![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বচ্ছল স্বচ্ছলকে খোঁজে স্বচ্ছল স্বচ্ছলের সাথেই উঠাবসা করে তারা তাদের নিজস্ব গন্ড়িতেই বিচরণ করে। এ শ্রেণীর চিন্তা চেতনাও সেরকম ভাবে গড়ে উঠে। আজ আমাদের প্রিয় তারকার বউ চিন্তা করছে কিভাবে সাজ সজ্জার বিদেশী ব্র্যান্ডের মেকআপ সরন্ঞ্জামের সরবরাহ এ স্বচ্ছল শ্রেণীর নারীদের নি্শচিত ভাবে যোগান দেয়া যায়। তার এ চিন্তা চেতনার জন্য তার বিচরন ক্ষেত্রই দায়ী। আমরা একটু স্বচ্ছল হলেই আনুপাতিক হারে বেশী আর এক স্বচ্ছলের সাথে relation করার চিন্তায় মগ্ন থাকি সারাক্ষন। ভুলে যায় পিছনের গোত্রকে। ভুলতে ভুলতে নীজে যেমন হারিয়ে যায় এ গন্ডীতে, তেমনি নীজের প্রজন্মকেও এ গন্ডীতে বিচরন করায়। মানুষের দুঃখ যন্ত্রনা দেখার পরিবেশে বিচরন না করার কারণে আমাদের অনূভুতিও সেরকম হয়। আজ আমাদের শিশির এর চিন্তা চেতনাও সেরকম হয়েছে। ইহাতে তার দোষ নেই, দোষ হল সমাজিক এ আবদ্ধ মনন প্রথার। Religion বলে নীচের দিকে থাকাতে, অস্বচ্ছল প্রতিবেশীর খবর রাখতে, আজ প্রশ্ন রাখি কতটুকু রাখি? স্বচ্ছলতা অরজনের সাথে সাথে উধঅমুখী আরেক স্বচ্ছলকে খুঁজি, পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের ঘরেই বেড়াতে যেতে চাই, তার সাথেই সম্পরকঅ করতে ও রাখতে চাই। যে কারনে দুঃখ কষ্ট অনূভুতি তাদের নিকট সেরকম যন্ত্রনার হয়ে দাঁড়ায় না। কারন তার চোখ ঐ পরিবেশ বিমুখ হয়ে যায়। সমাজের চলমান এই অভ্যাসের পরিবত্তন হওয়া জরুরী। আমাদের উচিত সমাজের সুবিধা বঞ্চিতদের সাথে গভীর সম্পরকঅ রাখা তাদের বাড়ীঘর visit করা নিজেদের ছেলেমেয়েদেরকেও এ ধরনের visit এ অভ্যস্হ করা। তাঁদের সুখ দুঃখের কাহিনী হৃদয়ঙ্গম করা । আজ এ সমাজের বড় সমস্যা হল স্বচ্ছলতা অরজনের সাথে সাথে আর এক স্বচ্ছলকে যেমন খুঁজি তেমনি সেই ধরনের environment এর মধ্যে পরিবার পরিজন কে নিয়ে হারিয়ে যায়। কখনো পরিবার পরিজন নিয়ে বস্তি visit করিনা, গ্রামের অসচ্ছলের পরিবারে যায় না, আরেক স্বচ্ছল বা আরো উচুঁজনের সাথে সম্পরকঅ করার জন্য প্রতিনিয়ত লিপ্ত থাকি। অপেক্ষাকৃত গরীব আত্মীয়ের বাড়ীতে যেতে চাই না সুযোগ খুঁজি অপেক্ষাকৃত ধনী আত্মীয়ের বাড়ীতে যেতে। এটা হল এ সমাজের বড় সমস্যা যে কারনে আমাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ হারিয়ে যেতে বসেছে। সম্পদ জমিয়ে তথাকথিত ধনী হওয়ার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়ে গেছি। আমার স্বক্ষমতাকে অসহায়ের জন্য বাড়িয়ে দিচ্ছি না, এটি কখনো সুস্হ সমাজের লক্ষন হতে পারে না। এর একটি মাত্র কারন হল আমারা মানবিকভাবে motivate হব যে সেই ধরনের field এ নীজে যেমন যায় না বা relation রাখিনা তেমনি ভবিষ্যত বংশধরকেও সেভাবে তৈয়ার করছি। এর জন্য আমাদেরকে এ পৃথিবীতে যেমন চরম মূল্য দিতে হচ্ছে তেমনি পরকালেও অবধারিত। আমাদের মানবিক মূল্যবোধ যদি সমুন্নত থাকত তাহলে এ সমাজ বা এ পৃথিবীর এত সমস্যা হত না। তাই আসুন অসহায়ের সাথে সম্পরকঅ করি পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের আবাসস্হল visit করি তাহলেই দেখবেন আপনার এবং ছেলেমেয়েদের মধ্যে মানবিক প্রান স্পন্দন শুরু হবে এবং সকলের চোখ ও জ্ঞান প্রখর হবে। সুষ্ট সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য অসচ্ছলকে জানুন তার অন্তর জ্বালায় প্রবেশ করুন। তাদের উদ্ধারে জাপিয়ে পড়ুন। তাহলে দেখবেন সমাজ যেমন সুন্দর রুপ পাবে তেমনি মহান আল্লাহর গজবও আমাদেরকে আর সেরকম সহ্য করতে হবে না। সমাজের এ একমুখি যোগসূত্র ভাঙ্গতে হবে নতুবা আমাদের শাস্তি যেমন অবধারিত তেমনি এ পৃথিবীও কখনো সুখের হবে না। শিশিরকে বলব তথাকথিত অভিজাত এ শ্রেণীর গন্ডী থেকে বেরিয়ে আপামর দরিদ্র জনগোষ্টীকে জানুন তাদের জীবনযাপন দেখুন নীজের অবশিষ্ট স্বক্ষমতাকে তাদের জীবন মান উন্নয়নের চেষ্টা করুন তাহলেই মহামূল্যবান আসল শান্তি ও আসল পুরস্কার অবধারিতভাবে পাবেন। মনে রাখবেন, অপব্যয়কারী শয়তান ছাড়া আর কেউ নয়। যারা মানুষের কষ্টকে আমলে না নিয়ে অপব্যয়ে লিপ্ত হয়েছে তাদের যোগানদাতা কি আপনি হতে পারেন? হউক ব্যবসা? পৃথিবীর নামী দামী অনেক তারকা মানবিক অনেক কাজে লিপ্ত তাদেরকে অনুসরন করুন, বিদেশ থেকে তথাকথিত ব্র্যান্ড মেকআপ সরন্ঞ্জামের আমদানীতে নয়। এ ব্যবসার মাধ্যমে আপনার সাথে relation হবে অপব্যয়কারীদের। তারকার উচিত দেশের আপমর জনগনের সাথে relation হয় সেরকম কাজ করার।
ঈদের এই মহা আনন্দে আসুন তাঁদেরকে জানি তাঁদের সাথে মিশি তাঁদের পানে আমার আপনার অবশিষ্ট স্বক্ষমতা এমনভাবে শেয়ার করি যেন ঈদ আনন্দে সেও আমি আপনার মত হাসিখুশীতে থাকে। সকলকে জানাই ঈদমোবারক!
খোদা হাফেজ।।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪০
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা । যোগসূত্র হল আমরা স্বচ্ছলরা নীজেদের তৈয়ার করা পরিবেশের বাইরে যায় না বলে আমাদের অনুভূতিও সেরকম হয়।আমরা শুধু আমাদেরকে নিয়েই ভাবি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: শিশিরের সাথে বাকি লেখাটুকুর যোগসূত্র পরিষ্কার হল না ।
ঈদের শুভেচ্ছা ।