![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পংগু ফারুক এর সব কাহিনী বন্ধুরা সকলেই জানেন। ঘুমন্ত অবস্থায় ট্রেন থেকে পড়ে এক হাত এক পা হারিয়েছিল। অন্য পা টিও পচন ধরে হারাতে বসেছিল। নিজ দায়িত্বে ঐ পা এর চিকিৎসার নিমিত্তে পংগুতে ভর্তি করিয়ে দুই মাস চিকিৎসা করালাম। ঐ সময়েই ওর কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে মাকে খুঁজে বের করলাম। সাড়ে চার বছর পর মা এর সাথে মিলন ঘটালাম। মা সহ হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা হল। দুইমাস পর হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে মা এর নিকট একমাস থাকল। মা এর বাসায় প্রতিদিনই মা ছেলের ঝগড়ার খবর পেতাম। তারপরও প্রতিদিন কাউন্সিলিং করে করে তাদের একসাথে থাকার পরামর্শ দিতাম। তাদের মাসিক পারিবারিক খরচও দেয়া হতো। সব খরচই বহন করতেন ইউএসএ প্রবাসী দুজন সিলেটী ভাই। তাঁদের অংগীকার সারাজীবন তাঁরা ফারুক ও তার মাকে অার্থিক সহযোগিতা করবেন। এ পর্যন্ত সব খরচই দিয়েছেন বিশেষ করে ইউএসএ প্রবাসী সাজ্জাদ ভাই।
প্রতিদিন ফারুকের মা এর সাথে যোগাযোগ করে যা শুনতাম তা সুখকর নয়। তার মা কাজে গেলে ফারুক ভিক্ষা করে গাঁজার নেশায় হারিয়ে যেত। মাকে কোনমতেই মানছিল না। যাহোক তারপরও তার মাকে পরামর্শ দিতাম চিটাগাং মেডিকেলে দেখিয়ে ওর চিকিৎসা নিতে। কিন্তু তার মা চরম তিক্ত বিরক্ত! বিষয়টা এমন বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না ইহা দূরেও ঠেলিয়া দেয়! তার মা কিছুতেই তাকে ম্যানেজ করতে পারছিল না। কারন ফারুক চরম গাঁজা আসক্ত। দীর্ঘ কাল পথে থাকতে থাকতে সে এ নেশায় মত্ত।
আজ অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, ফারুক তার পূর্বের জায়গা বিমান বন্দর রেল স্টেশনে হুইলচেয়ার নিয়ে ফেরত এসেছে। জিগ্যেসাবাদে বলল, তার মা নাকি তাকে চট্টগ্রাম থেকে তূর্ণা নিশীতা ট্রেনে তুলে দিয়েছে। মনে অনেক কষ্ট পেলাম। আমি অনেক কষ্ট করেছি ছেলেটার জন্য। হেরে গেলাম সর্বনাশা মাদকের কাছে। এদের সাথে মিশে যা আমি হাঁডে হাঁডে টের পায় মাদক যে কি সর্বনাশা? সবগুলো পথশিশুই পথে থাকতে থাকতেই আসক্ত হয়ে পড়ে। তাদের বড় প্রয়োজন মাদকের চিকিৎসার। প্রয়োজন সে রকম চিকিৎসা সম্বলিত আবাসিক বাসস্থান। নতুবা এ পরিণতিই হবে! ছেলের এ অবস্থা ম্যানেজ করতে না পেরে আদরের একমাত্র ছেলেকেও মা ছুডে ফেলে দিয়ে থাকতে চাই। গরীব মা বাসায় কাজ করে নীজের পেটে ভাত জুটিয়ে চলে। এর মধ্যে এ অশান্তি সহ্য করতে না পেরে প্রিয় ছেলেকে আবার পথেই ছেড়ে দিয়েছেন। মূল কারন হলো মাদকের নেশা। নেশা আজ বড় সর্বনাশা। তথাপিও মন মানছিল না অসুস্থ অন্য পা টি এখনো একটু একটু কাঁচা ফলোআপ ট্রিটমেন্ট এর জন্য আবারও পংগু হাসপাতালে পাঠানোর চিন্তা করছি। এভাবেই সত্য সঠিক কেয়ারের অভাবে অনেক অসহায় এতিম শিশু পথে আসে আর মাদকাসক্ত হচ্ছে। তাদের জীবনের পরিনতি সমাজের জন্য ভয়ানক ও বিভীষিকাময়। বড় দুঃখের! প্রয়োজন এ সকল শিশুদের জন্য সরকারের যথোপযুক্ত প্রকল্প হাতে নেয়া।
দয়াপূর্বক!
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭
বিজন রয় বলেছেন: কঠিন অবস্থা।
আমাদের সমাজটা ভেঙে পড়েছে!
আপনি কেমন আছেন?
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আহারে----
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭
গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: বিজন রয় : ভাল আছি।
৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: খুব ভয়ানক পরিস্থিতির শিকার হচ্ছি আমরা। আমাদের দেশের সরকার ও দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের এই বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মাদক বিরোধী কর্মসূচী আরো দিন দিন বাড়াতে হবে।
৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫২
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: কাউন্সিলিং এ মনে হয় কাজ হবেনা ওর লাঠি থেরাপি দিলে কিছুটা কাজ হতে পারে। ঠ্যালার নাম বাবাজী
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৯
সনেট কবি বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।