নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা, শিশু ও প্রকৃতি নিয়ে ভাবি !

গাজী ইলিয়াছ

সমাজের প্রবাহমান সমস্যা নিয়ে চিন্তা করি।

গাজী ইলিয়াছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অশান্ত মুসলিম বিশ্বের জন্য জাতিসংঘের শক্তিধর পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকাই পুরাপুরি দায়ী।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৮

আজকের বিশ্বের মুসলিম অধ্যুসিত বেশীর ভাগ দেশ ও অঞ্চল নিজেদের মধে্য যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত চরম অশান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে।এই অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির পিছনে উন্নত পশ্চিমা বিশ্বের অপ রাজনিতী,অস্ত্র ব্যবসার বাজার সৃষ্টি ও মুসলিমরা যাতে নীজেদের মধে্য আন্তঃ কলহ করে নীজেরা গৃহ যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে নীজেরা শেষ হয়ে যায় তাদের সেই ইচ্ছাই দায়ী। আফগানিস্তান,পাকিস্তান লেবানন,ফিলিস্তীন,ইরাক,ইরান,লিবিয়া,সিরিয়া ,জম্মু কাশ্মীর,ইয়েমেন,নাইজেরিয়া ও সুমালিয়া আর এ সকল মুসলিম দেশ সমুহের অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং বর্তমান চলমান অশান্ত অবস্হা গবেষণা করলে যেটি আমার নজরে সুস্পষ্টভাবে ধরা পড়ে তা হল সুপার পাওয়ারের অধিকারী এ সকল পশ্চিমা দেশ কখনো চায় না রাজনৈতিক ভাবে স্হির থেকে মুসলিম অধ্যুসিত দেশ গুলো অর্থনৈতিক ভাবে মজবুত হউক। এ সকল বিশ্ব নেতারা মুসলমানদের উন্নততর অবস্হাকে চরম ভয় পায় বলে মনে করি।আজ তাদের রাজনিতী মুসলিমদের জঙ্গী বানিয়ে ছেড়েছে তাদের ভূমিকায় মুসলিমরা নীজেদের মধে্য গৃহযুদ্ধেই লিপ্ত হয়ে গেছে আর পক্ষান্তরে তারা অস্ত্র ব্যবসা করছে তেল ও অর্থ সম্পদ দখল করছে।
লক্ষ লক্ষ মুসলিম হত্যার পর তারা বসনিয়ায় শান্তির কথা বলেছিল,অনেক অনেক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পর তারা সাদ্দাম ও গাদাফিকে হত্যা করেছিল। আজ আমরা অবলোকন করছি কি শান্তি তারা এনে দিয়েছে এ দেশ সমুহে ? গৃহ যুদ্ধই এখন এ দেশ সমুহে চলছে। দখলে নিয়েছে তেল ও সম্পদ আর বিক্রী করছে তাদের উৎপাদিত মরণাস্ত্র। আজ প্রশ্ন হল সাদ্দাম ও গাদাফী কত মেরেছিল আর তারা কত মারার পর আর কি শান্তি তারা এনে দিয়েছে। তারা এ সকল দেশের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গৃহ যুদ্ধই লাগিয়ে দিয়ে এখন অনেকটা মুসলিম হত্যাই উপভোগ করছে। তাই নয় কি?
গতকাল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ এর বিবিসির সাংবাদিক এর নিকট প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে বিষয়টি আরো পরিস্কার হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন ইউএসএ নাকি ইরাকের মাধ্যমে তার সাথে এখন যোগাযোগ করছে। সাদ্দাম, গাদাফি, বাসার ও লাদেন এ সকল নেতারা বিশ্ব বিবেকের নিকট আসামী হলে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট ব্যবহার করে তাদের অবস্হান নিশ্চিত হয়ে তাদেরকে হত্যা করা পশ্চিমা শক্তিধর দেশ সমুহের নিকট খুব সহজই ছিল। কিন্তু বাস্তবে তারা তা না করে লক্ষ লক্ষ মুসলিম জনগন হত্যার পর এবং কোটি কোটি মুসলিম জনগোষ্টীকে যুদ্ধের ধ্বংস স্তুপে পরিনত হওয়ার পর তারা সাদ্দাম,গাদাফি ও লাদেনকে ধরে ও হত্যা করে। এ সকল দেশ সমুহে এখন চলছে নীজেদের মধে্য গৃহযুদ্ধ। আগেকার অনেক শান্ত মুসলিম দেশই আজ চরম অশান্ত। বাসার আল আসাদ এর বেলায়ও এ নাটকই চলছে। একসময় আই এস আই কে মিত্র করে আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্র দিয়েছিল এখন বলছে আই এস আই জঙ্গী গোষ্টী বাসারই ভাল তাই তার সাথে গোপনে যোগাযোগ চলছে এ হল মুসলিম নিধনের এক রাজনীতিই আমরা উপভোগ করছি।
ইরানকে তারা দীর্ঘকাল যাবত পারমাণবিক অস্ত্র তৈয়ারের কথা বলে অর্থনৈতিক অবরোধে রেখেছে। পথ খুজছে কিভাবে সেখানে হামলা করা যায় অথবা আভ্যন্তরীন পক্ষ সৃষ্টি করে গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দেয়া যায়। তাদের বিরোধী পক্ষ রাশিয়ান আগ্রাসান থেকে আফগানিস্তানকে রক্ষা করতে তারা তালেবান সৃষ্টি করেছিল তখন তালেবান নামধারী শিশুর হাতেও অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। পরবর্তীতে সেই সৃষ্ট তালেবানকে জঙ্গী সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিয়ে তাদেরকে নিশ্চিন্ন করতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ মুসলিমকেই নিশ্চিন্ন করছে। চরম দীর্ঘকালীন অশান্তই রেখেছে মুসলিম এ দেশ ও জনপদ সমুহকে। অনেক নিরীহ হত্যার পরই তাদের আসামী লাদেন হত্যা করা হল। কিন্তু কেন একজন দাগীকে ধরতে গিয়ে লক্ষ লক্ষ শিশু নারীসহ কোটি কোটি মুসলিমকে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপে পরিণত করল? প্রশ্ন হল তাদের স্যাটেলাইট ও গোয়ান্দা ব্যবস্হা কি এতই দূর্বল? আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি অবশ্যই না। তাদের সদূরপ্রসারী target হল মুসলিম জাতিকে ছিন্ন বিছ্ছিন্ন করা। একমাত্র তাদের এ ভূমিকার জন্যই suicide bomber সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করি। কারণ চিন্তা করতে হবে কি পরিমাণ আঘাত প্রাপ্ত হলে কোন মানুষ নীজের জীবনকে আত্নাহুতি দিয়ে শত্রুকে প্রতিরোধ বা বিপন্ন করার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে অনেক আগে বিবিসির Hard talk অনুষ্টান দেখে suicide bomber সৃষ্টির কারণ উপলদ্ধি করতে পেরেছিলাম। সেই অনুষ্টানে তাদের সাক্ষাৎকারসহ ব্যাপক বিশ্লেষণাত্মক তথ্য উপাত্ত উপাস্হাপন করেছিল। জাতি সত্তা স্বাধীনতা সব কিছু যখন বিপন্ন হয় তখন কিছু লোক বা গোষ্টী এ পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়।
আমাদের দেশ বাংলাদেশে বর্তমানে যে অবস্হা চলছে এক্ষেত্রে কখন পশ্চিমা শক্তিধর রাষট্রগুলো কার পক্ষ নেয় তার উপরই হয়ত নির্ভর করছে সিরিয়ার মত আমাদেরও অবস্হা হয় কিনা?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫২

ডা: মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: السلام عليك


শেষ যুগের বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কে এই বইতে আলোকপাত করা হয়েছে। গবেষণাধর্মী বই। পবিত্র কুরআন হাদীসের আলোকে। যদিও পবিত্র কুরআন হাদীসের আলোকে তবুও মসজিদের খুৎবায় বা বয়ানে এ বিষয়ে এখনও আলোচনা হয় না। পড়ে দেখতে পারেন। আমার কাছে ভাল লেগেছে।

"পবিত্র কুরআনে জেরুজালেম"

http://document.li/LLZA

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




মুসলমানেরা পড়ালেখা জানে না; যা পড়ে তাও অপ্রয়োজনিয় পুরানো বিষয়।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৩

কলাবাগান১ বলেছেন: উপরের হুজুর বলে যে
"ওসব ইহুদী খ্রীস্টানরা হচ্ছে দুনিয়ার বুকে শ্রমিক বা কর্মী জাত। ওরা বিভিন্ন জিনিসপত্র বানাবে আর আমরা মুসলমানরা আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করব। ওদের জিনিসপত্র দ্বীন প্রচারে কাজে লাগাব। যেমনঃ ইণ্টারনেট, ল্যাপটপ। এর বিনিময়ে আমাদের রব তাদের দুনিয়ার বুকে উচ্চ পারিশ্রমিক দিয়ে দিবেন। কিন্তু আখিরাতে তাদের কোন স্থান নাই। তাই তাদেরকে আমরা শ্রমিকের চেয়ে বেশী কিছু মনে করি না। এজন্যই বলা হয় ইহুদী খ্রীস্টানরাও দ্বীনের কাজে লাগে।"

কতটুকু বেকুব আর অশিক্ষিত হলে বলে যে যারা আবিস্কার করে তারা শ্রমিক আর যারা ব্যবহার করে তারা মালিক

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: চাঁদ গাজী লিখেছেন- মুসলমানেরা পড়ালেখা জানে না; যা পড়ে তাও অপ্রয়োজনিয় পুরানো বিষয়।- এই মন্তব্যটি পুরাপুরি অযৌক্তিক বলে মনে করি।
ডাঃ জহিরুল ভাই "পবিত্র কুরআনে জেরুজালেম"বইটি পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন সুযোগ হলে পড়ে দেখব।

কলাবাগান-১ কে বলছি-গবেষক ও আবিস্কারক যে ধর্মের অনুসারীই হউক না কেন তাঁরা এ পৃথিবীর সেরা মানুষ বলে মনে করি । সকল ধর্মের অনুসারীরা তাঁদের আবিস্কৃত দ্রব্য ভোগ করছে। এজন্য প্রতিনিয়ত তাঁরা মানুষের দোয়া পাচ্ছে।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

কলাবাগান১ বলেছেন: @গাজী ইলিয়াছ,

এই কথা যিনি বলেছেন, তিনি হলেন 'ডা:' জহিরুল ইসলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.