নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন নীরব, আমি একা চীৎকার করি \n-আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি।

গিয়াস উদ্দিন লিটন

এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি, হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্‌লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গিয়াস উদ্দিন লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘মালকা বানুর দেশেরে, বিয়ার বাইদ্য আল্লা বাজেরে।‘ কে ছিলেন মালকা বানু আর মনু মিয়া?

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫




৭০এর দশকের দর্শকরা শাবানা,জাবেদ অভিনিত ‘মালকা বানু’ ছবিটি দেখে থাকবেন, শুনে থাকবেন ‘মালকা বানুর দেশেরে, বিয়ার বাইদ্য আল্লা বাজেরে।/ মালকার বিয়া হইবো, মালকার বিয়া হইবো, মনু মিয়ার সাথেরে।‘’গানটি। আমাদের সমৃদ্ধ লোকসাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে মালকাবানু ও মনুমিয়ার প্রেমের উপাখ্যান। এই প্রেমকাহিনী তখন সারাদেশময় আলোড়ন তুলেছিলো। তাদের প্রেম উপাখ্যান কোনো রূপকথার গল্প নয়, মালকা বানু মনু মিয়ার প্রেম উপাখ্যান ছিল বাস্তবভিত্তিক প্রেম কাহিনী।


ইতিহাসের কিংবদন্তি মনুমিয়া-মালকা বানুর প্রেম কাহিনী নিয়ে গল্প, নাটক, সিনেমা অনেক হয়েছে। দেশজুড়ে এক সময় দলবেঁধে মানুষ মনুমিয়া-মালকা বানুর গল্পকাহিনী শুনত। ইতিহাসের এ কিংবদন্তি মনু মিয়ার স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার শোলকাটা গ্রামে।
আর মালকা বানুর স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সরল ইউনিয়েনে। এখানে ইতিহাসের নিরব সাক্ষী হয়ে আছে মালকা বানুর মসজিদ ও দীঘি।

প্রায় তিনশ’ বছর আগে মনুমিয়ার পিতা শেরমস্ত খাঁ ছিলেন দিল্লির সম্রাট শাহজাহানের পুত্র বাংলার নবাব শাহ সুজার প্রধান সেনাপতি।
পরবর্তীতে আরাকান রাজ্যের অধীন রামুর চাকমা কুলের রাজা ছিলেন এই শেরমস্ত খাঁ। তিনিই আনোয়ারা উপজেলার শোলকাটা গ্রামে বসবাস করতেন। এরই সূত্র ধরে মনুমিয়া-মালকা বানুর বসবাস হয় এ গ্রামে। শেরমস্ত খাঁর একমাত্র পুত্র ছিলেন মনুমিয়া। ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে রাজকীয় ফরমান মূলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে চলে যায় চট্টগ্রাম। তারও বহু বছর আগে শেরমস্ত খাঁ আরাকান রাজ্যের অধীন সমুদ্র, পাহাড়, লাল-সবুজ টিলা আর পবর্তঘেরা দেয়াঙ রাজ্য তথা বর্তমান আনোয়ারার পশ্চিম শোলকাটা গ্রামে এসে বসতি শুরু করেন। মনু মিয়ার পিতা শেরমস্ত খাঁ এতই প্রভাবশালী ছিলেন যে, রামু থেকে চকরিয়া, বাঁশখালী, সাতকানিয়া এবং আনোয়ারা পর্যন্ত বিশাল ভূ-সম্পদের অধিকারী ছিলেন তিনি। তার অধীনে ছিল ছোট ছোট বহু জমিদার।

শেরমস্ত খাঁর তিন সন্তান। তাদের মধ্যে একজন জবরদস্ত খাঁ ওরফে মনুমিয়া। অপর দু’জন হলেন বুড়াবিবি চৌধুরানী ও কালাবিবি চৌধুরানী। পিতার মৃত্যুর পর বিশাল জমিদারীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেরমস্ত খাঁর একমাত্র পুত্র মনুমিয়া। তবে তাদের জমিদারির সময়কাল সম্পর্কে, সঠিক কোনো তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায়নি।

তবে আনোয়ারা উপজেলার পশ্চিম শোলকাটা গ্রামে মনুমিয়ার রাজপ্রাসাদ ছিল। এটি প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিনশ’ বছর আগের ইতিহাস। এখন মনুমিয়ার বিশাল এই বসতভিটায় কোনো রাজপ্রাসাদ নেই। কালের পরিক্রমায় এখানে গড়ে উঠেছে পাকা,কাঁচা-পাকা ছোট-বড় অসংখ্য বসতি। তবে তার এই বসতভিটা এবং বিশাল এলাকাজুড়ে বহু স্মৃতিচিহ্ন আজও কালের সাক্ষী হয়ে আছে। বসতভিটার সামনে এবং পেছনে তৎকালীন নির্মিত দীর্ঘ প্রাচীরের অস্তিত্ব আজও বর্তমান। পোড়া মাটির তৈরি বিশেষ ধরনের ইট দিয়ে তৈরি প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষ এখনো চোখে পড়ে। এক ইঞ্চি মোটা এবং পাঁচ থেকে ছয় ইঞ্চি চওড়া এ ধরনের ইট মোগল আমল কিংবা তারও আগের সময়কার বিভিন্ন স্থাপনায় দেখতে পাওয়া যায়।

মনু মিয়ার বসতভিটার চারপাশে প্রায় দেড় থেকে দুই হাত চওড়া উঁচু প্রাচীরের অস্তিত্ব আজ থেকে বিশ-পঁচিশ বছর আগেও ছিল। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধীরে ধীরে সব হারিয়ে যেতে বসেছে। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য স্মৃতিচিহ্নের মধ্যে মনুমিয়ার বসতভিটা থেকে মাত্র তিনশ’ গজ সামনে রয়েছে ‘মনুমিয়ার দীঘি’ নামে প্রকাণ্ড এক দীঘি। সবুজ বৃক্ষরাজি পরিবেষ্টিত বিশাল এই দীঘিটি আজও পর্যটক এবং পথচারীদের নজর কাড়ে।

দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে আজও ঠায় দাঁড়িয়ে আছে মনুমিয়ার বিখ্যাত মসজিদ। মসজিদটির পরিসর ছোট হলেও এর দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী এবং পরিবেশ অপূর্ব। প্রায় সাড়ে তিনশ’ বছরের পুরনো এই মসজিদটি আজও সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।



ইতিহাস থেকে জানা যায়, জমিদার হিসেবে পিতা শেরমস্ত খাঁর চেয়েও অধিক প্রভাবশালী ছিলেন মনুমিয়া। তিনি এতই শক্তিধর জমিদার ছিলেন যে যুদ্ধে ব্যবহৃত মোগল আমলের শক্তিশালী কামান পর্যন্ত তার সমরাস্ত্র ভাণ্ডারে মজুদ ছিল। প্রায় তিনশ’ বছর পর এর প্রমাণও মিলেছে।
মনুমিয়ার ঐতিহাসিক রাজবাড়ির সামনে এবং পেছনে দুটি বিশাল পাকা গেট ছিল। দুই গেটে বসানো ছিল মস্ত বড় দুটি কামান। খুব সম্ভবত দেয়াঙ বন্দরে পর্তুগিজ জলদস্যুদের হামলা এবং বহির্শক্তির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
১৯৮০ সালে মনুমিয়ার রাজবাড়ির পেছনের গেটের ধ্বংসস্তূপের নিচে তলিয়ে যাওয়া প্রায় সাত মণ ওজনের একটি কামান উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী কামানটি নিয়ে যায়। বর্তমানে কামানটি নৌ-বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে।



মনুমিয়া ও মালকা বানুর প্রেম:

মনুমিয়া জমিদার বংশের পুত্র হলেও মালকা বানু ছিলেন বাঁশখালী থানার সরলা গ্রামের বিখ্যাত এক সওদাগর আমির মোহাম্মদ এর কন্যা। ইতিহাস থেকে জানা যায়, মালকা বানুর পিতা আমির মোহাম্মদ চৌধুরীর আট সন্তানের মধ্যে একমাত্র কন্যা মালকা বানু চৌধুরী। মনুমিয়া একদিন পাইক পেয়াদা সঙ্গে নিয়ে জমিদারি তদারকিতে বাঁশখালীর সরলা গ্রামের সওদাগর বাড়িতে পৌঁছে সাময়িক বিশ্রাম নেন। এ সময় মনুমিয়ার নজরে পড়ে অনিন্দ সুন্দরী সওদাগর কন্যা মালকা বানু। মালকা তখন কাজির মক্তবে অধ্যয়নরত। ওখানেই মনুমিয়া এবং মালকা বানুর আঁখির মিলন ঘটে। তখন থেকেই মালকা বানুর প্রেমে পড়েন মনুমিয়া। এরপর প্রেমের টানে মনু বারবার ছুটে যেতেন মালকা বানুর বাড়িতে। অবশেষে কাজির মাধ্যমে মালকার বাবার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন মনু। মালকার বাবা সওদাগর রাজি হলেও বিয়েতে মালকা রাজি ছিলেন না। কারণ হিসেবে মালকা মনুকে বলেছিলেন সাম্পানযোগে নদী পার হতে তার ভয় করে। কারণ শঙ্খ নদীর এপারে মনুমিয়ার বাড়ি ওপারে মালকার।


মালকা বানু মসজিদ
কাজেই বধূ সেজে মনুমিয়ার বাড়ি যেতে হলে উত্তাল শঙ্খনদী পাড়ি দিতে হবে। মালকার মুখে এ কথা শুনে মনুমিয়া স্থির করলেন শঙ্খের বুকে বাঁধ নির্মাণ করবেন। যেমন চিন্তা তেমন কাজ। মনু মিয়া শঙ্খ নদীর বুকে নির্মাণ করলেন বিশাল এক বাঁধ। তারপর বধূ সাজিয়ে সড়কপথে মনুর রাজপ্রাসাদে এনে তুললেন প্রিয়তমা মালকাকে। জনশ্রুতি আছে মালকা বানু ও মনুমিয়ার বিয়ে হয়েছিলো খুব ঝাঁকজমক পূর্ণভাবে। একমাস ধরে চলেছিলো তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান। আর সেই বিয়েতে বিভিন্ন স্থান থেকে শিল্পীরা এসে গান পরিবেশন করেছেন। তারমধ্যে ‘’ মালকা বানুর দেশেরে, বিয়ার বাইদ্য আল্লা বাজেরে।/ মালকা বানুর সাতও ভাই, অভাইগ্যা মনু মিয়ার কেহ নাই।/ মালকার বিয়া হইবো, মনু মিয়ার সাথেরে।‘’ এই গানটি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। এমনকি এখনো গ্রামে গঞ্জে গানটি বেশ লোকপ্রিয়। এ রকম আরো অজস্র কাহিনী রয়েছে মনুমিয়া-মালকা বানুর প্রেম উপ্যাখানে।
আদরের দুলারী মালকা বানুর বিয়ের পর নিঃসঙ্গ পিতা আমির মোহাম্মদ কন্যার স্মরণে বাশখালীর সরলে নির্মান করেন একটি মসজিদ ও দিঘী। যা মালকা বানুর মসজিদ ও দিঘী নামে পরিচিত । মসজিদটি কালের সাক্ষী হয়ে এখনো টিকে আছে। মসজিদটির গায়ে ফার্সী ভাষায় একটি শিলালিপিও রয়েছে।


তথ্য-
উইকিপিডিয়া ,
http://www.manobkantha.com/2016/09/27/158559.php
http://swapnobaj.com/2016/09/26/মালকা-বানুর-দেশেরে-আসতে-প/

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

জেন রসি বলেছেন: এই ইতিহাস জানা ছিলনা। ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ জেন রসি ভাই ।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

অপ্‌সরা বলেছেন: পোস্ট পড়ে মুগ্ধ!!!!!!

প্রিয়তে এবং শেয়ার!!!!!!!! :) :) :)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: প্রিয়তে এবং শেয়ার!!!!!!!! ????
অনেক অনেক ধন্যবাদ অপ্‌সরা ।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০

স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা বলেছেন: মালকা বানু সমন্ধে জানা ছিল না, মালকা বানু,মালকা বানু শুধু নাম শুনেছি ।
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ভাই।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: দেশি ইতিহাস জানলাম ।
ধন্যবাদ লিটন দা ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের দেশী ইতিহাসে,কিংবদন্তি অনেক সমৃদ্ধ । এর কতটাইবা আমরা জানি মায়া ভাই ।
তবে অন্তত জানার চেষ্টা থাকা উচিত।
আপনাকে ধন্যবাদ ।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গানের পেছনের সমৃদ্ধ ইতিহাস জেনে সমৃদ্ধ হলাম!!!


আসলেই আমাদের মাটির পরতে পরতে কত সোনা ঝড়া ইতিহাস! আর আমরাই বে-খবর!

আমাদের জন্য সেই কুড়ানো মানিক কষ্ট করে পাতে দিয়েছেন বলে অসংখ্য ধন্যবাদ ভ্রাতা :)

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত বোধ করছি ভৃগু ভাই ।
অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা ।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,



খুব ভালো লেগেছে প্রায় হারিয়ে যাওয়া একটি গানের সূত্রে একটি লোককাহিনী তুলে ধরেছেন বলে ।

মালকা বানুর ছবি (শাবানা) তো উপরেই দেখলুম , তো মনু মিয়া কি পাশেরটা ? :-P

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে মজা পেলাম আহমেদ জী এস ভাই :) :) :):) :) :)

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এমন কতশত কাহিনী আছে। তার খুব কমই জানি।

পোস্টে +। ধন্যবাদ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ রাজপুত্র ।

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

জুন বলেছেন: এই গান যে কত শুনেছি তার ইয়াত্তা নেই। এর ইতিহাস জানা থাকলেও আপনার লেখায় আবার দেখা আর পড়া হলো গিয়াস লিটন। অনেক ভালোলাগা রইলো।
+

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা জানবেন আপু ।

৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অনেক সুন্দর । ধন্যবাদ ভাইয়া

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ রাবেয়া রাহীম ।

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ছবিটা সত্তর দশকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল । গানের কথাগুলো মনে আছে, কাহিনীটা মনে ছিলনা । তবে সাবানা ও জাবেদের প্রেমের দৃশ্যগুলি মনে পড়ে যায় এ পোস্টের লিখাগুলি পাঠে । খুব সুন্দর করে প্রায় হারিয়ে যাওয়া এ ইতিহাস উঠিয়ে এনেছেন । লিখাটিতে । শুধু যে মনু মিয়া মালকা বানুকেই তুলে ধরেছেন তা নয় লিখাটিতে ঝড়ে পরে পুরা চাটগায়েরই ঐতিহ্যময় ইতিহাস । বারো আওলিয়ার পুণ্যভুমি , বন্দর নগরী টট্গ্রামের প্রাচীন জনপদের পরিবেশ , প্রকৃতি , নদী সমুদ্র , রাজনীতি সমাজ নীতি , সংস্কৃতি ইত্যাদি । এ সকলি মিলে বার বার আপন স্বকীয়তায় চট্গ্রাম এসেছে উঠে । সুর্যসেন , প্রিতিলতা এমনি অনেক চাটগাইয়া সস্তান তাদের কর্মগুনে বরনীয় হয়ে আছেন আমাদের মাঝে । প্রাচ্চের সুন্দরী , রুপসি রাণী চট্গ্রাম এর লোক গাথা আমাদের অহংকার । চর্চাপদের সময় থেকে এ যাবতকাল পর্যন্ত সেখানকার লোক গাথা আপন স্বকীয়তার মাধ্যমে চট্টগ্রামকে পরিচিত করে রেখেছে বিশ্ব দরবারে । চাটগাইয়া ভাষা , সংস্কৃতি, নদী , সাগর, সাম্পান , গান , মাথিন , মনুমিয়া মালকা বানু প্রেম উপাক্ষান সব মিলিয়ে এক অসামান্য ইতিহাস । এখনো পাওয়া যায় এমন ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি সংরক্ষন একান্ত প্রয়োজন ।
পোস্ট লিখকের প্রতি রইল প্রাণডালা অভিনন্দন ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন, লোকসাহিত্য যে কোন দেশ ও জাতির গৌরবের বস্তু , জাতির ঐতিহ্যের জীবন্ত প্রতীক । যে জাতির লোকসাহিত্য যত সমৃদ্ধ, সে জাতি তত উন্নত ।
সন্দেহ নেই চট্গ্রাম একটি প্রাচিন লোকসাহিত্য সমৃদ্ধ জনপদ ।

লোক সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় এই এলাকার মানুষের বিচরণ ছিল । এখন আর এসবের চর্চা হয়না । এসব জানাশোনা ছিল এরকম প্রবীণ নাগরিকরাও গত হয়ে যাচ্ছেন । এর ফলে প্রচলিত বহু মূল্যবান লোকগাঁথা, লোক-সংগীত, লোক-কাহিনী, লোক-কথা, লোক-বিশ্বাস, লোকাচার, লোক-শিল্প, ছড়া, ধাঁধাঁ, প্রবাদ-প্রবচন,হেঁয়ালি, পাঁচালি, জারিগান,সারিগান, মাঝির গান, জেলের গান, যাত্রা, মারফতী, গণসংগীত, ভোটসংগীত, কবিগান এককথায় গোটা পল্লী সাহিত্যই আজ বিলুপ্তির পথে ।

দীনেশ চন্দ্র সেন , চন্দ্র কুমার দে ও বিজয় নারায়ন আচার্য প্রমুখের সংগৃহীত , ''পূর্ব বঙ্গ গীতিকা'' গ্রন্থটি ১৯২৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় প্রকাশিত হয় । পরে Eastern Bengal Ballads নামে ইংরেজি অনুবাদের মাধ্যমে দীনেশ চদ্র একে প্রথমবারের মতো বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেন । যা ১৯৮৮ সালে বাংলা একাডেমী থেকে মোমেন চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ।
ধারণা করা হয় এই গ্রন্থে অন্তত তিনটি লোকগাথা স্থান পায় , যা ছিল গ্রেটার চট্গ্রাম অঞ্চল থেকে সংগৃহীত ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের রিপ্লাই দিতে গিয়ে অনেক কথা বলা হল , অনেক ধন্যবাদ জানবেন ডঃ এম এ আলী ভাই ।

১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:১৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
দ্বাদশ প্লাস। (অত প্লাস দিয়া কী করবেন?)

এই ইতিহাস জানাই ছিল না। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আমাদের অনেক ইতিহাসই হারিয়ে গেছে। আমাদের নিজস্ব অনেক ইতিহাস আছে, যা আমাদের অনেকেই জানেনা। এমন না যে জানার আগ্রহ নেই। আগ্রহ আছে, কিন্তু তথ্য নেই, উপাত্ত নেই, নিদর্শন নেই।

এই ইতিহাসগুলো সংরক্ষণ করা দরকার।

আপনার পোস্টের সুবাদে তো মালকা বানু - মনু মিয়ার ইতিহাস জানলাম।

আরো আরো ইতিহাস জানান।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রক্তিম দিগন্ত ভাই, ইতিহাস ঐতিহ্য আমার ব্যাপক আগ্রহ । নিজে যেটা প্রথম জানি সেটা আপনাদের সাথেও শেয়ার করার আগ্রহ জাগে । আগামীতে এরকম আরও পোস্ট করার আগ্রহ আছে । পাশাপাশি 'প্রবাসী গুণীজন' পর্বটিও চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে ।
আপনার মন্তব্যে ব্যাপক অনুপ্রাণিত , অনেক ধন্যবাদ রক্তিম দিগন্ত ।

১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:১১

সুমন কর বলেছেন: মালকাবানু ও মনুমিয়ার প্রেমের উপাখ্যান কাহিনী জানা ছিল না।
চমৎকার এবং তথ্যবহুল এমন একটি পোস্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনুপ্রেরণাদায়ী মন্তব্যের জন্য আপনাক েওধন্যবাদ কবি ।

১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

মানবী বলেছেন: সিনেমাটি দেখা হয়নি, ঘটনাও অজানা ছিলো।
ভাবছি তিনশ বছরের বেশি সময় আগে বাঁধ নির্মান নিশ্চয় খুব সহজ ব্যাপার ছিলোনা। হয়তো ৩-৪ বছর সময় গেছে শুধু এই নির্মান কাজে!

বাঁধটি আজও আছে কিনা জানতে ইচ্ছে করছে!

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শঙ্খনদীর ওপর দোহাজারীতে একটি বাঁধ রয়েছে বলে জানি, যা সাংগু ব্রিজ নামে পরিচিত। এটা মনু মিয়া নির্মিত বাঁধের পরবর্তী রূপ কিনা এ বিষয়ে আমার ধারণা নাই ।
আপনাকে ব্লগে বড় কম দেখা যায়, আপনার চমৎকার সব পোস্ট থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।
স্মরণ আছে, আমার ব্লগ জীবনের প্রথমে সব চেয়ে জনপ্রিয় স্টীকি পোস্টটি ছিল আপনার।
আমার পোস্টে আপনার উপস্থিতি আমার কাছে বরাবরই সন্মানের । অনেক ধন্যবাদ জানবেন মানবী।

১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন একটা পোস্ট দিয়েছেন লিটন ভাই। এই বিষয়ে জানাই ছিলো না।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে ব্যাপক অনুপ্রাণিত , অনেক ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই।

১৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

আলোরিকা বলেছেন: কত অজানারে !----গতকাল মোবাইলে পড়েছি ,মন্তব্য করা হয়নি । এটাকে তো এতদিন স্রেফ একটা গান হিসেবেই জানতাম । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া একটা চমৎকার , বিস্মৃত ইতিহাস পোস্ট করার জন্য :)

শিরোনামে '---কে ছিলেন মালকা বানুর ---' বানু হবে মনে হয় । ভাল থাকুন । অনেক অনেক শুভ কামনা :)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এজন্যই বলে প্রদীপের নিচে আঁধার, শিরোনামের এত বড় ভুল নজরেই আসিনি !!!
এক্ষুনি ঠিক করে দিচ্ছি । অনেক ধন্যবাদ আলোরিকা ।

১৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

মোঃ আবু হেনা সাজ্জাদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ভাল থাকবেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নেক ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই ।

১৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: মনু মিয়া-মালকা বানুর গল্প চট্টগ্রামের-এটা জানতাম। কিন্তু তারা দুজনেই আনোয়ারা-বাশখালীর-এটা জানা ছিল না।

পোস্টে ভাললাগা। সময় সুযোগ মত আনোয়ারা বাশখালী ঘুরে আসব-ইন শা আল্লাহ :)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমি তুমি আমরা ।

১৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাঁশখালী নামটা শোনা ছিল!! এলাকার মানুষদের প্রতিবাদী ভুমিকার কথা কদিন আগেও আমরা দেখেছি। কিন্তু সেখানকার এত চমৎকার ঐতিহ্যের কথা অজানা ছিল। গিয়াস ভাইকে ধন্যবাদ এমন ব্যাপার শেয়ার করার জন্য!!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গেম চেঞ্জার ভাই, বাঁশখালী একটি ঐতিহ্যময় উপজেলা । এর নামকরন নিয়েও চালু আছে মজার কিংবদন্তী।
সাতকানিয়া থানার বাজালিয়ায় সাঙ্গু নদীর তীরে মরহুম মৌলানা শরফ-উদ-দীন বেহাল (র:) এর মাজার দৃষ্ট হয়। জনশ্রুতি মতে ঐ বেহাল সাহেব মযযুব (মানসিক ভারসাম্য) ছিলেন। আরো শোনা যায় জোর করে তিনি মগ মহিলাদের দুধ পান করতেন এতে মগেরা বিরক্ত হয়ে মস্তক কেটে তাকে হত্যা করলে দেখা যায় বার বার তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তখন মগেরা তার ছিন্ন মস্তকটি সমুদ্রে নিক্ষেপ করে আসে। অনেক দিন পরে সমুদ্র বক্ষ থেকে জেলেরা ঐ মস্তক উদ্ধার করে এবং আশ্চর্য হয় দেখে যে, মস্তকটি এখনও তাজা। ছিন্ন মস্তকটির দেহের খোঁজ নেয়ার উদ্দেশ্যে একটি বাশেঁর উপর ডগায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। অপরদিকে মুণ্ডু বিহীন দেহটি বেশ কয়েকদিন তরতাজা থাকায় বাজালিয়া বাসী কিছু মুসলমান ও কিছু মগও খন্ডিত মস্তকটির খোঁজে সমুদ্র উপকূলে আসে। মস্তকটির খোঁজ পেলে দুই পক্ষই দেহটি (মস্তক ও দেহ) রেখে দিতে চায়। শেষ পর্যন্ত ফয়সালা হল পরের দিন শিরটি যদি সকাল পর্যন্ত বাঁশের ডগায় থাকে তবে শির সহ দেহটিকে সমুদ্র উপকূলে দাফন করতে হবে আর যদি বাঁশের ডগা থেকে শিরটি পড়ে যায় তবে দেহটি বাজালিয়ায় দাফন করা হবে। পরদিন সকালে যথারীতি দেখা যায় শিরটি মাটিতে পড়ে আছে। উল্লেখ্য উভয় পক্ষের লোক সারারাত পাহারায় ছিল তাদের অলক্ষ্যে কখন যে শিরটি মাটিতে ছিটকে পড়ল তারা বুঝতে পারেনি। সবাই বলতে লাগল বাঁশ তো খালী। পরে দেহটি বাজালিয়ায় দাফন করা হয়।সেই ছিন্ন মস্তক ছিটকে পড়ার পর থেকে অর্থাৎ বাঁশটি খালী হয়ে যায় । এভাবে বাঁশখালী নামের গোড়াপত্তন হয়। সাতকানিয়ায় বেহাল সাহেবের মাজার অত্যন্ত সম্মানিত। যাত্রীবাহী গাড়ী মাজার অতিক্রমকালে যাত্রি নামিয়ে দেয়।

১৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৪১

নীলপরি বলেছেন: কাহিনীটা জানতাম না । জেনে খুব ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীলপরি

২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর তথ্যপুর্ণ প্রতিমন্তব্যের জন্য । পুর্ব বঙ্গ গিতীকায় নিজাম ডাকাতের পালা ,কাফন চোরা ,চৌধুরীর লড়াই ও ভেলুয়া লোকগাথা পড়েছিলাম সেই অনেক দিন আগে সাহিত্যের অধ্যাপক আংকেলের সংগ্রহ শালায়, এখন কাহিনী গুলি তেমন মনে না্ই। তাই আশা করছি প্রাচীন লোকগাথাগুলি নিয়ে মাঝে মধ্যে এমন মুল্যবান পোস্ট দিয়ে আমদেরকে অবহিত করবেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নিজাম ডাকাতের পালা,ভেলুয়া সুন্দুরি আমিও পড়েছি । প্রাচীন লোকগাথা নিয়ে আপনারও আগ্রহ আছে দেখে ভাল লাগছে।
পুনঃ মন্তব্যের জন্য আপনাকে পুনঃ ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী ।

২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৮

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!!:) ;)

ভালোলাগা ++

২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নেক ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান ।
(আপনি কি বিলিয়নিয়ার থেকে বিলিয়ার?হাহাহাহাহাহা):) ;):) ;)

২২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: মাঝে-মাঝে খুব ইচ্ছা হয়, মালকা বানু আর মনু মিয়ার মত একটা ইতিহাস গড়ে রেখে যাই। কিন্তু একচুয়ালি সেই রকমের কোন জুটি খুঁজে পাচ্ছি না; যার ফলে আমারও আর ইতিহাসে নাম লেখানো হচ্ছে না! ;)

তবে পোস্ট পড়ে একটা সম্পূরক প্রশ্ন মাথায় আসলো- 'আচ্ছা ঐ মনু মিয়ার অরজিনাল নামকে হাইলাইট করার জন্যই কি বাংলা অভিধানে 'জবরদস্ত/জবরদস্তি' কথাটা উল্লেখ করা হয়েছিল? যদিও মনুমিয়ার চারিত্রিক বৈশিষ্টের মধ্যে সেরকম কিছু খুঁজে পাইলাম না!' B-))

কাহিনী নির্ভর চমৎকার একটা ঐতিহাসিক পোস্ট লিটন ভাই! হাতে সময় ছিল না বলে পোস্টটা পূর্বেই প্রিন্ট আউট করে রেখেছিলাম। আসলে এই ধরনের পোস্ট গুলো পড়তে যেমন মজা ঠিক সেই রকমই আরাম দ্বায়ক!

চমৎকার পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ক্লাশ টেনের ইতিহাস বইয়ের উপর মোটা দাগে আপনার আর পাড়ার ফুলির নাম লিখে দেন । ইতিহাসে আপনার নাম উঠানো ঠেকায় কে ? :P
মজাদার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সাস ভাই ।

২৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি । নিঃসন্দেহে চমৎকার একটা পোস্ট! গানটা আমার অসম্ভব প্রিয়!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রূপক বিধৌত সাধু ।

২৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল কথা, নামকরণের কাহিনীও জানি! :P

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ গেম ভাই।

২৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এমন চমৎকার ইতিহাসটা আমার জানার বাকী ছিলো, কখনো সুযোগ পেলে মালেকা বানু-মনু মিয়ার এলাকাটা দেখে আসবো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য অনেক ধন্যবাদ সাদা মনের মানুষ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.