![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাতিগত ভাবে এ পৃথিবীতে মুসলিম হত্যার কোন বিচার আছে বলে মনেহয় না।আন্তর্জাতিক কার্যকালাপে মনে হয় কিভাবে মুসলিম নিধন করা যায় এবং কিভাবে মুসলিম জাতিকে দীর্ঘমেয়াদী আন্তঃকলহ ও হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত রাখা যায় সেই চক্রান্তই আজ তারা করে যা খুবই পরিস্কার। মুসলিম নিধনকারী ও সুদের আবিস্কারক আজ নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত! দীর্ঘকালীন বিশ্ব অশান্তিতে মুসলিম জাতির উপর সীমাহীন অবিচারই করা হয়েছে এবং হচ্ছে। নিরীহ অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর যে লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে তাঁদেরকে বাস্তুহারা করছে সে বিষয়ে নিয়ন্ত্রক বিশ্বনেতাদের কোন প্রতিক্রিয়া বা পদক্ষেপ আজ নেই ! সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক,লেবানন ও তালেবানদের মত অর্থ সম্পদের গন্ধ পেলে হয়ত সেখানকার বিদ্রোহীদের সংঘটিত করে সাময়িক কিছু সময় অস্ত্র দিয়ে বা পক্ষ নিয়ে ভাল যুদ্ধই তারা বাধিয়ে দিত। যা তারা এ যাবতকালে করে আসছে। অস্ত্র ব্যবসা, সম্পদ দখল ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্টা ভাল মতই তারা করে যা তারা সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন ও বসনিয়ায় করেছিল এবং এখনো করছে। আর্ন্তজাতিক বিশ্বের এ অপ রাজনিতীর কাছে আজ মুসলিম বিশ্ব পরাজিত। মুসলিম বিশ্বের নেতাদের অনৈক্যই এর জন্য দায়ী। ঊনারা ব্যস্ত ঐশর্য্যপূর্ণ জীবন যাপনে। এ ধরনের অপব্যয়কর জীবন যাপনকারীকে হলি কোরানের বাণীতে শয়তানের দোসর বলা হয়েছে। সত্য ইসলামের অনুধাবন এ সকল মুসলিম নেতাদের থাকলে মুসলিম বিশ্বের চিত্র আজ কখনো এ রকম হতো না। শয়তানদের নিকটেই আর এক শয়তান আজ আশ্রয় পেয়েছে। সেই সুযোগে মুসলিমবিশ্বকে আজ রক্তাক্ত ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করছে।যে সকল মুসলিম নেতারা তাদের অনুগত হয়নি মিথ্যা অজুহাতে লোকজনকে বসন্ত এনে দিবে বলে তাঁদের হত্যা ও ক্ষমতাচ্যুত করেছে। পুরো মুসলিম বিশ্বকে করে তুলেছে চরম অস্হিতিশীল। আবার নাম দিয়েছে Arab Spring! জোড়ালো কোন প্রতিবাদ নেই। এহেন মুসলিম নেতৃত্ব মুসলমান জাতিকে আজ চরম অত্যাচার অবিচার ও যুদ্ধে লিপ্ত করিয়েছে। সর্বোপরী পশ্চিমা বিশ্বের নিকট মুসলিম জাতিকে জঙ্গী হিসাবে দাঁড় করিয়েছে। মুসলিমকে হেয় প্রতিপন্ন করতে আজ তা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছে। মুসলিম প্রতিবেশী বিশ্ব নেতাদের অনৈক্যেরই ফল হল আজ মুসলমানদের বাড়ীতে প্রতিনিয়ত রক্ত ঝরার মূল কারন। তাদের শত্রুরা ঠিকঠাকভাবেই এগিয়ে চলছে এ সার্থন্বেষীদের শেষ target হল সৌদিআরব ! সেদেশকেও তারা আজ যুদ্ধলিপ্ত করতে সক্ষম হয়েছে। ইয়েমেনের হুতিদের সাথে সৌদিআরব আজ প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে। দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে জাতিগত হত্যাযজ্ঞ বাধিয়ে দিয়ে এ সার্থন্বেষীদের TARGET হল মুসলিম নিধন, অস্ত্র ব্যবসা, সম্পদ দখল ও নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্টা করা। এ পর্যন্ত এহেন রক্ত ঝরানোর ঘৃন্যতম নৃশংস কাজ তারা সফলতার সাথেই করে আসছে ।
বিশ্বময় মুসলিম জাতিকে এ রক্তাক্ত পরিনতি থেকে উদ্ধার করতে পারে একমাত্র মুসলিম রাষ্ট্রনেতা ও ধর্মীয় নেতাদের ঐক্যমত। মুসলিম বিশ্ব নেতাদের বলিষ্ট নেতৃত্বেরই আজ বড় প্রয়োজন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী শতকে সম্পদশালী মুসলিম রাষ্ট্রসমুহ রক্তসাগরে ভেসে যাবে বলে আমি মনে করি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩২
ধ্রুবক আলো বলেছেন: লেখাটা খুব ভালো লিখছেন.,,,
একটা কথা হলো কি, মুসলমানদের খুব সত্বরএক হতে হবে না হলে অনেক ক্ষতি সাধন হবে! মুসলমানরা অত্যাচারিত হতেই থাকবে।