নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা, শিশু ও প্রকৃতি নিয়ে ভাবি !

গাজী ইলিয়াছ

সমাজের প্রবাহমান সমস্যা নিয়ে চিন্তা করি।

গাজী ইলিয়াছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গনতন্ত্রের এহেন ধনতন্ত্র রক্ষার জন্যই আমাদেরকে মরনাস্ত্র উৎপাদন করতে হয় এবং করেই যাচ্ছি, ভয়াবহ পরিনতি অপেক্ষমান নয় কি?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

বন জঙ্গলে গেলে হিংস্র পশুর থাবা থেকে রক্ষার জন্য আমাদের যেমন অস্ত্র রাখতে হয় ঠিক তেমনি গনতান্ত্রিক দুনিয়ার ধনবান প্রভুরা আজ মানুষের থাবা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অস্ত্র উৎপাদন করে অস্ত্র মজুদ করে, মনমত না হলে তা প্রয়োগ করে রক্ত স্নান করে। আমরা যেমন পশুর নাড়িভূড়িসহ রক্ত বের করে শান্তির নিঃশ্বাস ফেলি ঠিক তেমনি সম্পদশালী এ সকল নেতারাও অনেকটা সেই রকমই কি করছে না? আজ তারা কম শক্তিশালী অভাবী বিশ্বের মানুষকে ঠিক সেই রকমেরই মনে করে বলে আমি মনে করি। আশ্চর্যজনক বিষয় হল খাবার দিলে মায়া করলে হিংস্রপশুও আমাদের পোষ মানে এবং বন্ধুর মত সম্পর্ক করে। হিংস্র পশুর ভাষা বুঝতে না পারলেও তাদের খাবার দিলে ও মায়া দয়া করলেই তারা obedient হয় এবং আমাদের নিরাপত্তায় চোখ কান সরাক্ষনই খোলা রাখে। অথচ মানব কূলের সব ভাষাই আমরা বুঝি। কি তাদের সমস্যা সহজেই তা অনুমেয়। আজ দুঃখ হল হিংস্র পশুর পোষ মানা থেকেও আমরা তা শিখি না। কেন পোষ মানা পশুর কাছে গেলে এখন আমাদের অস্ত্র লাগে না ? কেন সে আমাদের নিরাপত্তায় সদা মশগুল? গবেষনা করুন? সাধারন জ্ঞান ব্যবহার করুন? খুবই simple, তাকে খাবার দিই এবং মায়া করি। যা আজ এ বিশ্বের আসল শান্তির জন্য খুবই দরকার। খাবার দিন, মায়া দিন অভাবীকে, সে আপনার নিরাপত্তায় জীবন দিতেও দ্বিধা করবে না। তা না করে ধনতন্ত্রের হিংস্র সঃজ্ঞা শিখে সম্পদের পাহাড় গড়ছি আর তা রক্ষার জন্য মানুষকে পশু মনে করে তাদের নাড়িভুড়ি বের করার জন্য অস্ত্র উৎপাদন করছি। তবুও আমার জাত যাঁদের ভাষা আমি বুঝি, যাঁদের শিশুর আচরন হাসি কান্না আপনাদের শিশুর মত তবুও তাদের খাবার দিবেন না। এটি কখনো গনতন্ত্র হতে পারে না, এটি হল আপনাদের বড় ভুলের এক হিংস্রতন্ত্র ! যার জন্য আপনাদেরকে অস্ত্রই উৎপাদন করতে হবে। তবে এটি ভুলে গেলে চলবে না আপনারা এখনো প্রকৃতির থাবার কাছে অসহায়। এ পৃথিবী এভাবে চলতে থাকলে মানুষের থাবাও প্রকৃতির থাবার মত হবে বলে আমি মনে করি কারন সংখ্যায় আপনারা কমতেই থাকবেন। আপনার অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় কাজ করার জন্য তখন বৈজ্ঞানিক ও শ্রমিকেরও বড় অভাব হবে । আপনার এহেন শৃংখল তখন ভেঙ্গে পড়বে । বাংলার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ভাষনে শুনেছি আমাদেরকে অস্ত্র দিয়ে দমিয়ে রাখতে পারবে না। It is very true! অস্ত্র দিয়ে দমিয়ে রাখা যায় না যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জান্তা পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার তা পারেনি। এ পৃথিবীতে এ ধরনের অনেক উদাহরন বিদ্যমান সাময়িক দমিয়ে রাখা যায়, চিরস্হায়ী ভাবে কখনো নয়। ছোটভাবে চিন্তা করলে ব্যাক্তির ক্ষেত্রেও অনুরুপ হয়।
তাই বলছি গনতন্ত্রের ধনবান প্রবক্তারা, গবেষনা করুন বের করুন কোথায় আপনাদের বড় ভুল হচ্ছে ? আপনার এবং পশুর আবেগ ও মায়াকে গবেষনা করুন, সর্বোপরি প্রকৃতিকে গবেষনা করুন তাহলেই ধরতে পারবেন আপনাদের ভুল! অতঃপর গবেষনার ফল অনুযায়ী হাঁটুন সে পথই হবে চিরশান্তির। বন্ধ করুন অস্ত্র উৎপাদন। আপনাদের ধনতন্ত্রের সাথে সম্পদ পুনঃবন্টনের বাধ্যতামূলক formula রাখুন অনেকে charity বলে ইসলামে তা যাকাত বলে(সম্পদশালীদের জন্য যা বাধ্যতামূলক) অন্যথায়, আপনাদের করুন পরিনতি খুবই নিকটে। প্রকৃতির থাবার সাথে মানুষের থাবাও ভয়াবহ হবে। যা হয়তঃ ব্যাপক গৃহযুদ্ধে রুপ নিবে, লুট হবে আপনাদের গুদামের অস্ত্র ও সম্পদ এবং খুন হয়ে রক্ত বেরুবে আপনাদের এবং আরও অনেকের যা হয়ত আমরা কেউই চায় না। তাই আসুন, অস্ত্র এবং জমিয়ে রাখা সম্পদকে না বলি। প্রিয় শিল্পী ভূপেনের "মানুষ মানুষের জন্য " - এ গানকে রপ্ত করি, মহা মনীষীদের অনুসরন করি, অভুক্তকে খাবার দিই, পিড়ীতকে সাহায্য ও মায়া করি এবং প্রতিবেশীর খবর নিই তাহলেই শুধুমাত্র অস্ত্রবিহীন সত্য নিরপত্তা বলয়ে এ পৃথিবী নিরাপদ ভাবে প্রবাহমান হবে বলে দৃঢ বিশ্বাস রাখি। আজ এ হোক আমাদের দীপ্ত শপথ। দয়াপূর্বক।

গাজী ইলিয়াছ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

সাইন বোর্ড বলেছেন: ভাল ভাবনা ।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

বিজন রয় বলেছেন: যুদ্ধ চাই না।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মানবিক ভাবনা। শান্তি বজায় রেখে চলার চেষ্টা করি।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: মুক্তি তো এতো সহজ নয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.