![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হায়রে নামজারী..... ভুমি ব্যবস্হাপনার এ বিষয়টি কি যে যন্ত্রনাকর ! কি রকম হয়রানী মূলক তা একমাত্র ভূক্তভোগীরাই জানেন ! এ বিষয়ে আমার বাস্তবিক কিছু case studyতে একটি বিষয়ই ধরা পড়েছে তা'হল চরম অসাধুতা। মাঝে মাঝে বিভিন্ন গবেষণা সংস্হা এ সেক্টরের দূর্নীতীর বিষয়ে যে প্রতিবেদন পেশ করে তা গত 2/1 বছর ধরে টের পাচ্ছি। নীজ ও স্ত্রীর ওয়ারিশন সম্পত্তি নামজারী করতে গিয়ে এমনই হয়েছি যেন ভুমি অফিসের নিকট আমরা আসামী ! আজ যে ঝামেলায় পড়েছি তা হল তিন মাস বিশ দিন আগে নামজারী মামলা নিস্পত্তির জন্য submit করা হয়। অতঃপর খাজনা,সার্ভেয়ার রিপোর্ট, তহশিলদার রিপোর্ট ও কানুনগো রিপোর্ট সর্বসমেত দেয়া সত্ত্বেও নতুন পদোস্হাপিত কর্মকর্তার মন্তব্য হল পূর্ববর্তী কর্মকর্তা ঊনাকে file মার্ক করে দিয়ে যায়নি বলে তিনি করবেন না। ঊনার করতে হলে নাকি আবার নতুনভাবে নামজারী মামলা রুজু করতে হবে। আবারও ঊনার দপ্তরের সার্ভেয়ার রিপোর্ট, তহশিলদার রিপোর্ট ও কানুনগো রিপোর্ট এবং updated চেয়ারম্যানের ওয়ারিশন সনদও নাকি লাগবে। আজ অনেক কষ্টে সদূর ঢাকা থেকে এসে চেয়ারম্যানের updated ওয়ারিশন সনদ সংগ্রহ করে দিলেও তিনি বললেন পুনরায় নামজারী মামলা রুজু করতে হবে। বুঝতেই পারছেন !
তিনি আমাকে সময় পার হয়ে গেছে বলে এ কথা বলছেন। ঊনাদের আন্তঃবিভাগের নথি মার্কিং হয়নি এর জন্য কি জনগন যন্ত্রনা ভোগ করবে?আবার বলেন ওই মৌজার জায়গা অনেক মূল্যবান ! জায়গা মূল্যবান হওয়াতে ঊনার চিন্তার কি তা বুঝে উঠতে পারছি না। বললেন আপনাকে আরো আসতে হবে। আর ৪৫ বা ৬০ দিনের মধ্যে নাকি নামজারী মামলা নিস্পত্তি করার নিয়ম বিদ্যমান এবং এরই মধ্যে কেন হয়নি এর জন্য কি নামজারী মামলা রুজুকারী দায়ী? আমাদেরকে তো কখনো কিছু জানানো হয়নি? সর্বসাকুল্যে যা বুঝেছি তা হল অনেক খারাপ গন্ধ ! ভুমি অফিসের কিছু কিছু কর্মচারী আমার কাজ যে দেখাশুনা করছেন তার কাছে অনেক টাকা দাবী করে বলে না হলে এভাবে ঘুরতে থাকবেন। আসলে কি তাই ? দেখি শেষ কি হয়? জায়গাতো আমাদেরই আছে ৫০/৬০ বছর ধরে। শেষ বুঝে সমস্ত নথিপত্র ও ঘটনাবলী নিয়ে মাননীয় ভুমি প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের কাছে উপস্হাপন করার মনস্হ করেছি। কারন ঊনাকে দেখেছি মানুষের হয়রানী ও ভুমি অফিসের দূর্নীতী দূর করার জন্য ঝটিকা পরিদর্শন করেন এবং তড়িৎ কিছু ব্যবস্হা নেন। আমরা সরকারী অন্য সংস্হার কর্মকর্তা হয়েও আমদেরই এ অবস্হা ! সাধারন জনগন কিভাবে আছে? বিশেষ করে জমির মালিক মহিলা হলে আর যদি তাঁর সে রকম সক্ষম লোকবল না থাকলে তাঁরা এ পথ এরকম হলে কখনো পাড়ি দিতে পারবে বলে আমি মনেকরি না ! দুঃখজনক !
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:০৬
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: আমি এখনো কামান দাগায়নি তবে যন্ত্রনা ও হয়রানীর কারনে মন স্হির করেছি মাত্র। আজ আপনার পরামর্শের দপ্তরে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। তবে বাস্তবতা অনেক হয়রানীর তা আপনি বাস্তবিক পথে নামলে বুঝতেন !
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৫
করুণাধারা বলেছেন: ঘুষ ছাড়া ভুমি অফিসে কোন কাজ হয়? দেখুন, কতদিন লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩২
দ্বিপদী মধুকর বলেছেন: জনাব ইলিয়াস, আপনি মনে হয় মশা মারতে কামান দাগিয়ে ফেলছেন!
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ডিসিকে জানালেই আপনি প্রতিকার পেতে পারেন।