![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাকিব আপনার সহযোগীতা চাই তার বড় প্রয়োজন শেল্টার। ঢাকা ষ্টেড়িয়ামের ফুটপাত ও বঙ্গভবনের সামনের খোলা পার্কে ঘুমিয়ে দিনের বেলায় ১/২ ঘন্টা নারী মৈত্রীর পথশিশুদের ডে কেয়ারে পড়ালেখা করে পিএসসিতে যে ফলাফল করেছে তা প্রশংসারই দাবী রাখে। চার বিষয়ে এ+ এবং দুই বিষয়ে এ । আমার সাথে পরিচয় এক বছর ধরে সে তার মা ও ছোট ভাই বোনের সাথে খোলা আকাশের নীচেই থাকে। রাতের বেলা পড়ার তার কোন সুযোগ নেই। এমনকি পরীক্ষার রাতেও পড়তে পারেনি কারন এনজিওটির ডে কেয়ার সেন্টার বিকাল ৫ টার পর বন্ধ হয়ে যায়। সরকারী একটি প্রাইমারী স্কুলে মাঝে মধ্যে যেত কারন তাকে ভাঙ্গারী কুড়িয়ে আয় করে মা কে দিতে হয়। এত প্রতিকূলতার মাঝেও রাকিব গত দুইদিন আগে তার এ রকম ফলাফল শীট নিয়ে স্কুলে ভর্তির জন্য আমার হেল্প চাইতে আসে, আমি নিরবে কেঁদেছি। তাকে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে দুপুরে এক সাথে খেয়েছি। খাওয়ার পর তার মাকে খুজঁতে গিয়ে খোলা মাঠে তার মাকে ঐ সময় খুঁজে পাইনি কারন তাদের কোন স্হায়ী ঠিকানা নেই। হয়তঃ ঐ সময় তার মা কোথাও কাজে গিয়েছিল। এরই মধ্যে ২/৩টি স্কুলের ভর্তির খোঁজ নিলাম সরকারী স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ। অবশেষে দু একজন বন্ধু ও আমার কিছু সহযোগীতায় স্টেড়িয়াম ও বাইতুল মোকাররম এলাকার কাছাকাছি সেগুন বাগিচা হাই স্কুলে ভর্তি করলাম। স্কুলের শিক্ষকের কিছু উত্তর আমি দিতে পারিনি তা হল আমি তার কি হই ? তার বাসা কোথায়? শুধু বলেছি ভর্তি করুন ! খুব খুশী সে বই পেল। খাতা, কলম, স্কুল ড্রেস ও জুতা সবই কিনে দিয়েছি কিন্তু বড় কঠিনতর সত্য এই যে, এ সবকিছু নারী মৈত্রীর সেন্টারে রেখে বিকাল ৫টার পর তাকে চলে যেতে হবে খোলা আকাশের নীচে। রাত কাটাবে সেখানে। পরদিন ভোরে সেন্টার থেকে বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাবে। সেন্টারটি পুরানা পল্টনে সমস্যা হল, ক্লাস ফাইভ এর পর তারা আর দিনের বেলার এ সুবিধা রাকিব বা এ বয়সের কোন শিশুকে দিবে না। আজ আমি অনুরোধ করেছি রাকিবের কোন শেল্টারের সংস্হান না হওয়া পর্যন্ত তারা যাতে এ সুবিধা বহাল রাখে।
তাই বলছি কেউ কি আছেন, রাকিবকে একটু শেল্টার দিবেন ? বড় উপকারই তার হবে।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১১
আহলান বলেছেন: আহারে .. ! মানুষ কত অসহায় ... কি করার আছে আমাদের ? আপনি কিছু উপায় বলে দিন, যদি সেটা বাস্তবায়নে সহায়তা করা যায় ...
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৭
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: আহলান< কারও পক্ষে সম্ভব হলে পুরো দায়িত্ব নেওয়া যায়। অথবা আমরা কয়েক জনে মিলে কোন আবাসিক স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়ে তার খরচের দায়িত্ব নিতে পারি।
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২২
তেলাপোকা রোমেন বলেছেন: খুব ইচ্ছা করে কিছু করি। সাধ্য নেই। শুভকামনা রাকিবের জন্য।
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৮
আনোয়ার ভাই বলেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করতে ১ম শ্রেনীর জাতীয় দৈনিক,অনলাইন ও টিভি মিডিয়ায় প্রচারের ব্যবস্থা করুন। বেসরকারীভাবেও সহযোগীতা আসতে পারে।
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫০
শামস 8929 বলেছেন: ভাই আমি আছি!! কিভাবে, কেমনে কি করলে ভাল হয় আমি দেখব।। ওর সাথে এবং আপনার সাথে কিভাবে যোগাযোগ করা যায় প্লিজ তাড়াতাড়ি জানান। আমার অফিস মাতিঝিলে। খুব কষ্ট হবেনা ওকে স্কুল থেকে খুজে নিতে।।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৯
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: আমার ফোন নং- ০১৭১৪০৬৩০৬৩
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: এই ব্লগে আর্থিকভাবে সচ্ছল অনেকেই আছেন। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কোনো সন্দেহ নাই এই ছেলে অনেক দূর যাবে যদি তাকে একটু পথ-নির্দেশনা আর কিছু পাথেয় দেয়া যায়।
৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: যদি কেউ তার দায়িত্ব নিতে না চায় তাহলে তাকে কোন আবাসিক মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেয়া যায়। আবাসিক মাদ্রাসার কথা বললাম এই কারনে, সেখানে আবাসিক স্কুল থেকে খরচ কম হবে। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বড় বর কাজ করছেন; সাহায্য করার দরকার; আমি নিজেই দুরে; ঢাকাতে আমার নিজের কেহ নেই।