![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/Gazi_Elias/12-2014/Gazi_Elias_759832342547fc8b7231ee7.87487665_tiny.jpg
এখন প্রতিদিন সরকারের একজন যুগ্মসচিব মহোদয়ের সাথী হয়ে ঊনার গাড়ী করে উত্তরা থেকে মতিঝিলে আমার অফিসে যাই।সচিবালয়ের গেইটে নেমে একটু হেটে ষ্টেড়িয়াম হয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনে আমার অফিসে যাই। প্রতিদিনের মত সকাল 9.15 টার সময় যখন ষ্টেড়িয়াম হয়ে যাচ্ছিলাম তখন দেখা মিলে আমার মেঝো ছেলে ওয়াসিরের বয়সী দুজন শিশুর একজন খালি গায়ে অন্যজনের গায়ে জামা ছিল।দুজনকে একটু আদর করে ড়াকতেই গায়ে ভিড়ল। জিজ্ঞাস করতেই বলল মা-বাবা কেউ নেই দুজনেই ষ্টেড়িয়ামে দিন রাত কাটায়।তাদের বাবা, মা কে বিয়ে করে ফেলে চলে যায় এবং মা নাকি অন্যত্র বিয়ে করে কোথায় চলে গেছে তা তারা জানেনা। বরাবরই জিজ্ঞাস করলাম সকালে কি খেয়েছে বলল কিছুই না। দুপুরে নাকি বিভিন্ন জনের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট খাবার বেছে বেছে খায়। এরই মধ্যে বায়তুল মোকাররমের সামনে দাড়িয়ে এক চা দোকানে রুটি ও কলা খাওয়ালাম অতঃপর আমার অফিসে নিয়ে গিয়ে কোথায় কিভাবে দিন কাটে সব জিজ্ঞাস করলাম। বলল পুরাতন পল্টনের ভিতরে একটি ক্লাব আছে সেখানে দুপুরে পড়াশোনা করলে খাবার দেয়। খুব ইচ্ছা হল তা দেখতে তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার পথে দুজনকে দুটি কান টুপিসমেত মোটা কাপড়ের গেন্জী কিনে দিলাম। কি যে খুশী ঐ মূহূরতে দেখলে ঠিক ঠিক বুঝতেন। রিক্সায় চড়ে গেলাম ঐ ক্লাবে আসলে ওরা বলে ক্লাব কিন্তু তা হল আইরিশ পরিচালিত একটি নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মেয়েদের বাচ্ছা রখার ডে কেয়ার। অভূতপূরবঅ এক কাজ।বিনা খরচে শ্রমজীবী মহিলাদের শিশুর ডে কেয়ার এবং দিনের বেলায় আগত পথ শিশুদের দুপুরে খাবার খাওয়ায় ও কিছুটা শিক্ষা দেয়। এখানের অনেক শিশুদের সাথে কিছুক্ষন কাটিয়ে তাদের মিষ্টি খাওয়ানোর সামন্য কিছু টাকা দিয়ে নীজ অফিসে ফেরত আসি। অনেক ভাল লেগেছিল এরকম শিশুদের আদর করুন সম্ভব হলে তাদেরকে স্হায়ী পুনরবাসন করুন দেখবেন অনেক ভাল লাগবে। আমি সুযোগ পেলেই এ রকম শিশুদের সাথে সময় কাটাই তখন খুব ভাল লাগে।দিনের শুরুটা ভালই কেটেছিল ।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪১
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: শুধু আপনাকে একটা ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য লগইন করলাম। লাল সালাম । সেই সাথে অভিনন্দন আইরিশ কে এই ডে-কেয়ার সেন্টারের সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।
প্রতিদিন মানুষের নিষ্ঠুরতার খবর পড়তে পড়তে যখন মানষীক অবস্থা বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। এমন সময় আপনার মানুষরা কিছুটা আশা জাগায়।
ধন্যবাদ।
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৫
ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনার মানুষিকতা আমার ভালো লেগেছে, আমি বড়জোর একটু এটা ওটা খাওয়ার কিছু কিনে দিয়েই খালাস। অথবা ওরা কিছু বেচতে আসলে একটু বেশী দাম দিয়ে কিনি।
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩
শিনজন বলেছেন: প্রতিদিন মানুষের নিষ্ঠুরতার খবর পড়তে পড়তে যখন মানসিক অবস্থা বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। এমন সময় আপনার ভূমিকা আশা জাগায়। ধন্যবাদ।
৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৩
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: মনটা ভরে গেলো ভাই।
অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ। অনুরোধ রইল আমার ফেসবুক ভিজিট করার জন্য।এ রকম হাজার হাজার শিশুর সাথে সময় কেটেছে এখনো কাটানোর চেষ্টা করি দেখলে থাকতে পারি না। এখনো সেরকম কিছুই করতে পারিনি শুধু মনের যন্ত্রণাকে শান্ত করার জন্য একটু আদর করি। খুব ইচ্ছে আছে নীজের সবকিছু দিয়ে একটি প্রতিষ্টান এ নিষ্ঠুর পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার। সকলের কাছে দোয়া চাই যেন কামেয়েব হই। ফেসবুক আইডি- Gazi Elias
৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২০
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার দিন শুরু। মনটা ভাল হয়ে গেল।
শুভেচ্ছা রইলো।
৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: সকলের এমন মন মানষিকতা থাকলে এইরকম অবহেলিত কোন শিশু থাকতো না ।
৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৭
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
গাজী ইলিয়াছ,
কৃতজ্ঞতা জানবেন ...
১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে। আমার স্বপ্ন হলো এ রকম অবেহেলিত শিশুদের জন্য কিছু করা, যা দেখে অনেকেই অনুপ্রানিত হবেন তখন হয়ত কোন শিশুর জীবন আর অবহেলিত থাকবে না।সে রকম দেশ সে রকম বিশ্ব চাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমাদের সবারই এমন মন মানসিকতা হলে পৃথিবীটা আরো আরো অনেক সুন্দর হয়ে যেতো.....স্যালুট ইলিয়াছ ভাই