![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিম্নবুদ্ধির কসাই মানব।
জানিনা কি লেখা উচিৎ।
মন চাইছে কিছু লিখতে। মনের চাওয়াকে অগ্রাহ্য করতে নেই, সবসময় তো আর সে বেচারা শখ-আহ্লাদ করেনা! তাই লিখতে বসা।
বলা যায়, অনেকটা নিজের অস্তিত্বকে জানান দেয়া, এই শোন, শোন... আমি কিন্তু আছি এখানে। জানি, কেউ কোনদিন এই অর্থহীন বাংলা কিপ্যাডের কিছু উল্টা-পাল্টা টাইপ পড়ে দেখবে না। নতুন এই জগৎটায় এলাম, তাই জানাতে ইচ্ছা হলো। জানাচ্ছি।
এই জগৎটা সম্পর্কে লোকমুখে অদ্ভূত কুৎসিত সব কথা শুনেছি। একের পর এক ব্লগার হত্যা হতে দেখছি। ব্লগ-- নিষিদ্ধ শব্দগুলোর একটা এখন।
মানবচরিত্র বড়ই রহস্যময়, তাকে যেটা করতে নিষেধ করা হয়, সে সেটাই করে। দোষ আমার না। দোষটা পূর্বপুরুষের। আদম-হাওয়া সেই নিষিদ্ধ গন্ধম ফল অতি কৌতূহল এবং সোৎসাহে না গিলে ফেললে এই লেখাটা বোধহয় এখন স্বর্গের হুরদের দুই বগলের তলে নিয়ে বাকবাকুম করতে-করতে লিখে ফেলতাম।
যেহেতু এই মাটির পৃথিবীতে একটা চারতলা ইটের নড়বড়ে দালানের চতুর্থতলার একটা চুন-সুরকি, পলেস্তারা খসে পড়া ছাদের নিচে ঘুণে ধরা বিছানায় শুয়ে-শুয়ে টাইপ করছি... সেহেতু, আমার পূর্বপুরুষের চরিত্রের দোষটা যে আমার রক্তেও বইবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। না?
প্রথমে ছিলাম একজন সাধারণ ডায়েরী লেখক। কতো কি যে লিখতাম সেখানে... অভিমানের কথা, কষ্টের কথা... লিখতে লিখতে কখনো কখনো ডায়েরীর পাতা ভিজে জবজব করতো। তারপর হলাম একজন ফেসবুকার। ফেসবুকে চললো শুধুই মজার কথা, আনন্দের কথা লেখা। অভিমান, হতাশা, কষ্টের কথাগুলো এড়িয়ে যেতে থাকলাম। ফেসবুকের এতো এতো মানুষের সামনে নিজের কষ্টগুলোকে বাজার করে দেয়ার কোন মানেই হয়না। টাইমলাইন হয়ে উঠলো আনন্দময়। কিন্তু কষ্টের কথাগুলো লিখতে না পারা... দু ফোঁটা চোখের জল লেখার উপর ফেলতে না পারাটা বড় আক্ষেপের।
ইদানিং সবকিছুই দেখি ফেসবুক নির্ভর। ফেসবুক গ্রুপের ভেতর নোটপত্র আদান-প্রদান, ক্লাসের সময়, পরীক্ষার সিলেবাস, অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কোন সেমিনার বা ট্রেনিংয়ের নোটিশ... সবকিছুই চলছে। মোবাইল ফোনের মতো ফেসবুকও একটা নিত্যব্যবহার্য আবশ্যিক বস্তুতে পরিণত হয়ে গেছে। শুধু গ্রুপ নোটিফিকেশনই না, মোবাইল বা পিসির গেমসগুলোও দেখি ইদানিং ফেসবুকের আইডি লিংক চায়, গেমসের পেজগুলোতে লাইক দিলে বোনাস-টোনাসও পাওয়া যায়। বিশাল বড় হুলুস্থূল ব্যাপার-স্যাপার! বিশাল বড় ব্যবসা গড়ে উঠেছে ফেসবুককে কেন্দ্র করে।
তো, সেখানেই পেলাম বহু ব্লগারকে। বোধহয় ব্লগ লিখে পোষাচ্ছে না, তাই ফেসবুকেও লেখালেখি তাদের। ব্লগের এই ছদ্মনামের জগৎ থেকে ফেসবুকের ক্যাপশন-ছবিওয়ালা আসল পরিচয়ের জগতে হাইপারজাম্প দিয়ে তারা নিজেদেরকে প্রকাশ করে দিচ্ছেন।
এদেশের মানুষ খুব কমই জানে ব্লগ সম্পর্কে। একের পর এক ব্লগার হত্যা হতে দেখে সাধারণ মানুষ চিন্তা করছে, ব্লগাররা এমন ঝাঁকে-ঝাঁকে খুন হচ্ছে কেন, খারাপ কিছু না লিখলে মানুষ কেনই বা খুন করতে যাবে? অর্থাৎ, চিন্তাভাবনা গড়িয়েছে এমন... 'রতনে রতন চেনে, জঙ্গীরা চেনে ব্লগার।' তাই, দেশের মানুষ খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছে না এসব খুন-খারাবির ব্যাপারে। যেন খুন হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা যে এখনো গুষ্টিসুদ্ধ, দেশসুদ্ধ খুন হয়ে যাইনি... সেটাই বরং অস্বাভাবিক।
অনেক অনেক নেতিবাচক কথা শুনেছি ব্লগ সম্পর্কে। বেশ কজন বেশ নামডাকওয়ালা ব্লগারকে কাছাকাছি পেয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ব্লগ লেখেন কেন? উত্তর পেয়েছি, সদুত্তর পাইনি। সদুত্তর পাওয়ার জন্যে এলাম এখানে। আর এসেছি নিজের চোখে দেখতে, কি এমন কারণ... যার জন্যে একজন মানুষের লেখার প্রতি আরেকজনের তীব্র ঘৃণা জন্মাতে পারে, সেই ঘৃণা থেকে মানুষ খুন করার স্পৃহা জন্মে!?
সকল নিয়মিত ব্লগারদের প্রতি শুভকামনা নিয়ে শুরু করলাম এই এলোমেলো ছন্নছাড়া ডায়েরীটা...
পার্থ মিথুনের ডায়েরী।
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬
পার্থ মিথুন বলেছেন: ধন্যবাদ। নিয়মিত নই, তবুও চেষ্টা থাকবে আপনাদের সাথে একই পথে চলার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম। আপনার পথচলা সুন্দর হোক