![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/Gazi_Elias/01-2015/Gazi_Elias_97741668054abe92ca53bd0.34580029_tiny.jpg
New year এর শুভেচ্ছা সকলের প্রতি। গত সপ্তাহে আমার পরিবার রেখে এসেছিলাম আমাদের গ্রামের বাড়ী পটিয়া চট্রগ্রামে আজ আবার যাচ্ছি সেই পরিবারের সকলকে নিয়ে আসার জন্য। গত ২ দিন বাসায় একাই ছিলাম খেয়েছি বাহিরে গত রাতে সাইকেল চালিয়ে বনানী শ্বশুর বাড়ীতে গিয়ে রাতের খাবার খেয়েছিলাম রাত ১১টায় নিজ বাসা উত্তরা ফিরছিলাম তখন New year এর কৌতহুল আমার সাইকেল কে নিয়ে গেল 5 star খ্যাত Hotel Radison এ । যেখানে তারার কিছু আছে বলে মনে করি না তারার চরম অবমাননাই করা হয় যে কারনে এসব হোটেলকে আমি zero star হোটেল বলি। দেখলাম ঢুকতেই উন্মদনার সুরসুরি যেভাবে আমাদের তথাকথিত তরুণীদের dress code বলতে গেলে ancient যুগ. যে যুগে মানুষ অনেক টা উলঙ্গ থাকত আমদের এ সভ্যতা আজ অনেকটা সেই যুগকে আলিঙ্গন করছে বলে আমি মনে করি যে যুগে মানুষ কাপড় পরিধান করত না। নিরব অভজারভার হিসাবে সব কিছু দেখছিলাম। অনেকেই হয়ত জানেন। এসব দেখেছি বাহিরে ভিতরে dance বারে কি হয়েছে তা আল্লাহ ভাল জানেন। এ সকল তরুণীর সাথে জোড়ায় জোড়ায় তরুনরাও ছিল।রাত ১২.৩০ মি পরযন্ত ছিলাম তারপর বাসায় এসে একাকী ঘুম।
আজ সারাদিন অফিস শেষে ট্রেনে করে বাসায় ফিরার পথে বিমান বন্দর ষ্টেশনে পেয়ে গেলাম শিশু জসীম কে। ড়াক দিয়ে আদর করলেই খুব নিবিড়ভাবে তারা মিশে। আমিও একাকী বাসায় আছি। এ অবস্হায় শিশু জসীম কে নিয়ে গেলাম আমার বাসায় । যাওয়ার সময় জামা কাপড় কিনে নিলাম।তার পরিধানরত কাপড় দেখলেই বুঝা যায় ১ মাসেও গোসল করেছে কিনা সন্দেহ। বাসার নীচের কলের পানিতে হাত পা ধুয়ে কালো মাঝন দিয়ে দাঁত মাজতে দিলাম অতঃপর বাসায় নিয়ে গিয়ে গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে নতুন জামা পরিয়ে আমার সাথে বসে যখন গল্প করছিল দারুন এক মনোতৃপ্তি তার মধ্যে লক্ষ্য করেছি।কিছুক্ষন পর সাইকেলে করে মাঠে গেলাম ব্যায়াম করতে সে দোলনায় আপন মনে দুলছিল আমি ৪০ মিনিট ব্যায়াম করেছি তারপর হোটেলে গিয়ে দুজনে গরুর মাংস দিয়ে বেশ মজাভাবে ভাত খেয়েছি। submitted ছবি দেখলেই তার প্রাথমিক ও আমাকে বিদায় দেয়ার অবস্হা বুঝতে পারবেন।
এ রকম অনেক শিশুর সাথে আমি মিশেছি তাদের গল্প শুনে আমার চোখের পানিই আসে। মা যে কি তা এ সকল অবুঝ শিশুর গল্প শুনলেই বুঝতে পারবেন। যতদিন মায়ের বুকে থাকে ততদিন তারা নিরাপদ থাকে কোন কারনে মা এর বিচ্ছেদ তাদেরকে নিয়ে আসে খোলা আকাশের নীচে। এ শিশুর মা কমলাপুর রেল ষ্টেশনে ট্রেনে উঠতে গিয়ে তার সামনে কাটা পড়ে মারা যায় ২ বছর আগে বাবা আবার বিয়ে করেছে সৎ মা মারে বলে সে ঘর ছেড়েছে ১ বছর আগে কেউ খোজ নেয় না, ষ্টেশনে বোতল কুড়িয়ে বোঝা টেনে খায় আর ফুটপাতে ঘুমায় মাঝে মাঝে রাতে বৃষ্টি ও বেশী শীত পড়লে শিশু পল্লীর টঙ্গী নাইট শেল্টার হাউজে এরকম অনেক শিশুর সাথে ঘুমায়।এ নাইট শেল্টার ও শিশু পল্লী করেছে এক বৃটিশ ভদ্র মহিলা । বাংলাদেশের শিশুদের এ অবস্হা দেখে সে বৃটিশ এয়ার ওয়েজ এর চাকুরী ছেড়ে দিয়ে তিনি এ কাজ করেছে দেখার মত। শিশু পল্লীতে ৫০০ শিশুসহ মা ( বিধবা/স্বামী পরিত্যাক্ত) লালন পালন করে বৃটিশ এ ভদ্র মহিলা। এ সকল বেশীর ভাগ শিশুই আমি দেখেছি কোন কারনে মা এর বিচ্ছিন্নতায় তারা এ রকম জীবনে চলে আসতে বাধ্য হয়। আবার কিছু শিশুকে দেখেছি রাত হলে মা এর কাছে চলে যায় সারাদিনের আয় মা কে দিয়ে দেয়। তাদের কথায় মা এর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা সহজেই বুঝা যায় ।এ সকল অবুঝ শিশুর মন ও আবেগকে গবেষণায় এটি প্রমাণিতভাবেই বুঝেছি "মা" ই হল এ পৃথিবীর সেরাধন একমাত্র মা ই unconditional ভালবাসে তার শিশু ও ছেলেমেয়েকে। " মা" এর বিচ্ছিন্নতা এ সকল শিশুকে করেছে পথহারা।অতঃপর এ শিশুকে নিয়ে রাত ১০।৩০মি এর সময় গেলাম বিমান বন্দর ষ্টেশনে আমার গন্তব্য চট্রগ্রাম তাকে সে দিন ট্রেনে করে টঙ্গী ষ্টেশনে নামিয়ে দিয়েছিলাম ষ্টেশনের কাছেই শিশু পল্লীর টঙ্গী নাইট শেল্টার হাউজ । ( চট্রগ্রাম মেইল ট্রেনের স্লিপিং রুম থেকে)।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
শামস 8929 বলেছেন: লেখাটা ভালই লাগলো। ভাইজানকে আমি চিনতে পেরেছি। আমি মন্নানের ছোট ভাই। ব্লগে আছেন দেখে ভুব খুশি হলাম। লেখাটার জন্য ধন্যবাদ পুনরায়..
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব ভালো লাগল। আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না, একদিন আপনার মত কিছু কাজ করতে পারলে খুশি হব!
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব ভালো লাগল। আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করব না, একদিন আপনার মত কিছু কাজ করতে পারলে খুশি হব!
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১১
বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: আমাদের সমাজে যদি বিত্তশালীগন আপনার মতো তাদের সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিতো ওই পথশিশুদের প্রতি তাহলে পথহারা শিশুদের ভবিষ্যত উজ্জাল হতো। আরেকটি বিষয় আমাকে খুব ভাবিয়ে তুলেছে এবং নিজেকে বাঙ্গালী বলে দাবী করতেও লজ্জাবোধ হচ্ছে। সেটা হলো এই দেশের সন্তান হয়ে আমরা কিছু করতে পারলাম না পথহারা শিশু এবং বাস্তহারাদের জন্য অথচ ভিনদেশীলোক তাদের অর্থকড়ি ব্যয় করে পথহারা মানুষের পাশে এসে দাড়ালো। আমরা কি করতে পারলাম। মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলায় জয়মন্টপে এরকম একটি পুনবাসন কেন্দ্র স্থাপন করেছেন আরেকজন বিদেশী ভদ্রলোক। তিনি প্রায় ২৫ বছর ধরে এদেশে বসবাস করছেন। তার দেশের বিষয়-সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়ে তিনি এদেশের মাদাকাষক্ত লোকদের পুরবাসন করার জন্য স্থাপন করেছেন " আপন গাও" নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪
ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: আপনার লেখা পরে চোখে ভিজে গেলো.... আললাহ আপনাকে বেশুমার দৌলত দান করুন..আমিন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৫
ইয়ার শরীফ বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দেক।
ভালো থাকবেন। অনেক শুভকামনা রইল।