![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"মা" কত দামী ! কত মহামূল্যবান ! তা জানিনা ! তবে মা এর মায়া ! মা এর দরদ যে, কত অকৃত্রিম তা অনেক অনেকভাবে ঠের পাই ! অনাথ অসহায় শিশুদের সাথে ঘনিষ্টভাবে মিশে তার গবেষনামূলক প্রমানের আর কিছু আছে বলে আমি মনে করি না ! সমুদ্র, নদী ও প্রকৃতির অনেক কিছুর মায়ার গভীরতার অকৃত্রিমতা ১০০ % ধরতে না পারলেও শিশু ও মা এর মায়া এবং আন্তরিক টান যে, ১০০ % অকৃত্রিম তা ধরতে পারার আর কোন কিছুই আমার কাছে বাকী নেই ! শতভাগ অকৃত্রিম and Only the love is so pure and unconditional in the World !
চাঁদপুর থেকে ফিরছি ! ছবির তিন মায়াবী শিশু কিশোর আপন তিন ভাই জাহাজের ছাদে আপনমনে বসে গল্প করছিল। কথা বললাম পরিচিত হলাম ছবি তুললাম অনেক গভীর দীর্ঘ নিঃশ্বাস এসেছিল ! একমাত্র কারন হল "মা" ! তারা তিনভাই মিলেমিশে মা এর ড়াকে মা এর অসুস্হতার খবর শুনে মা কে দেখতে যাচ্ছে। মা সৎ বাপের সংসার করছে । সৎ বাপ তাদের মেনে নিতে পারে না। ছোট ভাই মা এর পেটে থাকতে, মঝো জন ৩ বছর এবং বড়জন ৪ বছর বয়সে ড্রাইভার পিতা জেলখানায় অসুস্হ হয়ে মারা গিয়েছিল ! দূরঘটনার মামলায় বিচারের আগেই পিতার মৃত্যু জেলেই হয়। বড় জনের শুধু মনে আছে বাবাকে কবর দেওয়ার স্মৃতি। ছোটদের কিছুই মনে নেই। ছোটভাইয়ের জন্মের ২ বছর পর মা ২য় বিয়ে করে থাকে মুন্সীগন্জে ! আজ তারা মিলেমিশে অসুস্হ মা কে দেখতে যাচ্ছে ! সৎবাপের অগোচরে মুন্সীগন্জ ঘাটে প্রিয় মা কে দেখে মায়া ও আদর নিয়ে আবার রাত ৯টার ষ্টীমারে চাঁদপুরে বুড়ো নানুর কাছে ফিরে আসবে। বলছিল তাদের মা ও বুড়ো নানু ছাড়া আর কেউই নেই ! বলছিল নানুর কাছে তিন ভাই রাত্রে একসাথে ঘুমায় ! দিনের বেলায় বড়জন টমটম চালায়, মেঝোজন গাড়ীর গ্যারেজে কাজ শিখছে এবং ছোটজন ফার্নিচারের দোকানে কাজ করে।
মূল কথা হল, "মা" এর বিষয়ে তারা যেভাবে কথাগুলো বলছিল তখন সবারই চোখ মুখ মিলিয়ে অনেক মায়াবী এক চেহারা ফুটে উঠেছিল। বড়জনের চোখের পানি টলমল করছিল ! দেখে বুঝলাম "মা" এর জন্য তাদের মায়া দরদও অনেক অকৃত্রিম ! যার মূল্য আমার জানা নেই ! আমি হিসাব করে দাঁড় করাতে পারি না ! আপনি কি পারেন? অনেক শুভ কামনা এ তিন শিশু কিশোর সহ এ পৃথিবীর সকল অসহায় শিশুর জন্য ! আমি এরকম অনেক অসহায় পথশিশুকে পেয়েছি যারা পথে এসেছে সৎ বাপ ও সৎ মা মনে নেয় না বলে। মেনে নিলেও অনেক মারধর ও অত্যাচার করে বলে এরা পথে আসতে বাধ্য হয় ! এ ধরনের শিশুদের আইনী সুরক্ষা দেওয়ার কোন বিশেষ আইন আছে বলে মনে হয় না। বাস্তবে তার অনেক প্রয়োজন। প্রয়োজন সরকার ও আমাদের সকল সক্ষমদের এরকম অবুঝ এতিম শিশুদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসা। এরা মাসুম এতিম অসহায় শিশু এদের কোন দোষ নেই ! জন্ম ও মৃত্যুর জন্য এ সকল শিশু কিশোররা দায়ী হতে পারে না ! আসুন আমরা এতিম অসহায় শিশুর সাথে মিশি ! তাদের খবর নিই ! তাদের আদর ও সহয়তা দিয়ে সর্বোপরি নিশ্চিত সুরক্ষা দিই ! -চাঁদপুর হতে ঢাকামুখী ষ্টীমার থেকে, মেঘনা নদী !
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৪
আহলান বলেছেন: সত্যিই ভালো করেছেন পোষ্টটা দিয়ে .... এখনো মানবিকতা বেঁচে আছে ... বোঝা যায় ! ধন্যবাদ
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯
সুখী পৃথিবীর পথে বলেছেন: "মা" এর প্রতি সন্তানের ভালবাসা, আবেগ, অসাধারন ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১০
জুন বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল আপনার লেখাটি পড়ে। কামনা করি কাজ শিখে শিশু তিনটি নিজের পা এ দাড়াতে যেন সক্ষম হয়। সংগ দোষে অকালে বিপথে যেন না চলে যায়।