নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা, শিশু ও প্রকৃতি নিয়ে ভাবি !

গাজী ইলিয়াছ

সমাজের প্রবাহমান সমস্যা নিয়ে চিন্তা করি।

গাজী ইলিয়াছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের ধনতনর্ত্রের ভবিষযত।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৩


আবারও বলব ধরমঅ কখনো জোড় করে হয় না এজন্য ধরমঅ যার যার তার তার তবে আমাদের উচিত হল গবেষনা করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছানো।আজ আমার বিষয় হল সুদ,ধনতান্ত্রিক বিশ্ব,সমাজতন্ত্র ও ইউনুস স্যারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার,যাকাত সিষ্টেম, এবং কেন ধনী আর গরীবের পারথকঅ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে? কেন গরীবের ভাগ্যের পরিবরতন হচ্ছে না?
উন্নত বিশ্বকে গবেষনা করলে দেখা যায়, সেখানে ব্যাংকের সুদের হার নগন্য এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অনুপস্হিত।আমরা সাধারন ভাবে বুঝি একজন যখন তার টাকা সুদে খাটায় তখন তা সুদে আসলে দিন দিন বৃদ্ধি পায়।অন্যদিকে সেই সুদ দিচ্ছে যার টাকা ছিল না, অরথাৎ যার টাকা ছিল তার শুধু বাড়তেই থাকবে যদি সে ব্যবসা না করে শুধু সুদের মাধ্যমে টাকা ধার দেয়।তার লোকসানের কোন সম্ভবানা নেই।
এই ভাবে সম্পদ সমূহ যার টাকা ছিল তার দিকে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে।সে যদি তার সম্পদ মানুষের নিকট কোন সিষ্টেমে পুনঃবন্টন না করে তাহলে ধনী গরিবের পারথকঅ দিন দিন বাড়তে থাকবে।যা ধনতন্ত্রের শীরষঅ স্হান চরম ক্ষতিকর প্রস্হান।সুদ ব্যাবসার মাধ্যমে এটি বাধাহীন ভাবে সম্পদকে কিছু লোকের নিকট কেনদ্রীভুত করে।ব্যবসা করলে লাভ লোকসান আছে বলে সেরকম হওয়ার সুযোগ নেই।ব্যবসায়ী যদি যাকাত সিষ্টেম গ্রহন করে তার টাকার আনুপাতিক charity করে তার নিকট সম্পদ সে রকম কেন্দ্রীভূত হতে পারে না।
ধরমঅ মানি মৌলিকত্ব।এটি স্হির।ইসলামে সুদ নিষিদ্ধ অন্যদিকে ব্যবসাকে হালাল করা হয়েছে এবং সম্পদশালীকে বছরে তার সম্পদের উপর যাকাত দিতে বলেছে অরথাৎ সম্পদ পুনঃবন্টনের একটি সুন্দর উপায় দিয়েছে। বরতমান বিশ্বে যেভাবে অনিয়ন্ত্রিত ধনতন্ত্র চলছে একসময় অভাবের তাডনায় এ গরীবেরা বিদ্রোহের দিকে ধাবিত হবে বলে আমি মনে করি।জমানো কষ্ট এবং দুঃখই হবে তাদের বিদ্রোহের মূল কারন।
ইউনুস স্যার গরীবদের মধ্যে জামানত বিহীন ঋন দেয়ার theory আবিস্কার করেছেন সুদের মাধ্যমে, অন্যদিকে ইসলামে সুদ হারাম।তাহলে কে জিতবে, দৃঢভাবে বলছি ইসলাম জিতবে।অন্যান্য ধরমেএ সুদের বিষয়ে কি বলেছে জানিনা।আমরা প্রত্যক্ষ ভাবে এটাও দেখতে পায় যেখানে সুদ নাই সেখানে আজকের ধনতান্ত্রিক বিশ্ব। আর যে দেশ যত গরীব সেখানে সুদের হার তত বেশী।।ইউনুস স্যার যে দেশে বসে সুদের একটি তত্ত্ব আবিস্কার করেছেন সেই আমাদের প্রিয় গরীব ভাই বোনদের ভাগ্যের কোন পরিবরতন হয়েছে কি?পরিবরতন হয়েছে ইউনুস স্যারের প্রতিষ্টানের,যে গুলো সুদের ব্যবসা করে করে গরীবকে শোষন করছে।গরীব আরো দিন দিন গরীব হচ্ছে এবং সম্পদ ও টাকা কেন্দ্রীভূত হচ্ছে বিশ্বের গুটিকয়েক প্রতিষ্টান ও ব্যক্তির নিকট।
সমাজতন্ত্রে মানুষ অলস হয়ে তার creativeness হারায়।মানুষের স্বকীয় গুনাবলী প্রস্ফুটনের কোন সুযোগ থাকে না এবং উৎপাদন ব্যাহত হয় বলে মানুষ ধনতন্ত্রকে পছন্দ করে। ধনতন্ত্র যদি এভাবে চলে তাহলে Future World কে গৃহযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, মানুষ তখন অভাবের চরম তাডনায় গুটিকয়েক ব্যাক্তি থেকে সম্পদ কেড়ে নিবে।আবার হয়ত দাস প্রথা চালু হবে।খাদ্য অভাব ও মৌলিক চাহিদার অভাবে মানুষ হাহাকার থাকবে।এজন্য দরকার লাগামহীম এ ধনতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রন করা। যা একমাত্র পবিত্র ইসলামের যাকাত বাধ্যতামূলকভাবে সম্পদশালীদের নিকট adapt করলেই এ ধনতান্ত্রিক বিশ্ব আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা পাবে নতুবা এর পরনতি হবে ভয়াবহ।যা আমার চিন্তায় ধরা পড়েছে। তাই আসুন নিরাপদ বিশ্বের জন্য যাকাত বা সম্পদের আনুপাতিক charity কে আলিঙ্গন করি।একমাত্র এর মাধ্যমে দারিদ্রতা নিরমূল কর সম্ভব, ইউনুস স্যারের theory এর মাধ্যমে অসম্ভব।বাংলাদেশ তার প্রমান।

গাজী ইলিয়াছ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.