![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত রাতে খাওয়া শেষে ছবির শিশুগুলোর সাথে গল্প করছিলাম ! যে শিশুটির কাধে হাত দিয়ে বসেছি সে বলছিল গত ৩ মাস ধরে সে রাস্তায় ! প্রায় ২ বছর আগে তার মা মারা যায় পরে তার বাবা আবারও বিয়ে করেন। বরিশালের বাড়ীতে সৎ মার সাথে কষ্ট হলেও ছিল। কিন্তু চরম দুর্ভাগ্য তার কিছুদিন পূর্বে বাবাকেও হারায় ! অতঃপর সৎ মা এর সাথে ঢাকায় চলে আসে। তাকে নাকি তার সৎ মা খাবার কিনতে যাওয়ার কথা বলে এক জায়গায় কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতে বলে। সেই সৎ মা খাবার নিয়ে সে জায়গায় আর ফেরত আসেনি। সে নাকি সৎ মায়ের আশায় ঐ জায়গায় তিন দিন ছিল ! কিন্তু এখনো পর্যন্ত দেখা মিলেনি এখন সে তিন মাস ধরে রেল ষ্টেশনের প্লাটফরমেই দিন রাত কাটায় ! তার মা এর ঘরে সে একাই ! সে বলল মামা ,এখানে প্রায় শিশুরাই সিগরেট বিড়ি খায় ! বলল আমার ভাল লাগে না ! কেন এ সকল শিশুরা নেশাগ্রস্হ হয়? তা ওদের ঘুমানোর অবস্হান এবং তাদের সব অবস্হাদি বিবেচনা করলে বুঝতে পারবেন! এ সকল শিশুগুলোর কোন রকম দোষ আছে বলে আমি মনে করি না! They are 100% innocent ! তাদের এ পরিণতির জন্য সক্ষম সচেতন ব্যক্তিবর্গ এবং সরকারকে আমি দায়ী করি। আমি আগেও অনেকবার বলেছি অসচ্ছল পরিবারের যে সকল শিশু কোন না কোন কারণে মা এর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে তখন সে নিরুপায় হয়ে রাস্তায়/ পথে আসতে বাধ্য হয়। আমি দেখেছি এ সকল শিশুদের মা এর প্রতি চরম দরদ ! কয়েকদিন আগে শিশু দিবসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ সকল শিশুদের রক্ষায় সমাজ কল্যাণ ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়কে জোড়ালো নির্দেশনা দিলেও তার কোন প্রতিফলন এখনো চোখে পড়েনি। কেন এমন হবে? অর্থশালীদের বলব এ সকল মাসুম শিশুদের পিছনে বিনিয়োগ করে এদের রক্ষা করুন দুনিয়া এবং আখেরাতে অবধারিতভাবে পুরস্কার পাবেন বলে আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি। এ সেক্টর দারুন এক মজা ! তাদের জন্য কাজ করুন অসহায় মাসুম এ সকল শিশুকে রক্ষা করুন ! দেখবেন প্রকৃতিগত ভাবে আপনি নীজে নীজেই টের পাবেন আপনি কি রকম আনন্দ ভোগ করছেন ? আপনার আমার সুখ শান্তি আনন্দ এ রকম কাজের পিছনে লুকানো বলে আমি মনে করি। সুখ ও আনন্দে দিন কাটাতে চাইলে মানবিক এ সকল কাজে আপনার অবশিষ্ট সামর্থ্য নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ুন। অতঃপর বুঝতে পারবেন শরীর ও মনের আনন্দ কিভাবে আপনাকে সতেজ রেখেছে ?
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৭
পিচ্চি হুজুর বলেছেন: সামাজিক দায়বদ্ধতা বলতে একটা টার্ম আছে যেইটার উপলব্ধি আমাদের মাঝে নেই। এই ধরনের শিশুরা যখন দুবেলা ঠিকঠাক খেতে পাবে না, তখন পেটের দায় এ এরা অপরাধে লিপ্ত হবে। কেউ অপরাধী হয়ে জন্মায় না, অপরাধী বানানো হয়; আর অপরাধী বানাই এই আমরাই। এই ছেলেটা যখন বড় হয়ে কোন জামাল সাহেবের পকেট মেরে দিবে, গাড়ির গ্লাস চুরি করে নিয়ে যাবে, কিংবা তার বাসায় চুরি করবে তখন ওই জামান সাহেব ই বলবে দেশ টা চোর ডাকাতে ভরে গেল।
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৯
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: ১০০% সত্য !
৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
আমিজমিদার বলেছেন: অসহায় মাসুম শিশুগুলারে বাঁচানোর জন্যে আমাদের উচিত এদের সাথে সেলফি তুলা, চিপস-পানির বোতল দেওয়া, বেচারাদের দুরবস্থা দেইখা হা হুতাশ করা এবং তারপরে 'যাক-আজকা-ভাল-কাম-করসি-একটা' মনোভাব নিয়া বাসায় ফিরত যাওয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২০
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ