![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কষ্টের কাছে আমরা যায় না! কষ্টের গল্প আমরা শুনি না। চোখে পানি আসে মানতে পারিনা! একদিন মেয়ে দুটো কে নিয়ে খোলা আকাশের নীচে শুয়ে ছিল রাত ১২.৩০ টার সময় আমার তোলা সে ছবিও এফ বি তে দিয়েছিলাম। আজ আবারও দেখা হল সময় ছিল বলে শুনলাম করুন এক গল্প! চোখে পানি ঊনার যেমন আসছিল আমারও আসছিল। পাঁচ মেয়ের মা ড্রাইভার স্বামীর ঘরে ভালোই ছিল। টাংগাইলে স্বামীর বাড়ি একটি ঘর ছিল সে ঘর থেকে শাশুড়ি তাড়িয়ে দিয়েছে। স্বামী নাকি অন্যত্র বিয়ে করে এ পরিবারে অাসেন না অনেকটা নিরুদ্দেশ। সে কাজ করে করে কোনরকম চলছিল কিন্তু শাশুড়ি ও ভাসুরের ছেলেরা তাকে ঘর ছাড়া করে। তিন মেয়ে বোনের বাড়ি রেখে সে এ দু মেয়ে নিয়ে এখন ঢাকার খোলা আকাশের নীচে রাত কটাচ্ছে গত দশ দিন ধরে। তার বাবার পরিবারের লোকেরা বলে তার মেয়েদের রেখে বাবার বাড়ি চলে যেতে। বলল, বলেন আমি কিভাবে এ দুটো মেয়েকে রেখে চলে যায়?? সে বারবার বলছিল ভাই, আমি অনেক কাজ পারি আমার ঘর দরকার। কাজ করে খেতে চায় সে। বলল স্পিনিং মিলের মেশিন চালনার কাজ ও সেলাই কাজ সে পারে। বারবার বলছিল কাজ করে সে খেতে চায়। এখন তার হাতে কিছুই নেই। অনেক শুনে তাকে আশ্বস্ত করলাম ঘরের ব্যবস্হা আমি করব। বন্ধুরা ইদানিং আমার এ কাজে কিছু সহযোগিতা দিচ্ছে। তাদের এ সহযোগিতা কে আমি কাজে লাগাব ইনশাআল্লাহ! নতুবা বন্ধুদের কাছে এদের জন্য ভিক্ষা করব। পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় ছোয়াবের কোন কাজ আছে বলে মনে করি না। মানুষের অসহায়ত্ব আর অভুক্ততা আমাকে অস্থির করে আমি থাকতে পারি না। আজও কিছু অভুক্ত শিশুকে খাওয়েছি। তাদের খুশী আমার প্রানের দারুণ এক খাদ্য।
যাহোক, এ পরিবারকে ঘরে তোলার ব্যবস্হা করেছি তাকে পাঁচশো টাকা দিয়ে তার বাবার বাড়ি কুড়িগ্রামে পাঠালাম।পকেটে যা ছিল তা দিয়েছি বলল ট্রেনে উঠে যেতে পারবে। মোবাইল নং দিয়েছি ওখানে গিয়ে হাজার দু'হাজার টাকার মধ্যে বাসা নিতে বলেছি। বন্ধুদের বলব তা দিতে। সে বারবার বলছিল থাকার ঘর পেলে তিনি কাজ করে খেতে পারবে। বড় মেয়ে নাকি আই এ পড়ে। এ সব শুনে খুবই খারাপ লাগছিল!
ভাবলাম, আমরা মানুষেরা কষ্টের পাশে যায় না বলে মানুষের মানবিক আজ এ পতন! আমাদের বড় সমস্যা হল অর্থ সামর্থ্য হলে আমরা অপব্যয়ের পাশে বা কাছে যেভাবে যায় সেভাবে আমরা মানুষের কষ্ট যন্ত্রণার পাশে যায় না! যে কারনে মহানের দেয়া সত্য আবেগ মানবতার দিকে ধাবিত না হয়ে অপব্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে গাণিতিক হারে। এখানেই শয়তানের বিজয় মানুষের পরাজয় ঘটে চলছে! শয়তান অপব্যয়ের ক্ষেত্র সৃষ্টি করে করে মানুষের সামর্থ্য কে সেদিকে নিয়ে চলছে অন্যদিকে মানবতা নিস্পেসিত বা উপক্ষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত! যে কারনে মহানের প্রকৃতিও বিক্ষুদ্ধ হচ্ছে। কেননা এ প্রকৃতি ও প্রাণ হল একে অপরের পরম বন্ধু! প্রণের উপর নির্যাতন বা অত্যাচর প্রকৃতি কখনো সহ্য করে না। প্রকৃতি ও প্রাণের এ অসহ্য যন্ত্রনা য় হবে এ পৃথিবীর পতন বা ধ্বংস হওয়ার মূল কারণ। যা আমার নিকট বৈজ্ঞানিক সূত্রের মত ধরা পড়ে। মানবতার সাথে হারিয়ে আমি দেখেছি এ প্রকৃতি কত মধুর আচরণ করে! আমি অভিভূত হয়ে যাই! জীবনের সবকিছু যেন অসহায়ের জন্য হয় সেই দোয়া করবেন।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহপাক দরিদ্রদের বেশি পছন্দ করেন। এই জন্য দরিদ্র মানূষের সংখ্যা বেশি।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০
বাকপ্রবাস বলেছেন: মানুষের কাছে মানুষ কেন এতো অসহায়............
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০১
আতোয়ার রহমান বাংলা বলেছেন: শয়তানের বিজয় মানুষের পরাজয় ঘটেই চলছে!
চোখে পানি চলে আসলো
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার প্রচেষ্টা মহান; আপনার কর্ম আপনাকে মহান বাংগালীতে পরিণত করবে।
৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আল্লাহ আপনার সহায় হোন।
ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করার ইচ্ছা রইল।
৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য!
কিন্তু সে মানুষ আজ কোথায় ?
৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৭
প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: "আমাদের মাঝে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।"
আপনার বাস্তব প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ দিবনা। কারণ আপনি মিশন ইম্পছিবল হাতে নিয়েছেন। এগিয়ে যান। দেশের কোন এক অজ কোণ থেকে আপনার প্রচেষ্টার মত প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪
নজসু বলেছেন: আপনার প্রতি শ্রদ্ধা।