![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফজরের নামাজ পড়ে কিছুক্ষন শুয়ে ছিলাম। সাধারনত বন্ধের দিন ৬.৩০টার বিবিসির বাংলা সংবাদ শুয়ে শুয়ে শুনি অতঃপর প্রিয় সাইকেল আমাকে মাঠে নিয়ে যাই। আজ একটু ব্যতিক্রম কারণ বাসায় মেহমান ছিল। মেহমানের সাথে গরুর নেহরী দিয়ে পেট ভরে পরটা খেলাম তারপর গ্রীন টি খেয়ে মেহমানের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে গেলাম। সাইক্লিং আমার প্রানের এক স্পন্দন ! সাইকেল চালাই আর মজার গানগুলো শুনি শরীর মন ফুরফুরা হতে থাকে । পেয়ে যাই দারুন শক্তি পানি তো সাথেই থাকে ! মনের পরিকল্পনা হল উত্তরা থেকে ধানমন্ডি! কিন্তু শরীর, মন এবং গান বলে শত কিলোমিটার হলেও অসুবিধা নেই ! সবকিছু মজবুতই মনে হয় ! এই মজবুত মন নিয়ে সাইক্লিং করে যখন বনানী পার হচ্ছিলাম তখন দেখি দুটো জীপ গাড়ী দাড়িয়ে ফুটপাতের লোকদেরকে কি যেন বলছে। আমিও পিছনে থেমে গেলাম। সাইকেল থেকে নেমে দেখলাম সাদা রং এর জীপের সিটে বসে আছেন শক্তিমান পুরুষ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়র জনাব আনিসুল হক ! আমি ঊনাকে শক্তিমান বললাম ঊনার সবরকমের ফিটনেস দেখে। পিজিক্যাল ফিটনেস লোক আমার খুব পছন্দ। ঊনার সেই প্রমান নির্বাচনী প্রচরণার সময় তিনি দৌড়ে প্রমান করেছিলেন ! আজ তিনি যে কাজটি করছিলেন তা হল দেয়ালে যাঁরা প্রচরণার ফিরিস্তি লিখছিলেন তাদের উপর চড়াও হয়েছিলেন। দাড়িঁয়ে যতক্ষন দেখছিলাম ততক্ষন খুবই ভাল লেগেছিল! অতঃপর ফার্মগেট এলাকায় বয়োবৃদ্ধা অসুস্হ ফুফু শাশুড়ীকে দেখে দুপুরের পর পৌছালাম প্রিয় দুলাভাইয়ের ধানমন্ড়ির বাসায় যিনি ৯২ বছর বয়স পার করছে। দুলাভাইয়ের কাছে গেলে খুবই ভাল লাগে। ঢাকাতে অনেক আত্মীয় স্বজন থাকলেও এখানে গিয়েই বেশী মজা পাই। গোসল সেরে যোহরের নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খেয়ে গেলাম গ্রীন কর্নারে ঊনার বড় মেয়ের বাসায়। একটু কাছাকাছি বাসা হওয়ায় পায়ে হেটে লুঙ্গী পরিধান করেই চলে গিয়েছিলাম। আরামের পোষাকে গ্রীন রোড় ধরে যখন হেটে যাচ্ছিলাম তখন আমার খুবই ভাল লাগছিল। পাশাপাশি এই পোষাকের হাটার লোক নেই বললেই চলে ! ভাগনীর বাসায় সবাই আমাকে দেখে অবাক ! আমি খুব মজা পেয়েছি ! এ বিষয়ে আমাকে একটু বলতে হয়, ৫/৬ বছর আগে আমার ব্যক্তিগত কিছু সার্ভিস সংক্রান্ত সমস্যায় আমাকে গ্রামীন ফোনের High official ও Standard Chartered Bank এর Head of cards এর সাথে তাদেঁর গুলশান অফিসে একান্ত বৈঠক করার সময়ও ইচ্ছে করে লুঙ্গি পরিধান করে গিয়েছিলাম। সে সময়ও বৈঠকে সংশ্লিষ্ট অনেকেই তাঁদের ঐশ্বর্য্যপূর্ন অফিসে আমাকে এই বেশে দেখে অবাক হয়েছিল। মনের জমানো চরম ক্ষোভ থেকেই আমি রাগের মনোভাব show করতেই ঐভাবে গিয়েছিলাম । আর একদিন বিমানেও লুঙ্গী পড়ে চড়েছি। এগুলো ছিল আমার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ! অবশ্য আজ গিয়েছি অনেক খুশী মনে ! ভাগনীর বাসায় ঘন্টাখানেক আড্ডা দিয়ে পুনরায় আপার বাসায় এসে আসর নামাজ পড়ে এবার সাইক্লিং dress পরিধান করে আমার সাইকেল আমাকে গানের সাথে সাথে নিয়ে আসে নীজ বাসা উত্তরায় ! গোসল সেরে মাগরিবের নামাজ পড়ে কিছুক্ষন easy chair এ বসে rest নিলাম !
দিনের ও মনের আসল কাজ যেটি আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম আজ ২৫ জন পথশিশুকে রাতের খাবার খাওয়াব সেটি করলাম! আলহামদুলিল্লাহ ! স্ত্রী আমার অনেক ভাল সে পূর্ব পরিকল্পনামত পোলাও রান্না করে রেখেছিল। আমিও আমার মেঝো ছেলে বক্সে ভরেছি। অতঃপর ৭.৩০ টার বিবিসি শুনতে শুনতে রিক্সা করে খাবারের বক্সগুলো নিয়ে গেলাম বিমান বন্দর রেল ষ্টেশনে সেখানে অসহায় অনাথ শিশুর অভাব নেই। দুঃখ আমার আমি মাত্র ২৫ জনকে খাওয়াতে পেরেছি আরও অনেককেই দিতে পারিনি। আজ এটুকুই রাত হয়েছে ! ঘুমাব ! শুধু বলব আমি আপনার ভাল চিন্তা ও ভাল কাজের সাথে আমাদের মনের সুখ ও প্রাণের উৎফুল্লতা নিহিত বলে আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি। ভাল চিন্তা ও ভাল কাজ করুন জীবনের মজা আপনার সাথে সাথেই দৌড়াবে ! খোদা হাফেজ ! ভাল থাকুন !
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২
প্রামানিক বলেছেন: পথশিশুদের সাথে সময় দেয়া ও খাবার খাওয়ার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:০৩
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ২৫ জন পথশিশুকে রাতের খাবার খাওয়ানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। আপনার মত যদি আমরা সকলে ওদের পাশে দাড়াই তাহলে আমাদের দেশে পথশিশু নামক কোন শব্দ থাকবে না।