![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহান আল্লাহ্র কাছে হাজার শুকরিয়া জানাই বসন্ত বা ফালগুনের প্রথম সকাল এ সকল শিশুর সাথে কাটানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। যখন এ সকল শিশুর প্রাণ খোলা হাসি আমি Naturally ধরতে পারি তখন আমার জীবনের সেরা সুখ আমি পাই। সুখেই কি মানুষের চোখে পানি আসে আমি জানিনা তবে আমার চোখে চল্ ছল্ পানি আসে মন নীরবে দারুন সুখ পাই। তখন ইচ্ছে হয় এ সকল শিশুর মন খোলা হাসির জন্য শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু টাও দিয়ে দিই। পণ করেছি দিয়ে দিব। জানিনা মহান কতটুকু মন্জুর করেছে। এ সকল শিশুকে যখন অনেক কষ্টে আমাদের চারপাশে ভাসমান অবস্হায় দেখি তখন থমকে দাড়াঁয় আর চিন্তা করি আমরা কিভাবে এত হিংস্র হয়ে ভদ্রনামধারী হয়ে বাস করছি? ভদ্র ও শিক্ষিতের আসল সঃজ্ঞা আমি খুঁজে পাই না। খুঁজে পাই না কোন ধর্ম! ধর্ম কখনো এরকম হতে পারে না? ধরমীয় সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে সমাজে এ চিত্র থকতে পারে না।
কি চিত্র? উত্তরা ৪ নং সেক্টরে থাকি ১০ বছর ধরে থাকা এবং সকালে হাটার সুবাধে মুটাুমুটি এলাকার সবার সাথে ভাল সখ্যতা আছে। এ সখ্যতা থেকে গত ৮ বছর ধরে আমরা ৬০ জনে গড়ে তুলেছি একটি সকালের হাটিহাটি ক্লাব।বিজিএমই এর present president জনাব,আতিকুল ইসলাম আমাদের এই ক্লাবেরও সভাপতি। আজ তিনিও ছিলেন। সকালে হেটে হেটে সকলের পরিচয় । প্রতি শুক্রবারে সকালে হেটে আমরা সকলে মিলে সেকটেরর মাঠে নাস্তা খায়। নাস্তা বললে ভুল হবে যে কোন ধনী লোকের বিয়ের ভোজের চেয়েও বেশী আয়োজন কারণ ১ বছর ৩ মাস পর একজনের খাওয়ানোর পালা আসে। রোজার মাস ও ঈদ ছাড়া বছরের কোন Friday miss নেই। আজ ছিল আমার পালা। আমার আয়োজন একটু কম থাকে। শুধু মুরগী পোলাও.ড়িম,দই ও মিষ্টি- চা এর আয়োজন করেছিলাম। খোলা মাঠেই খায় বলে পার্কের বাইরে এরকম কিছু শিশু আসে তাদের পোশাক পরিচ্ছেদ দেখলেই ধনীপাড়ার পার্কের Guard রা বড় লাঠি দিয়ে ধাওয়া করে মাঠে ঢুকতে দেয় না । চেহারা ও পোশাক পরিচ্ছেদ দেখলে বুঝতে পারে কারা তথাকথিত সাহেবদের ছেলে মেয়ে। মাঝে মাঝে এ সকল শিশুকে এ platform এ আনি বলে আমার বন্ধুরা নাখোশ হয়। আর আমার চরম ঘৃনা হয়। আমারতঃ আনতে হয় না তারা এসে তাকিয়ে থাকে আর মাঝে মাঝে gaurd লাঠি নিয়ে ধাওয়া করে। গেইটে কড়া পাহারা দেয় যাতে ঢুকতে না পারে। এটি মনেহয় আমাদের পুরোসমাজেরই চিত্র। এক গোষ্টী পেট পুরিয়ে অনেক অনেক খাচ্ছি সমাজের আর এক বেশীরভাগ সংখ্যক লোকেরা তাদের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট নিয়ে করছে কাড়া কাড়ি।
আজ এই উচ্ছিষ্ট নিয়ে এ সকল শিশুর কাড়াকাড়ির চিত্রই আমার চোখে পানি এনেছিল। সবাই চলে যাওয়ার পর gaurd কে বলে এ সকল শিশু কে যখন ঢুকালাম আমাদের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট খাওয়ার জন্য যা করছিল তা শুধু বসে বাস্তবিকই দেখছিলাম। কাউকেই আমি বাধা দিই নি।ঢেকসি পাতিল, ধই এর হাঁডি ও মিষ্টির প্যাকেটে জিহ্বা ও মাথা ঢুকিয়ে যা করছিল তা দেখেছি আর কি বলব আসামীই হয়েছি। পরে একটু আদর দিতেই সবাই আমাকে অনেক কিছুই বলতে থাকল। আমি বললাম আমার বাসায় চল তোমাদের মন ভরে খাওয়াব। রাজী হল বাধ সাধল আমার গাড়ী তারা গাড়ীতে চড়ার জন্য কি যে খুশী আমি তা আর বুঝাতে পারব না। কিন্তু আশেপাশের কিছু মহিলা ভিক্ষুকের কথা কানে আসতে তারা ভয় পেয়ে যাই আবার গাড়ী থেকে নেমে যাই এ নিয়ে ১০ মিনিট গাড়ীতে উঠে আবার নামে। পরে নেমেই গেল। অতঃপর আমি বললাম ১৯নং রোড়ে আমার বাসায় হেটেও আসতে পারে। আমি অবাক হয়েছি তারা আমার গাড়ীর পিছনে দৌড়ে দৌড়ে আমার বাসায় ই চলে এসেছে। বাসার gaurd আমাকে intercom এ বলার পর নীচে গিয়ে দেখি ছবির পাঁচ শিশু গেইটে দাড়িয়ে স্যার স্যার করে ড়াকছে। পরে সকলকে বাসায় এনে খাওয়ালাম অতঃপর তাদের গল্প শুনলাম । বুঝলাম আমার বিষয়ে তাদের দারুন আত্মবিশ্বাস জন্মেছে। পুরানো ছেড়াঁ জামা কাপড়ের কথা বলাতে ক্রেড়িট কার্ড়টি নিয়ে তাদের নিয়ে গেলাম উত্তরা ARTISAN এ। তবে গাড়ীতে নয় তারা রিক্সায় আমি প্রিয় সাইকেলে করে গেলাম। গাড়ীতে চড়ার জন্বয খুব বলছিল আমি বললাম আজ না আজ তোমরা ভয় পেয়েছ। আগামী শুক্রবারে । ওদের কে নিয়ে ঢুকতে ARTISAN এর GUARD আমার সাথে ইংলিশে কথা বলছিল পরে সে বলল স্যার মাঝে মাঝে বিদেশীরা এ ধরণের শিশুদের নিয়ে আসেতো তাই আমি মনেকরেছি আপনিও বিদেশী। শিশুগুলোর খুশী দেখে আমি বেহুশ ২৫০০০ টাকা দামের নতুন সাইকেলে তালা না দিয়ে ARTISAN এ ঢুকে পড়েছিলাম। ভাগ্য ভাল সে যথাযথ ছিল অন্য কেউ তাকে ভালবসেনি। Artisan এর ভিতরের ঘটনা আমি আর বলতে পারব না! কি যে খুশী কি চঞ্চল কি হাসি দিচ্ছিল তাতে আমি অবিভূত! অবিভূত! ভাষা নেই। তাদের পছন্দ মত জামা কিনতে কিনতে আমি শুধু তাদের মনখোলা খুশীই অনুভব করছিলাম। ৪৬৮০ টাকার জামা কিনে দিতে গিয়ে এ সকল শিশুর যে প্রান খোলা খুশী ও হাসি অনুভব করেছি তা টাকা দিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে বলে আমি কোনভাবেই মনে করি না। তখন মন চাই সবই দিয়ে দিই।
কেনাকেটা করে সাইকেল রিক্সা করে বাসায় এসে মিষ্টি খাওয়ায়ে তাদের বিদায় দিয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করে Lunch করে লিখে ফেললাম আমার ফাল্গুনের প্রথম বেলা কিভাবে কাটল। দোয়া করবেন যেন এদের জন্য কিছু করে যেতে পারি জীবনের অনেক সময় যেন এ সকল শিশুর জন্য হয়।
(দয়াপূরবক সব ছবি গুলো দেখার অনুরোধ রইল তাহলে বাস্তবতা ধরতে পারবেন বলে মনে করি)
২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
"খুঁজে পাই না কোন ধর্ম! ধর্ম কখনো এরকম হতে পারে না? ধরমীয় সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে সমাজে এ চিত্র থকতে পারে না। "
-ধর্মে এগুলোর সমাধান নেই, সমাধান অর্থনীতিতে।
৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: চাঁদগাজী> সকল ধর্মে এ সমস্যার সমাধান আছে বলে মনে করি। ধর্মকে সেভাবে হৃদয়ঙ্গম করিনা বলে সমাজের এই অবস্হা। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে এ বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৬
সুমন কর বলেছেন: ভাল কাজ করেছেন। এর জন্য ধন্যবাদ অাপনার প্রাপ্য।
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৬
জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: ভাল কাজের জন্য সাধুবাদ। কিছু ছবি দেখতে পারলাম না।
৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৪
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: ছবিগুলো ডাউনলোড় দিয়েছি কিন্তু কেন আস্ছে না বুঝলাম না।
৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০০
তোমোদাচি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো কাজ করেছেন