![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যানজট আমাদের শহরের বিরাট সমস্যা বিশেষ করে রাজধানীতে বসবাস করলে তো কথায় নেই।২৫ মিনিট দূরত্বের উত্তরা মতিঝিলের রাস্তা পার হতে কমপক্ষে জীবনের অনেক মূল্যবান ২ ঘন্টা সময় পার হয়ই। কে কিভাবে ভোগে? সাধারন মানুষ যন্ত্রনায় ছঠফট করে সাধারন পরিবহনে। তাদের পরিবারের ভাগ্যও সেই পরিবহনে। আমার অবাক লাগে তাদের ধৈয্য দেখে। আর আমলা, তথাকথিত ব্যবসায়ী বড়লোক ও রাষ্ট্র পরিচালনার আইন তৈয়ার কারী ও তাদের ঘনিষ্টরা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ীতে বসে সাধারনের কষ্টের জন্য কি আফসোস করে, নাকি তাডাতাডি আরও পয়সা কামিয়ে ধনী হওয়ার চিন্তা করে তা নিয়ে আমি দ্বিধান্বীত। প্রশ্ন করি একজন অফিস প্রধানের কয়টি গাড়ী লাগে? গাড়ীর মালিক কে? ব্যবসায়ী ভাইদের পরিবারে মাথাপিছু গাড়ী বিদ্যমান। ক্ষমতাধর রাজনৈতিক ভাইদের অবস্হাও অনুরুপ।ব্যতিক্রম হয়ত হাতে গোনা। এই মূহুরতে মনে পড়ল বাংলার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু সরকারের এক প্রয়াত মন্ত্রী মরহুম এডভোকেট নূরুল ইসলাম চৌধুরী সাহেবকে একদিন সকাল ১০ টার সময় শাপলা চত্বরের নিকটে মতিঝিল এলকায় সাধারণ পরিবহনে দেখে অবাক হয়েছিলাম, তখন আমি ছাত্র ছিলাম। ঊনার আমার বাড়ী চট্রগ্রামের পটিয়ায় ।আজ সেই অবস্হা নেই বললে চলে। তিনারা সকলেই ভি আই পি। তারা সাধারন পরিবহনে আসতে নারাজ। যানজট নিরসনের সত্য গবেষনার ধারে কাছেও আসতে চায় না তারা। শুধু মুখে বলে দেশের মালিক জনগন।এটি যদি তাদের অন্তরের কথা হত দেশের আপমর জনগণকে যানজট সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে যন্ত্রনায় এত ছটফঠ করতে হত না।শুনেছি বিশ্বের অনেক দেশে পিক্ hour এ শহরে গাড়ী চালনার বিষয়ে অনেক নিয়ম যেমন মানতে হয় তেমনি টোলও নাকি গুনতে হয়।এই দেশে সে ধরনের আইন অনুপস্হিত কেন? কারন একটাই।সেটি হল আমরা তথাকথিত উচ্চশ্রেনী সম্পদ ও ভোগ লিপ্সু। আজ ব্যাস্ত রাস্তা সমুহের ভাগ যদি আমরা মাথাপিছু হিসাব করি তাহলে দেখা যায় ৮০% বা তারও বেশী তাদের দখলে? পাশাপাশি সাধারণ মানুষ চরম কষ্ট করে।গরম হলে তো কষ্টের চরম সীমায় যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়। প্রশ্ন হল সধারনের জায়গা দখল করে এবং তাদের চরম কষ্টের কি মূল্য দেয় তারা? আজ সময় এসেছে হিসাব নেয়ার। কেন তারা বা তাদের পরিবার বরগঅ সাধারন পরিবহনে আসে না? কোথায় গলদ? গলদ হল আইন প্রনয়ণের সব কিছু তাদের হাতে বলেই। তারা হল শোষকের ভূমিকায়।এ জন্য এহেন তাদের কে ঘৃনা করি। বিশ্বের সত্য কবিদের পছন্দ করি যারা মানবের পক্ষে বলিষট ভাবে সত্য বলে। বিদ্রোহী কবি নজরুল ও গায়ক ভূপেন হাজারিকাকে কে চরম ভালবাসি। শুধুমাত্র মানবের পক্ষে অকপটে সত্য বলার জন্য।
এখন উপায় কি? উপায় হল সকল কে সাধারনের স্তরে আনার চেষ্টা যেমন করতে হবে তেমনি বড় বড় গাড়ীর প্রবাহ বাড়াতে হবে। তাদেরকে বাধ্য করতে হবে বড় সাধারন গাডী করে অফিসে যাতায়ত করতে।গাড়ী থাকবে সরকারী পুলে, বাসায় নয়। জরুরী কজে পুলের গাড়ী ব্যবহৃত হবে শুধুমাত্র সরকারী প্রয়োজনে। গাড়ী ব্যবহারের কঠোর আইন করতে হবে। একজন যাতে দশজনের জায়গা দখল না করে সেদিকে সজাগ দৃষটি থাকতে হবে। পিক্ hour এ অহেতুক গাড়ী ব্যবহারে tax বা টোল এর ব্যবস্হা করতে হবে।পিক্ সময়ে প্রাইভেট গাড়ীর যাত্রী অনুযায়ী টোল নিতে হবে। সিট খালি থাকলে ট্যাক্স বরধিত হারে নিতে হবে। সহজ car loan বন্ধ করতে হবে।বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বাধ্যতামূলক স্কুল বাস চালু করতে হবে।আমলা, রাজনিতী বিদ সহ সকলকে সাধারণ পরিবহনে চড়ার নিরদিষ্ট রুলস্ করতে হবে। সাধারণ পরিবহনের মান উন্নয়ন করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে ট্যাক্স কমানো যেতে পারে।কাজকে ডিজিটালাইজেশন করার চেষ্টা করতে হবে। যাতে মানুষ ঘরে বসে অনলাইনে অনেক কাজ করতে পারে।যেখানে সেখানে গাড়ী পারকিং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্হা নিতে হবে। প্রয়োজনে আইনের মাধ্যমে সবাইকে general class এ রুপান্তর করার ইচ্ছা থাকতে হবে সব সময়। আমার দৃঢ বিশ্বাস, এহেন সত্য গবেষনার পদক্ষেপে যানজটের দুঃখ লাঘব হবে।
দয়াপূরবক,
গাজী ইলিয়াছ।
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৮
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সহজলভ্য হলে প্রাইভেট বাহন এমনিতেই কমে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৭
গরম কফি বলেছেন: আজ ২ ঘন্টা