![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুক্ষন আগে (গত রাতে) যাদের সাথে এক দেড় ঘন্টা সময় অতিবাহিত করেছি। সাইকেল চালিয়ে গিয়ে একটু দূর থেকে শিশুগুলোকে নিরবে পর্যবেক্ষন করি অতঃপর আস্তে আস্তে তাদের কাছে ভিড়ি। তারপর তাদের মা বাবা সম্পর্কে জানি আজ এ শিশুগুলোর সাথে তাদের মাকে পেয়েছিলাম। কালো গেঞ্জী পরিহিত তার ছোট ভাইকে জড়িয়ে ধরা জীম নামের মেয়েটির বাবা আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছিল তার নীজেরও এক পা ও পেট পুড়ে গিয়েছিল যে কারনে সে এখন আর হাটতে পারে না। দুবোন দুভাই নিয়ে তার মা এখন ফুটপাতেই থাকে। জলপাই কালারের কানটুপি সমেত গেঞ্জী পরিহিত শিশু ও কানটুপি সমেত নীল গেঞ্জী পরিহিত অঞ্জলীর বাবা জেলে তাদের মা তিন বোন কে নিয়ে ফুটপাতে থাকে ! ছবিগুলো দেখলে কিছুটা ধারনা করতে পারবেন এ শীতে তারা কিভাবে কোথায় থাকে এবং কি খায়?
এ সকল শিশুর নিকট গেলে মন চাই নীজের সবকিছু এদের জন্য বিলিয়ে দিয়ে নিঃস্ব বা শূন্য হয়ে যাই ! ধর্ম আমরা মানি কিন্তু সত্যিকারের ধর্মীয় মনোভাব আমাদের মধ্যে দাঁড় করাতে পেরেছি কিনা তা আজ অনেক প্রশ্নবিদ্ধ ? এ সকল শিশু এবং আপনার আশেপাশের এ চিত্র প্রমান করছে আপনি ধর্মের মূলভাব বুঝেন না বা বুঝলেও মানতে নারাজ। ধর্মীয় সঃজ্ঞা আপনি আপনার মত করে বানিয়ে চলছেন ! এ পৃথিবীর কোন ধর্ম বা সত্য নিতী এ সকল চিত্র সমর্থন করে বলে মনে করিনা ! ধর্ম সত্য আবেগের কথা বলে ! ধর্ম শিশু ও অসহায়ের প্রতি মহামায়ার কথা বলে ! নীজেকে নীজে প্রশ্ন করুন পকেট ভর্তি টাকা ও বিল ভরা জমি অর্থাৎ নীজের অনেক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কত অসহায় ও এতিম পথশিশুকে এড়িয়ে চলছেন ? কোন্ ধর্মীয় সঃজ্ঞার সন্তুষ্ট মন নিয়ে আমি আপনি এ সকল শিশুকে এ রকম শীতের রাতে ফুটপাতে ঘুমাতে দিয়ে অট্টালিকায় আরামে ঘুমাচ্ছি? তা কোন ধর্ম হতে পারে না ! পরকালের বিচারে কি হবে তা তো এখানেই পরিস্কার ! আর দুনিয়ার চরম অশান্তি ও প্রকৃতির অশান্ত থাবাও এগুলোর সুবিচার না করার জন্যই সংঘটিত হয় বলে আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি। শীতের সামান্যতম নতুন কাপড়ে শিশুগুলোর খুশী মনের অনূভুতি অনুধাবনে আমি দারুনভাবে উদ্ভেলিত ও আনন্দিত হই ! অনেক শান্তি পাই ! অনেক ভাল থাকার দারুন এক কর্মক্ষেত্র !
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এখানে ধর্ম মানা না মানার বিষয়টাকে আমি বড় করে দেখতে চাই, আমাদের সবার মাঝে মানবতা বোধ জাগ্রত হলে এমন দূর্দশাগ্রস্থ লোকের সংখ্যা কমে আসবে। আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের সামনে বিষয়টা উপস্থাপন করার জন্যে।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
সংশোধন
এখানে ধর্ম মানা না মানার বিষয়টাকে আমি বড় করে দেখতে চাই না, আমাদের সবার মাঝে মানবতা বোধ জাগ্রত হলে এমন দূর্দশাগ্রস্থ লোকের সংখ্যা কমে আসবে। আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের সামনে বিষয়টা উপস্থাপন করার জন্যে।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩২
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ধর্ম এত শেখায়, কিন্তু এসব বিষয়ে শেখায় না? সবাই আমরা নিজের মত করে ধর্ম চর্চা করি। মানুষের কর্ম-কান্ড দেখে মনে হয় না, এরা ধর্ম বিশ্বাসী আস্তিক
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৮
হারান সত্য বলেছেন: আপনি একটি অসাধারণ কাজ করেছেন। আল্লাহ আপনাকে উপযুক্ত প্রতিদান নিশ্চয়ই দেবেন।
"এ সকল শিশু এবং আপনার আশেপাশের এ চিত্র প্রমান করছে আপনি ধর্মের মূলভাব বুঝেন না বা বুঝলেও মানতে নারাজ। ধর্মীয় সঃজ্ঞা আপনি আপনার মত করে বানিয়ে চলছেন ! " আপনার এই কথাটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। আসলেই ধর্মের, বিষেশ করে ইসলামের মুল চেতনা আমাদের থেকে হারিয়ে গেছে। সেজন্যই মুসলিম সমাজের এই করুণ অবস্থা।
আপনাকে একটা ওয়েব সাইটের লিংক দিচ্ছি। এখানে ইসলামের আসল চেতনা সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হয়েছে। পুরোটা মনযোগ দিয়ে পড়লে বর্তমান মুসলিম সমাজের আসল ভুলটা বুঝতে পারবেন - ইনশাআল্লাহ।মহাসত্যের পরিচয়
৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫
হাসান নাঈম বলেছেন: আমিও রাস্তায় এই সব শিশুদের দেখে থমকে দাড়াই।
মনে হয় কিছু একটা করা দরকার।
কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে কিছুই করা হয় না।
আপনি যে এ'দের সাথে মিশতে পারেন, এদের আসল প্রয়োজনটা জেনে বুঝে এদের সাহায্য করতে পারেন - এটা একটা অনেক বড় বিষয়। আমি চাইলেও পারি না।
তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে একা একা এদের জন্য খুব বেশী কিছু করা যাবে না।
যদি কিছু মানুষ নিয়মিত সহায়তা দিতে সম্মত হয় - আর আপনারমত কেউ যদি সেটা ওদের আসল সমস্যা সমাধানে ব্যায় করার দ্বায়িত্ব নেয় - তাহলে হয়ত কিছু কাজ হতে পারে।
যদি ১০০ জন মানুষ প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে দিতে রাজি হয় - তাহলে এই ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিছু শিশুর জীবন বদলে দেয়া যেতে পারে।
যারা রাস্তায়/ডাস্ট বীনে কাগজ টোকায় - তাদের সারা মাসের ইনমাক কত? ৫০০ থেকে ৮০০ এর বেশী নিশ্চয়ই নয়। যদি তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে একটা চুক্তিতে আসা যায় যে তাদেরকে স্কুলে পড়াশুনা করার সুযোগ দেয়া হবে আর বিনিময়ে পরিবারকে আমরা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দেব - তাহলে মাসে ৫০ হাজার টাকায় অন্তত ৫০টা শিশু ঐ নোংড়া জীবন থেকে মুক্তি পাবে। তারা সবাই লেখাপড়া শিখে জজ ব্যারিস্টার হবে - এটা আমরা আশা করি না, কিন্তু তাদের শৈশবটা একটু আরামের হবে, একেবারে মুর্খ থাকার চেয়ে লিখতে এবং পড়তে পারলে সেটা সারা জীবন কাজে লাগবে।
আপনি যদি এ'ধরনের কোন উদ্যোগ নেন - তাহলে আমাকে জানানোর অনুরোধ করছি। আমি ঐ গ্রুপের প্রথম সদস্য হব - ইনশাআল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
এরা দরিদ্র হয়ে আছে সরকারের কারণে, আমাদের সম্পদ আছে এদের প্রতিস্ঠা করার মতো।