নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মা, শিশু ও প্রকৃতি নিয়ে ভাবি !

গাজী ইলিয়াছ

সমাজের প্রবাহমান সমস্যা নিয়ে চিন্তা করি।

গাজী ইলিয়াছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চোখ, মন আর মানুষ এবং এ পৃথিবীর পতন!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

চোখে আমরা যা কিছু যেভাবে দেখি আমাদের মনও সেভাবেই তৈয়ার হয়। চোখ তার সামনের পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে দেখে তার মনের স্পৃহা নির্ধারণ করে। আমাদের স্পৃহা আজ এমন জায়গায় দাঁডিয়েছে যা আমাদের অজান্তেই হিংস্র এবং চরম অপব্যয়কর! সেই হিংস্র ও অপব্যয়কর স্পৃহা নিজের পতনের সাথে সাথে ভবিষ্যত পৃথিবীকেও পতনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
আজ আমাদের ভাবতে হবে নিজের চোখ এবং ছেলেমেয়েদের চোখ কে কোথায় রাখছি?তাদের কি স্পৃহা দানা বাঁধছে? আমি পড়ালেখা করেছি আমার কামাই রোজগার ভাল তাই আমি উন্নতভাবে জীবনযাপন করছি। সে উন্নত জীবনের সাথে আজ অপব্যয় দারুনভাবে জড়িত। এ জীবন আমার বা আমাদের চোখ দেখে দেখেই শিখেছে। আমাদের সাথে বসবাসরত ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সকলকে চোখে দেখার এমন পরিবেশে আবদ্ধীকরণ করে ফেলি যাতে তারাও আজকের চলমান সক্ষমতার এক অপব্যয়কর পরিবেশের দিকে ধাবিত হয়। এভাবে চোখে দেখে দেখে আমরা সক্ষমরা এমনভাবে মনকে তৈয়ার করি যে মনের স্পৃহা হল, তথাকথিত স্বার্থপর অপব্যয়ের জৌলুশময় এক জীবনযাপনে অব্যস্থ হয়ে পড়া। একের পর এক আমরা আমাদের সক্ষমতাকে চরম অপব্যয়ের দিকে ধাবিত করি। চোখে দেখা এক সৌখিন জীবন পার করতে করতে তার চেয়ে আরও অপব্যয়কর জীবনের দিকে আমাদের মনের স্পৃহা প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছে। কারন আমরা সক্ষমরা সে গন্ডিতেই বিচরণ করি। বিষয়টা এমন আমি যদি বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের মত বাসা বানিয়ে সে রকম আসবাবপত্র লন সমৃদ্ধ বাড়িতে থাকতে পারতাম? তিনিও তা দেখে দেখেই শিখেছেন। চোখ ঐ পরিবেশের দিকেই আবদ্ধ! সমাজের সক্ষম শ্রেণীর মন এ জায়গায়ই অসুস্থ বলে আমি মনেকরি। কারন সে সক্ষমতা অর্জনের সাথে সাথে তার চোখকে এমন এমন জায়গায় বিচরণ করাই বা করিয়েছে যে কারনে তার মনের স্পৃহাও সে রকম হয়েছে। তাঁরা সেরকম মানবিক কষ্টের পরিবেশে যায় না। যা কারণে তাঁদের চোখ কষ্ট যন্ত্রণা এগুলো দেখে না, পক্ষান্তরে মনেও কষ্টে ঝাপিয়ে পড়ার স্পৃহা সৃষ্টি হয় না। তাঁরা মুনাফার প্রবৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে মিলিয়ে অপব্যয় করার দিকেই ধাবিত হয়। সমাজের এ শ্রেণীর মন আজ মানুষের অভুক্ততা অসুস্থতা অসহায়ত্ব নিরসনের দিকে ধাবিত না হয়ে অপব্যয়কর পরিস্থিতির দিকে দ্রুততার সাথে ধাবিত হচ্ছে । কারন হল সে তার চোখ এবং তার পরিবারের সকলের চোখকে ঐ পরিবেশেই সর্বক্ষণ নিবদ্ধ রাখে। অার এ চোখে যে মন তৈয়ার হয় বা হতে পারে তার জন্য অপব্যয়কর ক্ষেত্র সৃষ্টির গবেষকরাও আজ সে সব কিছু সৃষ্টি করে চলছে। যে কারনে এ পৃথিবী হচ্ছে রুক্ষ! কারন বেশীরভাগ মানবপ্রান( আমার গবেষণায়) কষ্টে থাকলে পৃথিবী রুক্ষ হবেই এবং পুরো প্রকৃতিই বিক্ষুদ্ধ আচরণ করবে। কারন প্রান আর প্রকৃতি হল বড় বন্ধু! প্রাণের যন্ত্রনা প্রকৃতির নিয়ন্ত্রক সহ্য করেন না! বস্তুতঃ সক্ষমরা প্রাণের যন্ত্রনাকে নিবারণের ব্যবস্থা না নিয়ে এভাবে চললে এ পৃথিবীই একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে শুধুমাত্র আমাদের চোখের দেখা মনের ক্রিয়ার কারনেই। অন্যদিকে, অামরা সক্ষমরা আমাদের নীজের সহ পরিবারের সকলের চোখকে যদি অসহায়দের কষ্ট দেখা এবং তা অনুভব করার দিকে নিমগ্ন করি তাহলে আমাদের সকলের মনের স্পৃহা তৈয়ার হবে মানুষের কষ্ট কিভাবে নিরসন করা যায় সেদিকে। তখন এ প্রকৃতিও সুবাতাস দিবে। আজ প্রজন্মের পর প্রজন্মের এ চোখ মনেরই দরকার যদি এ পৃথিবীকে পতন থেকে ঠেকাতে হয়। কিন্তু আজ দুঃখজনক হলেও চরম সত্য, আমাদের চোখকে আমরা মানুষের কষ্ট যন্ত্রণা দেখা বা নিরসন করার দিকে ধাবিত না করে ঠিক বিপরীত ভাবে রেখে আমরা চলছি। এরকম বিপরীত মেরুতে চোখ রাখার কারনে বেশীরভাগ মানবপ্রানই চরম অন্তরজ্বালায় দিন পার করছে। আর মানুষের এ অন্তরজ্বালায় মহান সৃষ্টিকর্তা সহ্য করেন না। যে কারণেই তিনি প্রকৃতির বিক্ষুদ্ধতার মাধ্যমেই এ পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। কারন বেশীরভাগ প্রাণের সীমাহীন কষ্ট মহান কখনো সহ্য করেন বলে মনে করি না। এর জন্য দায়ী তো আমরাই।এভাবে চোখ রেখে রেখে চললে ওরকম মন তৈয়ার হবেই এবং এভাবে চলতে থাকলে সুস্পষ্টভাবে অনুমিত হয় যে, এ পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার সময়ও আর হয়ত বেশী দূরে নয়! মনে রাখতে হবে প্রাণ ,পৃথিবী এবং এ প্রকৃতি একই অংগে অর্থাৎ এক সূত্রে গাঁথা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!
সবার দৃষ্টি কেবল উপরের দিকে থাকে।।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

সাইন বোর্ড বলেছেন: সুন্দর অায়োজন ।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মন আর মানুষ থাকে একদিকে , কিন্তু এদেরকে যার মাধ্যমে দেখব সেই চোখ ই থাকে অন্য দিকে!

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অথচ ওদের কোনো উন্নতি হয় না।

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: আমাদের লেখাপড়া, সমাজ, সংস্কৃতি এসব ছবি বা বিষয়গুলো উপেক্ষা করে চলে, আমাদের ছেলেমেয়েদের শুধু উপরের তলা দেখাই, নিচের দিকে দেখতে নিষেধ করি, অথচ শিশুরে রাস্তায় পথের পাশে শুয়ে আছে ধুলোবালীর উপর ঘুমাচ্ছে তাদের নিয়ে ভাবার কিছু আছে সেটা আমরা নতুন প্রজন্মকে দেখাইনা, শেখাইনা উল্টো নোংরা বলে এড়িয়ে চলার সবক দিই।

ভালো পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.