারুনননননননন
শুভকামনা আর শ্রদ্ধা রইলো ভাইয়া
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি,
কী সুন্দর মন্তব্য! আপনার পোস্টের ছবির মতোই ঝকঝকে- পরিষ্কার।
শুভকামনা থাকলো আপনার জন্যেও।
১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
গুরুজী ,
মনে হলো আমাকে নিয়ে লিখেছেন। দশ টাকা ধার নিয়ে ৩ টা বাংলা ফাইভ আমিও কিনতাম সে সময়।
কি দারুন কবিতা ! +++
তবে বাঁ'হাতি রাস্তাটা কাঁটাবনের দিকে মোড় নিলেও ,
বাটা সিগন্যাল কিংবা তেলের মিলের গলির মাথায় দেখা হয়ে যায় আচমকা !
''ফুচকার প্লেটে উড়ে আসা ধূলিঝড়
বিকেল গড়ায় দুপুরে দিয়ে ভর
এই শহর জেনেছে সব
এই শহর শুনেছে সব
বাটা সিগন্যাল হয়ে তেলের মিলের গলি
আচানক নামে এ শহরে গোধূলি
এই শহর জেনেছে সব
এই শহর দেখেছে সব ।''
আমার কবিতার কয়েক লাইন জুড়ে দিলাম। এই দুঃসাহস ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন।
ভালো থাকবেন। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিরন্তর ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ,
লিখেছি ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে সিগ্রেট কেনা সবাইকে নিয়ে। আমি সে দলে ছিলুম এককালে। এখন দেখি আপনিও! নষ্টালজিক...........
আর এটা কী লিখলেন !!!!!!!!!!!!!!!
কবিতার শহরের সিগন্যালের লাল বাতিতে আটকে রাখলেন রুদ্ধশ্বাসে ! এখন এ শহর জেনে যাক, আমি আটকে আছি এক কবিতার মোড়ে...............
অনবদ্য।
নিরন্তর ভালোবাসা দিলুম আপনাকেও।
১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৫
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: জী এস ভাইয়ের কবিতা সম্ভবত এই প্রথম পড়া। দারুণ লাগল। কবিতায় রোমান্টিক গল্প বলে গেলেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সম্রাট ইজ বেস্ট,
আমার কবিতায় আপনাকে স্বাগতম।
সাহিত্য মানে শুধু গল্প, গদ্য আর কবিতা নয়, একটা জীবনদর্শন ও বটে। সেরকম করেই লেখার তাগিদ থাকে একটা।
আপনার জন্যে আর একটি - কোন এক রাতবিহারিনীকে ..................
১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: কথার মালায় কী দারুণ দৃশ্যকল্প নির্মাণ! শেষ হল হাহাকার আর বিষন্নতায় মন ভরিয়ে দিয়ে! মনে পড়ে গেল এমন আরেকজনের কথা,
ঘরেতে এর না সে তো
মনে তার নিত্য আসা- যাওয়া
পরণে ঢাকাই শাড়ি, কপালে সিঁদুর।
পুরো কবিতাই ভালো, কিন্তু শেষ স্তবক পড়ার পর মনে অনেকক্ষণ তার রেশ রয়ে গেল...
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
চেষ্টা করেছি একটি সময় কালের যন্ত্রনার দৃশ্যকল্প নির্মানের। সাহিত্য শুধুমাত্র কঠিন শব্দের সমাহার নয়, জীবনের পথে পথে ছড়িয়ে থাকা হরেক দৃশ্যের কোলাজও। তেমন একটি কোলাজ নির্মানের চেষ্টা থেকে অনেক আগে কবিতাটির জন্ম। ভূমিষ্ট হয়েছে আরেকটি সময়কালে যেখানে পরণে ঢাকাই শাড়ি, কপালে সিঁদুর মাখা নান্দনিক দৃশ্যের মতো কোনও ছায়ার বাস্তবতা পড়ে থাকেনা!
নতুন প্রজন্ম অবাক হবেন এমন কবিতায়। আটপৌরে মনে হবে। কেবল তারাই বুঝবেন যারা কবিতার সময়কালের পথে হেঁটে গেছেন বারেবার।
খুব সুন্দর মন্তব্য। লাইকড।
১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১১
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা।পড়ে অনেক ভাল লাগল ভাইয়া।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল,
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আমারও।
১৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
সৈয়দ জায়েদ আহমদ বলেছেন: জীবন,একটা প্রেম, অনেকগুলো স্বপ্নের চিন্তা,তবুও এইসব সত্য,নিখুঁতভাবে সত্য কবি!
খুব গভীরে হারিয়ে গিয়েছিলাম,তারপর বুকের ভেতর অনেক টা সাহস সঞ্চয় নিয়ে মন্তব্য করে ফেললাম।
আপনাকে কাছে পেলে ১০ টাকা নোট ধরিয়ে বলতাম: টাকাতে এই অধম কে আপনার অটোগ্রাফ দিন,এইটুকোন দিয়ে স্বার্থক করুন অন্তত,
আমার সৌভাগ্য যে এমন কাব্য পাঠের,অনেক দিন বেচে থাকুন কবি।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ জায়েদ আহমদ,
১০ টাকার নোটে আমার মতো এক নগন্যের একটা অটোগ্রাফ নিয়ে কি হবে! তবুও অটোগ্রাফ চেয়ে আমাকে ধন্য করে গেলেন।
তেমন একটা মন থাকলে এমন কবিতাতে হারিয়ে যাবারই কথা। আমারও সৌভাগ্য যে তেমন মনের একজন পাঠককে পেলুম।
মন্তব্যে ভালোলাগা।
১৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দীর্ঘ কবিতায় প্রেম, সংসার, জীবনের সংগ্রাম তুলে ধরেছেন নিপুণতায়।
একেবারে নিত্যদিনের তুচ্ছ তুচ্ছ ঘটাও কত সুন্দরভাবে বলা যায় কবিতায়!
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,
এর নামই তো জীবন! সাহিত্য তো জীবনেরই ছবি, তাইনা ?
একটা সময়কালের সে ছবিই তুলতে চেয়েছি।
শুভেচ্ছান্তে।
১৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: শুধু দু'টি ভিন্ন রাস্তা
তুমি বা'হাতি আমি সোজা।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী,
এ এক অন্য নিয়তি!
বিপ্রতীপ সময়ে মুখ দেয়া জীবনের গল্প।
১৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৯
সাইন বোর্ড বলেছেন: কবিতাটি বেশ লম্বা হলেও পাঠককে ধরে রাখার মত একটা টান আছে, যা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যায় । দারুণ আবৃত্তি উপযোগী একটা কবিতা !
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাইন বোর্ড ,
চেষ্টা তো খানিকটা ছিলোই, থাকেও পাঠককে ধরে রাখার। তা যে আপনাকে ধরে রাখতে পেরেছি তাতে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
শুভেচ্ছান্তে।
১৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বিনিময় না হয় হত একটা কবিতাই !! নিস্প্রভ মলিন পুরুষের লেখা দু একটি ছত্র ?
তারপর রাস্তা নিতেন _
সে বা' হাতি আপনি সোজা ......
আচ্ছা দশ টাকা চেয়ে নেবার গ্লানি কি, কবিতা বিক্রির চেয়ে বেশী ?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,
নিস্প্রভ মলিন এক পুরুষ কার হাতেই বা একটা কবিতা তুলে দিতে পারতো! চারটি লাইন লিখেই তো শুনতে হলো - "অসভ্য"।
শেষের লাইনটি ঠিক বুঝিনি।
২০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পরিপাটি লেখা । বেশ মন ছুঁয়ে গেল লেখা।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: নেওয়াজ আলি,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
২১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩০
শের শায়রী বলেছেন: কবিতা ঠিক আমি বুজি না, তবে কিভাবে যেন আপনার এই কবিতাটি বুজলাম মানে অনুভব করলাম। মনে হচ্ছিল সুনীলের কোন কালজয়ী কবিতা। ভালো লাগা জানবেন।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,
যিনি ইতিহাসের ডালপালায় চড়ে বেড়ান তার পক্ষে তো কবিতা বোঝা আসলেই কঠিন হওয়ার কথা নয়! কবিতাতেও তো থাকে ইতিহাস- জীবনের ইতিহাস। পরতে পরতে উল্টেপাল্টে দেখতে হয় যেমন দেখতে হয় ইতিহাসের পাতাও ঘেঁটে ঘেঁটে।
তবে সুনীলের সাথে মিলিয়ে ফেলায় মনে হয় ইতিহাসে গন্ডগোল হয়ে গেল............
চমৎকার মন্তব্য। লাইকড।
২২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২২
জুন বলেছেন: বিখ্যাত মেঘে ঢাকা তারা সিনেমার নায়ক নায়িকার চলতি পথের এক টুকরো দৃশ্য ভেসে উঠলো আপনার কবিতায় আহমেদ জী এস। ছেড়া স্যান্ডেল টেনে টেনে হেটে যাওয়া নায়িকা যার ঘাড়ে বাবা মা ভাই বোন নিয়ে সংসারের বোঝা।
ছেলেটি আর মেয়েটি কোন এক সন্ধ্যায় ইট শুরকি বেছানো ধুলি ঊঠা রাস্তার পাশে কোন এক জীর্ন মলিন রেস্তোরাঁয় ভাংগা কাপে বিশ্রী স্বাদের এক কাপ চা নামের গরম পানি নিয়ে বসেছিল হয়তো বা। বহুক্ষন চুপ করে থেকে মেয়েটি সেই ঠান্ডা মেরে যাওয়া চাটুকু গলায় ঢেলে আস্তে আস্তে বা দিকের রাস্তাটা ধরলো আর নায়ক ও তার ছেড়া পাঞ্জাবির পকেট থেকে চায়ের দাম মিটিয়ে সোজা রাস্তায়। "আজ দুজনার দুটি পথ ওগো দুদিকেই গেছে বেকে" হেমন্তের এই বিখ্যাত গানটি মনে পরলো আপনার কবিতায়।
ভালোলাগা রইলো অনেক অনেক।
+
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
একটা সময় ছিলো যখন অর্থনৈতিক হতাশায় মেঘে ঢাকা তারাদের মতোই ঢাকা পড়তো কিছু ব্ন্ধন। তা ছিলো মেঘে ঢাকা তারাদের মতোই সত্য, তারাদের মতোই আকাশে থেকেও যেন নেই!
আপনার উল্লেখিত সিনেমায় নায়ক সনৎ, মূল চরিত্র নীতাকে শেষ পর্যন্ত গ্রহন করেনি। কিন্তু আমার কবিতায় মলিন পুরুষ কথকটি
বিবর্ণ শাড়ীতে ঢাকা নায়িকার গায়ে ছায়া ফেলে পাশাপাশি হেঁটে গেছে। হেঁটে যায় প্রতিদিন। আপনার দেয়া গানের লাইনের মতোই দু'জনার পথ দু'টি যখন দু'টি দিকে বেঁকে যায় তখন তারাও থমকে দাঁড়ায় ভাষাহীন প্রত্যাশা নিয়ে কারন তাদের বলার কিছুই থাকেনা , ইচ্ছেরা মেঘেই ঢাকা পড়ে যায়!
মন্তব্যে আমার এই কমদামী কবিতাটি যেন মহার্ঘ্য-মূল্যবান হয়ে উঠেছে!
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ।
শুভরাত্রি।
২৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব নুর ,
ধন্যবাদ কবিতাটিকে "সুন্দর" বলাতে।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,
ভালো থাকুন আপনিও।
২৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১
নিভৃতা বলেছেন: অসাধারণ! এক নিমিষেই পড়ে ফেললাম অমোঘ এক আকর্ষণে।
দুজনের দুই পথ, এই বিরহটাই প্রেমকে জীবিত রাখে।
তবে এই প্রেম এখন বিরল।
অশেষ ভালো লাগা রেখে গেলাম কবি। শুভেচ্ছা জানবেন।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: নিভৃতা,
এমন প্রেম হয়তো বিরল কিন্তু মাঝে মাঝে তার দেখা পেলে মন্দ কি!
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। পাঠকের সত্যিকারের ভালোলাগাই লেখকের উত্তরণের প্রেরনা।
শুভেচ্ছান্তে।
২৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কবিতায় জীবন? না জীবনের কাব্য?
কর্নিশের ছাদ চুঁইয়ে পড়া ম্লান গোধুলিতে
বিষন্নতায় মন ছেয়ে যাবার মতো
পাঠোত্তর বিস্ময়
স্মৃতি কাতর ও করে বৈকি!
আহা! কমদামী লাল পেড়ে হলুদ শাড়ীতেও
কি অপরুপা অপ্সরা ছিলে তুমি
পুকুরের ঘাটে আধেক জলে ভাসিয়ে
কি এক অর্থপূর্ণ হাসি দিতে!!!
জীবন কেন এমন
মোড়ে এসে থমকে যায় - -
যেখানে তোমার আমার পথ বেঁকে যায়!!
দারুন। মানে দারুন। মুগ্ধ পাঠ।
+++++++++++
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
সাহিত্য তো জীবনেরই ছবি! জীবনের পথ থেকে ম্লান সব গোধুলির ছবি কুড়িয়ে সাফসুঁতেরো করে আকাশের গায়ে লেপ্টে দেয়াই তো সাহিত্যের কাজ!
এই যেমন আপনার দেয়া কবিতাখানাই--
"আহা! কমদামী লাল পেড়ে হলুদ শাড়ীতেও
কি অপরুপা অপ্সরা ছিলে তুমি"
এটাই তো জীবনের চলে যাওয়া ম্লানবেলার একটা ছবি।
অসংখ্য ধন্যবাদ এমন মন্তব্যটির জন্যে।
শুভেচ্ছান্তে।
২৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৮
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার লেখা পড়লাম । সুন্দর লিখা ভালো লাগল পড়ে ।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: (:হাসু মামা,
ভালো লাগাতে পেরেছি জেনে আমার নিজেরও ভালো লাগলো!
শুভেচ্ছান্তে।
২৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী,
কবিতা কালকেই পড়ে গিয়েছিলাম। আজকে আবার ফিরে আসলাম মন্তব্য করার জন্য।
আমার মনে হলো বেশ কিছুদিন আগের লেখা। বেশ আগের একটা মধ্যবিত্ত বা নিন্মমধ্যবিত্ত সমাজের প্রতিচ্ছবি স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আবেগ এবং ভালোবাসা যে শুধুমাত্র টাকাপয়সার উপর নির্ভর করে না সেটাই ফুটিয়ে তুলেছেন।
প্রতিদিন যেমন হেটে আসি অগনিত লোক ঠেলে
অফিস-দালানকোঠা,দোকানের আলো, রিকসার ঠুন্ঠুন্
পিছে ফেলে
বেয়ারা কুকুর আর বিষন্ন দিন, তাও পিছে পড়ে যাবে
শুধু তোমার চোখ নিত্যকার মতো থম্কাবে ।
কিছু বলতে গিয়েও বলবেনা
আসলে আমাদের বলার কিইবা আছে !
শুধু দু’টি ভিন্ন রাস্তা
তুমি বা’হাতি – আমি সোজা।
এটাই হচ্ছে নিদারূণ বাস্তবতা। আমরা সমাজ বা পারিপার্শিক অবস্থা পরিবর্তন করতে পারবো না। কিন্ত ভালোবাসা দিয়ে একজন আরেকজনকে ঠিকই বেঁধে রাখতে পারবো। যত দূরেই যাও আর যত বাঁধাই আসুক।
শুভ কামনা রইলো।
০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
দেরীতে প্রতিমন্তব্য করা হচ্ছে বলে, দুঃখিত!
ঠিকই বলেছেন, তুমুল যৌবনকালের লেখা। তখন ভালোবাসার মাঝে কোনও দেনা-পাওনার দোলাচল ছিলোনা। ছিলোনা
আজকালকার মতো সহজলভ্য প্রতারণাও। প্রেমও ছিলো পথে-ঘাটে ভয়ে ভয়ে হাটতে হাটতে একটুখানি দেখা, তাও কচ্চিৎ কখনও সুযোগ পেলে; এখনকার মতো যখন ইচ্ছে তখন উদ্দ্যানের ঝোপঝাড়ের পেছনে বসে নয়।
সময় পাল্টেছে, এখন আর ভালোবাসা দিয়ে আটকে রাখা মনে হয় সহজ নয় তেমন!
ভালো থাকুন আর সুস্থ্যে।
শুভেচ্ছান্তে।
২৮| ০২ রা মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৩৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই,
আপনার এই কবিতা সবার মধ্যেই একটা ইলিউশন তৈরী করেছে বলে মনে হচ্ছে । আর তাই আপনার যে কবিতার কথা বলেছেন বাংলার আটপৌরে জীবনের নিত্য উপখ্যানও, যা হরেক বেদনার রঙিন জড়িতেই জড়ানো থাকে সাধারণত, সেই নীলকণ্ঠ বিষের কষ্টও মনে হচ্ছে অমৃতের স্বাদের মতো ! ট্রিপল ফাইভের ধোয়ার মতো হারিয়ে যাওয়া সুখ স্মৃতির অনবদ্য কবিতায় ভালোলাগা । ভালো থাকুন ।
০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মলাসইলমুইনা,
একটা নষ্টালজিক সময়ের গাঁথা, যেখানে প্রেম ছিলো; দেনা-পাওনার প্রসঙ্গ ছিলোনা। যারা ছিলেন সে কালের জাতক তাদের মাঝে একটা ইলিউশন তৈরী তো হবেই!
এক সময় যে জীবনটা ছিলো পরম আরাধ্য, একান্ত ভালোলাগার সেটা আজ মহাকালের গর্ভে সিগ্রেটের ধোঁয়ার মতো কেবলই উড়ে উড়ে যায়।
যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন আপনিও!
২৯| ০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: কবিতাটা পড়তে গিয়ে মনে যেন আশি কিংবা নব্বইয়ের পটভূমিতে হুমায়ূন আহমেদের কোন উপন্যাস পড়ছি। এক বেকার তরুণ, এক সাধারণ তবুও অনিন্দ্য সুন্দর তরুণী, তাদের হৃদয়জুড়ে ভালবাসা আর বাস্তবতার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ।
ভাল লেগেছে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা,
হুমমমমমম, কবিতার হৃদয়জুড়েও ভালবাসা আর বাস্তবতার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণের লাইনগুলো সাজানো!
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
৩০| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতাটি চলচ্চিত্র হয়ে মনের পর্দায় ভেসে উঠেছে। একটা সময়ের, সমাজের সাক্ষী হয়ে আছে এ কবিতা!
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) এর মন্তব্য এবং আপনার উত্তর, দুটোই ভাল লেগেছে। ১০ নং মন্তব্যে দেয়া স্বপ্নবাজ সৌরভ এর কবিতার অনবদ্য লাইনগুলোও খুব ভাল লেগেছে। আর মলাসইলমুইনা তো আমার কথাই বলে গেছেন তার মন্তব্যেঃ আপনার এই কবিতা সবার মধ্যেই একটা ইলিউশন তৈরী করেছে বলে মনে হচ্ছে।
১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
একটা নষ্টালজিক সময়ের চালচিত্র, যেখানে প্রেম থাকতো লুকিয়ে সংগোপনে। কচ্চিৎ কখনও সুযোগ পেলে পথে-ঘাটে ভয়ে ভয়ে হাটতে হাটতে হয়তো একটুখানি দেখা। তা নিয়েই ছিলো যতো স্বপ্নবোনা। সে স্বপ্নদের আলোর দেখা মিলতো না। শুধু মায়ার ঘোরে যেতো দিন।
এমন একটা ঘোরও যে আপনার মধ্যে চকিতে দোলা দিয়ে গেছে তাতে কবিতা মনে হয় সার্থকতা খুঁজে পেলো।
আর মন্তব্য নিয়ে যাদের কথা বললেন তাঁরা আসলেই এই লেখাতে ঋদ্ধতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।
৩১| ২০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: শেষে এসে মন হলো বেশি অভিমান, হয়তো রাগারাগি হয়েছে।
২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মাদ আব্দুলহাক ,
কেন যে উল্টো বুঝলি রাম.........................
৩২| ২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০০
মিরোরডডল বলেছেন: সেই ভালো, দুজন দু’পথে ।
তাই হয়তোবা ভালোবাসাটা আজও থেকে যায় ।
রেখে যাওয়া সেই অনুভূতি থেকে
জন্ম নেয় এরকম একটি কবিতা ।
২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিরোরডডল,
"রেখে যাওয়া সেই অনুভূতি থেকে
জন্ম নেয় এরকম একটি কবিতা ।"
অনেকটা সেরকমের অনুভূতি থেকেই কবিতাটার জন্ম। একটা সময় ছিলো যখন প্রেম থাকতো লুকিয়ে সংগোপনে। তা নিয়েই ছিলো যতো স্বপ্নবোনা। সে স্বপ্নদের আলোর দেখা মিলতো না। শুধু মায়ার ঘোরে কেটে যেতো দিন...........
৩৩| ২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৪
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: নিশ্চয় মারাত্মক ভুল করেছি
২১ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মাদ আব্দুলহাক,
হা...হা... ভুল তো হয়েছেই।
আগের মন্তব্যে বলেছেন - "শেষে এসে মন হলো বেশি অভিমান, হয়তো রাগারাগি হয়েছে।"
তাই কি ?
শেষের চারটি লাইনে রাগারাগি বা অভিমানের কোনই নিশানা নেই । শুধু আছে এক অমোঘ নিয়তির কথা। যে নিয়তি দু'টি প্রানকে এক হয়ে মিলতে দেয়না, দু'টো হৃদয়কে রাখে আলাদা করে....................
৩৪| ২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৫
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আরো আরো লিখুন
২১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহাদাত উদরাজী,
ধন্যবাদ অনেক অনেক।
শুভেচ্ছান্তে।
৩৫| ২১ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি আসলে আলাভোলা, খালি ভুল করি
২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মাদ আব্দুলহাক,
হুমমমমমমম.... ভুল সবই ভুল!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলার ভালোবাসার উপখ্যান