নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবাই যখন নীরব, আমি একা চীৎকার করি \n--আমি অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করি।\n

গিয়াস উদ্দিন লিটন

এত বুড়ো কোনোকালে হব নাকো আমি হাসি-তামাশারে যবে কব ছ্যাব্‌লামি। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

গিয়াস উদ্দিন লিটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে বাঙ্গালীর জীবনী জাপানের স্কুল গুলিতে পাঠ্য

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২


'প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন' পর্ব- ৩৩৭'



হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন,’ . ইতিহাস হচ্ছে বিজয়ীর হাতে লেখা বিজিতের নামে এক রাশ কুৎসা।‘
ইতিহাসে দেখি, প্রত্যেক বিজয়ী সাক্ষাৎ ধর্মের অবতার আর পরাজিত মাত্রই কুকীর্তির খনি, বিজয়ীরা এসেছেন পরাজিত জাতিকে সে কুকীর্তি থেকে ত্রাণ করতে – প্রত্যেক যুদ্ধের শেষে এ প্রচার লাগাতার ভাবেই সাধারণ মানুষের কর্ণগোচর হয়। একেই বলে সার্থক “প্রোপাগাণ্ডা”।
তবে এসব “প্রোপাগাণ্ডা”য় বিশ্বাস না রেখে স্রোতের বিপরীতে চলার মত মানুষও থাকে। সঠিক সময়ে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো, বলার মত মানুষ পৃথিবী থেকে একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়না। এরকমই একজন কীর্তিমান বাঙালীকে নিয়ে আজকের আলোচনা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী শক্তি নিজের সুসভ্য জাতি বলে মনে করে।ফলে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজিতদের মাথা চট করে কেটে ফেলতে বা জাপানের কাছ থেকে মোটা দাগের ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত নিতে একটু চক্ষুলজ্জা লাগছিল বৈকী। তাই বেশ যুত করে বারোজন বিচারপতি সদস্যযুক্ত ইন্টার্ন্যাশানাল মিলিটারী ট্রাইব্যুনাল ফর ফার ইস্ট নামে গাল ভরা এক লম্বা নাম দিয়ে এক সুসজ্জিত বিচারসভার আয়োজন করা হয়েছিল টোকিয়ো শহরে। বিচারের রায়ও মোটামুটি আগে থেকেই নির্ধারণ করাই ছিল।

গোলমালটা পাকিয়ে ফেললেন পূর্বোক্ত এই বাঙ্গালী ভদ্রলোকটি।আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচারের পাঠ ভদ্রলোকটির যথেষ্ট জানা। এবং স্বদেশে ন্যায় বিচারক হিসাবে খ্যাতিও যথেষ্ট। ফলে এই একমাত্র রায় বিজয়ী মিত্র শক্তির অসীম বিজয়ানন্দের হাজার মণ দুধে যেন এক ফোঁটা গোচনা হয়ে দাঁড়াল। কিন্তু ভদ্রলোক নিজের মতে একেবারে অবিচল। খাটা খাটুনি করে, নিজের উদ্যমে যতটুকু তিনি জেনেছেন, তাতে তাঁর নির্দ্বিধায় মনে হচ্ছে, জাপানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি একেবারে অসার। অভিযুক্তদের নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়াই এক মাত্র সঠিক কর্ম। স্রোতের বিপরীতে, নিজের বিবেক, বুদ্ধি এবং জ্ঞান কে সম্বল করে একলা চলা এই ভদ্রলোকই বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল।


(হিরোশিমায় একটি শান্ত সম্মেলনে বিচারপতি পাল)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ। যুদ্ধশেষে পরাজিত পক্ষের আড়ম্বর করে বিচার করতে হয়।তাই বিজয়ী আমেরিকান অক্ষ জাপানের বিচার করার জন্য ইন্টার্ন্যাশানাল মিলিটারী ট্রাইব্যুনাল ফর ফার ইস্ট (সংক্ষেপে টোকিও ট্রায়াল) নামে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাধাবিনোদ পালকে রয়াল ইন্ডিয়ান গভর্নমেন্ট ট্রাইব্যুনালের একজন সদস্য নির্বাচন করে জাপানে প্রেরণ করলেন।

(টোকিও ট্রাইব্যুনালের রায় যে চেয়ারে বসে দিয়েছিলেন)

আন্তর্জাতিক আইনের অন্যতম বিশারদ রাধাবিনোদ যুদ্ধের কার্য কারন সম্পর্কে সম্যক ওয়াকিবহাল ছিলেন। যে ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি হিসাবে তাঁকে জাপানে পাঠানো হল, তাঁর প্রথম প্রশ্নই জাগ্রত হল সেই ট্রাইব্যুনালের যৌক্তিকতা নিয়ে। তিনি নির্দ্বিধায় বুঝতে পারছিলেন এই “সাজানো নাটক” বিজয়ী পক্ষের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার, প্রতিহিংসাকে আইনী তকমা দেওয়ার এক হাতিয়ার মাত্র। যে বিচারসভায় বিচারের আগেই বিচারকদের রায় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়, তা যে শুধুমাত্র শো ট্রায়াল, তা নিয়ে রাধাবিনোদ নিঃসংশয় ছিলেন। দ্বিতীয়ত, রাধাবিনোদ এও বুঝতে পারছিলেন, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বা তার আগে, জাপান বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেছে এটা সত্য। কিন্তু একজন নিরপেক্ষ বিচারপতি, ন্যায়ের আসনে বসে নিরপেক্ষ বিচার করবেন, তাইই একান্ত কাম্য। তাই জাপানের যুদ্ধাপরাধ বিচার করতে হলে, একই সাথে মার্কিন ফৌজেরও বিচার করতে হয়, কারন হিরোশিমা – নাগাসাকীর মত দুটি শহরকে শুধুমাত্র পরমাণু বোমার প্রয়োগ সারা দুনিয়াকে দেখাবেন বলে যারা চোখের পলকে বাষ্পে পরিণত করলেন; তাঁরাও একই অপরাধে দোষী। হয়তো বা তাঁদের দোষের পাল্লা বোধ হয় কিঞ্চিত বেশীই ভারী। তিনি স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন, টোকিও ট্রাইব্যুনাল যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে অপারগ – যুদ্ধাপরাধের বিচার করার ক্ষমতাই টোকিও ট্রাইব্যুনালের নেই।


(টোকিও ট্রাইব্যুনালের আইনজীবী কিয়োসে ইচিরোও (বাঁয়ে), বিচারপতি পাল (মাঝখানে) ও প্রধানমন্ত্রী কিশি নোবুসুকে (ডানে)। ১৯৫২ সালে জাপানে তোলা ছবি। পালের হাতে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত নিজের রায়)

রায়দানের সময়ে, রাধাবিনোদ তাঁর দীর্ঘ রায়ে তাঁর দ্বিমত ঘোষণা করলেন।তাঁর রায়ের সাথে একমত পোষণ করেন ট্রাইব্যুনালের আরো দুইজন সদস্য (একজন নেদারল্যান্ডের অধ্যাপক বার্ট রোলিং এবং অপর জন ফ্রান্সের হেনরী বার্নার্ড) শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিজয়ী মিত্রপক্ষের গালে সম্ভবত এর থেকে জোরালো চপেটাঘাত আর কেউ করতে পারেননি। মিত্রপক্ষের চাপ সত্বেও ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধ টাইব্যুনালের 'টোকিও ট্রায়াল' ফেজে এই বাঙালি বিচারকের দৃঢ অবস্থানের কারণেই জাপান অনেক কম ক্ষতিপূরণের উপরে বেঁচে গিয়েছিলো। নয়তো যে ক্ষতিপূরণের বোঝা মিত্রপক্ষ ও অন্য বিচারকরা চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলেনন তার দায় এখন পর্যন্ত টানতে হতো জাপানকে। সেক্ষেত্রে ঋণের বোঝা টানতে টানতে জাতি গঠনের সুযোগই আর পাওয়া হতোনা জাপানের। সেসময়ই জাপানী সম্রাট হিরোহিতো কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলেছিলেন, "যতদিন জাপান থাকবে বাঙালি খাদ্যাভাবে, অর্থকষ্টে মরবেনা। জাপান হবে বাঙালির চিরকালের নি:স্বার্থ বন্ধু।" এটি যে শুধু কথার কথা ছিলোনা তার প্রমাণ আমরা এখনো দেখতে পাই। জাপান এখনো বাংলাদেশের সবচে নি:স্বার্থ বন্ধু। এই ঘটনার প্রায় ৬৫ বছর পর ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিসান হামলায় প্রাণ গেলো নয় জাপানিজ বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারের। জাপান তখনও পাশে ছিলো বাংলাদেশের।

(বিচারপতি পালের নিজ হাতে লেখা কবি চণ্ডিদাসের বাণী)

যদিও আমরা এই মহান বাঙালীকে বিস্মৃত হয়েছি, কিন্তু জাপান তাঁকে মনে রেখেছে। সম্রাট হিরোহিতো ১৯৬৬ সালে তাঁকে The First Class of the Order of Sacred Treasure সম্মানে ভূষিত করেন।এই বাঙালি বিচারকের জীবনী এখোনো জাপানী পাঠ্যপুস্তকে পাঠ্য। তাঁর নামে জাপানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেশ কিছু মেমোরিয়াল ও মনুমেন্ট।


(ইয়াসুকুনি শিন্তোও মন্দিরে বিচারপতি পালের স্মৃতিফলক।)

১৯৯৭ সালে কিয়োতোতে অবস্থিত শিন্তোও মন্দিরের রিয়োওগোকুজেন জিনজার চত্বরে স্থাপিত তাঁর দর্শনীয় স্মৃতিফলক।এরকম আরেকটি স্মৃতিফলক ২০০৫ সালে টোকিওর শিন্তোও মন্দির ইয়াসুকুনি জিনজার প্রাঙ্গণেও স্থাপিত হয়েছে। এবং এই মন্দিরের অধীন যুদ্ধবিষয়ক জাদুঘর ইউশুউকান এর ভিতরেও বিচারপতি পালের ছবি সংরক্ষিত আছে। হিরোশিমা জাদুঘরের কাছাকাছি অবস্থিত কোমাচি হোনশোওজি বৌদ্ধ মন্দিরের প্রাঙ্গণেও রয়েছে তাঁর স্বহস্তে বাংলা ও সংস্কৃতিতে লিখিত একটি শান্তির বাণী একটি পাথুরে ফলকে।১৯৭৪ সালে কানাগাওয়া-প্রিফেকচারের হাকোনে শহরের এক পাহাড়ে স্থাপিত হয়েছে পাল-শিমোনাকা* স্মৃতিজাদুঘর।



রাধাবিনোদ পাল বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার তারাগুনিয়া ইউনিয়ন, দৌলতপুর উপজেলার সালিমপুর গ্রামের এক অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৬ সালের ২৭ জানুয়ারি। শৈশব থেকেই প্রচণ্ড পরিশ্রম ও মেধার বলে মানুষ হয়েছেন তিনি। ১৯০৭ সালে কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে গণিতে বিএ অনার্স উত্তীর্ণ হয়ে পরের বছর একই বিষয়ে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি লাভ করেন। মেধাবী রাধাবিনোদ প্রথম চাকরিতে নিযুক্ত হন ১৯১১ সালে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের অধ্যাপক হিসেবে। এখানে ১৯২০ সাল পর্যন্ত থাকা অবস্থায় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ল’ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন ১৯২০ সালে। ১৯২১ সালে কলিকাতা উচ্চ আদালতে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেন। ১৯২৪ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলডি ডিগ্রি লাভ করেন ‘মনুসংহিতা : পূর্ব বৈদিক ও উত্তর বৈদিক যুগে হিন্দু আইন-দর্শন’ বিষয়ে। একমাত্র তিনিই তিন-তিনবার কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্লভ ‘টেগোর ল প্রফেসর’-এর আসনে নির্বাচিত হন যথাক্রমে ১৯২৫, ১৯৩০ ও ১৯৪৮ সালে। তার আগে এই আসনে ছিলেন স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. বিজনকুমার মুখোপাধ্যায় এবং হার্ভার্ড ল স্কুলের অধ্যাপক রোসকো পাউন্ড).


(জাপানে প্রতিষ্ঠিত বিচারপতি পালের একটি আবক্ষ মুর্তি)

এই বিরল সম্মানের কারণে ভারত সরকার ১৯২৭-৪১ সাল পর্যন্ত তাকে জাতীয় আয়কর দফতরের আইন উপদেষ্টা করেন। ১৯৪১ সালে কলিকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৪৩ সালে অবসর নিয়ে পুনরায় ওকালতিতে ফিরে যান। কিন্তু পরের বছর আবার ডাক পড়ে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের। টোকিও মিলিটারি ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি হিসেবে যোগদানের পূর্বে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত এই পদে আসীন ছিলেন। এই বিচারে তিনি যে ৭০০ পৃষ্ঠার রায় দিয়েছিলেন তা আজ বিশ্বইতিহাস। আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে এক অপরিসীম অবদান। ১৯৫৭ সালে জাতীয় অধ্যাপক এবং ১৯৬০ সালে ভূষিত হন ‘পদ্মভূষণ’ পদকে। বিচারপতি পাল জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শেষ জীবনে শান্তিবাদী কর্মী হিসেবে ১৯৬৭ সালে কলকাতায় নিজগৃহে মৃত্যুবরণ করেন।

*পাল এর বিশিষ্ট বন্ধু শিমোনাকা ইয়াসাবুরোও (১৮৭৮-১৯৬১) জাপানের শীর্ষস্থানীয় মর্যাদাসম্পন্ন প্রকাশনা সংস্থা হেইবোনশা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বনামধন্য একজন শিক্ষাবিদ।

(বিশিষ্ট বন্ধু শিমোনাকা ইয়াসাবুরোও এর সাথে)

প্রবাসে বাংলাদেশের রক্তের উত্তরাধিকারী গুণীগন - পর্ব ১ হইতে ৩৩৬ এখানে।

তথ্য সুত্র-
উইকিপিডিয়া
http://www.manchitro.com/Itihas.html
www.shimonaka.or.jp/activity/shimonaka.html
http://www.prothomalo.com/durporobash/article/378694/বাঙালি-পাল-জাপানি-শিমোনাকা-দুই

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

গরল বলেছেন: বিষয়টি জানা ছিল না, অসংখ্য ধন্যবাদ। একটা বিষয় খুবি হতাশার যে ভারতের যে কজন নামরা বাঙালী সবার জন্মই কিন্তু বাংলাদেশে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হতাশার হবে কেন ভাই? এটাতো গর্বের বিষয় ।
প্রথম মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

তারেক ফাহিম বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
লিংক দেওয়াতে সুবিধা হল।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ তারেক ফাহিম

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক দিন পর পেলাম এই রত্নগর্ভা সিরিজ।

এবং দারুন বিস্ময় নিয়ে পড়ে গেলাম একজন মহান মানুষের অকুতোভয় সাহস, নিষ্ঠা, দৃঢ়তার কাহিনী।
অন্তহীন কৃতজ্ঞতা লিটন ভায়া :)

++++++++++

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শুরু থেকেই আপনি সিরিজটির সাথে থেকে অনুপ্রেরণা দিয়ে যান । অনেক ধন্যবাদ ভৃগু ভাই।

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কালের গর্ভ খুঁড়ে এক টুকরো সোনা বের করে এনেছেন লিটন ভাই। এই কাজে আপনার সমতুল্য কাউকে দেখি না ব্লগে। অত্যন্ত চমৎকার একটি পোস্ট। আমরা বাঙালিরা স্মৃতিভ্রষ্ট জাতি। এই মহান বাঙালি জাস্টিস রাধাবিনোদ পালের কথা অনেকেই জানেন না। পাঠাভ্যাস না থাকায় জানার চেষ্টা বা উপায়ও নাই। সৌভাগ্যক্রমে কিছু পাঠাভ্যাস থাকায় উনার সম্পর্কে জানতাম। আপনার পোস্ট পড়ে আমার জ্ঞানের ভাণ্ডার আরও খানিকটা সমৃদ্ধ হলো।

ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বইএর ব্যাপক পাঠাভ্যাস না থাকলেও আমাদের দেশের অনেক মানুষ পত্র পত্রিকা পড়ে, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের এই রত্নদের নিয়ে পত্র পত্রিকায় তেমন আলোচনা হয়না।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন জনাব আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

রাজীব নুর বলেছেন: এ বিষয়ে আগে কিছুই জানতাম না।
আপনাকে ধন্যবাদ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমিও কিছুদিন আগে জেনেছি রাজিব ভাই।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

সিগন্যাস বলেছেন: রাজীব ভাইয়েত সাথে সহমত।আমিও এই বিষয়ে কিছু জানতাম না

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পাঠোত্তর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সিগন্যাস।

৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এজন্যই হয়তো জাপান বাংলাদেশকে ভালোবাসে!

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সেসময়ই জাপানী সম্রাট হিরোহিতো কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলেছিলেন, "যতদিন জাপান থাকবে বাঙালি খাদ্যাভাবে, অর্থকষ্টে মরবেনা। জাপান হবে বাঙালির চিরকালের নি:স্বার্থ বন্ধু।" জাপানিরা কথা রেখেছে।

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্!
আগে কখনো শুনিনি তো!
এমন কীর্তিমানদের কথা আমাদের পাঠ্যপুস্তকেও যোগ করা উচিত।
বাচ্চারা এতে ভালো কিছু করায় ছোটবেলা থেকেই আগ্রহী হয়ে উঠবে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এধরণের তথ্যবহুল সুন্দর সুন্দর পোস্ট গুলোর জন্য।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এমন কীর্তিমানদের কথা আমাদের পাঠ্যপুস্তকেও যোগ করা উচিত।
বাচ্চারা এতে ভালো কিছু করায় ছোটবেলা থেকেই আগ্রহী হয়ে উঠবে।
সুন্দর প্রস্তাবনা, অনেক ধন্যবাদ মিথী_মারজান ।

৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সোহানী বলেছেন: সত্যি কিছুই জানি না উনার সম্পর্কে। অনেক ভালো লাগলো লিটন ভাই অসাধারন এ গুনীকে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য।

শুধু খাদ্য বা অন্যান্য সাহায্য শুধু নয় জাপান আমাদের টেকনোলজিতে যে পরিমান সাহায্য করেছে তা অকল্পনীয়। আমার বাবা ইয়ামাহা কোম্পানীর সাথে যুক্ত ছিল তখন দেখেছিলাম কি অমায়িক তারা। বাবার খুব ভালো একজন বন্ধু ছিল তখন, টাকোমি সাইতো নাম। কত যে গিফট পেয়েছি তার কাছ থেকে ছোটবেলায়..........। আহ্ অনেকদিন পর মনে পড়ে গেল।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জাপানীরা অমায়িক জাতী । নিয়মানুবর্তি, সুশৃঙ্খল এবং অমায়িক।
পাঠ, মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা , অনেক ধন্যবাদ সোহানী।

১০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: কত কিছুই যে আমাদের এখনো অজানা! অনেক অনেক শ্রদ্ধা রইল এই বিচারকের জন্য।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন ঢাবিয়ান।

১১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: এই গুণী মানুষটির সম্পর্কে জেনে, তারপর সেই জানাটা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন- সেজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাগাভাগির লোক পাওয়ায় দুস্কর। আপনি আগ্রহী হয়েছে এতে আনন্দিত।
অনেক ধন্যবাদ করুণাধারা।

১২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মাত্র কিছুদিন আগে 'হোয়াটস এ্যাপে' প্রেরিত এক বন্ধুর পোস্ট থেকে ওনার সম্বন্ধে কিছুটা জেনেছিলাম। আজ আরেকটু বেশী করে জানলাম এবং কিছু ছবি দেখলাম আপনার সৌজন্যে, এজন্য ধন্যবাদ। এই কীর্তিমানের একজন দেশী ভাই হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
এমন কীর্তিমানদের কথা আমাদের পাঠ্যপুস্তকেও যোগ করা উচিত - মিথী_মারজান এর এ কথাটার সাথে একমত পোষণ করছি।
জাপানীরা কথা রাখা জাতি। তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা যন্ত্রকেও হার মানায়। এ ছাড়া ওরা সম্মানীয়কে সম্মান দিতে জানে। একদিন আবার এ জাতির পুনরুল্থান ঘটবে।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জাপানীরা কথা রাখা জাতি। তাদের শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতা যন্ত্রকেও হার মানায়। এ ছাড়া ওরা সম্মানীয়কে সম্মান দিতে জানে। জথার্থ বলেছেন। তারা কৃতজ্ঞ জাতীও বটে।

১৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পড়ে লোম খাড়া হয়ে গেল। এত দৃঢ়তা ঐ সময়ের বিচারকের থাকলে সেই একই মাটির, একই জাতের হয়েও বর্তমান বিচারকেরা কীভাবে মেরুদন্ডহীনের মত সরকারের পক্ষে থাকছেন...

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মেরুদন্ডহীন বিচারক রা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।

১৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এক বাংগালীর অবদানের জন্য, জাপান আমাদের মানুষের জন্য অনেকভাবে চেষ্টা করছে: টাকা পয়সা, পড়ালেখার জন্য স্পেশালিস্ট দিয়ে যাচ্ছে সব সময়।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমার এক ভাই থাকেন জাপান। এরা নিয়মানুবর্তি ও হেল্পফুল জাতী। বাংলাদেশের অন্যতম সুহৃদ ।

১৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




অত্যন্ত সাহসী একজন ব্যাক্তিত্ব তিনি। এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পড়েও তিনি অটল ছিলেন, নির্যাতিতের পক্ষে ছিলেন। তা সত্যিই বিরল।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: উনার ন্যায় পরায়নতা উনাকে জাপানিদের কাছে স্মরণীয় করে রেখেছে।

১৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

সনেট কবি বলেছেন: এমন একজন গৌরবের মানুষকে লাইম লাইটে নিয়ে আসায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনুপ্রানিত। ধন্যবাদ সনেট কবি।

১৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের বর্তমান বিচারকগনের অধিকাংশই মেরুদন্ডহীন, দলবাজীতে ওস্তাদ।

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দল বাজদের ইতিহাস মনে রাখেনা। এরা নর্দমার কীট।

১৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫১

নিভৃতেনৈঃশব্দে বলেছেন: লিটন ভাই,
মাত্র কয়েকদিন আগেই না সন্দেহ প্রকাশ করলাম আপনাকে শুধু "প্রিন্স অফ রম্য" বলা ঠিক আছে কিনা | এখনতো দেখি আপনি অরকিওলজিস্টও যেকোন |পড়াশোনায় দেখি ঐতিহাসিক ভুল ছিল আমার ! এতো কীর্তিমান একজন বাঙালির নামি শুনিনি কোনোদিন | কত কলিজের সাথে কাজ করেছি দেশে বিদেশে যারা জাপানে পিএইচডি করেচে |কেউ কখনো বলেনি এই লোকের কথা আশ্চর্য ! জানাবার জন্য ধন্যবাদ | মাত্র কয়েকদিন আগেই না সন্দেহ প্রকাশ করলাম আপনাকে শুধু "প্রিন্স অফ রম্য" বলা ঠিক আছে কিনা | এখনতো দেখি আপনি অরকিওলজিস্টও যেকোন |পড়াশোনায় দেখি ঐতিহাসিক ভুল ছিল আমার ! এতো কীর্তিমান একজন বাঙালির নামি শুনিনি কোনোদিন | কত কলিজের সাথে কাজ করেছি দেশে বিদেশে যারা জাপানে পিএইচডি করেচে |কেউ কখনো বলেনি এই লোকের কথা আশ্চর্য ! রাধাবিনোদ পাল সম্পর্কে জানাবার জন্য ধন্যবাদ |

লিটন ভাই, নতুন পোস্টটাতে আমিও জেমসবন্ডের মতো একটু গোয়েন্দাগিরি করার চেষ্টা করেছি | আপনার মতো সিনিয়র একজন ব্লগার পড়ে কমেন্ট করলে আমার খুব ভালোলাগবে |

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার গোয়েন্দাগিরি জেমসবন্ডের মতো নয় , শার্লক হোমসের মত :D
লিখাটা পড়ে এসেছি। সেখানে মডারেটর কাভা ভাই উপস্থিত আছেন দেখে ভাল লেগেছে, আশা করছি তিনি বিষয়টা দেখবেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নিন নিভৃতেনৈঃশব্দে ।

১৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ছোটবেলা থেকেই জাইকার সাথে পরিচিত ছিলাম আমি। আমার মনে প্রশ্ন জাগতো, জাপান আমাদের দেশের সাথে এত ভালো কেন। আরও এত দেশ থাকতে আমদের দেশের প্রতিই ওরা এত বন্ধুভাবাপন্ন কেন। বড় হওয়ার পর তো স্পষ্ট বুঝেছি বাংলাদেশের প্রতি জাপানের আলাদা টান। 'রাধা বিনোদ পাল' এঁর নাম আমি পড়েছিলাম এইভাবে যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারক ছিলেন একজন বাঙ্গালী, যা প্রথম আলো'য় এসেছিল। কিন্তু উনার এই কীর্তি, এত বিস্তারিত ইতিহাস সব জেনে আজ যারপর নাই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বাঙ্গালীদের ব্যাপারে সম্রাটের বলা কথাটা পড়ার সাথে সাথে আবেগে চোখ সিক্ত হয়ে গেছে। এখন আরও পরিষ্কার বুঝতে পারছি কেন এইভাবে ঋণের টাকা না পেয়েও জাপান আমাদের বছরের পর বছর নিঃশব্দে সাহায্য করে যাচ্ছে, আর কেনই বা কুষ্টিয়ার লালন-কে নিয়ে জাপানীদের বিপুল আগ্রহ। অসাধারণ এই পোস্ট এবং এই ধরণের সিরিজের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভেচ্ছা আপনাকে লিটন ভাই।।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন:
জাপান বাংলাদেশের অকৃত্তিম বন্ধুদেশ।
জাপান সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থা জাপান এক্সটারনাল ট্রেডের (জেট্রো) এক জরিপে দেখা যায় ওই দেশের কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে যে ২০টি দেশকে তালিকার শীর্ষে রেখেছে, তার মধ্যে প্রথমে রয়েছে বাংলাদেশের নাম।

২০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন।
কিছু বাঙালিরা ইচ্ছাকৃত স্মৃতিভ্রষ্ট জাতি। এই মহান বাঙালি জাস্টিস রাধাবিনোদ পালের কথা অনেকেই জানেন না।
কিন্তু কমেন্টএ চিপা দিয়ে দেশের বদনাম গাইছে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য । জাস্টিজ পালের মত ব্যাক্তিগন দেশকে পৌঁছে দিয়েছেন আরো বেশি সুমহান মর্জাদায়।
নানা বাধা বিঘ্ন পেরিয়ে দেশ তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে।
সিক্স সেভেনে থাকতে পড়েছিলাম বাংলাদেশের মানুষের গড় আয় ১৪০ ডলার, এখন সেটা ১৬১০ ডলারে ঠেকেছে।
গড় আয়ু ছিল ৪২ বছর ,এখন সেটা ৭১ বছর ৬ মাস। শিক্ষার হার ছিল ৩৬ ভাগ এখন সেটা ৭২ দশমিক ৭৬ ভাগ।
অনেকেই এসব দেখতে পান না, তারা হতাশায় ভোগেন। লিখালিখিতে দেশকে নেগেটিভ ভাবে উপস্থাপন করেন।
যা কাম্য হতে পারে না।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ।

২১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই, স্মৃতির গহ্বরে হারিয়ে জাওয়া স্যার পালকে এভাবে সামনে আনার জন্য। একদিকে মেধার বিচ্ছুরণ অপরদিকে ওনার কর্মের ব্যাপ্তি, সত্যই অবাক করার মত। শ্রদ্ধেয় ড.পালকে জানাই অন্তরের শুভেচ্ছা।

অনেক শুভকামনা আপনাকে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য, আপনিও শুভ কামনা জানবেন পদাতিক চৌধুরি।

২২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। দারুন একজন ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারলাম। বাঙালী হিসেবে গর্ববোধ করার মত ব্যক্তিত্ব। বিদেশী হত্যা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এর বিচার হওয়া উচিৎ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অন্য কোন দেশ হলে হলি আর্টিজানের ঘটনা নিয়ে সম্পর্কের অবনতি ঘটানোর চেস্টা করতো। কিন্তু জাপান বিষয়টিকে বিক্ষিপ্ত ঘটনা হিসেবে দেখেছে।
এটা সঠিক যে, স্বদেশী বা বিদেশী হত্যা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।

২৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

সিগন্যাস বলেছেন: জাপান নিয়ে আরো লিখুন

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমি চেস্টা করবো আপনার আগ্রহ মেটাতে।

২৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৭

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: এই বাঙ্গালীর প্রতি বিনম্রশ্রদ্ধা।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ধন্যবাদ অনন্য দায়িত্বশীল।

২৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: জানা ছিলো না এটা!! সবটুকু পড়ে বেহস ভালো লাগলো ভাইয়া!

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঈপ্সিতা চৌধুরী।

২৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০১

আখেনাটেন বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার এই সিরিজ পেলাম মনে হচ্ছে।

এই প্রথম নাম শুনলাম গুণী এই মানুষটির। জাপানে গিয়েও কাঁপান ধরে দিয়ে দিয়েছে দেখছি। :D

চমৎকার এই তথ্যটির জন্য এক গামলা শুভেচ্ছা রইল ব্লগার গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই। :D

ভালো থাকুন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সিরিজটি আপডেট করতে এবার একটু দেরি হল। নিয়মিত সাথে থাকায় আপনিও শুভেচ্ছা নিন আখেনাটেন ।

২৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

আরাফআহনাফ বলেছেন: কত কিছুই না কালের গর্ভে হারিয়ে যায়??? আমরা তার জানিইবা কতটুকু?

অজানা একটা বিষয় বিশদভাবে তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পাঠের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ আরাফআহনাফ

২৮| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কাকু আর নুর সুরভীতে সামু আজকাল মৌ মৌ।
আপনাদের মতন জুনিয়র ব্লগাররা চেষ্টা করে যাচ্ছেন দেখে ভালই লাগে।
উৎসাহ দেবার জন্যেই আসা, চেষ্টা করে যান। একদিন নিশ্চয়ই কাকুযথা উঁচু দরের ব্লগার হবেন................

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার আশির্বাদ গুরু। মাঝে মাঝে এসে একটু পিঠ চাপড়ে যাবেন ।

২৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: জানলাম। উনাকে নিয়ে লিখবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনিও ধন্যবাদ নিন জুনায়েদ বি রাহমান

৩০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,



রাধা বিনোদ পাল এর কথা এই প্রথম শুনলুম ।

জাপানীদের মতো বিনয়ী আর যে কাউকে সম্মান জানাতে এতোটুকু পেছপা হয়না , এমন আর কোনও জাতি মনে হয় নেই ।
ছোট একটু কাহিনী বললেই বুঝতে পারবেন --- আমি তখন লিবিয়াতে থাকি । জাপানের "কোবেলকো" ( আমাদের চট্টগ্রামের স্টীল মিলটি কিন্তু এই "কোবেলকো"র করা ) কোম্পানীর জেনারেল ম্যানেজার মিষ্টার নী এর স্ত্রীকে কিছুদিন মিশুরাতা জেনারেল হাসপাতালে গাইনী ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যেতে হয়েছিল । উনারা জাপানের কোবে শহর থেকে ওখানে গিয়েছিলেন আফ্রিকার সবচেয়ে বৃহত্তম ষ্টীল প্রজেক্টে ( যেটা লিবিয়াতে আমার শহরে এবং যেখানে পৃথিবীর নামকরা ২২ টি কোম্পানী কাজ করছিলো বিভিন্ন স্তরে ) কর্মরত তার কোম্পানীর কাজ তদারকে । ছিলেন মাসখানেকের মতো । এর মধ্যেই তাদের মনে হলো, মিসেস নী সম্ভবত সন্তান সম্ভবা হয়ে পড়েছেন । তাই গাইনী ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হওয়া দরকার হয়ে পড়েছিলো। আমি যেহেতু ডাক্তার সে কারনেই আমার এক শিষ্য ছোটভাইয়ের, যে "কোবেলকো"র অধীনে সাব-কন্ট্রাক্টে আসা বাংলাদেশের হংস ওভারসীজ নামের একটি কোম্পানীর বিগ বস ; তার মাধ্যমে আমার কাছে আসা । বলে নেয়া ভালো, সে সময় লিবিয়াতে ঘুরতে আসা বা কাজে আসা বিদেশীদের ডাক্তার দেখানোর বা চিকিৎসা পাবার সুযোগ ছিলোনা । আমি ডাক্তার হিসেবে যদি তাদের কোনও ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা করে দিতে পারি । সে অবস্থা আমার ছিলো, দু'জন ইন্ডিয়ান গাইনী স্পেশালিস্ট আমাদের পারিবারিক বন্ধু হওয়াতে ।
আমার মিসেস তাদের নিয়ে যেতেন ওখানে,মিষ্টার নী'র গাড়ীতে করে। । প্রতিবারই মিষ্টার নী আমার ফ্লাটের সামনে এসে আমার মিসেসকে নিজে গাড়ীর দরজা খুলে দিতেন আর মাথা নত করে বাও করতেন, ওঠা এবং নামার সময়ে । আমি একজন সামান্য বাংলাদেশী ডাক্তার আর মিষ্টার নী পৃথিবীর অন্যতম ও বৃহত্তম একটি ষ্টীল কোম্পানীর জেনারেল ম্যানেজার । আমার স্ত্রীর প্রতি তার এই বিনয় আর সম্মান প্রদর্শনের ঘটনা আমায় অভিভুত করেছিলো ।
ইন্সপেকশান শেষে জাপানে ফিরে গিয়ে লিবিয়াতে তার কোম্পানীর মাধ্যমে আমার সেই শিষ্য ছোটভাইয়ের হাত দিয়ে আমার জন্যে একটি স্পেশাল গিফট পাঠিয়েছিলেন - " ওকিনাওয়া স্পেশাল " । জাপানে সেটা নাকি খুব কষ্টলী এবং অলমোষ্ট রেয়ার ।
সেই " ওকিনাওয়া স্পেশাল " এর প্যাকেট, পাঁচটি পরতে আমাকে খুলতে হয়েছিলো । প্রত্যেক পরত এক এক ধরনের চকচকে র‍্যাপিং দিয়ে মোড়ানো এবং সুগন্ধি । তারপর ভেতর কি পেলুম ? সে আর এক কাহিনী ....................


আপনার এই সিরিজটা কতো কিছু যে বলে যায় পাঠকদের ! হয়তো কোনদিন জানা হতোনা যা , তা জানছি আপনার মাধ্যমে । কৃতজ্ঞতা জানাতেই হয় ।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার মন্তব্যে এক জাপানীর সৌজন্যবোধ উঠে এসেছে, যা আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা।আশা করছি কোন এক সময় আমাদের " ওকিনাওয়া স্পেশাল " ও নি পত্নীর পাঠানো উপহার সম্পর্কে জানাবেন।

৩১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ভৃগুদা'রেও কৈয়া দ্যাহি কি কয়? ;) :P :-B

১০ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভৃগে দারে কওন লাগবো না , উনি এমনিতেই আমার ওয়েল উইশার।

৩২| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: যা কয়েছি এখানেগো
তা-ই কবো তাহারে;
ভারি সখ কথা শুনে
খেউড়ান কি হারে? ;)

১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ঠারে ঠুরে কি বলেন
কিছুই তো বুঝিনা,
ভৃগু ভাই মোর লোক
আর কিছু খুজিনা =p~ =p~ =p~

৩৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৩

শামচুল হক বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ শামচুল হক

৩৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ২৮শেতে যা কয়েছি
তা-ই কবো ভৃগুরে;
দেখিতে হে লাগে কি তা
ভৃগুদা'র ইগোরে। ;)

১১ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভৃগুদারেই তো দেখছিনা!!!

৩৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৮

জুন বলেছেন: গিয়াস লিটন ইতিহাস নির্ভর সব লেখাই আমার দারুন পছন্দের তাই তো আমার ভ্রমন কাহিনীতে আমি ফাক ফোকর দিয়ে হলেও ইতিহাসকে টেনে আনি । আপনার লেখাটিও আমি মুগ্ধ হয়ে পড়লাম নানান ব্যস্ততার মাঝেও।
এই যে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ সংঘটিতে হয়েছিল এটাও তো এক অন্যায় বিচারের ফলশ্রুতিতে । প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিজেতারা এমন এক অমানবিক চুক্তি যা ভার্সাই চুক্তি নামে বিখ্যাত যার মাধ্যমে জার্মানকে বাধ্য করেছিল অনেক অন্যায় মেনে নিতে। প্রচুর ধন সম্পদ টাকা পয়সাই নয় তাদেরকে আরো বাধ্য করেছিল জার্মানীর শ্রেষ্ঠ জায়গাগুলোর অধিকার ছেড়ে দিতে। জার্মানদের সেই মন কষ্টকে কাজে লাগিয়েই হিটলার দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু করে যাতে যোগ দেয় ইতালী আর জাপান।
মহান বাঙ্গালী বিচারক রাধাবিনোদ পাল শুধু আমাদের বর্তমান আইনবিশারদদের মত শুধু আইনই পড়েন নি, আমার ধারনা তারা ইতিহাসও পড়েছিল ।
আপনাকে আমার ২০১৫ এর এই ক্ষুদ্র ছবি ব্লগটিতে একটু নজর বুলিয়ে আসতে অনুরোধ করছি গিয়াস লিটন ।
মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ ( ছবি + ইতিহাস )

আমার ছেলের দুজন রুম মেট ছিল জাপানীজ তারা এতই ভদ্র ছিল যে আমার ছেলে জিজ্ঞেস করেছিল এর কারন । তারা জানিয়েছিল দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর বিশ্বে নৃশংস জাতি হিসেবে তারা বদনাম কুড়িয়েছিল । সেই প্রজন্মের পর আর কোন জাপানীরা যেন এমন নির্মম বা হিংস্র না হয় তার জন্য জাপান সরকার খুব ছোট থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমের তাদের ভেতর ভদ্রতা ও নম্রতার বীজ বুনে দিয়ে আসছে। এজন্য কথায় কথায় তারা মাথা নীচু করে আরিগাতো (ধন্যবাদ) বলে আসছে ।
অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য ।
+

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ''মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ ( ছবি + ইতিহাস )'' অসাধারন পোস্টটি নজর এড়িয়ে গেল কি ভাবে বুঝে আসছে না। অনেক ক্ষন ধরে আপনার ব্লগে ছিলাম। রোমাঞ্চিত,বিমোহিত,শিহরিত হয়ে ফিরে এসেছি।
দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন জুন।

৩৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৮

রাকু হাসান বলেছেন: একদম জানতাম না ,গর্ব হচ্ছে আমার যে‘‘আমিও বাঙালি’’ ব্যাপক ভাল লাগার একটি লেখা +++ লাইক ও প্রিয় তে নিয়ে লেখা কে সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি ।

আমি প্রথম কোন গল্প লিখলাম ..সময় নষ্ট করে কি করা উচিত লেখার ক্ষেত্রে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো স্বপ্ন পূরণ(ছোট গল্প)

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার গল্প টি পড়ে এসেছি, ভালই লিখেছেন।
ধন্যবাদ রাকু হাসান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.