![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওসামা বিন লাদেন কে ধরার নামে আফগানিস্তানের লক্ষ লক্ষ লোককে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করা হল এখনো সেই আগুন জ্বলছে। সাদ্দাম হোসেনকে হটানোর নামে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হল পুরো ইরাকে যা এখনো ধাউ ধাউ করে জ্বলছে ! আরবে বসন্ত চিরস্হায়ীর কথা তুলে গাদাফী কে ক্ষমতাচ্যুত করে চারখার করা হল লিবিয়াকে ! এখন চলছে সিরিয়ার বাসার আল আসাদকে হঠানোর নামে মুসলিম নিধনযজ্ঞ ( অঞ্চলগুলো মুসলিম অধ্যুসিত বলে বলছি) ! এ সকল স্বৈরশাসকগন কম সময়ের নয়। তাদের প্রত্যকের সাথেই পশ্চিমা বিশ্বের সু সম্পর্ক ছিল। কথা সেটি নয় এই তিন জন স্বৈরশাসক ও আল কায়েদার নায়ককে হটানো বা হত্যার নাম করে কোটি কোটি মুসলিমকে অশান্ত করার পরিনামই হল আজকের ফল ! চরম যন্ত্রনা ও দুঃখের বিষয় হল এ সকল স্বৈরশাসকগনকে হঠানোর জন্য ঐ সকল দেশে বিরোধী জনগোষ্টী তৈয়ার করা হয় অতঃপর তাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও টাকা পয়সা দিয়ে সব রকমের সাহায্য সহযোগীতা করে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে দেয়া হয় সেই দেশেরই ক্ষমতাসীন সরকারের regular বাহিনীর সাথেে ! পশ্চিমা দেশ সমুহ মূহুর্তেই ঐ সকল নেতাদের হত্যা করার ক্ষমতা রাখলেও তা না করে দীর্ঘ সময় ক্ষেপন করে হত্যা করেছিল লাদেন, সাদ্দাম ও গাদাফীকে ! এরইমধ্যে ঐ সকল দেশের প্রায় প্রতিটি বেসামরিক লোকের হাতে অস্ত্র ও সাহস দিয়ে লেলিয়ে দিয়েছিল যুদ্ধে ! বিনিমিয়ে গৃহযুদ্ধ ! চলছে যুদ্ধ ! নিধন হচ্ছে মুসলিম ! অতঃপর অনেক ধ্বংসস্তুপ ও হত্যাযজ্ঞের পর তাদের স্যাটেলাইট কার্যকর হয়ে লাদেন,সাদ্দাম ও গাদাফীকে ধরে হত্যা করা হয় ! হয়তঃ সেই পরিনতি আসাদেরও হবে ! বিনিময়ে মধ্যপ্রাচ্যের এ বৃহৎ অঞ্চলের দেশ সমুহের প্রতিটি সক্ষম যুবকের হাতে হাতে আজ মরণাস্ত্র ! তাঁরা এক সময় যুদ্ধ করেছে নীজের দেশের বাহিনীর বিরুদ্ধে এখন তাঁরা যুদ্ধ করছে নীজদের মধ্যে। আজ তারা গোত্র ও আদর্শের সংঘাতে লিপ্ত ! প্রতিবেশী সকল রাষ্ট্র আজ হুমকির মুখে ! প্রশ্ন হল আই এস বা অন্যান্য গোষ্টী এত অস্ত্র কোথায় পেল? কে তাদের অস্হির হওয়ার রসদ ও মদদ দিয়েছিল? কি কারনে কোটি কোটি শান্ত নিরীহ লোকের আজ এই অবস্হা ? কেন তারা স্বৈরশাসকগনকে আলটিমেটাম দিয়ে মূহুর্তেই হত্যা না করে দেরীতে হত্যা করেছিল বা করে? কি তাদের উদ্দেশ্য? আমার মনেহয় তাদের উদ্দেশ্য হল অস্ত্র ব্যবসা, সম্পদ দখল এখন বলছি মুসলিম নিধনও মনে হয় তাদের উদ্দেশ্য ! এ বিপদগামী তালেবান, লিবিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপ, আইএস ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মিকে এ পশ্চিমা বিশ্বই অস্ত্র ও উৎসাহ দিয়েছে। যা আজ তাদেরই শত্রু বা হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে ! এরই মধ্যে কোটি কোটি মুসলিম পরিবার আজ গৃহহীন ,দৈনন্দিন খুন রাহাজানিতে লিপ্ত ! কি লাভ হল? কোটি কোটি অসহায় নারী ও শিশু আজ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন শুধুমাত্র লাদেন, সাদ্দাম, গাদাফী ও বাসারকে ক্ষমতাচ্যুত করা বা ধরা বা মারার জন্য ! যা শক্তিধর পশ্চিমা রাষ্ট্র নিমিষেই করার ক্ষমতা রাখে অথচ তারা তা না করে সময় ক্ষেপন করে বিভিন্ন অস্ত্রধারী বিদ্রোহী গ্রুপ সৃষ্টি করে পুরা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়ে অস্ত্র ব্যবসায় করে যাচ্ছে অন্যদিকে কম দামে তেল কিনছে এবং সেই সকল স্বৈর শাসক ও তার দোসরদের নামে বেনামে রক্ষিত সম্পদ জব্দ করছে ! বলা বাহুল্য, যুদ্ধরত পক্ষগুলোর কেউই অস্ত্র উৎপাদন করে না। অস্ত্র উৎপাদন করে পশ্চিমা রাষ্ট্র সমুহ ও বিশ্বের আরও কয়েকটি শক্তিধর রাষ্ট্র ! এ বৃহৎ অস্হির জনগোষ্টীর হাতে যেভাবে অস্ত্র রয়েছে এবং তারা পরিবার পরিজন হারিয়ে যে শংকার মধ্যে প্রতিটি মূহুর্ত কাটাচ্ছে তাদের এই মহা অস্হিরতার জন্য এ বিশ্বকে আরও অনেক চরম মূল্য দিতে হবে বলে আমি মনে করি । একজন অশান্ত অস্হির মানুষ অস্ত্র পেলে যে পরিনতি ঘটাতে পারে এ বিশ্বকেও সে পরিনতি সৃষ্টির জন্য দায় গুনতে হবে ! যার পরিনতি আরও অনেক ভয়াবহ হবে বলে আমার নিকট দৃঢভাবে অনুমিত ! সকল নিরীহ হত্যার বিচারের ফল যারা দায়ী তাদেরকে গুনতেই হবে ! এমনকি সেটি মহান আল্লাহ তরফ হতে প্রাকৃতিকভাবেও হতে পারে !
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"ওসামা বিন লাদেন কে ধরার নামে আফগানিস্তানের লক্ষ লক্ষ লোককে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করা হল এখনো সেই আগুন জ্বলছে। "
-আপনি যদি ওসামাকে ধরে দিতেন, আমেরিকাকে আফগানিস্তানে যেতে হতো না।
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: চাঁদগাজী < একজনকে ধরার নামে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা আর কোটি কোটি পরিবারকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন এটি কতটুকু যৌক্তিক? আর পরিনামে কি পেলাম? এখনো কেন আফগান অশান্ত? কেন এত দেরীতে তাদের স্যাটেলাইট বা সামরিক চাতুর্য্য কার্যকর হয়?
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
বিপরীত বাক বলেছেন: তা ওরা যদি টাকা আর সাহস দিয়ে মুসলিমদের কে তাদের শাসকের বিরুদ্ধে দাড় করাতে পারে তা আপনারা করছেন না কেন? যান দেখি কোন রিপাবলিকান সমর্থক আমেরিকান কে ১ বিলিয়ন ডলার দিয়ে আর অস্ত্র দিয়ে বলেন তো ওবামা হিলারী আমেরিকার বারোটা বাজাচ্ছে,, তোমাদের বঞ্চিত করছে।। তোমরা সশস্ত্র যুদ্ধ করে আমেরিকা কে মুক্তি দাও।।
পারবেন? উল্টা জুতা দিয়া পিটায়া প্রস্তাবকারীর ধর্ম ছুটায়া দিবো।।
একাংশ হোক আর অর্ধাংশ হোক সাদ্দাম, গাদ্দাফি দের জনগণই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল। না পেরে পশ্চিমাদের ডেকে এনেছে। সুতরাং অকাল মৃত্যুই তাদের প্রাপ্য।।
আপনিই বলেন,, জমি দখলের জন্যে আপনি আপনার বড় অথবা ছোট ভাইয়ের সাথে সংঘর্ষে জড়ালেন।। শক্তিবৃদ্ধির জন্যে বোনকে নিজের সাথে ভেড়ালেন।।
পেরে না উঠতে পেরে পাড়ার মাস্তান ভাই কে ডাকলেন সাহায্যের জন্যে।।। পাড়ার মাস্তান ভাই আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইদের মেরে গেল, বোন টারে _★ দে গেল আর আপনার হাত পা ভাইঙ্গা বের করে দিয়ে বাড়ি টা দখল করে নিলো।।
দোষ কি শুধু ওই পাড়ার মাস্তান ভাইটার??
উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর অভ্যেস।মুসলিম রা মনে হয় জন্মগত ভাবে পায়।
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৫
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: তারা ছিল স্বৈর শাসক সেখানে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা যেত না। যে ক্ষেত্রটি সম্পদ দখল ও অস্ত্র বিক্রীর জন্য খুবই উপযুক্ত ছিল। বিশ্বকে সে সকল দেশে গনতন্ত্র বাসতবায়ন ও মানুষের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে পশ্চিমা বিশ্ব কুটবুদ্ধি করে ! আজ সেই কুটবুদ্ধি বা গনতন্ত্রের ফল সবাই কি রকম পাচ্ছে বুঝতে পারছেন তো? সকল পক্ষই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে! জোড় করে কখনো কোন কিছু চাপিয়ে দেয়া যায় না ! কেন একটি দেশও রক্তপাতহীন ভাবে সুষ্ট ও শান্ত করা গেল না? কোথায় গলদ? কেন বিশ্বের আরও অনেক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়া হয় না? কেন মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে এত তৎপর? কারন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সমুহ অস্ত্র কিনতে সক্ষম ! হুমকীর সম্মুখীনের কথা বলে গত পাঁচ বছরে সৌদি আরব হল বিশ্বের শীর্ষস্হানীয় অস্ত্র ক্রেতা ! সম্পদ দখল হল মেইন ইস্যু !
৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমেরিকায় ২৬০০ মানুষের মৃত্যুর জন্য সরকারকে ব্যবস্হা নিতে হয়েছে; আফগানিস্তানকে শেষদিন অবধি সময় দিয়েছিল আলকায়েদার পক্ষে না যেতে।
৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩৭
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: এখন যেমন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গতিবিধি অবগত হয়ে অনেক কে হত্যা করছে তখনও তা সম্ভব ছিল। কিন্তু তারা তা না করে তাকে ঝিইয়ে রাখে, যেমন এখন বাসার আল আসাদ এর বেলায়ও হচ্ছেে ! ইতোমধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা হয়েছে কোটি কোটি মানুষ চরম অশান্ত ও হুমকির মধ্যে জীবনযাপন করছে ! আরবের বৃহৎঅংশের অশান্ত ও অস্হির যুবকদের হাতে অস্ত্র ছড়িয়ে পড়েছে। যার ভয়াবহতা আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি ! যারজন্য পশ্চিমা বিশ্ব নেতাদের ভুল কৌশলই দায়ী !
৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৩
অেসন বলেছেন: আফগানিস্তানে বহু মানুষের মৃত্যু, আইএস সৃষ্টি, অশান্ত ইরাক, লিবিয়া,সিরিয়া সবকিছুর পেছনে আমেরিকা ও পশ্চিমা দোসর রা অনেকাংশে দায়ী। সেটা ঠিক। কিন্তু এর জন্য ইসলামি বিশ্বের নেতা এবং অনৈক্য দায়ী না ? কি দরকার ছিল গাদ্দাফির ৪০ বছর ক্ষমতা আঁকড়ে ধরেবাভাবিক।সউদি আরব কেন আইএস পতনের আগে আসাদের পতন চায় ? টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর আমেরিকা হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে মনে করেন কিভাবে ?
নিজেদের ত্রুটি গুলো নিয়ে আগে ভাবুন। আমেরিকা ও পশ্চিমা দোসর রা সবসময় সুযোগ খুঁজবে। এটাই স্বাভাবিক।
৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: ইসলামি বিশ্বের নেতারা হলেন চরম অপব্যয়কর জীবনে অভ্যস্হ বড় বড় শয়তানের ভাই ! তাদের কাছে ইসলাম ও মুসলমানরা কখনো নিরাপদ হতে পারে না। যে কারনে আজ এই অবস্হা ! কিন্তু যাঁরা মানবতার সত্য সঃজ্ঞা বুঝেন বিশ্ব নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা কেন এহেন ভুল করেন? তারা অসহায় মানব যন্ত্রনা অনুধাবন করলে তাদের পলিসি ভিন্ন হত ! তাঁরা আরব শিশুর যন্ত্রনা ও পশ্চিমা শিশুর যন্ত্রনা এক মনে করে না ! এটিই হলো বড় সমস্যা ! যতদিন উভয়েই এ সত্য একভাবে অনুধাবন করবেন না ততদিন বিশ্ব এ খেসারত দিতে দিতে আরও অনেক ভয়াবহতার দিকে এগিয়ে যাবে। যা নিশ্চয়ই কেউ চায় না। তাই অস্ত্র বাদ দিয়ে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্টার পথ খুজঁতে হবে। হত্যাযজ্ঞ কখনো সমাধান হতে পারে না !
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২
স্বপ্নাতুর পুরব বলেছেন: যা বলেছেন । এসব না করলে অস্ত্রব্যবসার কী হবে? লাটে উঠে যাবে । এসম্পর্কিত অামার একটি লিখা পড়তে পারেন । view this link