![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১। অসুস্হ পথশিশু করুন দশা মনের যন্ত্রণা বুঝানোর ভাষা নেই!
আজ সকাল বেলা অফিসের গাড়ী ৪৫মি. আগে পৌছে যায়, সে সময়টুকু কাটিয়েছি ১০ জন সুবিধা বঞ্চিত পথ শিশুর সাথে। ময়মনসিংহের ছবির শিশুটির অবস্হা দেখে ও শুনে মনের কষ্ট ধরে রাখা খুবই কঠিন হয়েছিল। ওরা না শুনে মত মনে মনে উ উ করেছি। শিশুটির নাকি অনেক দিন ধরে জ্বর কোন কিছুই খেতে পারে না রাত্রে নাকি কাঁদে। সকালে ঐ সময় রুটি আর কলা কিনে খেতে দিলাম কিন্তু সে খেতে পারছিল না। শরীর দেখলেই বুঝা যায় সে কতদিন যে না খেয়ে আছে ? অনেক কষ্টে অফিসে গেলাম জরুরী মিটিং ছিল মনে মনে plan করেছি তাকে চিকিৎসা দিব। আলহামদুলিল্লাহ ! মিটিং সেরে যোহর নামাজ পড়ে আবারও গেলাম শিশুটির কাছে। সে সহ আরও নয় জন শিশু কে দুপুরের খাবার খাওয়ালাম। কিন্তু এ শিশুটি কিছুতেই খেতে পারছিলনা ! পরবর্তীতে শুনলাম আরও দুজন শিশুকে ডাস্টবিন থেকে ভাঙ্গারী খোঁজার সময় কুকুরে কামড়িয়েছে। লোক ঠিক করে জ্বরের শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্হা করলাম এবং কুকুরে কামড়ানো শিশুদুটিকে মহখালীস্হ সংশ্লিষট চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আগামীকাল রিপোর্ট পাব আশাকরি।
২। শিশুর এ চিত্র আমাকে খুব কাঁদায়। আমরা লক্ষ লক্ষ সভ্য দাবীদারদের চোখের সামনেই এ শিশু দীর্ঘদিন জ্বর আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় ফুটপাতের পলিথিনের ঝোপে শুয়ে আছে। অনেক দিন না খেতে খেতে কন্কাল হয়ে গেছে। গতকাল আমার চোখে পড়েছে আজ ড়াক্তার দেখিয়ে ঔষুধ কিনে দিয়েছি। কিন্তু কে সেবা দিবে ? কে খাওয়াবে? মা ও নেই বাবাও নেই। আছে এক আল্লাহ ! আজ দুবার দেখেছি। দেখলেই ভীষন কষ্ট হয়। লক্ষ লক্ষ কোটিপতিদের অফিস পাড়ায় জাতীয় মসজিদের ফুটপাতে এ কেমন চিত্র? সরকার সহ সকল সক্ষমরা এ দায় এড়াতে পারবেন কি? ধর্ম কি বলে কি শিখায় কাকে বলে দয়াপূর্ক একবার বলবেন কি?
৩। শিশুটিকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দিলাম। এখন কিছুটা ভাল। সকাল বেলা অফিসের গাড়ী থেকে নেমে দেখি ভ্যান গাড়ীর মধ্যে শুয়ে আছে । জ্বর আর না খাওয়ায় অবস্হা খুবই খারাপ ছিল। সকালে চিকিৎসার ঔষুধ খাওয়ার পর বিকালে অফিস ছুটির পর একটু ভাল দেখেছি। এই ঝড় বৃষ্টিতে এখন কি অবস্হায় আছে জানিনা । তাদের ওখানকার এক লোককে কিছু টাকা দিয়ে তাকে সেবা করার দায়িত্ব দিয়েছি এবং একটি রেষ্টুরেন্টে ৫ দিনের খাবারের ব্যবস্হা করে দিয়েছি। নাম তার হুমায়ুন মা মারা যাওয়ার পর ঘর ছাড়া। তার দুই ছোট বোনকে দত্তক দিয়েছে তার আর এক বড় ভাই কোথায় চাকুরী করে সে জানেনা। তার বাপ পুনরায় বিয়ে করার পর নাকি সৎ মা খাওয়া দেয় না মার দেয় সে জন্য সে ট্রনে করে ঢাকায় এসেছে গত এক বছর আগে। কমলাপুর, ষ্টেড়িয়াম ও বায়তুল মোকাররম এলাকার ফুটপাতে তার দিন রাত কাটে।
৪। কদরের রাতে ১১টা পর্যন্ত নামাজ দোয়া পড়ে কবর জিয়ারত করে গেলাম বিমান বন্দর রেল ষ্টেশনে। উদ্দেশ্য ছিল ছবির এ সকল শিশুদের দেখা তাদের সাথে কিছু সময় কাটানো। কারণ প্রায়ই যায় বলে তাদের অবস্হা কল্পনায় আমার মন আমাকে তাদের কাছে টেনে নিয়ে যায় এবং আমার অনেক ভাল লাগে। রাত বেশী হওয়ায় অনেক শিশু টংগীর নাইট শেল্টার সেন্টারে চলে গিয়েছে । ইংরেজ ভদ্র মহিলার সৃষ্ট নাইট শেল্টার সেন্টার, যিনি শ্রীপুরে শিশু পল্লীও তৈয়ার করেছে যেখানে হাজার অসহায় শিশু ও শিশুর মা নিরাপদভাবে থাকে। অনেক দোয়া রইল তাঁর এহেন মানবিক গুনের আরও প্রবৃদ্ধির জন্য্।
অবুঝ শিশুদের যে ছবি আমার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তা আপনাদের সকলের জন্য দিলাম।
পৃথিবীর আরও অনেক দেশে হয়তঃ এ ছবি আছে কিন্তু সত্য ধর্ম পরিপালনকারী মানুষের কোন দেশে এ ধরনের একটি ছবিও থাকা উচিত বলে মনে করি না। আপনার আমার আচরণের জন্য মানবতা পরম ধর্ম আজ অনেক প্রশ্ন বিদ্ধ ! আমি মনেকরি সকল ধর্মের মূলভাব হল মানবতা। এ সকল চিত্র আমাদের চোখের সামনে অজস্র থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছু নিয়ে স্বতপ্রনোদিত হয়ে সরকারের প্রতি রুল জারী করা হলেও এহেন করুন মানবিক বিষয় নিয়ে কোন রুল জারী হতে কখনো দেখিনি।
৫।আমার ঈদ আনন্দ ...........
৫।ঈদ ভাবনা !
ঈদ মোবারক ! গত রাতেও দেখেছি অনেক শিশু খোলামেলা আকাশের নীচে বৃষ্টিভিজা ফুটপাতে শুয়েছিল। ঈদের নামাজ পড়ে বাসায় সবাই বসে আছি এখনো কেউ কলিংবেল টিপেনি। কিছু অনাথ শিশু মতিঝিল থেকে ফোন দিল তারা আমার বাসায় আসতে চায় তাদের অপেক্ষায় বসে আছি। বাবাকে হারিয়েছি ৩১ বছর 'মা 'কে হারিয়েছি ৫ বছর অনেক প্রিয় বড় ভাইকে হারিয়েছি ১০ বছর এর পর থেকে ঈদে আর গ্রামে যাওয়া হয় না। এছাড়াও যানজট আর টিকেট সমস্যাতো আছেই। এক বন্ধু ফোন করে বলল ১৭ ঘন্টা নাকি লেগেছে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল যেতে ! এই হল অবস্হা । গ্রামের ঈদ অনেক কোলাহলময়! একে একে অনেকের সাথে কোলাকুলি হয় অনেকের সাথে সাক্ষাৎ হয় কিন্তু শহুরে ঈদে পাশের ফ্লাটের প্রতিবেশীর সাথেও দেখা হয় না। আমার শহুরে ঈদে ২/৩ আত্মীয়ের বাসায় যাওয়াা হয় অবশিষ্ট সময় কাটে এ সকল শিশুদের সাথে !
এ সকল শিশুদের নিয়ে ভাবি তাদের জন্য কিছু করে যেতে পারলে সেটাই হবে আমার জীবনের সেরা সাফল্য এবং সেরা প্রাপ্তি ! তাদের মনের খুশী ও হাসি আমাকে দারুনভাবে প্রলুদ্ধ করে ! অভিভূত হই ! যার মধ্যে আমি ১০০ % বিশুদ্ধতা খুঁজে পাই ! নকল হিংস্র এ পরিবেশ থেকে অনেক বিশুদ্ধতায় হারিয়ে যাওয়াই একান্ত মনের ইচ্ছা !
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
মুরশীদ বলেছেন: সহমত আপনার লেখার সাথে
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাদের জন্য কিছু করে যেতে পারলে সেটাই হবে আমার জীবনের সেরা সাফল্য এবং সেরা প্রাপ্তি ! তাদের মনের খুশী ও হাসি আমাকে দারুনভাবে প্রলুদ্ধ করে ! অভিভূত হই ! যার মধ্যে আমি ১০০ % বিশুদ্ধতা খুঁজে পাই ! নকল হিংস্র এ পরিবেশ থেকে অনেক বিশুদ্ধতায় হারিয়ে যাওয়াই একান্ত মনের ইচ্ছা ! ---
এই বোধ টুকুন ছড়িয়ে পড়ুক প্রাণ থেকে প্রাণে!
তবেই আর এ শিশুদের আর দেখা যাবেনা ফুটপাতে! তারাও মৌলিক নূ্যতম অধিকার টুকু নিয়ে মানুষের মতো বাঁচার সুযোগ পাবে।