![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভয় এবং আইনের মাধ্যমে সভ্যতা ও শৃংখলা অর্জন আর ধর্মীয় অনুভূতি সৃষ্টির মাধ্যমে সভ্যতা ও শৃংখলা অর্জন আকাশ পাতাল তফাত মনে করি ! রাষ্ট্রের উচিত হল সমাজে স্হায়ী শান্তি আনয়নের জন্য মানুষের ধর্মীয় মনোভাব সৃষ্টি ও সমুন্নত করার জন্য রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়ানো ! দেখা যাচ্ছে, ধর্মই মানুষের মধ্যে মনের মানবিক গুনাবলী বৃদ্ধির শিক্ষা দেয়। বিশ্বের ৯৯.৯% দেশের প্রচলিত আইনে সে শিক্ষা নেই। প্রবাহমান প্রচলিত আইনে মানুষকে জেলে রাখার ভয় দেখিয়ে যে মন ও শুশৃংলতা অর্জন করা যায় ধর্ম সেখানে বিনা খরচেই শুশৃংখল মন সৃষ্টি করে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষকে আজ শৃংখলিত রেখেছে ! অন্যথায় এ পৃথিবীর রুপ অনেক ভয়াবহ হত ! আমি মনে করি ধর্মের কারণে মূলতঃ পৃথিবী আজ এতটুকু সুশৃংখল ! ভয় ও জোড় করে কখনো স্হায়ী শান্তি আনা যায় না। পৃথিবীর বিভিন্ন স্হানের অতীত অশান্তি এবং বর্তমান অশান্তির মূল কারণ গবেষণা করলে তাই ধরা পড়ে। প্রচলিত আইনে মানুষ মানবিক গুনাবলী অর্জনে প্রলুদ্ধ হওয়ার মত সে রকম কোন উপাদানই নেই আছে ভয় সৃষ্টির উপাদান। অন্যদিকে ধর্মে দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই বিবেচিত। অর্থাৎ ধর্ম জোড় না খাটিয়ে মানুষকে সহনশীল হওয়ার শিক্ষা দেয়। আজ মানুষের মধ্যে মানবিক গুনাবলী সৃষ্টির কোন বিজ্ঞাপন বা কোন প্রচারনা সে রকম দেখা যায় না। কিন্তু মানুষের নৈতিকতা নষ্টের লক্ষ লক্ষ বিজ্ঞাপন হাজারবার দেখা যায়। প্রচলিত আইন একদিকে নৈতিকতা হরনের বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে নিরব ভূমিকা পালন করে এবং পাশাপাশি বিপদগামী মানুষের বিচার করে জেলে পাঠানোর কথা বলে ! কিন্তু ধর্ম সেখানে মানুষকে নৈতিক শিক্ষার উপর জোড় দিয়ে কথা বলে। এ পৃথিবীর মানব প্রাণীর সৌভাগ্য যে, যুগে যুগে মহান আল্লাহ নবী রাসুল পাঠিয়ে ধর্মের বাণী শুনিয়ে মানুষকে শান্ত রাখার ক্ষেত্রে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছেন। তাই মানুষ আজও অনেক শান্ত আছে । পৃথিবী অশান্ত হওয়ার মূল কারন হল, ধর্মীয় অনুভূতিহীন মানবিক গুনাবলী বিহীন মানুষ হওয়া। আজকের বিজ্ঞানের পৃথিবী মানুষকে মানবিক গুনাবলী অর্জনের কোন শিক্ষাই দেয় না ! ধর্ম না থাকলে এ পৃথিবীর বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষকে বর্তমান প্রচলিত আইন দিয়ে এতটুকু শান্তরুপে কখনো দেখা যেত না। আমি মনেকরি আইনের খড়গ নয় ধর্মই মানুষকে শান্ত রেখেছে ! কখনো মরনাস্ত্র ও প্রচলিত এ সকল মনুষ্যসৃষ্ট আইন নয় ! সাম্য ও শান্তির পৃথিবীর জন্য মানুষের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতি সৃষ্টির শিক্ষারই আজ বড় প্রয়োজন, বিনিয়োগ সেখানেই করতে হবে। ধর্মই মানুষকে শান্ত রাখে তাই আসনু সকলে ধর্ম মেনে চলি ! তাহলেই শান্তি অবধারিত !
২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: আলোকিত ভাই, আমি কি লিখলাম আর আপনি কি শিখাচ্ছেন? প্রতিটা ধর্মেরই মূলভাবাবেগ কিন্তু ১০০ % এক !
৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হাহা!
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১২
আলোকিত মানুষ১২৩ বলেছেন: ৪)প্রত্যেক মানুষ সহজাত ভাবে তার বংশগতভাবে প্রাপ্ত ধর্মের প্রতি অসীম অনুরাগ,ভালবাসা অনুভব করে এবং নিজ পিতা মাতার প্রতি অধিক ভালবাসা ও বিশ্বাসের কারনে মানুষ তার পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকে –প্রকৃতপক্ষে পুর্ব পুরুষের ধর্ম অনুসরণের মাধ্যমে মানুষ তার সহজাত প্রবৃত্তির পুজাই করে। এ কারনে দেখা যায় যে ব্যাক্তি যে বংশে জন্ম গ্রহণ করেছেন বা যে গোষ্ঠি দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছে সে বংশ থেকে প্রাপ্ত প্রথা ও আর্চনাই সে করে থাকে যদিও তাকে দেখানো হয় তার ধর্মের কিতাবে উক্ত প্রথা বা আর্চনার কথা লেখা নেই।
এক কথাই বললে বলতে হয় প্রত্যেক মানুষ তার ধর্মের পুজা প্রকৃতপক্ষেও করে না প্রকৃতপক্ষে জন্মগত পাওয়া ধর্মের প্রতি সহজাত চরম অনুরাগের পূজা করে থাকে।এ দিক থেকে সকল ধর্মের মানুষ সমান।সকল ধর্মের মানুষই এই একটি জিনিষকেই পূজা করে।আর মানুষের এ সহজাত দুর্বলতা স্রষ্টারই সৃষ্টি।
স্রষ্টা যদি মানুষকে তার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করে থাকবেন তাহলে এ দূর্বলতা দিয়ে সৃষ্টি করার কথা নয়।মানুষকে তো সৃষ্টি করা হয়েছে তার কর্মের পরীক্ষার জন্য, বিশ্বাসের পরীক্ষার জন্য নয়।আর সহজাত যে দুর্বলতা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে তা বিশ্বাস আনার পথে বড় বাধা।নিজে মুসলিম বংশে জন্ম নেয়াই অন্যকে্ এরুপ কথা অতি সহজে বলা সম্ভব যে বিবেক বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করলে বুঝা যায় ইসলাম সত্য, বাস্তবে নিজে নিজ বংশিয় আবেগের বাইরে কতটুকু চিন্তা করতে সক্ষম তা হয়ত বিশ্লেষণ করার যোগ্যতাও হয়ত আপনার হয়নি।
প্রত্যেক ধর্মের লোকেরাই যেহেতু সহজাতগতভাবে তার বংশীয়গতভাবে প্রাপ্ত ধর্মের প্রতি যে অনুরাগ সে অনুরাগের পুজা করে আর এ অর্থে সবাই একই বিষয়ের পুজা করে। এদিক থেকে সব ধর্মাবলম্বী প্রকৃতার্থে একই ধর্মের অনুসারী তথা স্ব-ধর্মের প্রতি সহজাত আসক্তি নামক ধর্মাবলম্বী। উল্লেখ্য স্ব-ধর্মের প্রতি দূর্বলতা স্রষ্টারই দেয়া।সে দূর্বলতার জন্য স্রষ্টা তাকে শাস্তি দিবেন এটা কতটুকু গ্রহণযোগ্য? এটা থেকে বুঝা যায় স্রষ্টা কোন বিধান দেননি।